Ajker Patrika

অনুমতি ১০টির, পদ্মা থেকে বালু উত্তোলন চলছে ৪০ ড্রেজারে

নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৫১
অনুমতি ১০টির, পদ্মা থেকে বালু উত্তোলন চলছে ৪০ ড্রেজারে

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন করছে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র। এসব বালু উত্তোলনকারীর হাত থেকে বাদ পড়ছে না পদ্মা সেতুর আশপাশের এলাকা। নদীতে ১০টি ড্রেজারের অনুমতি দিলেও সরেজমিনে ৩০ থেকে ৪০টি ড্রেজার দেখা গেছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সুযোগ বুঝে নদী থেকে দেদার বালু উত্তোলন করছে ড্রেজারগুলো।

যদিও ড্রেজারের মালিক ও শ্রমিকদের দাবি, পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দেওয়া ১০টি ড্রেজারেই বালু কাটছেন তাঁরা।

এদিকে অবৈধ এসব ড্রেজারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জেল-জরিমানা করছে জাজিরা উপজেলা প্রশাসন। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের পাশাপাশি নদীভাঙনের আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গত দুই সপ্তাহ জাজিরা এলাকায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর পূর্বদিকে মাঝ পদ্মায় একসঙ্গে বালু কাটছে ছোট-বড় ৩০ থেকে ৩৫টি ড্রেজার। খানিকটা এগিয়ে মাঝিরঘাটের কাছাকাছি পদ্মা সেতুর এক কিলোমিটার দূরত্বে বালু কাটছে আরও বেশ কিছু ড্রেজার। বাল্কহেডে এসব বালু পরিবহন করে নেওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

বাল্কহেডের শ্রমিকেরা জানান, প্রতি ঘনফুট ৬০ পয়সা দরে ড্রেজার মালিকদের কাছ থেকে বালি কিনতে হচ্ছে তাঁদের। আর ড্রেজারের মালিকেরা পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত চায়না প্রকৌশলীদের দেওয়া একটি চিঠি দেখিয়ে ইচ্ছেমতো বালু উত্তোলন করছেন পদ্মার তলদেশ থেকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পদ্মা সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর ২৫ থেকে ২৭ নম্বর পিলারঘেঁষা একটি চরে নোঙর করে রাখা হয়েছে ১০ থেকে ১৫টি ড্রেজার। বাল্কহেডে বালু নিতে আসা অনেক শ্রমিক জানান, দিনের বেলায় প্রশাসনের নজরদারি থাকায় সুযোগ বুঝে বালু কাটে তারা। তবে রাত হলেই পাল্টে যায় নদীর চিত্র। সবগুলো ড্রেজারই নদীতে নেমে বালু উত্তোলন করে।

জাজিরা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১০টি ড্রেজারের অনুমোদন দিয়েছে। অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ড্রেজার শ্রমিকেরা সেই অনুমতিপত্র দেখানোয় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সুযোগ পেলেই নামে অননুমোদিত বহু ড্রেজার। গত ১০ দিনে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১৫ জনকে জেল ও আলাদা ২১টি মামলায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

৩০ থেকে ৪০টি  অবৈধ ড্রেজারে বালু তোলা হচ্ছে পদ্মা নদী থেকেপদ্মা সেতুর খুব কাছেই নদীতে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। ওই নৌযানের শ্রমিক মইনুদ্দিন বলেন, ‘মানিকগঞ্জ থেকে বালু নিতে এসেছি। প্রশাসনের অভিযানের কারণে পদ্মা সেতুর আশপাশে দিনে বালু কাটা বন্ধ, তাই রাতের জন্য অপেক্ষা করছি। দিনের বেলায় সব ড্রেজার চরে নোঙর করে রাখা হয়। রাত হলেই শুরু হয় বালু উত্তোলন। রাতে জাহাজ ভরে মানিকগঞ্জে চলে যাব।’

মাঝিরঘাটের কাছাকাছি পদ্মা সেতু থেকে মাত্র এক কিলোমিটার পূর্ব দিকেই নদীতে বালু কাটছিল খোকন কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের একটি ড্রেজার। ওই ড্রেজারের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ নাসির জানান, মালিকের নির্দেশেই তিনি পদ্মা সেতুর এত কাছ থেকে বালু উত্তোলন করছেন। কোনো অনুমতিপত্র রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি মালিকপক্ষের বিষয়। মালিক কারা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছুটা বিব্রত বোধ করে প্রতিবেদককে জানান, ‘এ বিষয়ে কি আমরা কথা বলতে পারি? আমরা গরিব মানুষ, মাটি কেটে সংসার চালাই।’

মাঝ নদীতে বালু কাটতে থাকা ড্রেজারের শ্রমিক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রতিটি ড্রেজারে দৈনিক ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট বালু কাটছে। এই নদীতে এমন অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি ড্রেজার রয়েছে। এসব বালু ৬০ পয়সা দরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।’ অনুমতিপত্রের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনুমতি রয়েছে।’ তবে এসংক্রান্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি তিনি।

পদ্মায় থাকা এক ড্রেজারের মালিক রাজু মাদবর। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মাঝিরঘাট এলাকায় পাওয়া গেলা তাঁকে। রাজু বলেন, ‘চায়না প্রকৌশলীরা তাঁকে একটি অনুমতিপত্র দিয়েছেন। পদ্মা সেতুর কাজের সুবিধার্থে তিনি তাঁদের নির্দেশেই মাটি কাটছেন। তবে নদীতে থাকা অধিকাংশ ড্রেজারের কোনো অনুমতিপত্র নেই।’

এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজের জন্য ১০টি ড্রেজারকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র আমরা হাতে পেয়েছি। ১০টি ড্রেজারের অনুমতির সুযোগ নিয়ে নদীতে বেপরোয়া হয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছে অনেক ড্রেজার। এসব অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত অবৈধ বালু কাটার অভিযোগ ১৫ জনকে জেল ও অন্যদের ২১ মামলায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লোকবলের সংকটে সব সময় নদীতে অভিযান পরিচালনা করতে সমস্যা হয়।’

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেজিং করলে নদীর তীর ও আশপাশের এলাকায় এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দেওয়ার পাশাপাশি নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। নদীর মাঝ থেকে বালু তুলতে হলে স্টাডি করে নিয়ম অনুযায়ী বালু উত্তোলন করা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত