নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অভিযোগ তদন্তে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বিভাগীয় মামলা খেয়েছেন এক উপপরিদর্শক (এসআই)। মামলা হওয়ার পর থেকে ওই এসআই নানাভাবে পুলিশ কনস্টেবলকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই এসআইয়ের নাম আবদুর রউফ। আগে তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া ও মতিহার থানায় ছিলেন। বর্তমানে আছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায়। আর ভুক্তভোগী কনস্টেবল আছেন পাবনার একটি ফাঁড়িতে।
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দেন।
ওই পুলিশ কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর ছেলে রাজশাহীর একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। তাই তাঁর স্ত্রী সেখানে নিজের বাবার বাড়িতেই থাকেন। বাড়ির অংশ নিয়ে বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে এক শ্যালিকা নগরের বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তৎকালীন এসআই আবদুর রউফ। বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে এসআই আবদুর রউফ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ওই এসআই নিচতলার একটি ঘর দখল করে ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে থাকতে শুরু করেন।
কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, একদিন তিনি পাবনা থেকে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ডাইনিংয়ে বসে খাচ্ছেন ওই এসআই। তিনি সেদিনই প্রথম তাঁর পরিচয় জানতে পারেন। স্ত্রীর কাছে তিনি জানতে পারেন, অভিযোগ তদন্ত করতে এসে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। এরপর ওই এসআই তাঁর শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে উঠেছেন। তিনি একা থাকেন। রান্নার সমস্যা বলে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে খান।
ওই কনস্টেবলের অভিযোগ, তিনি যখন ছুটিতে শ্বশুরবাড়ি যান, তখন ওই এসআই বাড়িতে আসেন না। একদিন গভীর রাতে তাঁর স্ত্রী যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠান ওই এসআই। কনস্টেবল মেসেঞ্জারের কথোপকথনে দেখেন, দুজনের একসঙ্গে তোলা ছবি এবং কুরুচিপূর্ণ বার্তা আদান–প্রদান হয়েছে। তিনি বুঝতে পারেন, স্ত্রীর সঙ্গে ওই এসআইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ওই রাতেই তিনি এসআইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চবাচ্য করেন। তাঁর স্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, তাঁর ভুল হয়ে গেছে। তিনি আর এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না। কিন্তু সম্পর্ক ঠিকই চালিয়ে গেছেন।
ওই কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, পাবনার একটি থানায় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গত বছর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। সেদিন স্ত্রী তাঁকে জানান, ওই এসআইয়ের কাছে তাঁদের দুজনের মেলামেশার ভিডিও আছে। সেটি দিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে রেখেছেন। ফলে তাঁর স্ত্রী না চাইলেও এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ কথা শোনার পর থানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন দুজন কনস্টেবল তাঁকে ধরে ফেলেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে নিয়ে যান। ওসি সবকিছু শুনে তাঁকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপির কাছে নিয়ে যান। ওই এএসপি সব শুনে তাঁকে আরএমপির পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি এই লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই কনস্টেবল বলেন, এসআই আবদুর রউফ এখন তাঁর স্ত্রীকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর ওই এসআই তাঁরই স্ত্রীকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে একটি অভিযোগ করিয়েছেন। এ ছাড়া আদালতে যৌতুকের একটি মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে বলেও ওই কনস্টেবল অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল বলেন, ‘এসআই আবদুর রউফ আমার সংসারে আগুন লাগিয়েছেন। তিনি আমার স্ত্রীকেই যোগাযোগ করতে দেন না। আমার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর তিনি আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করিয়েছেন, যাতে আমার চাকরি না থাকে। এসব কারণে আমি দুই দফা স্ট্রোক করেছি। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশে ব্যাপক বদলির সময় এসআই আবদুর রউফ রাজশাহী থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় বদলি হয়ে যান। উল্লিখিত বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, ওই কনস্টেবল ও তাঁর স্ত্রীকে তিনি চেনেন না। কনস্টেবলের শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ভাড়া উঠেছিলাম। তবে তাঁর সঙ্গে আমার পরকীয়া নেই।’
এসআই রউফ এ সময় তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের প্রমাণ দেখতে চান। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কনস্টেবলের লিখিত অভিযোগ ও তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার কপি, কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে ছবি ও মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠানো হয়। এরপর ফোন কল করলে তিনি আর ধরেননি।
আর এসআই রউফের কথায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কনস্টেবলের স্ত্রী ফোন কল কেটে দেন।
এসআই রউফের বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার সর্বশেষ জানতে চাইলে আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় মামলা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার নিয়ম নেই।’

অভিযোগ তদন্তে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বিভাগীয় মামলা খেয়েছেন এক উপপরিদর্শক (এসআই)। মামলা হওয়ার পর থেকে ওই এসআই নানাভাবে পুলিশ কনস্টেবলকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই এসআইয়ের নাম আবদুর রউফ। আগে তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া ও মতিহার থানায় ছিলেন। বর্তমানে আছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায়। আর ভুক্তভোগী কনস্টেবল আছেন পাবনার একটি ফাঁড়িতে।
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দেন।
ওই পুলিশ কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর ছেলে রাজশাহীর একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। তাই তাঁর স্ত্রী সেখানে নিজের বাবার বাড়িতেই থাকেন। বাড়ির অংশ নিয়ে বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে এক শ্যালিকা নগরের বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তৎকালীন এসআই আবদুর রউফ। বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে এসআই আবদুর রউফ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ওই এসআই নিচতলার একটি ঘর দখল করে ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে থাকতে শুরু করেন।
কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, একদিন তিনি পাবনা থেকে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ডাইনিংয়ে বসে খাচ্ছেন ওই এসআই। তিনি সেদিনই প্রথম তাঁর পরিচয় জানতে পারেন। স্ত্রীর কাছে তিনি জানতে পারেন, অভিযোগ তদন্ত করতে এসে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। এরপর ওই এসআই তাঁর শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে উঠেছেন। তিনি একা থাকেন। রান্নার সমস্যা বলে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে খান।
ওই কনস্টেবলের অভিযোগ, তিনি যখন ছুটিতে শ্বশুরবাড়ি যান, তখন ওই এসআই বাড়িতে আসেন না। একদিন গভীর রাতে তাঁর স্ত্রী যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠান ওই এসআই। কনস্টেবল মেসেঞ্জারের কথোপকথনে দেখেন, দুজনের একসঙ্গে তোলা ছবি এবং কুরুচিপূর্ণ বার্তা আদান–প্রদান হয়েছে। তিনি বুঝতে পারেন, স্ত্রীর সঙ্গে ওই এসআইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ওই রাতেই তিনি এসআইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চবাচ্য করেন। তাঁর স্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, তাঁর ভুল হয়ে গেছে। তিনি আর এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না। কিন্তু সম্পর্ক ঠিকই চালিয়ে গেছেন।
ওই কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, পাবনার একটি থানায় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গত বছর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। সেদিন স্ত্রী তাঁকে জানান, ওই এসআইয়ের কাছে তাঁদের দুজনের মেলামেশার ভিডিও আছে। সেটি দিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে রেখেছেন। ফলে তাঁর স্ত্রী না চাইলেও এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ কথা শোনার পর থানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন দুজন কনস্টেবল তাঁকে ধরে ফেলেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে নিয়ে যান। ওসি সবকিছু শুনে তাঁকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপির কাছে নিয়ে যান। ওই এএসপি সব শুনে তাঁকে আরএমপির পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি এই লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই কনস্টেবল বলেন, এসআই আবদুর রউফ এখন তাঁর স্ত্রীকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর ওই এসআই তাঁরই স্ত্রীকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে একটি অভিযোগ করিয়েছেন। এ ছাড়া আদালতে যৌতুকের একটি মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে বলেও ওই কনস্টেবল অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল বলেন, ‘এসআই আবদুর রউফ আমার সংসারে আগুন লাগিয়েছেন। তিনি আমার স্ত্রীকেই যোগাযোগ করতে দেন না। আমার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর তিনি আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করিয়েছেন, যাতে আমার চাকরি না থাকে। এসব কারণে আমি দুই দফা স্ট্রোক করেছি। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশে ব্যাপক বদলির সময় এসআই আবদুর রউফ রাজশাহী থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় বদলি হয়ে যান। উল্লিখিত বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, ওই কনস্টেবল ও তাঁর স্ত্রীকে তিনি চেনেন না। কনস্টেবলের শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ভাড়া উঠেছিলাম। তবে তাঁর সঙ্গে আমার পরকীয়া নেই।’
এসআই রউফ এ সময় তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের প্রমাণ দেখতে চান। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কনস্টেবলের লিখিত অভিযোগ ও তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার কপি, কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে ছবি ও মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠানো হয়। এরপর ফোন কল করলে তিনি আর ধরেননি।
আর এসআই রউফের কথায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কনস্টেবলের স্ত্রী ফোন কল কেটে দেন।
এসআই রউফের বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার সর্বশেষ জানতে চাইলে আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় মামলা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার নিয়ম নেই।’

এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
৫ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিএমপির হাতে সবশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. জাকির হোসেন শান্ত (২৯), মো. স্বপন মন্ডল (৩০) ও নিয়াজ মাহমুদ ফারহান (২১)।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি।
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা হামলা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে–তাদের উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারী ও সাংবাদিকদের পুড়িয়ে হত্যা করা। শহীদ হাদির (ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক) হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার দৃঢ় সংকল্প ছিল তাদের।’
গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
পরে হামলাকারীরা ফার্মগেটে গিয়ে ডেইলি স্টার ভবন ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করে গত রোববার মামলা করেন প্রথম আলোর হেড অব সিকিউরিটি মেজর অবসরপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদুল কবির। পরদিন পত্রিকাটির হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমানও বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
দুই মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে।
এতে প্রথম আলোর ৩২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ডেইলি স্টারের ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ধারা ছাড়াও উভয় মামলায় দণ্ডবিধি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও যোগ করা হয়।

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিএমপির হাতে সবশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. জাকির হোসেন শান্ত (২৯), মো. স্বপন মন্ডল (৩০) ও নিয়াজ মাহমুদ ফারহান (২১)।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি।
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা হামলা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে–তাদের উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারী ও সাংবাদিকদের পুড়িয়ে হত্যা করা। শহীদ হাদির (ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক) হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার দৃঢ় সংকল্প ছিল তাদের।’
গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
পরে হামলাকারীরা ফার্মগেটে গিয়ে ডেইলি স্টার ভবন ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করে গত রোববার মামলা করেন প্রথম আলোর হেড অব সিকিউরিটি মেজর অবসরপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদুল কবির। পরদিন পত্রিকাটির হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমানও বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
দুই মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে।
এতে প্রথম আলোর ৩২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ডেইলি স্টারের ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ধারা ছাড়াও উভয় মামলায় দণ্ডবিধি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও যোগ করা হয়।

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের..
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২৭ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন বলেন, বেতনা নদীর খনন করা মাটি নেহালপুর ও পাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর ওই মাটি কিনেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বুধবার ভোরে পুলিশ মাটি কাটতে বাধা দেয়। এ সময় এসআই সোহরাবের ওপর চড়াও হন কেসমত ও তার সহযোগীরা।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাতিজা বাবুরালীসহ ৩০-৩৫ জন ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা কেসমতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহী মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা তাঁদের পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কেসমত হোসেন স্বীকার করেন পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন। কেসমত বলেন, আমাকে ধরে আনার পর আর কখনো মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন আমাকে মারধর করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কেসমতসহ আটজনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন মামলা করেছেন।’

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন বলেন, বেতনা নদীর খনন করা মাটি নেহালপুর ও পাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর ওই মাটি কিনেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বুধবার ভোরে পুলিশ মাটি কাটতে বাধা দেয়। এ সময় এসআই সোহরাবের ওপর চড়াও হন কেসমত ও তার সহযোগীরা।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাতিজা বাবুরালীসহ ৩০-৩৫ জন ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা কেসমতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহী মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা তাঁদের পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কেসমত হোসেন স্বীকার করেন পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন। কেসমত বলেন, আমাকে ধরে আনার পর আর কখনো মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন আমাকে মারধর করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কেসমতসহ আটজনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন মামলা করেছেন।’

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের..
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
৫ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২৭ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ডামি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির অন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে মো. আমীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতের নির্দেশে ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন- ঘটনার দিন ফুলপুর পৌর এলাকায় শাহ শহীদ সারোয়ারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা বিস্ফোরণ দ্রব্যাদি এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হই।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ডামি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির অন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে মো. আমীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতের নির্দেশে ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন- ঘটনার দিন ফুলপুর পৌর এলাকায় শাহ শহীদ সারোয়ারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা বিস্ফোরণ দ্রব্যাদি এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হই।

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের..
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
৫ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
৮ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২৭ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরতলির বারোপুর ফ্লাইওভারের পাশে এমআর ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহমুদুর রহমান শিপন ও ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জনের মুখোশ পরা ডাকাত দল হলুদ রঙের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ঢোকে। এ সময় কর্মচারীরা এগিয়ে গেলে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের হাত-পা বেঁধে ফেলে।
এরপর ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা ৮টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ডাকাত দল ওই প্রতিষ্ঠানের পেছনে একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে ঢোকে।
তারা প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী রেজাউল করিমের ওপর চড়াও হয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তাঁর কাছে থাকা ১০টি গুলিসহ শটগান ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ভেতরে ঢুকে মালামাল তছনছ করে পিকআপ নিয়ে বনানীর দিকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ভোররাত ৪টার দিকে টহল পুলিশ মহাসড়কে পিকআপটিকে সন্দেহ করে থামানোর সংকেত দিলে দ্রুতগতিতে সেটি চলে যায়। পরে বেতার বার্তায় সংবাদ পেয়ে পুলিশ বনানী, শাকপালাসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসায়।
অপরদিকে সদর থানা-পুলিশের একটি দল পিকআপটিকে পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল নাটোর রোডে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাকপালা মোড় থেকে ঘুরিয়ে আবারও বারোপুরের দিকে যেতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এ সময় পুলিশ ডাকাত দলকে লক্ষ্য করে চারটি রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায় ডাকাত দল গোকুল এলাকায় একটি ফিডার রোডে পিকআপটি রেখে অন্ধকারে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিত্যক্ত পিকআপটি জব্দ করে এবং ট্রাকে পড়ে থাকা চারটি গুলি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিকআপটির সূত্র ধরে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।

বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরতলির বারোপুর ফ্লাইওভারের পাশে এমআর ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহমুদুর রহমান শিপন ও ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জনের মুখোশ পরা ডাকাত দল হলুদ রঙের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ঢোকে। এ সময় কর্মচারীরা এগিয়ে গেলে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের হাত-পা বেঁধে ফেলে।
এরপর ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা ৮টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ডাকাত দল ওই প্রতিষ্ঠানের পেছনে একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে ঢোকে।
তারা প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী রেজাউল করিমের ওপর চড়াও হয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তাঁর কাছে থাকা ১০টি গুলিসহ শটগান ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ভেতরে ঢুকে মালামাল তছনছ করে পিকআপ নিয়ে বনানীর দিকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ভোররাত ৪টার দিকে টহল পুলিশ মহাসড়কে পিকআপটিকে সন্দেহ করে থামানোর সংকেত দিলে দ্রুতগতিতে সেটি চলে যায়। পরে বেতার বার্তায় সংবাদ পেয়ে পুলিশ বনানী, শাকপালাসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসায়।
অপরদিকে সদর থানা-পুলিশের একটি দল পিকআপটিকে পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল নাটোর রোডে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাকপালা মোড় থেকে ঘুরিয়ে আবারও বারোপুরের দিকে যেতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এ সময় পুলিশ ডাকাত দলকে লক্ষ্য করে চারটি রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায় ডাকাত দল গোকুল এলাকায় একটি ফিডার রোডে পিকআপটি রেখে অন্ধকারে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিত্যক্ত পিকআপটি জব্দ করে এবং ট্রাকে পড়ে থাকা চারটি গুলি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিকআপটির সূত্র ধরে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের..
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
৫ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে