Ajker Patrika

কবরের মাটি উত্তোলন: জানতে চাওয়ায় মারধরে একজনের মৃত্যু

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৩
নিহতের ঘটনায় স্বজনদের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহতের ঘটনায় স্বজনদের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বড়বাড়ি গ্রামে কবরের মাটি তোলাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় আহত আব্দুল খালেক (৩৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে শুক্রবার সকালে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা শনিবার বেলা ২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে আব্দুল খালেকের ভাই আব্দুল ছালেক তাঁর দাদির কবর জিয়ারত করতে গিয়ে দেখেন যে কবরের মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল ছালেক কবরস্থানের পাশের বাসিন্দা বাবু মিয়া ও লেবু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় বাবু মিয়া, লেবু মিয়া, চাঁন মিয়া, দুলাল মিয়া, আশেকুর রহমান, আব্দুল জব্বার, আবেদা বেগম, সোহানা বেগম ও তানিয়া বেগম দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে গুরুতর আহত হন আব্দুল ছালেক।

খবর পেয়ে আহত আব্দুল ছালেককে উদ্ধার করতে যান তাঁর দুই ভাই আব্দুল খালেক ও মাহবুবার। এরপর তাঁদেরও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে খুন্তি দিয়ে আব্দুল খালেকের মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে মগজ বেরিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে আজ শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল খালেক মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্তদের বাড়ির পাশেই কবরস্থান। নিহত আব্দুল খালেকের দাদির কবরের ওপরের মাটি কেটে নেন তাঁরা। আব্দুল ছালেক কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মাটি নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে মারধরের শিকার হন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর ভাই আব্দুল খালেককে প্রাণ দিতে হলো।

নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার দুই সন্তানকে নিয়ে আহাজারি করে বলেন, ‘আমার স্বামী নির্দোষ। কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব নাই, হামার কাম করি দিন যায়। ওরা আমার স্বামীকে নির্মমভাবে বিনা দোষে মারল, সন্তানদের এতিম করল, আমি তাদের ফাঁসি চাই।’

স্থানীয় বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন আব্দুল খালেক। ৪০ শতক জমিই ছিল তাদের একমাত্র সহায়-সম্বল। তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েছে।’ এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মহাসড়ক থেকে জনতাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনা সীমান্তে ২৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
উদ্ধার করা মদের বোতল। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা মদের বোতল। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ২৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ২৮ বোতল ভারতীয় মদ ‘আইস ভদকা’ উদ্ধার করা হয়। নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৩১ বিজিবির অধীন বরুয়াকোনা বিওপি থেকে চার সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১১৮১ এমপি থেকে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় মদগুলো উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক বলেন, সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধার করা মাদকদ্রব্য নেত্রকোনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাংনীতে চলছে কুমড়ো বড়ি তৈরির ধুম

রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর)
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫২
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শীতের আমেজ শুরু হতেই গ্রামবাংলার নারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পুরোনো ঐতিহ্য কুমড়ো বড়ি তৈরিতে। মাষকলাইয়ের ডালের সঙ্গে চালকুমড়া, পেঁপে কিংবা মুলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই জনপ্রিয় খাবার। সুস্বাদু ও মুখরোচক হওয়ায় শীতকাল এলেই কুমড়ো বড়ির কদর বাড়ে গ্রাম থেকে শহর সবখানে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথমে মাষকলাইয়ের ডাল ভিজিয়ে নরম করা হয়। এরপর চালকুমড়া, মুলা বা পেঁপে ভালোভাবে মিশিয়ে মিলে ভাঙানো হয়। পরে সেই মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা হয় শীতের বহুল পরিচিত খাবার কুমড়ো বড়ি। শীতের শুরুতেই গ্রাম্য নারীদের এই ব্যস্ততা চোখে পড়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

গাংনীর এক নারী জলী খাতুন বলেন, ‘শীত এলেই আমরা কুমড়ো বড়ি তৈরি করি। এই বড়ি সবাই খুব পছন্দ করে।’

হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ঝরনা খাতুন বলেন, ‘শীত মৌসুমে কুমড়ো বড়ি ছাড়া আমাদের পরিবারে যেন চলেই না। নতুন মাষকলাই উঠলেই প্রতিবছর বড়ি দিই। শোল, টাকি, টেংরা মাছ কিংবা ডিমের সঙ্গে কুমড়ো বড়ি দিয়ে রান্না করলে স্বাদ অন্যরকম হয়।’

মোহাম্মদপুর গ্রামের রাজু আহমেদ বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সবাই কুমড়ো বড়ি খুব পছন্দ করে। নানা ধরনের সবজি ও মাছের সঙ্গে বড়ি দিয়ে রান্না করা হয়, যা খুবই সুস্বাদু।’

অলিনগর গ্রামের মো. মারফত আলী বলেন, শীত এলেই কুমড়ো বড়ি দেওয়ার ধুম পড়ে যায়। এই সময় চালকুমড়া ও মাষকলাইয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। বর্তমানে মাষকলাই বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে।

মিলের মালিক মো. মহিবুল ইসলাম বলেন, শীতের শুরু থেকেই বড়ি ভাঙানোর মৌসুম শুরু হয়। প্রতিদিন অনেক ভিড় হয়। নারীদের পাশাপাশি পুরুষেরাও বড়ি ভাঙাতে আসেন। চালকুমড়া, কলাইয়ের ডাল, পেঁপে ও মুলা মিশিয়ে এনে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা হারে ভাঙানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কুমড়ো বড়ি এমন একটি খাবার, যা প্রায় সব ধরনের তরকারির সঙ্গে মানিয়ে যায়। শীত মৌসুম এলেই গ্রামের নারীরা বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে আবার বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করেন।

কুমড়ো বড়ি ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ বলেন, বর্তমানে কুমড়ো বড়ি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাষকলাইয়ের দাম বেশি হওয়ায় বড়ির দামও বেড়েছে। কলাইয়ের দাম কমলে বড়ির দামও কমবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে শীর্ষ সন্ত্রাসী লালুসহ চারজন গ্রেপ্তার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
২৩ মামলার আসামি সাজেদুল হক লালু। ছবি: সংগৃহীত
২৩ মামলার আসামি সাজেদুল হক লালু। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং চারটি হত্যা মামলাসহ মোট ২৩ মামলার আসামি সাজেদুল হক লালু (৪৫) ও তাঁর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনভর নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ও রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গজারিয়া উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে সাজেদুল হক লালু (৪৫), চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে শাকিল (২৭), একই গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন (৬৫) ও জসিম (৪৫)।

গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর রাতে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে টিকটক ভিডিও বানানোর কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জয় সরকার (২৫) নামের এক যুবককে। গ্রেপ্তার চারজনই ওই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক ছিলেন।

তাঁদের গ্রেপ্তারে র‍্যাব যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে র‍্যাব-৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী লালুকে গ্রেপ্তার করে। অপর দিকে র‍্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে শাকিলকে, কাঁচপুর বালুর মাঠ এলাকা থেকে আলাউদ্দিনকে এবং ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার গভীর রাতে তাঁদের গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, লালু গজারিয়া উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলাসহ অস্ত্র, মাদক, মারামারিসহ অন্তত ২৩টি মামলা রয়েছে। এই আসামিদের গ্রেপ্তারের খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

এদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী লালু গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জয় সরকার হত্যা মামলার বাদী ও নিহত ব্যক্তির বোন জান্নাতি আক্তার এবং শুটার মান্নান হত্যা মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির স্ত্রী সুমী আক্তার।

এ বিষয়ে মান্নানের স্ত্রী সুমী আক্তার বলেন, ‘ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর সন্ত্রাসী লালু আইনের আওতায় এসেছে। গত ২৮ জুলাই মান্নান হত্যাকাণ্ডের পর যদি তাকে তখনই গ্রেপ্তার করা হতো, তাহলে হয়তো সে আর কাউকে হত্যা করতে পারত না। আমি চাই, সে যেন জামিন না পায় এবং আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যে দেশে পুলিশ করাপটেড, সেই দেশের জনগণ করাপটেড: ইসলামপুর থানার ওসি

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি 
গতকাল সন্ধ্যায় ইসলামপুর প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন নবাগত ওসি মো. আব্দুল কাইয়ূম গাজী। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল সন্ধ্যায় ইসলামপুর প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন নবাগত ওসি মো. আব্দুল কাইয়ূম গাজী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামালপুরের ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাইয়ূম গাজী বলেছেন, ‘যে দেশে পুলিশ করাপটেড, সেই দেশের জনগণ করাপটেড। আর যে দেশের পুলিশ খুব ভালো, সেই দেশের জনগণও ভালো।’ গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইসলামপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুদৃঢ়সহ জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ওসি মো. আব্দুল কাইয়ূম গাজী। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে নবাগত তিনি বলেন, ‘যে দেশে দেখবেন পুলিশ করাপটেড, ধরে নেবেন সেই দেশের জনগণ করাপটেড। যে দেশে দেখবেন পুলিশ খুব হিংস্র, আপনি বুঝে নেবেন সেই দেশের জনগণ হিংস্র।’

আব্দুল কাইয়ূম আরও বলেন, ‘যে দেশে পুলিশ খুব ভালো ব্যবহার করে, পুলিশ খুব পোলাইট। সেই দেশের জনগণ ভালো, জনগণও পোলাইট। পুলিশকে বলা হয় জনগণের আয়না। বিদেশি রাষ্ট্রে পুলিশ স্টাডি করে বুঝে নেয়, সে দেশের মানুষের কালচার কী? অর্থাৎ মানুষের সঙ্গে পুলিশকেও পরিবর্তন হয়ে যেত হয়।’

ওসি আব্দুল কাইয়ূম গাজী বলেন, যমুনা-ব্রহ্মপুত্রবিধৌত এই জনপদে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামপুর থানা এলাকাকে মাদক, জুয়া ও সব ধরনের অপরাধমুক্ত রাখতে পুলিশ দৃঢ়ভাবে কাজ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ একান্ত জরুরি।

প্রেসক্লাবের সভাপতি মোরাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাফিজ লিটনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক ফিরুজ খান লোহানী, খাদেমুল হক বাবুল, আব্দুস ছামাদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান।

পরে উপস্থিত সাংবাদিকেরা ওসি আব্দুল কাইয়ূম গাজীকে স্বাগত জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও অপরাধ-সংক্রান্ত তথ্য যথাসময়ে প্রশাসনের নজরে আনার প্রতিশ্রুতিও দেন।

উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ইসলামপুর থানার ওসি আ স ম আতিকুর রহমান বদলি হয়ে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানায় যোগদান করেন। একই দিন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন আব্দুল কাইয়ূম গাজী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত