নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

‘আমাদের এই বাড়িতে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের উদ্যোগে দাদার নামে একটি শহীদ মিনার করা হয়েছে। তাও এখন জরাজীর্ণ। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই এখানে লোকজন কষ্ট করে আসেন। এরপর সারা বছর খোঁজ রাখে না কেউ। বাড়ির পাশের জমিতে দাদার নামে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করার স্বপ্ন দেখতেন বাবা। বাবার ইচ্ছা ছিল দাদার নামে পাওয়া পদক ও সম্মাননাগুলো সেই কমপ্লেক্স রাখবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই বাবা মারা গেলেন। আমরা চাই বাবার স্বপ্নটা পূর্ণতা পাক।’
আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের নাতনি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মেয়ে আফরোজা বেগম।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় শিমুলকুচি গ্রামে ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের নামে করা শহীদ মিনার বেদিতে যাতায়াতে নেই কোনো সড়ক। অজপাড়া গ্রামে জব্বারের মা, ভাই, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের কবর পড়ে আছে অযত্নে। কেউ দেখিয়ে না দিলে চেনার উপায় নেই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কবরের পাশে ছোট করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের জন্মস্থান ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। ১৯৫০ সালের শেষ দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী গাজিরভিটা ইউনিয়নের শিমূলকুচি গ্রামে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে আসেন। তখন আবদুল জব্বার আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আবদুল জব্বার শহীদ হন।
জব্বারের স্মৃতি রক্ষায় শিমুলকুচি গ্রামে ১৯৯৫ সালে এক একর জমিতে ‘শহীদ আবদুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই বিদ্যালয়টি এখন ‘শহীদ আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ উন্নীত করা হয়েছে। শিমুলকুচি গ্রামে ২০০০ সালে জব্বারের ছোট ভাই আবদুল কাদিরের দেওয়া ২০ শতাংশ জমিতে ‘ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার জামে মসজিদ ও পাঠাগার’ নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালে গড়ে তোলা হয় ‘ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার ফাউন্ডেশন’। ২০১০ সালে আবদুল জব্বার ফাউন্ডেশন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন পায়।
৯ সদস্যের কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে ২৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি টিনের চালা ঘরে ফাউন্ডেশনের কাজ চলত। ওই ঘরটি ঝড়ে ভেঙে পড়ায় সেখানে এখন খড়ের ঢিবি রয়েছে। বাড়ির পাশে ২০০৮ সালে জব্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুন স্বামীর স্মরণে ৮ হাজার টাকা খরচে ছোট আকারে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। পরে জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করেন। পরে ২০১০ সালে জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিমুলকুচি গ্রামে জব্বারের ছেলের বাড়ির পাশের জমিতে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। সেই শহীদ মিনারটিও এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
শহীদ জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়িতে যাওয়ার নেই কোনো রাস্তা। বাড়িতে যেতে হয় খেতের আইল ধরে। ২০২১ সালে নুরুল ইসলামের মৃত্যু হলে সেই বাড়িতেই কবর দেওয়া হয়। কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১১ সালে জব্বার জামে মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে জব্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুনকে। ১৯৭৮ সালে সামাজিক কবর স্থানে জব্বারের মা সাফাতুন্নেছাকে কবর দেওয়া হয়। মায়ের কবরটি পাকা করা হলেও জব্বারের স্ত্রী ও সন্তানের কবর গুলো সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে বাঁশের বেড়া দিয়ে তা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে জব্বারের নামে করা বিভিন্ন স্থাপনাগুলো সংস্কার করার দাবি করেন। এ ছাড়া ভাষাশহীদ আবদুল জব্বারের স্মরণে শহীদ মিনার পর্যন্ত যাতায়াতের ৮১০ মিটার সড়ক পাকা করে দিয়ে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত গ্রামকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দাবি জানান।
সরেজমিনে শিমুলকুচি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুলকুচি গ্রামে সীমান্ত সড়কের পাশেই শহীদ আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। তাঁর ১০০ মিটার পূর্ব দিকে সামাজিক কবরস্থানে জব্বারের মায়ের কবর। সেখান থেকে ৩০০ মিটার মাটির রাস্তা পেরিয়ে গেলে ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার জামে মসজিদ। পুরোনো টিনে গড়া মসজিদটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাঁর পাশে জব্বারের স্ত্রী ও চার ভাইয়ের কবর। কবরগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। শুধু জব্বারের স্ত্রীর কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জব্বারের কবর থেকে ছেলের বাড়ির দূরত্ব ৫০০ মিটার। এ পথ অতিক্রম করতে দুটি বাড়ির আঙিনা হয়ে ১০০ মিটার খেতের আইল মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। সেখানে জব্বারের স্মরণে একটি শহীদ মিনার যা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বেদিতে বিভিন্ন গাছ জন্ম নিয়েছে। তার উত্তর পাশে জব্বার ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত জায়গা। ঝড়ে ঘরটি পড়ে যাওয়ায় সেখানে এখন খড়ের গাদা করা হয়েছে। তার দক্ষিণ পাশেই জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়ি। ২০২১ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করায় বাড়ির আঙিনার অদূরে তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে। কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
শিমুলকুচি গ্রামের বাসিন্দা মো. লিটন মিয়া বলেন, জব্বারের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম তাঁর বাবার নামে এখানে একটা বড় আকারে প্রতিষ্ঠান করার স্বপ্ন দেখতেন। বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণে কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সহযোগিতা না পাওয়ায় সেটা আর হয়নি। পরে তিনি ২০২১ সালে মারা যান।
জব্বার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জব্বারের ভাতিজা মো. আতিক উল্লাহ বলেন, ‘দুইবার ঝড়ে ফাউন্ডেশনের ঘরটি ভেঙে পড়েছে। কার্যক্রম পরিচালনায় হালুয়াঘাট শহরে একটি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই বছর ধরে অনুদান বন্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে ওখানে আমাদের জমিতে ভাষা সৈনিক আবদুল জব্বারের নামে একটি বড় করে কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে চাই। যেখানে পাঠাগার, জাদুঘরসহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা হবে। যেখানে দেশ বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে। এ ছাড়া দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই ভাষা শহীদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভায় ভাষা শহীদ আবদুল জব্বারের ভাতিজা আতিক উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সমস্যার কথা উপস্থাপন করেছেন। পর্যায়ক্রমে সেগুলো নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘আমাদের এই বাড়িতে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের উদ্যোগে দাদার নামে একটি শহীদ মিনার করা হয়েছে। তাও এখন জরাজীর্ণ। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই এখানে লোকজন কষ্ট করে আসেন। এরপর সারা বছর খোঁজ রাখে না কেউ। বাড়ির পাশের জমিতে দাদার নামে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করার স্বপ্ন দেখতেন বাবা। বাবার ইচ্ছা ছিল দাদার নামে পাওয়া পদক ও সম্মাননাগুলো সেই কমপ্লেক্স রাখবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই বাবা মারা গেলেন। আমরা চাই বাবার স্বপ্নটা পূর্ণতা পাক।’
আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের নাতনি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মেয়ে আফরোজা বেগম।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় শিমুলকুচি গ্রামে ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের নামে করা শহীদ মিনার বেদিতে যাতায়াতে নেই কোনো সড়ক। অজপাড়া গ্রামে জব্বারের মা, ভাই, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের কবর পড়ে আছে অযত্নে। কেউ দেখিয়ে না দিলে চেনার উপায় নেই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কবরের পাশে ছোট করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের জন্মস্থান ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। ১৯৫০ সালের শেষ দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী গাজিরভিটা ইউনিয়নের শিমূলকুচি গ্রামে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে আসেন। তখন আবদুল জব্বার আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আবদুল জব্বার শহীদ হন।
জব্বারের স্মৃতি রক্ষায় শিমুলকুচি গ্রামে ১৯৯৫ সালে এক একর জমিতে ‘শহীদ আবদুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই বিদ্যালয়টি এখন ‘শহীদ আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ উন্নীত করা হয়েছে। শিমুলকুচি গ্রামে ২০০০ সালে জব্বারের ছোট ভাই আবদুল কাদিরের দেওয়া ২০ শতাংশ জমিতে ‘ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার জামে মসজিদ ও পাঠাগার’ নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালে গড়ে তোলা হয় ‘ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার ফাউন্ডেশন’। ২০১০ সালে আবদুল জব্বার ফাউন্ডেশন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন পায়।
৯ সদস্যের কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে ২৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি টিনের চালা ঘরে ফাউন্ডেশনের কাজ চলত। ওই ঘরটি ঝড়ে ভেঙে পড়ায় সেখানে এখন খড়ের ঢিবি রয়েছে। বাড়ির পাশে ২০০৮ সালে জব্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুন স্বামীর স্মরণে ৮ হাজার টাকা খরচে ছোট আকারে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। পরে জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করেন। পরে ২০১০ সালে জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিমুলকুচি গ্রামে জব্বারের ছেলের বাড়ির পাশের জমিতে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। সেই শহীদ মিনারটিও এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
শহীদ জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়িতে যাওয়ার নেই কোনো রাস্তা। বাড়িতে যেতে হয় খেতের আইল ধরে। ২০২১ সালে নুরুল ইসলামের মৃত্যু হলে সেই বাড়িতেই কবর দেওয়া হয়। কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১১ সালে জব্বার জামে মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে জব্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুনকে। ১৯৭৮ সালে সামাজিক কবর স্থানে জব্বারের মা সাফাতুন্নেছাকে কবর দেওয়া হয়। মায়ের কবরটি পাকা করা হলেও জব্বারের স্ত্রী ও সন্তানের কবর গুলো সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে বাঁশের বেড়া দিয়ে তা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে জব্বারের নামে করা বিভিন্ন স্থাপনাগুলো সংস্কার করার দাবি করেন। এ ছাড়া ভাষাশহীদ আবদুল জব্বারের স্মরণে শহীদ মিনার পর্যন্ত যাতায়াতের ৮১০ মিটার সড়ক পাকা করে দিয়ে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত গ্রামকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দাবি জানান।
সরেজমিনে শিমুলকুচি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুলকুচি গ্রামে সীমান্ত সড়কের পাশেই শহীদ আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। তাঁর ১০০ মিটার পূর্ব দিকে সামাজিক কবরস্থানে জব্বারের মায়ের কবর। সেখান থেকে ৩০০ মিটার মাটির রাস্তা পেরিয়ে গেলে ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার জামে মসজিদ। পুরোনো টিনে গড়া মসজিদটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাঁর পাশে জব্বারের স্ত্রী ও চার ভাইয়ের কবর। কবরগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। শুধু জব্বারের স্ত্রীর কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জব্বারের কবর থেকে ছেলের বাড়ির দূরত্ব ৫০০ মিটার। এ পথ অতিক্রম করতে দুটি বাড়ির আঙিনা হয়ে ১০০ মিটার খেতের আইল মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। সেখানে জব্বারের স্মরণে একটি শহীদ মিনার যা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বেদিতে বিভিন্ন গাছ জন্ম নিয়েছে। তার উত্তর পাশে জব্বার ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত জায়গা। ঝড়ে ঘরটি পড়ে যাওয়ায় সেখানে এখন খড়ের গাদা করা হয়েছে। তার দক্ষিণ পাশেই জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়ি। ২০২১ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করায় বাড়ির আঙিনার অদূরে তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে। কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
শিমুলকুচি গ্রামের বাসিন্দা মো. লিটন মিয়া বলেন, জব্বারের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম তাঁর বাবার নামে এখানে একটা বড় আকারে প্রতিষ্ঠান করার স্বপ্ন দেখতেন। বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণে কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সহযোগিতা না পাওয়ায় সেটা আর হয়নি। পরে তিনি ২০২১ সালে মারা যান।
জব্বার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জব্বারের ভাতিজা মো. আতিক উল্লাহ বলেন, ‘দুইবার ঝড়ে ফাউন্ডেশনের ঘরটি ভেঙে পড়েছে। কার্যক্রম পরিচালনায় হালুয়াঘাট শহরে একটি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই বছর ধরে অনুদান বন্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে ওখানে আমাদের জমিতে ভাষা সৈনিক আবদুল জব্বারের নামে একটি বড় করে কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে চাই। যেখানে পাঠাগার, জাদুঘরসহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা হবে। যেখানে দেশ বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে। এ ছাড়া দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই ভাষা শহীদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভায় ভাষা শহীদ আবদুল জব্বারের ভাতিজা আতিক উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সমস্যার কথা উপস্থাপন করেছেন। পর্যায়ক্রমে সেগুলো নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
১ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে।’
১ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

‘আমাদের এই বাড়িতে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের উদ্যোগে দাদার নামে একটি শহীদ মিনার করা হয়েছে। তাও এখন জরাজীর্ণ। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই এখানে লোকজন কষ্ট করে আসেন। এরপর সারা বছর খোঁজ রাখে না কেউ। বাড়ির পাশের জমিতে দাদার নামে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করার স্বপ্ন দেখতেন বাবা। বাবার ইচ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
১ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে।’
১ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

‘আমাদের এই বাড়িতে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের উদ্যোগে দাদার নামে একটি শহীদ মিনার করা হয়েছে। তাও এখন জরাজীর্ণ। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই এখানে লোকজন কষ্ট করে আসেন। এরপর সারা বছর খোঁজ রাখে না কেউ। বাড়ির পাশের জমিতে দাদার নামে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করার স্বপ্ন দেখতেন বাবা। বাবার ইচ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা ভিত্তি স্থাপন হবে। যে ভিত্তি গণতন্ত্রকে যেমন সুদৃঢ করবে, তেমনি জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা ভিত্তি স্থাপন হবে। যে ভিত্তি গণতন্ত্রকে যেমন সুদৃঢ করবে, তেমনি জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে।’

‘আমাদের এই বাড়িতে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের উদ্যোগে দাদার নামে একটি শহীদ মিনার করা হয়েছে। তাও এখন জরাজীর্ণ। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই এখানে লোকজন কষ্ট করে আসেন। এরপর সারা বছর খোঁজ রাখে না কেউ। বাড়ির পাশের জমিতে দাদার নামে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করার স্বপ্ন দেখতেন বাবা। বাবার ইচ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে।’
১ ঘণ্টা আগেআমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বাবার ছুরিকাঘাতে মো. সফিক হাওলাদার (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার ইদুপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বাবা হারুন হাওলাদার (৫০) ঝালমুড়ি বিক্রেতা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সফিক মাদকাসক্ত ছিলেন। তিন দফা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে চিকিৎসা করলেও তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। মাদক-সংক্রান্ত মামলায় একবার কারাভোগও করেছেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর মাদক মামলায় সফিক কারাগারে যান এবং ১০ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়ে বাড়িতে ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর থেকেই সফিক মাদকের টাকার জন্য তাঁর বাবাকে চাপ দিতে থাকেন। গতকাল দুপুরে সফিক তাঁর বাবার কাছে মাদকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হলে সফিক তাঁর বাবাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে কাঁচা মরিচ কাটার ধারালো ছুরি দিয়ে ছেলের পিঠে সজোরে আঘাত করেন। এতে প্রাণ হারান সফিক। ঘটনার পরপরই বাবা হারুন হাওলাদার পালিয়ে যান।
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসেই আবারও মাদকের টাকার জন্য আমাকে এবং ওর বাবাকে মারধর শুরু করে। ওর হাত থেকে রক্ষায় ছুরিকাঘাত করেছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুর রহমান বলেন, মাদকাসক্ত ছেলের মারধরের জেরে বাবা ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে এমনটি জানা গেছে। বাবা পলাতক রয়েছেন। তাঁকে ধরতে অভিযান চলছে। তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বাবার ছুরিকাঘাতে মো. সফিক হাওলাদার (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার ইদুপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বাবা হারুন হাওলাদার (৫০) ঝালমুড়ি বিক্রেতা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সফিক মাদকাসক্ত ছিলেন। তিন দফা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে চিকিৎসা করলেও তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। মাদক-সংক্রান্ত মামলায় একবার কারাভোগও করেছেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর মাদক মামলায় সফিক কারাগারে যান এবং ১০ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়ে বাড়িতে ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর থেকেই সফিক মাদকের টাকার জন্য তাঁর বাবাকে চাপ দিতে থাকেন। গতকাল দুপুরে সফিক তাঁর বাবার কাছে মাদকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হলে সফিক তাঁর বাবাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে কাঁচা মরিচ কাটার ধারালো ছুরি দিয়ে ছেলের পিঠে সজোরে আঘাত করেন। এতে প্রাণ হারান সফিক। ঘটনার পরপরই বাবা হারুন হাওলাদার পালিয়ে যান।
নিহত ব্যক্তির মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান। অনেক দিন ধরে নেশায় সব শেষ হয়ে গেছে। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু ঠিক হয়নি। গত বুধবার জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসেই আবারও মাদকের টাকার জন্য আমাকে এবং ওর বাবাকে মারধর শুরু করে। ওর হাত থেকে রক্ষায় ছুরিকাঘাত করেছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুর রহমান বলেন, মাদকাসক্ত ছেলের মারধরের জেরে বাবা ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে এমনটি জানা গেছে। বাবা পলাতক রয়েছেন। তাঁকে ধরতে অভিযান চলছে। তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

‘আমাদের এই বাড়িতে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের উদ্যোগে দাদার নামে একটি শহীদ মিনার করা হয়েছে। তাও এখন জরাজীর্ণ। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই এখানে লোকজন কষ্ট করে আসেন। এরপর সারা বছর খোঁজ রাখে না কেউ। বাড়ির পাশের জমিতে দাদার নামে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করার স্বপ্ন দেখতেন বাবা। বাবার ইচ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
১ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ সংগঠিত এবং পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে। এর বিপরীতে আমাদের আরও বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা তা করছি। আমরা নিরাপত্তা আরও জোরদার করছি।’
১ ঘণ্টা আগে