ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। ভিজে যায় বিছানা। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু রক্ষায় চালে দেওয়া হয়েছে পলিথিন। স্বামী-সন্তানসহ এই একটি ঘরেই গুটিসুটি মেরে থাকতে হয় সুখীতন বেগমের। অর্থের অভাবে মেরামত করতে না পেরে এভাবে তিন বছর পার করেছেন।
সুখীতন বেগমের বাড়ি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার পূর্ব পাড়া গ্রামে। প্রায় তিন বছর আগে শিলা বৃষ্টির আঘাতে তাঁর ঘরের টিনের চালে অসংখ্য ছিদ্র হয়ে যায়। সেই ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করা বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় ঘরের চালের কাঠসহ অন্যান্য জিনিসপত্র।
সুখীতন বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি যাতে ঘরের ভেতর ঢুকতে না পারে সে জন্য অসংখ্য ছিদ্র হওয়া টিনের চাল পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া। সেই পলিথিন কাগজও ছিঁড়ে গেছে। ঘরের ভেতরের বিছানাসহ অন্যান্য জিনিস যাতে বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট না হয় সে জন্য পলিথিন দিয়ে সেগুলো ঢেকে রেখেছেন। ঘরের ভেতর থেকে ওপর দিকে তাকালে টিনের চালের ছিদ্র দিয়ে আকাশ দেখা যায়।
সুখীতন বেগম বলেন, ‘মাটি কাটার কাজ করি। অসুস্থ স্বামী সব সময় কাজ করতে পারে না। বাড়ি ভিটা ছাড়া আর জমি নেই। ছেলে স্কুলে যায়। মাটি কাটার কাজ করে যা পাই তা দিয়ে কোনো মতে দিন চলে। ঘরটি ঠিক করতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাগবে। এত টাকা কোথায় পাব? বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া থেকে বাঁচতে পলিথিনই ভরসা।’
সুখীতন বেগম আরও বলেন, ‘বছর তিনেক আগে বাম হাত ভেঙে গিয়েছিল। টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছিল না। প্রতিবেশীরা চাঁদা তুলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল। ভাঙা হাতে রড ঢোকাতে হয়েছিল। সেই রড এক বছর আগেই বের করতে বলেছিল ডাক্তার। টাকার অভাবে এখনো তা বের করা হয়নি।’
সুখীতনের প্রতিবেশী আইয়ুব আলী ও বাহতন বেগম জানান, দুই হাতের কর্মের ওপর সুখীতনের সংসার চলে। দিন আনে, দিন খায়। বৃষ্টির দিনে খুব সমস্যা হয়।
বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, সুখীতনের পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ঘর করে দেওয়ার সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ‘উপজেলায় এ রকম পরিবার আছে জানা ছিল না। পরিবারটি সাহায্যের আবেদন করলে সুযোগ এলে সহযোগিতা করা হবে।’

সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। ভিজে যায় বিছানা। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু রক্ষায় চালে দেওয়া হয়েছে পলিথিন। স্বামী-সন্তানসহ এই একটি ঘরেই গুটিসুটি মেরে থাকতে হয় সুখীতন বেগমের। অর্থের অভাবে মেরামত করতে না পেরে এভাবে তিন বছর পার করেছেন।
সুখীতন বেগমের বাড়ি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার পূর্ব পাড়া গ্রামে। প্রায় তিন বছর আগে শিলা বৃষ্টির আঘাতে তাঁর ঘরের টিনের চালে অসংখ্য ছিদ্র হয়ে যায়। সেই ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করা বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় ঘরের চালের কাঠসহ অন্যান্য জিনিসপত্র।
সুখীতন বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি যাতে ঘরের ভেতর ঢুকতে না পারে সে জন্য অসংখ্য ছিদ্র হওয়া টিনের চাল পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া। সেই পলিথিন কাগজও ছিঁড়ে গেছে। ঘরের ভেতরের বিছানাসহ অন্যান্য জিনিস যাতে বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট না হয় সে জন্য পলিথিন দিয়ে সেগুলো ঢেকে রেখেছেন। ঘরের ভেতর থেকে ওপর দিকে তাকালে টিনের চালের ছিদ্র দিয়ে আকাশ দেখা যায়।
সুখীতন বেগম বলেন, ‘মাটি কাটার কাজ করি। অসুস্থ স্বামী সব সময় কাজ করতে পারে না। বাড়ি ভিটা ছাড়া আর জমি নেই। ছেলে স্কুলে যায়। মাটি কাটার কাজ করে যা পাই তা দিয়ে কোনো মতে দিন চলে। ঘরটি ঠিক করতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাগবে। এত টাকা কোথায় পাব? বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া থেকে বাঁচতে পলিথিনই ভরসা।’
সুখীতন বেগম আরও বলেন, ‘বছর তিনেক আগে বাম হাত ভেঙে গিয়েছিল। টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছিল না। প্রতিবেশীরা চাঁদা তুলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল। ভাঙা হাতে রড ঢোকাতে হয়েছিল। সেই রড এক বছর আগেই বের করতে বলেছিল ডাক্তার। টাকার অভাবে এখনো তা বের করা হয়নি।’
সুখীতনের প্রতিবেশী আইয়ুব আলী ও বাহতন বেগম জানান, দুই হাতের কর্মের ওপর সুখীতনের সংসার চলে। দিন আনে, দিন খায়। বৃষ্টির দিনে খুব সমস্যা হয়।
বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, সুখীতনের পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ঘর করে দেওয়ার সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ‘উপজেলায় এ রকম পরিবার আছে জানা ছিল না। পরিবারটি সাহায্যের আবেদন করলে সুযোগ এলে সহযোগিতা করা হবে।’

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৪ ঘণ্টা আগে