সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি সুনামগঞ্জ ও সিলেটে জরুরি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ ছাড়া ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা ছাড়াও নেত্রকোনার একাংশের মানুষ এটি ব্যবহার করে। এখন খানাখন্দে ভরে যাওয়া ৪০ কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা পারছে, তারা বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। অন্যদের জন্য নিত্যদিনের দুর্ভোগের কারণে পরিণত হয়েছে এই সড়ক।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার প্রায় পুরোটাই বেহাল। সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাঠইড়-শান্তিপুর-জয়নগর অংশে কিছু সংস্কারকাজ করা হলেও বড় বড় ভাঙন রয়েছে। জামালগঞ্জের রুপাখালী, নোয়াগাঁও বাজার, বাহাদুরপুর, জাল্লাবাজ, উজ্জ্বলপুরে ভাঙাচোরাসহ তেলিয়া-শাহপুর হয়ে উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশের পুরোটাই খানাখন্দে ভরপুর। এ ছাড়া উপজেলা সদর থেকে মান্নানঘাট-সেলিমগঞ্জ ও গজারিয়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারেও অনেক ভাঙাচোরা ও খানাখন্দ আছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার আগে সড়কটি মোটামুটি চলাচলের উপযোগী ছিল। বন্যায় উজ্জ্বলপুর অংশ ভেঙে জেলা শহরের সঙ্গে জামালগঞ্জ সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি সংস্কার করলেও তা টেকসই হয়নি। দিন দিন ক্ষত আরও গভীর হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে উজ্জ্বলপুরের ভাঙা মেরামতে ৩৮ লাখ, শাহপুরে ৫ লাখ, জামালগঞ্জ হাসপাতালের সামনে ২৮ লাখ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেলিয়া-শাহপুর ভাঙা অংশে ৫ লাখ ও সেলিমগঞ্জ বাজার এলাকায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সড়কটি দিয়ে যেতে যেতে কথা হয় ভীমখালী ইউনিয়নের বাহাদুরপুরের মো. আলমগীর মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একেবারে নাজেহাল অবস্থা। আমরা বড় বেকায়দায় আছি। প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতাছে। জরুরি রোগী নিয়া যাওয়া যায় না।’
রাস্তায় চলাচলকারী পত্রিকার হকার মো. রাসেল বলেন, ‘মাঝেমধ্যে দেখছি একটু একটু কাজ (সংস্কার) হয়। এই কাজ মানে পেট ভরার কাজ। সড়কের ভাঙা তো ভাঙার জায়গাতেই থাকে। কোনো উপকার হয় না। ঠেলাইয়া-ধাক্কাইয়া কোনোরকমে গাড়ি চলে।’
সড়কের ভাঙা অংশের ছবি তুলতে দেখে অটোরিকশার এক নারী যাত্রী বলে ওঠেন, ‘ভালো কইরা ছবি তোলেন। এই রাস্তায় চলতে-ফিরতে আর ভালো লাগে না, অবস্থা খুব খারাপ।’ তখন অটোরিকশার চালক বলেন, ‘এই সড়কে চলতে গিয়া গাড়ির পার্টসের সাথে মানুষের পার্টসও নষ্ট হইয়া যায়। সবাই থাকে শুধু খাওয়ার ধান্দায়। কাজের ধান্দা কেউ করে না।’
সুনামগঞ্জ থেকে এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী ভীমখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙা রাস্তার কারণে নোয়াগাঁও যাই না। রুপাখালী থেকে নোয়াখালী ঘুরে ভীমখালী আসি। রুপাখালী-নোয়াগাঁও হয়ে জামালগঞ্জে যেতে তো ভয়ই করে। ইদানীং হুছননগর ও শান্তিপুরের মাঝখানে বেশ কিছু জায়গা নষ্ট হয়েছে। মাঝেমধ্যে সংস্কার হয়। তবে টেকসই কাজ না হলে ভোগান্তি দূর হবে না।’
বিগত সময়ে সড়কের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের বন্যায় ভাঙনের পর থেকে সড়কটিতে খুবই নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এখান দিয়ে চলতে গিয়ে মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের সংস্কার বাস্তবায়ন চাই।’
যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের কাজের জন্য চলতি অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হবে। নোয়াগাঁও থেকে জামালগঞ্জ পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৯ কোটি ৮০ লাখ এবং জামালগঞ্জ থেকে মান্নানঘাট পর্যন্ত ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ ছাড়া কাঠইড় থেকে রুপাখালী পর্যন্ত ছোটখাটো যে ভাঙা আছে, সেগুলো ব্যয়ে ধরা আছে।
জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে এই কর্মকর্তা বলেন, বড় বড় যে গর্ত ছিল, সেগুলোতে ইট দেওয়া হয়েছে, তবে তা সামান্য। সরকার যে টাকা বরাদ্দ দেয়, তার পরিমাণ কম। সেখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই।

সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি সুনামগঞ্জ ও সিলেটে জরুরি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ ছাড়া ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা ছাড়াও নেত্রকোনার একাংশের মানুষ এটি ব্যবহার করে। এখন খানাখন্দে ভরে যাওয়া ৪০ কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা পারছে, তারা বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। অন্যদের জন্য নিত্যদিনের দুর্ভোগের কারণে পরিণত হয়েছে এই সড়ক।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার প্রায় পুরোটাই বেহাল। সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাঠইড়-শান্তিপুর-জয়নগর অংশে কিছু সংস্কারকাজ করা হলেও বড় বড় ভাঙন রয়েছে। জামালগঞ্জের রুপাখালী, নোয়াগাঁও বাজার, বাহাদুরপুর, জাল্লাবাজ, উজ্জ্বলপুরে ভাঙাচোরাসহ তেলিয়া-শাহপুর হয়ে উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশের পুরোটাই খানাখন্দে ভরপুর। এ ছাড়া উপজেলা সদর থেকে মান্নানঘাট-সেলিমগঞ্জ ও গজারিয়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারেও অনেক ভাঙাচোরা ও খানাখন্দ আছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার আগে সড়কটি মোটামুটি চলাচলের উপযোগী ছিল। বন্যায় উজ্জ্বলপুর অংশ ভেঙে জেলা শহরের সঙ্গে জামালগঞ্জ সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি সংস্কার করলেও তা টেকসই হয়নি। দিন দিন ক্ষত আরও গভীর হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে উজ্জ্বলপুরের ভাঙা মেরামতে ৩৮ লাখ, শাহপুরে ৫ লাখ, জামালগঞ্জ হাসপাতালের সামনে ২৮ লাখ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেলিয়া-শাহপুর ভাঙা অংশে ৫ লাখ ও সেলিমগঞ্জ বাজার এলাকায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সড়কটি দিয়ে যেতে যেতে কথা হয় ভীমখালী ইউনিয়নের বাহাদুরপুরের মো. আলমগীর মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একেবারে নাজেহাল অবস্থা। আমরা বড় বেকায়দায় আছি। প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতাছে। জরুরি রোগী নিয়া যাওয়া যায় না।’
রাস্তায় চলাচলকারী পত্রিকার হকার মো. রাসেল বলেন, ‘মাঝেমধ্যে দেখছি একটু একটু কাজ (সংস্কার) হয়। এই কাজ মানে পেট ভরার কাজ। সড়কের ভাঙা তো ভাঙার জায়গাতেই থাকে। কোনো উপকার হয় না। ঠেলাইয়া-ধাক্কাইয়া কোনোরকমে গাড়ি চলে।’
সড়কের ভাঙা অংশের ছবি তুলতে দেখে অটোরিকশার এক নারী যাত্রী বলে ওঠেন, ‘ভালো কইরা ছবি তোলেন। এই রাস্তায় চলতে-ফিরতে আর ভালো লাগে না, অবস্থা খুব খারাপ।’ তখন অটোরিকশার চালক বলেন, ‘এই সড়কে চলতে গিয়া গাড়ির পার্টসের সাথে মানুষের পার্টসও নষ্ট হইয়া যায়। সবাই থাকে শুধু খাওয়ার ধান্দায়। কাজের ধান্দা কেউ করে না।’
সুনামগঞ্জ থেকে এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী ভীমখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙা রাস্তার কারণে নোয়াগাঁও যাই না। রুপাখালী থেকে নোয়াখালী ঘুরে ভীমখালী আসি। রুপাখালী-নোয়াগাঁও হয়ে জামালগঞ্জে যেতে তো ভয়ই করে। ইদানীং হুছননগর ও শান্তিপুরের মাঝখানে বেশ কিছু জায়গা নষ্ট হয়েছে। মাঝেমধ্যে সংস্কার হয়। তবে টেকসই কাজ না হলে ভোগান্তি দূর হবে না।’
বিগত সময়ে সড়কের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের বন্যায় ভাঙনের পর থেকে সড়কটিতে খুবই নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এখান দিয়ে চলতে গিয়ে মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের সংস্কার বাস্তবায়ন চাই।’
যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের কাজের জন্য চলতি অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হবে। নোয়াগাঁও থেকে জামালগঞ্জ পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৯ কোটি ৮০ লাখ এবং জামালগঞ্জ থেকে মান্নানঘাট পর্যন্ত ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ ছাড়া কাঠইড় থেকে রুপাখালী পর্যন্ত ছোটখাটো যে ভাঙা আছে, সেগুলো ব্যয়ে ধরা আছে।
জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে এই কর্মকর্তা বলেন, বড় বড় যে গর্ত ছিল, সেগুলোতে ইট দেওয়া হয়েছে, তবে তা সামান্য। সরকার যে টাকা বরাদ্দ দেয়, তার পরিমাণ কম। সেখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই।
সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি সুনামগঞ্জ ও সিলেটে জরুরি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ ছাড়া ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা ছাড়াও নেত্রকোনার একাংশের মানুষ এটি ব্যবহার করে। এখন খানাখন্দে ভরে যাওয়া ৪০ কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা পারছে, তারা বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। অন্যদের জন্য নিত্যদিনের দুর্ভোগের কারণে পরিণত হয়েছে এই সড়ক।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার প্রায় পুরোটাই বেহাল। সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাঠইড়-শান্তিপুর-জয়নগর অংশে কিছু সংস্কারকাজ করা হলেও বড় বড় ভাঙন রয়েছে। জামালগঞ্জের রুপাখালী, নোয়াগাঁও বাজার, বাহাদুরপুর, জাল্লাবাজ, উজ্জ্বলপুরে ভাঙাচোরাসহ তেলিয়া-শাহপুর হয়ে উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশের পুরোটাই খানাখন্দে ভরপুর। এ ছাড়া উপজেলা সদর থেকে মান্নানঘাট-সেলিমগঞ্জ ও গজারিয়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারেও অনেক ভাঙাচোরা ও খানাখন্দ আছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার আগে সড়কটি মোটামুটি চলাচলের উপযোগী ছিল। বন্যায় উজ্জ্বলপুর অংশ ভেঙে জেলা শহরের সঙ্গে জামালগঞ্জ সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি সংস্কার করলেও তা টেকসই হয়নি। দিন দিন ক্ষত আরও গভীর হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে উজ্জ্বলপুরের ভাঙা মেরামতে ৩৮ লাখ, শাহপুরে ৫ লাখ, জামালগঞ্জ হাসপাতালের সামনে ২৮ লাখ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেলিয়া-শাহপুর ভাঙা অংশে ৫ লাখ ও সেলিমগঞ্জ বাজার এলাকায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সড়কটি দিয়ে যেতে যেতে কথা হয় ভীমখালী ইউনিয়নের বাহাদুরপুরের মো. আলমগীর মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একেবারে নাজেহাল অবস্থা। আমরা বড় বেকায়দায় আছি। প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতাছে। জরুরি রোগী নিয়া যাওয়া যায় না।’
রাস্তায় চলাচলকারী পত্রিকার হকার মো. রাসেল বলেন, ‘মাঝেমধ্যে দেখছি একটু একটু কাজ (সংস্কার) হয়। এই কাজ মানে পেট ভরার কাজ। সড়কের ভাঙা তো ভাঙার জায়গাতেই থাকে। কোনো উপকার হয় না। ঠেলাইয়া-ধাক্কাইয়া কোনোরকমে গাড়ি চলে।’
সড়কের ভাঙা অংশের ছবি তুলতে দেখে অটোরিকশার এক নারী যাত্রী বলে ওঠেন, ‘ভালো কইরা ছবি তোলেন। এই রাস্তায় চলতে-ফিরতে আর ভালো লাগে না, অবস্থা খুব খারাপ।’ তখন অটোরিকশার চালক বলেন, ‘এই সড়কে চলতে গিয়া গাড়ির পার্টসের সাথে মানুষের পার্টসও নষ্ট হইয়া যায়। সবাই থাকে শুধু খাওয়ার ধান্দায়। কাজের ধান্দা কেউ করে না।’
সুনামগঞ্জ থেকে এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী ভীমখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙা রাস্তার কারণে নোয়াগাঁও যাই না। রুপাখালী থেকে নোয়াখালী ঘুরে ভীমখালী আসি। রুপাখালী-নোয়াগাঁও হয়ে জামালগঞ্জে যেতে তো ভয়ই করে। ইদানীং হুছননগর ও শান্তিপুরের মাঝখানে বেশ কিছু জায়গা নষ্ট হয়েছে। মাঝেমধ্যে সংস্কার হয়। তবে টেকসই কাজ না হলে ভোগান্তি দূর হবে না।’
বিগত সময়ে সড়কের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের বন্যায় ভাঙনের পর থেকে সড়কটিতে খুবই নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এখান দিয়ে চলতে গিয়ে মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের সংস্কার বাস্তবায়ন চাই।’
যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের কাজের জন্য চলতি অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হবে। নোয়াগাঁও থেকে জামালগঞ্জ পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৯ কোটি ৮০ লাখ এবং জামালগঞ্জ থেকে মান্নানঘাট পর্যন্ত ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ ছাড়া কাঠইড় থেকে রুপাখালী পর্যন্ত ছোটখাটো যে ভাঙা আছে, সেগুলো ব্যয়ে ধরা আছে।
জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে এই কর্মকর্তা বলেন, বড় বড় যে গর্ত ছিল, সেগুলোতে ইট দেওয়া হয়েছে, তবে তা সামান্য। সরকার যে টাকা বরাদ্দ দেয়, তার পরিমাণ কম। সেখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই।

সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি সুনামগঞ্জ ও সিলেটে জরুরি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ ছাড়া ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা ছাড়াও নেত্রকোনার একাংশের মানুষ এটি ব্যবহার করে। এখন খানাখন্দে ভরে যাওয়া ৪০ কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা পারছে, তারা বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। অন্যদের জন্য নিত্যদিনের দুর্ভোগের কারণে পরিণত হয়েছে এই সড়ক।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার প্রায় পুরোটাই বেহাল। সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাঠইড়-শান্তিপুর-জয়নগর অংশে কিছু সংস্কারকাজ করা হলেও বড় বড় ভাঙন রয়েছে। জামালগঞ্জের রুপাখালী, নোয়াগাঁও বাজার, বাহাদুরপুর, জাল্লাবাজ, উজ্জ্বলপুরে ভাঙাচোরাসহ তেলিয়া-শাহপুর হয়ে উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশের পুরোটাই খানাখন্দে ভরপুর। এ ছাড়া উপজেলা সদর থেকে মান্নানঘাট-সেলিমগঞ্জ ও গজারিয়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারেও অনেক ভাঙাচোরা ও খানাখন্দ আছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার আগে সড়কটি মোটামুটি চলাচলের উপযোগী ছিল। বন্যায় উজ্জ্বলপুর অংশ ভেঙে জেলা শহরের সঙ্গে জামালগঞ্জ সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি সংস্কার করলেও তা টেকসই হয়নি। দিন দিন ক্ষত আরও গভীর হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে উজ্জ্বলপুরের ভাঙা মেরামতে ৩৮ লাখ, শাহপুরে ৫ লাখ, জামালগঞ্জ হাসপাতালের সামনে ২৮ লাখ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেলিয়া-শাহপুর ভাঙা অংশে ৫ লাখ ও সেলিমগঞ্জ বাজার এলাকায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সড়কটি দিয়ে যেতে যেতে কথা হয় ভীমখালী ইউনিয়নের বাহাদুরপুরের মো. আলমগীর মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একেবারে নাজেহাল অবস্থা। আমরা বড় বেকায়দায় আছি। প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতাছে। জরুরি রোগী নিয়া যাওয়া যায় না।’
রাস্তায় চলাচলকারী পত্রিকার হকার মো. রাসেল বলেন, ‘মাঝেমধ্যে দেখছি একটু একটু কাজ (সংস্কার) হয়। এই কাজ মানে পেট ভরার কাজ। সড়কের ভাঙা তো ভাঙার জায়গাতেই থাকে। কোনো উপকার হয় না। ঠেলাইয়া-ধাক্কাইয়া কোনোরকমে গাড়ি চলে।’
সড়কের ভাঙা অংশের ছবি তুলতে দেখে অটোরিকশার এক নারী যাত্রী বলে ওঠেন, ‘ভালো কইরা ছবি তোলেন। এই রাস্তায় চলতে-ফিরতে আর ভালো লাগে না, অবস্থা খুব খারাপ।’ তখন অটোরিকশার চালক বলেন, ‘এই সড়কে চলতে গিয়া গাড়ির পার্টসের সাথে মানুষের পার্টসও নষ্ট হইয়া যায়। সবাই থাকে শুধু খাওয়ার ধান্দায়। কাজের ধান্দা কেউ করে না।’
সুনামগঞ্জ থেকে এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী ভীমখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙা রাস্তার কারণে নোয়াগাঁও যাই না। রুপাখালী থেকে নোয়াখালী ঘুরে ভীমখালী আসি। রুপাখালী-নোয়াগাঁও হয়ে জামালগঞ্জে যেতে তো ভয়ই করে। ইদানীং হুছননগর ও শান্তিপুরের মাঝখানে বেশ কিছু জায়গা নষ্ট হয়েছে। মাঝেমধ্যে সংস্কার হয়। তবে টেকসই কাজ না হলে ভোগান্তি দূর হবে না।’
বিগত সময়ে সড়কের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের বন্যায় ভাঙনের পর থেকে সড়কটিতে খুবই নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এখান দিয়ে চলতে গিয়ে মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের সংস্কার বাস্তবায়ন চাই।’
যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের কাজের জন্য চলতি অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হবে। নোয়াগাঁও থেকে জামালগঞ্জ পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৯ কোটি ৮০ লাখ এবং জামালগঞ্জ থেকে মান্নানঘাট পর্যন্ত ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ ছাড়া কাঠইড় থেকে রুপাখালী পর্যন্ত ছোটখাটো যে ভাঙা আছে, সেগুলো ব্যয়ে ধরা আছে।
জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে এই কর্মকর্তা বলেন, বড় বড় যে গর্ত ছিল, সেগুলোতে ইট দেওয়া হয়েছে, তবে তা সামান্য। সরকার যে টাকা বরাদ্দ দেয়, তার পরিমাণ কম। সেখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই।

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি সুনামগঞ্জ ও সিলেটে জরুরি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ ছাড়া ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা ছাড়াও নেত্রকোনার একাংশের মানুষ এটি ব্যবহার করে।
২৩ আগস্ট ২০২৫
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি সুনামগঞ্জ ও সিলেটে জরুরি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ ছাড়া ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা ছাড়াও নেত্রকোনার একাংশের মানুষ এটি ব্যবহার করে।
২৩ আগস্ট ২০২৫
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি সুনামগঞ্জ ও সিলেটে জরুরি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ ছাড়া ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা ছাড়াও নেত্রকোনার একাংশের মানুষ এটি ব্যবহার করে।
২৩ আগস্ট ২০২৫
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি সুনামগঞ্জ ও সিলেটে জরুরি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ ছাড়া ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা ছাড়াও নেত্রকোনার একাংশের মানুষ এটি ব্যবহার করে।
২৩ আগস্ট ২০২৫
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগে