Ajker Patrika

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেটের মেয়র আরিফ হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৫: ৫০
হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেটের মেয়র আরিফ হাসপাতালে

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রাত দেড়টার দিকে নগরের কুমারপাড়ার বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

মেয়র মেডিসিন ও হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শিশির বসাকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।

ডা. জাহিদুল ইসলাম সোমবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোববার রাত ২টার দিকে মেয়রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ খালেদ মহসিনের রোগী। ডা. শিশির বসাক তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছেন। শিশির বসাক ধারণা করছেন মেয়রের মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর রিপোর্ট দেখে তাঁকে সিলেটে রাখা হবে, নাকি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

মেয়র আরিফের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে নগরবাসীসহ সবার দোয়া কামনা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুনের পর মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট, ‘গৃহকর্মী আয়েশা’র পরিচয় মেলেনি

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

বেগম রোকেয়াকে ‘কাফির-মুরতাদ’ বললেন রাবি শিক্ষক মাহমুদুল

ব্লাড ক্যানসার আর মরণব্যাধি নয়, জিন থেরাপিতে অভাবনীয় সাফল্য

বিডিআর হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনে আইজিপি বাহারুলের নাম, অপসারণের দাবিতে শাহবাগে পিন্টু সমর্থকেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানুষের অসচেতনতা আধুনিক এই গণপরিবহন সেবার নিরাপত্তায় বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র বলেছে, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে যাত্রীসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানবসৃষ্ট সমস্যাগুলো অবশ্যই আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। কারণ, মানুষ সচেতন না হলে মেট্রোরেল লাইনের ওপর পুরোপুরি বেড়া দিয়ে ঘেরা সম্ভব নয়। পাশাপাশি আমাদের নজরদারি বা এনফোর্সমেন্ট আরও জোরদার করতে হবে। যান্ত্রিক ত্রুটি স্বাভাবিকভাবে ঘটতেই পারে। কিন্তু বেশি বিঘ্ন ঘটাচ্ছে মানবসৃষ্ট নানা ধরনের সমস্যা।’

ডিএমটিসিএলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের সব নোটিশ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১০ বার মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬টির বেশি কারণ মানবসৃষ্ট, বাকিগুলো কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানবসৃষ্ট কারণের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেলের লাইনে কাপড়, ব্যাগ, ড্রোন, বৈদ্যুতিক লাইনে তার নিক্ষেপ এবং ট্রেনের ছাদে ওঠা। এ ছাড়া বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণে দুবার চলাচল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেট্রোরেল লাইনে কোনো বস্তু পড়লে বা কোনো ধরনের বাধা শনাক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এটি মেট্রোরেলের একটি বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে চলমান অবস্থায় হঠাৎ ট্রেন থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ডিএমটিসিএলের ফেসবুক পেজের পোস্ট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর উত্তরা উত্তর-উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের মাঝপথে মেট্রোলাইনের ওপর কাপড় পড়ে যাওয়ায় ১৫ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এর তিন দিন আগে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে এক কিশোর ট্রেনের দুটি কোচের মধ্যবর্তী স্থানে উঠে গেলে নিরাপত্তাজনিত কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ নভেম্বর লাইনে পড়ে থাকা ব্যাগের জন্য ২০ মিনিট চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ২২ নভেম্বর উত্তরা সেন্টার-উত্তরা দক্ষিণ অংশে লাইনে ড্রোন পড়ে থাকায় কিছু সময় ট্রেন বন্ধ থাকে। ২ নভেম্বর পল্লবী-মিরপুর ১১ ঢালের মাঝে বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর বাইরে থেকে তার নিক্ষেপ করা হলে ৩০ মিনিট ট্রেন চলেনি। এসবই মানবসৃষ্ট। এমন অসচেতনতায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।

যান্ত্রিক ত্রুটিও চলাচল বিঘ্নের কারণ

যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত কারণেও মেট্রোরেল চলাচলে কয়েকবার বিঘ্ন ঘটেছে। এর মধ্যে ২৬ অক্টোবর বিয়ারিং প্যাডে ত্রুটি দেখা দিলে ট্রেন চলাচল থামাতে হয়। ২৮ মে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেনের দরজায় সমস্যা হলে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ২০ মিনিট চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ জানুয়ারি দুবার বিঘ্ন ঘটে। সেদিন সকালে দরজা বিকল হয়ে ৯টা ২৩ থেকে ৯টা ৪৯ পর্যন্ত সেবা বন্ধ থাকে। সিগন্যালের সমস্যার জন্য আবার বেলা ১টা ৩৩ থেকে ২টা ৬ মিনিট পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকে। সেদিন ধাপে ধাপে রুট খুলে পুরো নেটওয়ার্ক সন্ধ্যায় স্বাভাবিক হয়।

২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফার্মগেটে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়লে ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে। চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেটে আবারও ৮০ কেজি ওজনের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পুরো ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে প্রথমে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে এবং এর কয়েক ঘণ্টা পর মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে।

ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, যেসব ঘটনায় মেট্রোরেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে, তার অধিকাংশই যাত্রী, পথচারী বা লাইনের আশপাশের মানুষদের সচেতনতা থাকলে এড়ানো যেত। কাপড় বা ব্যাগ লাইনে পড়ে থাকা, ড্রোন ওড়ানো, বৈদ্যুতিক লাইনে বস্তু নিক্ষেপ; এগুলো শুধু ট্রেন চলাচলই ব্যাহত করেনি, যাত্রীদেরও ভোগান্তিতে ফেলেছে। একই সঙ্গে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটনা এড়াতে মেট্রো স্টেশন ও লাইনে নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে হবে। বহিরাগত বস্তু শনাক্তের সেন্সর ও মনিটরিং বাড়াতে হবে এবং জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মেট্রোর পরিকল্পনাগত ত্রুটি। লাইনে কাপড়, ব্যাগ বা অন্য বস্তু পড়লে দ্রুত শনাক্ত করতে অবজেক্ট ডিটেকশন সেন্সর ও এআই-চালিত সিসিটিভি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ড্রোন প্রতিরোধে ড্রোন ডিটেকশন রাডার ও জিওফেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করলে অনুমতিহীন ড্রোন লাইনের কাছে এলেই সতর্কতা জারি হবে। বৈদ্যুতিক লাইনের পাশে সুরক্ষা নেট বসালে বাইরে থেকে তার বা বস্তু নিক্ষেপ রোধ করা সম্ভব। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দরজার সমস্যা কমাতে দরজা-সেন্সর ও সফটওয়্যার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যস্ত স্টেশনে রিয়েল-টাইম যাত্রী ব্যবস্থাপনা চালু করা যেতে পারে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল আমাদের সবার সম্পদ, তাই এটি রক্ষার দায়িত্বও সবার। এই সংস্কৃতি এক দিনে তৈরি হয় না। সময়ে সময়ে সচেতনতা ও অভ্যাস গড়ে তুলতেই হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুনের পর মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট, ‘গৃহকর্মী আয়েশা’র পরিচয় মেলেনি

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

বেগম রোকেয়াকে ‘কাফির-মুরতাদ’ বললেন রাবি শিক্ষক মাহমুদুল

ব্লাড ক্যানসার আর মরণব্যাধি নয়, জিন থেরাপিতে অভাবনীয় সাফল্য

বিডিআর হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনে আইজিপি বাহারুলের নাম, অপসারণের দাবিতে শাহবাগে পিন্টু সমর্থকেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগেরহাট হাসপাতাল: আইসিইউ বন্ধ ১ বছর সেবাবঞ্চিত রোগীরা

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আইসিইউ। 	ছবি: আজকের পত্রিকা
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আইসিইউ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। এর সামনেই রয়েছে আধুনিক অভ্যর্থনাকক্ষ, চিকিৎসক ও সেবিকাকক্ষ। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ৭ম তলায় থাকা আইসিইউর দৃশ্য এটি। তবে কোটি টাকা মূল্যের এসব মেশিনারিজ ও শয্যা থাকলেও এক বছর ধরে কোনো মুমূর্ষু রোগী এই আইসিইউর সেবা পায়নি। প্রায় ২০ লাখ মানুষের এই জেলার একমাত্র আইসিইউতে সেবা চালু না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের যেতে হয় খুলনাসহ বড় শহরে। যার ফলে রোগীদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটোই বেড়ে যায়। অনেক সময় টাকার অভাবে রোগীকে খুলনা নিতে পারেন না দরিদ্র স্বজনেরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তিনটি শয্যার মাধ্যমে আইসিইউ সেবা চালু করা হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময় আরও ৭টি শয্যা যুক্ত করে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর মোট ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিইউ চালু ছিল। প্রকল্প শেষ হওয়ায় জনবলও উঠিয়ে নেয় মন্ত্রণালয়। আইসিইউ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল বরাদ্দ না থাকায় আইসিইউটি চালু করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত পড়ে থাকায় মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। চালু থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ সময় ১০টি শয্যাই পূর্ণ থাকত বলে জানান নার্স ও সহায়ক কর্মীরা।

রক্তদাতা সংগঠন ব্লাড ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম যাদু বলেন, ‘এখানে অনেকে আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে বাধ্য হচ্ছেন খুলনা দৌড়াতে। আর যাঁরা গরিব, তাঁরা নিতে পারছেন না আইসিইউর সেবা। অবিলম্বে এই আইসিইউ সেবা চালুর জোর দাবি জানাই।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এস কে এ হাসিব বলেন, ‘যাবতীয় যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি উদ্যোগী হয়ে এই আইসিইউ চালু করে, তাহলে আমরা বাগেরহাটবাসী এই সুবিধা পেতে পারি। এটি চালু না থাকার কারণে আমরা আইসিইউ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’

হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজর ও আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করা নার্স বাসন্তী নারী দাস বলেন, এখানে অনেক দিন যাবৎ আইসিইউ অচল অবস্থায় আছে। ডাক্তাররা বাধ্য হয়ে রোগীকে উন্নত সেবার জন্য রেফার্ড করে খুলনায় পাঠান। ১০ বেডের এই আইসিইউ যখন সচল ছিল, তখন বেশির ভাগ সময় পরিপূর্ণ থাকত।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘কোভিড-১৯ নামের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইসিইউ সেবাটি চলত। প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। দক্ষ জনবল না থাকায় আমরা আইসিইউ সেবা দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘বাগেরহাটে কোথাও আইসিইউ সেবার ব্যবস্থা নেই। তাই জেলার ২০ লাখ মানুষের জন্য সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।’ তিনি আরও বলেন, ১০ শয্যার আইসিইউ চালাতে তিনজন কনসালট্যান্ট, চারজন মেডিকেল অফিসার, ১২ জন নার্স ও ১৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুনের পর মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট, ‘গৃহকর্মী আয়েশা’র পরিচয় মেলেনি

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

বেগম রোকেয়াকে ‘কাফির-মুরতাদ’ বললেন রাবি শিক্ষক মাহমুদুল

ব্লাড ক্যানসার আর মরণব্যাধি নয়, জিন থেরাপিতে অভাবনীয় সাফল্য

বিডিআর হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনে আইজিপি বাহারুলের নাম, অপসারণের দাবিতে শাহবাগে পিন্টু সমর্থকেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ ভবন খালি করার নির্দেশ

  • ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেশির ভাগই সিদ্ধিরগঞ্জে।
  • প্রকৌশলীদের ধারণা, সেখানকার মাটি নরম।
  • সঠিকভাবে সয়েল টেস্ট করানোর তাগিদ।
সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চলতি বছরের গত ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে অন্তত ১৮টি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থাপনার কোনোটিতে দেয়ালে ফাটল, আবার কোনোটিতে পিলারে ফাটল, আবার কোনোটি হেলে পড়েছে। ফলে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জেলা প্রশাসন। এগুলোর বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী সরে যেতে শুরু করেছেন ভবনমালিক ও ভাড়াটেরা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। কাজের খোঁজে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসছেন মানুষ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবাসন নিশ্চিতে গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল ভবন। সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর এসব ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

নারায়ণগঞ্জ ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা গোলাম সারোয়ার সাঈদ বলেন, বাড়ি তৈরির আগে সঠিকভাবে সয়েল টেস্ট করানো জরুরি। এসব ক্ষেত্রে রাজউকের চেয়ে মালিকদের দায় বেশি।

২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ ভবনের মধ্যে ফতুল্লার পাগলা বাজারের হাজী ইউনুস সুপার মার্কেটও রয়েছে। চারতলা ভবনটিতে ফাটল ধরেছে। একই এলাকার চারতলা হাজী মিছির আলী মার্কেটের বিমে ফাটল ধরেছে। ফতুল্লার আলীগঞ্জে হেলে পড়েছে আমির হামজার চারতলা ভবন, একই এলাকায় কামরুল হাসান নামের এক ব্যক্তির আরেকটি চারতলা ভবনও হেলে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়ায় দেয়ালে ফাটল ধরেছে নয়তলাবিশিষ্ট এস আহমেদ প্যালেসে। ফতুল্লার মাসদাইরে হেলে পড়েছে মো. ইউসুফের পাঁচতলা ভবন, একই এলাকায় মাহমুদা খাতুন নামের এক নারীর পাঁচতলা ভবনও হেলে পড়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ের ২ নম্বর রোডে হেলে পড়েছে দেলোয়ার হোসেন এবং সিদ্দিকুর রহমানের পৃথক পাঁচতলা ভবন। একই হাউজিংয়ের ৪ নম্বর রোডে হেলে পড়েছে আবুল কালামের পাঁচতলা এবং ইকবালের সাততলা ভবন। ৫ নম্বর রোডে হেলে পড়েছে সাজেদা বেগম ও শহীদুল ইসলামের পৃথক পাঁচতলা ভবন।

সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় ছাদের প্যারাপেট ভেঙে পড়া ইসমাইল ভুঁইয়ার চারতলা এবং দেয়ালে ফাটল ধরা আলী আক্কাসের আটতলা ভবনও রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার তালিকায়। সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় ফাটল ধরেছে সাততলাবিশিষ্ট আদিবা টাওয়ারে। আদমজীনগরে হেলে পড়েছে নাহার মঞ্জিল এবং চঞ্চল মাহমুদের পাঁচতলা ভবন।

সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর ২৯ নভেম্বর এসব ভবনের বাসিন্দাদের সতর্ক করে রাজউক ও জেলা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেশির ভাগই সিদ্ধিরগঞ্জে হওয়ায়‍ প্রকৌশলীদের ধারণা, এই অঞ্চলের মাটি অপেক্ষাকৃত নরম হতে পারে। একই সঙ্গে এসব ভবন সঠিকভাবে সয়েল টেস্ট করে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তাও যাচাই করা হচ্ছে।

সরেজমিনে সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, হেলে পড়া ও ফাটল ধরা ছয়টি ভবনের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা অন্যত্র সরে গেছেন। একটিতে বাড়িওয়ালা চলে গেলেও এক ফ্ল্যাটে ভাড়াটে রয়েছেন। অন্য ভবনে বাড়িওয়ালা থাকলেও ভাড়াটেরা সরে গেছেন।

একটি ভবনের বাড়িওয়ালার ছেলে নাহিয়ান বলেন, ‘রাজউক থেকে বলা হয়েছে বুয়েট থেকে পরীক্ষা করাতে। সেই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর ঝুঁকিপূর্ণ বলা হলে চলে যাব।’ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বুয়েট থেকে পরীক্ষা করে ভবনগুলোতে বসবাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো উচিত।

রাজউকের অথরাইজড অফিসার রঙ্গন মণ্ডল বলেন, ‘১৮টি ভবন চিহ্নিত করে সেগুলো খালি করার অনুরোধ করেছি। যদি তাঁরা সিদ্ধান্ত না মানেন তাহলে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।’

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রায়হান কবীর বলেন, ‘রাজউক ১৮টি ভবন সাময়িকভাবে খালি করার নোটিশ দিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুনের পর মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট, ‘গৃহকর্মী আয়েশা’র পরিচয় মেলেনি

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

বেগম রোকেয়াকে ‘কাফির-মুরতাদ’ বললেন রাবি শিক্ষক মাহমুদুল

ব্লাড ক্যানসার আর মরণব্যাধি নয়, জিন থেরাপিতে অভাবনীয় সাফল্য

বিডিআর হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনে আইজিপি বাহারুলের নাম, অপসারণের দাবিতে শাহবাগে পিন্টু সমর্থকেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম: কাটার অনুমতি না পেয়ে গাছ রেখেই সড়ক প্রশস্ত

আজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) 
গাছ রেখেই প্রশস্ত করা হয়েছে সড়ক। সম্প্রতি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের জগতবেড়-মুন্সিরহাট সড়ক। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাছ রেখেই প্রশস্ত করা হয়েছে সড়ক। সম্প্রতি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের জগতবেড়-মুন্সিরহাট সড়ক। ছবি: আজকের পত্রিকা

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, এলজিইডির অবহেলা ও সমন্বয়হীনতার কারণে গাছ রেখে প্রশস্ত করায় সড়কে দুর্ঘটনার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, পাটগ্রাম থেকে জগতবেড় ইউনিয়নের ভেরভেরিরহাট যেতে মুন্সিরহাটগামী সড়কটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ (জিওবিএম) প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১৪ টাকা ব্যয়ে ১৬৮০ মিটার (দেড় কিলোমিটার) অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। কাজ পায় পাটগ্রামের মেসার্স ফারিয়া কন্ট্রাকশন্স। সড়ক নির্মাণে কোনো বিঘ্ন থাকলে তা নিরসনের পরই ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে এলজিইডি।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি স্থানীয় এলজিইডি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করে। সড়ক সংস্কারে গাছ অপসারণের প্রয়োজন হলে কাজ শুরুর আগেই এলজিইডি যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। বরং সড়কে গাছ থাকা অবস্থাতেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরু করতে বলা হয়। এরপর ঠিকাদারের লোকজন গত ২১ জানুয়ারি কাজ শুরু করে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, কাজ শুরু করে ৬ মাস ধরে সড়কে ইটের খোয়া বিছিয়ে (ডব্লিউবিএম) রোলার দিয়ে বেস তৈরি করে তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন গাছ অপসারণের। কিন্তু এলজিইডি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই কাজের নির্ধারিত সময় ঘনিয়ে আসায় সড়কের ওপর গাছ রেখেই কার্পেটিং শেষ করতে বাধ্য হন তাঁরা।

এলজিইডি সূত্র জানায়, প্রশস্তকরণ কাজে সড়কের অতিরিক্ত অংশে তিনটি কাঁঠাল, দুটি মেহগনি ও দুটি ইউক্যালিপটাসগাছ অপসারণে কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। যথাযথ অনুমতি না পাওয়ায় গাছগুলো কাটা সম্ভব হয়নি।

পথচারী লাবু হোসেন (৪০) বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে আমরা নিয়মিত চলাচল করি। এমন গাছ থাকলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি খুব বেশি। শীতের এ সময়ে কুয়াশা পড়ায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতির শঙ্কাই বেশি।’

জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফারিয়া কন্ট্রাকশন্সের স্বত্বাধিকারী শামসুল হক বলেন, ‘প্রশস্তকরণ কাজে সড়কের ওপর থাকা নয়টি গাছ সমস্যা সৃষ্টি করেছে। গাছগুলো অপসারণে এলজিইডিকে কয়েকবার জানিয়েছি, চিঠিও দিয়েছি; কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি। সময়ও প্রায় শেষ, তাই বাধ্য হয়ে গাছ রেখেই কাজ শেষ করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ হায়দার জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না। গাছ অপসারণের জন্য জেলা পরিষদ ও বন বিভাগকে বহুবার চিঠি দিয়েছি; কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খুনের পর মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট, ‘গৃহকর্মী আয়েশা’র পরিচয় মেলেনি

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

বেগম রোকেয়াকে ‘কাফির-মুরতাদ’ বললেন রাবি শিক্ষক মাহমুদুল

ব্লাড ক্যানসার আর মরণব্যাধি নয়, জিন থেরাপিতে অভাবনীয় সাফল্য

বিডিআর হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনে আইজিপি বাহারুলের নাম, অপসারণের দাবিতে শাহবাগে পিন্টু সমর্থকেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত