Ajker Patrika

সুন্দরবনে ফের তৎপর দস্যুরা, ভয়ে পেশা বদল বনজীবীদের

  • ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে বনদস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
  • গত বছরের ৫ আগস্টের পর ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠে বনদস্যুরা।
  • সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছি: পুলিশ
  • বন বিভাগ বলছে, তাদের অস্ত্র ও জনবল সংকট।
আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা 
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নজরদারির অভাবে সুন্দরবনে আবারও বেড়েছে বনদস্যুদের তৎপরতা। বনের ২০টি পয়েন্টে বেপরোয়া ১০টি বাহিনী। জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে এই বাহিনীর সদস্যরা লাখ লাখ টাকা আদায় করছে। মুক্তিপণ ছাড়া মিলছে না কারও মুক্তি। চলে নির্যাতনও। আতঙ্কিত বনজীবীদের অনেকেই ভয়ে পেশা বদলাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে জনবল ও অস্ত্র সংকটের কথা বলছে বন বিভাগ।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে কয়েক ধাপে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ সদস্য ৪৬২টি অস্ত্র, ৫০৪টি গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছিল। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে বনদস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বনদস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাওয়া জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সাতক্ষীরা রেঞ্জের ভারত সীমান্তবর্তী মারডাঙ্গা ও হরিণটানা খাল থেকে ছয়জনকে অপহরণ করে জলদস্যুরা। পরে ২০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান তাঁরা।

ভুক্তভোগী শ্যামনগরের টেংরাখালী গ্রামের আতাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের ছয়জনকে অপহরণ করে মুন্না বাহিনীর দস্যুরা। এরপর আমাদের মুক্তির জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করে। অপারগতা দেখালে বেধড়ক পেটায়। আমার আঙুল ভেঙে গেছে। সারা দিনে একবার অল্প একটু খাবার জুটত। অবশেষে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ফিরে এসেছি। এখন আমি সুন্দরবনে যেতে পারছি না, আবার ডাক্তার দেখাতেও পারছি না।’

আরেক অপহৃত রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘অপহরণের দুই দিন পর আমার মহাজনের মাধ্যমে বাড়িতে সিম পাঠিয়ে দেয় দস্যুরা। বাড়িতে তো এক কানাকড়িও ছিল না। বিভিন্ন জায়গা থেকে সুদ করে টাকা গুছিয়ে আমার স্ত্রী ২০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমি মুক্তি পাই।’ দস্যুদের মধ্যে ভারতের চারজন ও তাঁদের এলাকার দুজন ডাকাত রয়েছে বলে দাবি রাশেদুলের।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে জানা যায়, গত এক বছরে শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলার তিন শতাধিক জেলে অপহৃত হয়েছেন। সর্বশেষ শিকার হয়েছেন সুন্দরবনসংলগ্ন টেংরাখালী ও ভেটখালী এলাকার বাসিন্দারা। এর আগে দুবলারচরের বাহির সমুদ্রের ৮ নম্বর বয়া এলাকা থেকে ১৫ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি করে জলদস্যুরা। এর মধ্যে ৯ জনেরই বাড়ি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে। ১৭ দিন পর জনপ্রতি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় ছাড়া পান তাঁরা। সূত্র জানিয়েছে, সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আন্ধারমানিক, আড়পাঙ্গাসিয়া, শিবসা, মান্ধারখালী, হরিণটানাসহ কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে শরীফী, মজনু, রবিউল, সাগর, মুন্না, দুলাভাই, মঞ্জুর বাহিনীসহ কমপক্ষে ১০টি বাহিনী চষে বেড়াচ্ছে।

পর্যটক গাইড গোলাম মোস্তফা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার অভাবে বছরখানেক ধরে সুন্দরবনে দস্যুদের তৎপরতা বেড়েছে। পর্যটকেরা ডাকাত-আতঙ্কে রয়েছেন।

শ্যামনগরের টেংরাখালী এলাকার বাসিন্দা কমলা দাশ বলেন, ‘আমরা যারা কাঁকড়া ধরতে যাই, তারা রাত হলে ভয়ে থাকি। একদিকে বাঘের ভয়, নদীতে কুমিরের ভয়, অন্যদিকে ডাকাতের ভয়। কোনভাবে আমরা থাকব। তাই বাঁচতে নৌকায় থাকি। সাত দিনের পাস দিলে চলে আসি। এত সাবধানেও মাঝে মাঝে ডাকাতদের কবলে পড়তে হচ্ছে। তাই এখন বনে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।’

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনি খাতুন জানান, জেলা ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভায় বনদস্যুদের তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান বলেন, ‘সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করতে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ডাকাতদের বিষয়ে তথ্য দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছি। অনেক ডাকাত সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। কয়েকজনকে আটক করেছি। ডাকাতদের মুক্তিপণ পরিশোধ করতে হয় যেহেতু মানি ট্রান্সফার বিকাশের মাধ্যমে, তাই উপকূলীয় এলাকার বিকাশ এজেন্টদের নিয়ে সভা করেছি। সব মিলিয়ে আমরা সুন্দরবনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার জন্য অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধের বিষয়ে কাজ করছি।’

সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, ‘বন বিভাগের জনবল ও অস্ত্র সংকট রয়েছে। সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আমরা আমাদের এরিয়ায় ৪০০ খালসহ বিশাল এলাকাকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছি। কিন্তু যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা আমাদের কাছে কোনো তথ্য দেন না। সীমান্ত নদী রায়মঙ্গলসহ অন্যান্য খাল ও নদীতে রিভারাইন বিজিবির নির্ধারিত দায়িত্ব রয়েছে। কোস্ট গার্ডেরও রয়েছে নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট। সুতরাং সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে বন বিভাগ, কোস্ট গার্ড ও বিজিবিকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করতে হবে, তাহলে এর সুফল আসবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াত দায়িত্ব পেলে রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালনা করবে—জানালেন এ টি এম আজহার

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৩৯
বক্তব্য দেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বক্তব্য দেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জামায়াত যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়, তাহলে ইসলামের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। বর্তমান আইন মানুষের তৈরি এবং বর্তমান সংবিধান পুরোপুরি ইসলামভিত্তিক নয়।

আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের নতুন টেপারহাট এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ঢেউটিন প্রদান করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রশিদ শাহ এতে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কুকুরের কামড়ে আহত গণসংহতি আন্দোলনের নেতা

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় আজ রোববার নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পথে কুকুরের কামড়ে আহত গণসংহতি আন্দোলনের নেতা নাজমুল তারেক তুষারের সঙ্গে দলের অন্য নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনায় আজ রোববার নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পথে কুকুরের কামড়ে আহত গণসংহতি আন্দোলনের নেতা নাজমুল তারেক তুষারের সঙ্গে দলের অন্য নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনায় নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার সময় গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য নাজমুল তারেক তুষার (৪৫) কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নগরীর লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালসংলগ্ন হাজী মেহের আলী সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রত্যাশী মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন, ‘আজ (রোববার) আমার নির্বাচনী গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও মতবিনিময়ের কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কর্মসূচির শুরুতে বেলা ১১টার দিকে খুলনা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের অপর প্রান্তে হাজী মেহের আলী রোডে একটি কুকুর তেড়ে আসে।’

মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন, ‘এ সময় কুকুরটি গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির সদস্য নাজমুল তারেক তুষারের ডান পা কামড়ে দেয়। দ্রুত তাঁকে চিকিৎসার জন্য খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তুষারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য, জেলা আহ্বায়ক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রত্যাশী মুনীর চৌধুরী সোহেল, জেলা সদস্যসচিব আসিফ ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সদস্যসচিব ও খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রত্যাশী আল আমিন শেখ, জেলা সদস্য সাগর চ্যাটার্জি, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংগঠক কাইয়ুম শরীফ জনি ও রাফসান জানি।

এ ঘটনার পর ‘মাথাল’ প্রতীকের পক্ষে প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। আহত কবি নাজমুল তারেক তুষারকে তাঁর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রংপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর থেকে
জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম (৫৭) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌর শহরের মেনাজবাজার এলাকার শিল্পপতি মেনাজ উদ্দিনের ছেলে এবং হারাগাছ ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি। মেনাজ বিড়ি ফ্যাক্টরি ও মেনাজ ফিলিং স্টেশনসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন জাহাঙ্গীর।

নিহতের স্বজনেরা জানান, পারিবারিক একটি মামলায় বুধবার জাহাঙ্গীর আদালতে হাজির হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে তাঁকে ছাড়পত্র দিলে কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

রোববার ভোরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জাহাঙ্গীর আলম ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন বলেও জানান জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গোপালগঞ্জে ওয়ার্ড জামায়াতের হিন্দু শাখার ৯ নেতা-কর্মীর পদত্যাগ

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু শাখার ৯ নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন।

গতকাল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পিড়ারবাড়ি বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু শাখার সভাপতি বিপ্লব মল্লিক ওরফে (ঝন্টু)। তিনি বলেন, ‘আমরা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি, সহসভাপতি, উপদেষ্টা ও সদস্যসহ ৯ জন পারিবারিক ও সামাজিক কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু শাখার পদ ও সব কর্যক্রম থেকে পদত্যাগ করলাম।’

পদত্যাগ করা নেতা-কর্মীদের মধ্যে অন্যরা হলেন সহসভাপতি বিমল বালা, উপদেষ্টা নারায়ণ হালদার, সদস্য দুলাল মল্লিক, সবুজ মল্লিক, সুভাষ মধু, প্রকাশ সরকার, প্রদীপ ঢালী ও শিশির মল্লিক।

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, ‘কিছুদিন আগে কমিটি হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা পদত্যাগ করেছেন কি না, তা আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত