Ajker Patrika

৩২২ ভোটারের বুথে শূন্য ভোট, কেন্দ্রে সারা দিনে ১৬ ভোট! 

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
৩২২ ভোটারের বুথে শূন্য ভোট, কেন্দ্রে সারা দিনে ১৬ ভোট! 

পুরো কেন্দ্রে দিনভর ভোট দিলেন মাত্র ১৬ জন ভোটার। কেন্দ্রের ৭ নম্বর বুথে ৩২২ জনের কেউ ভোট দেননি। ফলে শূন্য ভোটের রেকর্ড করল লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই বুথটি। 

তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে আজ বুধবার লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। সদর উপজেলার ১১৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক কম। পৌরসভা ও তার পার্শ্ববর্তী কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা থাকলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে তেমন ভোটার ছিল না। বিশেষ করে বড়বাড়ি ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতির হার সব থেকে কম। সেখানে বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি এক থেকে ১৫০ জনের মধ্যে। 

বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ে একটিতে পুরুষ ভোটার, অপরটিতে মহিলা ভোটার। মহিলা ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭৫২ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ১৬টি। এ কেন্দ্রের ৭ নম্বর বুথে ৩২২ ভোটের মধ্যে কেউ ভোট প্রদান করেননি। এ বুথে শূন্য ভোটের রেকর্ড তৈরি করেছে। একই কেন্দ্রের এক নম্বর বুথে ৩৯৩ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ২টি। দুই নম্বর বুথে ১ ভোট, তিন নম্বর বুথে ১ ভোট, চার নম্বর বুথে ৩ ভোট, পাঁচ নম্বর বুথে ২ ভোট, ছয় নম্বর বুথে ৫ ভোট, সাত নম্বর বুথে শূন্য ও আট নম্বর বুথে ভোট পড়েছে মাত্র ১টি। মোট আটটি বুথে ২ হাজার ৭৫২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ১৬ জন। 

শূন্য ভোটের বুথের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যালট বহি যেভাবে নিয়ে এসেছি, সেভাবেই জমা দিতে হলো। কোনো ভোটার আসেনি বুথে। একটি ব্যালটও ভোটারের হাতে তুলে দিতে পারিনি। অলস সময় কাটালাম দিনভর।’ 

বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের মহিলা ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী চঞ্চল কুমার শর্মা বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাত্র ১৬ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোট গ্রহণ করতে এ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ দায়িত্বে রয়েছেন ৩৯ জন কর্মকর্তা–কর্মচারী।’ 

লালমনিরহাটে বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। যেখানে একটি বুথে কেউ ভোট দেননি। ছবি: আজকের পত্রিকা একই বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭৮৬ ভোট। যার দিনভর ভোট দিয়েছেন ৯০ জন ভোটার। যার মধ্যে ১৪টি ভোট নষ্ট হিসেবে ধরা হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি না থাকায় অলস সময় গল্প গুজব করে কাটিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। ভোট নিয়ে স্থানীয়দের যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই। ভোটকেন্দ্রের সামনের পরিবেশও সুনসান নীরবতা। তেমন কেউ নেই যারা নিজেদের প্রার্থীকে ভোট দিতে আগন্তুক ভোটারদের অনুরোধ করবেন। সব মিলে বড়বাড়ি ইউনিয়নে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। 

বড়বাড়ি শহীদ কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষক ইমরান আলী মির্জা বলেন, ‘এ কেন্দ্রের ৭টি বুথে মোট ২ হাজার ৭৮৬ জন ভোটারের মধ্যে ৯০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। নষ্ট ভোট ১৪টি এবং ৭৬টি ভোট বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।’ 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় বিএনপির প্রভাব কিছুটা বেশি থাকায় উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করায় বিএনপির কর্মী সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। বড়বাড়ি ইউনিয়নটি পুরো বিএনপি অধ্যুষিত হওয়ায় এ ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম। 

লালমনিরহাটে বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। যেখানে একটি বুথে কেউ ভোট দেননি। ছবি: আজকের পত্রিকা বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দুইটি মূলত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলুর ভোট কেন্দ্র। বিএনপির এ নেতা ও তার পরিবার এই কেন্দ্রের ভোটার। এ কারণে এ কেন্দ্রের ভোটার উপস্থিতি কম। 

কেন্দ্রটির গেটের চা বিক্রেতা দুলু মিয়া বলেন, ‘প্রধান দুই দলের প্রার্থী না থাকায় ভোট জমেনি। বিএনপি-আওয়ামী লীগ দুই দলের প্রার্থী থাকলে জমে উঠত ভোট। এখন ভোট দিলেও যারা, না দিলেও তারাই নির্বাচিত হবেন। তাই ভোট দিয়ে লাভ কি।’ 

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা, আটক ১

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুর সদরের কুনিয়ারহাট এলাকায় ঘরে ঢুকে জাহিদ শেখ (৪০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ বুধবার উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ একই এলাকার জবেদ শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিকমিস্ত্রি। অপর দিকে আটক সজিব শেখ আব্দুল্লাহ রাজৈর উপজেলার বাজিতপুরের মাচ্চর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে নিজ ঘরে কাজ করছিলেন জাহিদ শেখ। এ সময় হঠাৎ সজিব শেখ নামের এক যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জাহিদকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।

এ সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা সজিবকে ধাওয়া করে আটক করেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ নিহত জাহিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ ও পরিবারের লোকজন।

মীর জামাল সরদার নামের নিহত জাহিদের এক স্বজন বলেন, ‘কী কারণে জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা আমরা জানি না। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

নিহত জাহিদের মামা মোয়াজ্জেম মাতুব্বর বলেন, ‘ঘরে কাজ করা অবস্থায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে আমার ভাগনেকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও জড়িতের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফারিহা রফিক ভাবনা বলেন, ইলেকট্রিকমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক সজিব শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যার কারণ ও ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠনের দেশবিরোধী পোস্টার, ৫ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী আটক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পাঁচজন আটক। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পাঁচজন আটক। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের দেশবিরোধী পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে রংপুরগামী একটি মিনিবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

এর আগে শহরের কলেজ মোড় ও জেলা পরিষদ ভবনের ফটকে ‘খোলাচিঠি’ শিরোনামে নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগানোর পর তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে পুলিশ।

কুড়িগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক শিক্ষার্থীরা হলেন রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী জাবের আল রাফিয়ান (৩০), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাকিবুল হাসান (২৪) ও শামীম হোসেন (২৫), ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ফাহমিদ হাসান (৩৪) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) মাহমুদুর রহমান (২৫)।

ডিবি সূত্র জানায়, আজ দুপুরে শহরের কলেজ মোড়সহ একাধিক জায়গায় ‘খোলাচিঠি’ শিরোনামে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের পোস্টার সাঁটানো হয়। এই সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামেন পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।

পরে খলিলগঞ্জ বাজারসংলগ্ন স্থান থেকে রংপুরগামী একটি মিনিবাসের গতিরোধ করে বাসে থাকা সন্দেহভাজন পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়। এর পরপরই পুলিশ সদস্যদের সাঁটানো পোস্টার তুলে ফেলতে দেখা গেছে।

সূত্র আরও জানায়, পোস্টার লাগানোর স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই তরুণদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা ঢাকা থেকে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রচারণার কাজ করছিলেন।

আটক তরুণদের বাড়ি যশোর, ঢাকা, লক্ষ্মীপুর, নাটোর ও মাদারীপুর জেলায়। তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীরের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পোস্টার লাগানোর দায় স্বীকার করেছেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত তরুণদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩৫তম প্রয়াণ দিবস: নতুন প্রজন্মের কাছে কমরেড মণি সিংহের সংগ্রাম ও আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি 
কমরেড মণি সিংহের স্মরণে র‍্যালি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কমরেড মণি সিংহের স্মরণে র‍্যালি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা কমরেড মণি সিংহের ৩৫তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।

আজ সকাল থেকে স্থানীয় টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে কমরেড মণি সিংহের প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোক র‍্যালি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে আলোচনা সভা। সভায় টংক আন্দোলনের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহের সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান বক্তারা।

আলোচনা সভায় কমরেড মণি সিংহ মেলা উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক দিবালোক সিংহ সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম। সভায় কমরেড মণি সিংহের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. তাইয়েবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, মেলা উদ্‌যাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অজয় সাহা, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও মেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন মুকুল, সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর, উদীচী দুর্গাপুর উপজেলা সংসদের সভাপতি শামছুল আলম খান, কমরেড মণি সিংহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাকি খন্দকার, মেলা কমিটির সদস্য শফিউল আলম স্বপন, কবি বিদ্যুৎ সরকারসহ ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন ও ক্ষেতমজুর সমিতির নেতারা।

আলোচনার শুরুতে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯২৮ সালে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে কেশরাম কটন মিলে শ্রমিকদের ১৩ দিনব্যাপী ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের মধ্য দিয়ে কমরেড মণি সিংহ তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম সফলতা অর্জন করেন। ১৯৩০ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৩৭ সালের নভেম্বরে কারামুক্ত হয়ে সুসং-দুর্গাপুরে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে কৃষকদের সংগঠিত করে টংক প্রথার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।

বক্তারা আরও বলেন, ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কিষান সভার মহাসম্মেলনে কমরেড মণি সিংহ অন্যতম সংগঠক ও অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সারা জীবন তিনি মেহনতি মানুষের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী রাজনীতি করে গেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

উল্লেখ্য, কমরেড মণি সিংহ ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটে টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় আটক ১৬

সিলেট প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই টিলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন খায়েরগাঁওয়ের মো. বাছিরের ছেলে মো. মাহমুদুল (২১), মো. ফসিউদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. সাকিবুল হাসান (১৯), দক্ষিণ রাজনগরের মো. শামসুল হকের ছেলে মো. লালন (২০), বাবুল নগরের হাফিজ আশরাফ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২), চিকাডহরের ইকরাম আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৩৬), জালিয়ারপাড়ের আব্দুল খালিকের ছেলে মো. কামরুল (২৫), ধুপরীরপাড়ের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৭), পাড়ুয়া মাঝপাড়ার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. আবু বক্কর (২২), মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে মো. শফিক মিয়া (৪২), মো. রুহুল আমিন (৩০), ধনাই মিয়ার ছেলে মো. আখতার মিয়া (২৮), মো. আবু বক্করের ছেলে মো. শরিফ উদ্দিন (১৯), মুহাম্মদ সুলতান উদ্দিন (২২), দক্ষিণ কালীবাড়ির ময়না মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (৩০), চিকাডহর গ্রামের মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে মোহাম্মদ লাল মিয়া (২৮) ও ভোলাগঞ্জের মৃত আব্দুল মুতালিবের ছেলে মো. আল আমীন হোসেন (৩২)।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করার দায়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত