নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে শুধু রাজশাহী থেকে বদলি করে পাবনার পাকশীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম খালেক সিকদার। তিনি রেলওয়ের একজন ফেরো প্রিন্টার। আগে তিনি রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের (সিএমই) দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।
ওই দপ্তরেই তিনি সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টা চালান গত বছরের ৭ মে। এ ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গত বছরের ২০ জুন নগরের চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন। তদন্তে পুলিশ প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
তবে এখনো খালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তদন্তের নামে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগমতে, ঘটনার দিন বিকেলে অফিস শেষে খালেক সিকদার ছাড়া সবাই চলে যান। তিনিও বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মোবাইল ফোন নিয়ে বের হতে ভুলে যান। তিনি মোবাইল ফোনটি নিতে গেলে তাঁকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এ সময় ধস্তাধস্তি হলে তিনি আহত হন। পরদিন তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তখন যন্ত্র প্রকৌশলী (সদর) ফজলে রব দুজনকে ডাকেন। সেখানে খালেক নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনার এক মাস পর ৬ জুন রেলওয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন। তাঁকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দিতে গড়িমসি শুরু করেন। এ জন্য ২০ জুন থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ইতিমধ্যে পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত খালেকের সঙ্গে হাসিনা খাতুনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তিনি প্রতিবেদনই দিচ্ছিলেন না। অবশেষে প্রায় ছয় মাস পর তিনি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেন, যাতে তিনি ঘটনার সত্যতা পাননি বলে উল্লেখ করেন। উল্টো ওই প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী নারীকেই কটাক্ষ করা হয়। ওই প্রতিবেদনকে মনগড়া বলছেন ভুক্তভোগী নারী।
হাসিনার ওই প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা উঠে না আসায় ওই নারী রাজশাহী মহিলা সহায়তা কর্মসূচিতে অভিযোগ করেন। এ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবা সুলতানা অবশ্য সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনায় হাসিনা খাতুনকে তদন্তে রাখা উচিত হয়নি। বাহ্যিক প্রভাবের চেষ্টা ছিল, যা আমি নিজ চোখে দেখেছি।’
অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে আজ বুধবার দুপুরে হাসিনা খাতুনকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। অভিযুক্ত ফেরো প্রিন্টার খালেক সিকদারও ফোন ধরেননি। তাই তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুনের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল তাঁর। আর খালেকের সঙ্গে ছিল সুসম্পর্ক। এ জন্য তিনি ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে খালেকের পক্ষে প্রতিবেদন দেন।
শুধু তা-ই নয়, হাসিনা খাতুন ঈশ্বরদীতে বদলি হয়ে যাওয়ার পর খালেককেও সেখানে নিয়ে যান। বর্তমানেও একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তবে ঈশ্বরদী থেকে হাসিনা ও খালেক তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ঘটনার কিছুদিন পর খালেক সিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ না হতেই তাঁর বরখাস্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে ঈশ্বরদীতে বদলি করা হয়েছে। হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা উঠে না আসার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আরও একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, হাসিনা খাতুন এই কমিটিকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, যাতে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা না হয়। প্রকৃত ঘটনা উঠে এলে তাঁর প্রতিবেদন মিথ্যা প্রমাণিত হবে—এ জন্যই তিনি এটি করছেন।
‘অভিযোগপত্র দাখিল হলে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে খালেক সিকদারকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে।’
জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘খালেকের বিষয়টা আমি জানি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে, এটা আমার নলেজে নেই। অভিযোগপত্র দাখিল হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার আগে একবার তদন্ত হয়েছিল। সেই রিপোর্ট আমি দেখিনি। আমি আসার পরে আবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই প্রকৃত ঘটনা এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আসবে। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’

রাজশাহীতে সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে শুধু রাজশাহী থেকে বদলি করে পাবনার পাকশীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম খালেক সিকদার। তিনি রেলওয়ের একজন ফেরো প্রিন্টার। আগে তিনি রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের (সিএমই) দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।
ওই দপ্তরেই তিনি সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টা চালান গত বছরের ৭ মে। এ ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গত বছরের ২০ জুন নগরের চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন। তদন্তে পুলিশ প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
তবে এখনো খালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তদন্তের নামে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগমতে, ঘটনার দিন বিকেলে অফিস শেষে খালেক সিকদার ছাড়া সবাই চলে যান। তিনিও বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মোবাইল ফোন নিয়ে বের হতে ভুলে যান। তিনি মোবাইল ফোনটি নিতে গেলে তাঁকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এ সময় ধস্তাধস্তি হলে তিনি আহত হন। পরদিন তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তখন যন্ত্র প্রকৌশলী (সদর) ফজলে রব দুজনকে ডাকেন। সেখানে খালেক নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনার এক মাস পর ৬ জুন রেলওয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন। তাঁকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দিতে গড়িমসি শুরু করেন। এ জন্য ২০ জুন থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ইতিমধ্যে পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত খালেকের সঙ্গে হাসিনা খাতুনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তিনি প্রতিবেদনই দিচ্ছিলেন না। অবশেষে প্রায় ছয় মাস পর তিনি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেন, যাতে তিনি ঘটনার সত্যতা পাননি বলে উল্লেখ করেন। উল্টো ওই প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী নারীকেই কটাক্ষ করা হয়। ওই প্রতিবেদনকে মনগড়া বলছেন ভুক্তভোগী নারী।
হাসিনার ওই প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা উঠে না আসায় ওই নারী রাজশাহী মহিলা সহায়তা কর্মসূচিতে অভিযোগ করেন। এ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবা সুলতানা অবশ্য সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনায় হাসিনা খাতুনকে তদন্তে রাখা উচিত হয়নি। বাহ্যিক প্রভাবের চেষ্টা ছিল, যা আমি নিজ চোখে দেখেছি।’
অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে আজ বুধবার দুপুরে হাসিনা খাতুনকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। অভিযুক্ত ফেরো প্রিন্টার খালেক সিকদারও ফোন ধরেননি। তাই তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুনের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল তাঁর। আর খালেকের সঙ্গে ছিল সুসম্পর্ক। এ জন্য তিনি ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে খালেকের পক্ষে প্রতিবেদন দেন।
শুধু তা-ই নয়, হাসিনা খাতুন ঈশ্বরদীতে বদলি হয়ে যাওয়ার পর খালেককেও সেখানে নিয়ে যান। বর্তমানেও একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তবে ঈশ্বরদী থেকে হাসিনা ও খালেক তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ঘটনার কিছুদিন পর খালেক সিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ না হতেই তাঁর বরখাস্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে ঈশ্বরদীতে বদলি করা হয়েছে। হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা উঠে না আসার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আরও একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, হাসিনা খাতুন এই কমিটিকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, যাতে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা না হয়। প্রকৃত ঘটনা উঠে এলে তাঁর প্রতিবেদন মিথ্যা প্রমাণিত হবে—এ জন্যই তিনি এটি করছেন।
‘অভিযোগপত্র দাখিল হলে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে খালেক সিকদারকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে।’
জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘খালেকের বিষয়টা আমি জানি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে, এটা আমার নলেজে নেই। অভিযোগপত্র দাখিল হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার আগে একবার তদন্ত হয়েছিল। সেই রিপোর্ট আমি দেখিনি। আমি আসার পরে আবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই প্রকৃত ঘটনা এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আসবে। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে শুধু রাজশাহী থেকে বদলি করে পাবনার পাকশীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম খালেক সিকদার। তিনি রেলওয়ের একজন ফেরো প্রিন্টার। আগে তিনি রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের (সিএমই) দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।
ওই দপ্তরেই তিনি সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টা চালান গত বছরের ৭ মে। এ ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গত বছরের ২০ জুন নগরের চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন। তদন্তে পুলিশ প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
তবে এখনো খালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তদন্তের নামে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগমতে, ঘটনার দিন বিকেলে অফিস শেষে খালেক সিকদার ছাড়া সবাই চলে যান। তিনিও বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মোবাইল ফোন নিয়ে বের হতে ভুলে যান। তিনি মোবাইল ফোনটি নিতে গেলে তাঁকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এ সময় ধস্তাধস্তি হলে তিনি আহত হন। পরদিন তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তখন যন্ত্র প্রকৌশলী (সদর) ফজলে রব দুজনকে ডাকেন। সেখানে খালেক নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনার এক মাস পর ৬ জুন রেলওয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন। তাঁকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দিতে গড়িমসি শুরু করেন। এ জন্য ২০ জুন থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ইতিমধ্যে পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত খালেকের সঙ্গে হাসিনা খাতুনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তিনি প্রতিবেদনই দিচ্ছিলেন না। অবশেষে প্রায় ছয় মাস পর তিনি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেন, যাতে তিনি ঘটনার সত্যতা পাননি বলে উল্লেখ করেন। উল্টো ওই প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী নারীকেই কটাক্ষ করা হয়। ওই প্রতিবেদনকে মনগড়া বলছেন ভুক্তভোগী নারী।
হাসিনার ওই প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা উঠে না আসায় ওই নারী রাজশাহী মহিলা সহায়তা কর্মসূচিতে অভিযোগ করেন। এ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবা সুলতানা অবশ্য সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনায় হাসিনা খাতুনকে তদন্তে রাখা উচিত হয়নি। বাহ্যিক প্রভাবের চেষ্টা ছিল, যা আমি নিজ চোখে দেখেছি।’
অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে আজ বুধবার দুপুরে হাসিনা খাতুনকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। অভিযুক্ত ফেরো প্রিন্টার খালেক সিকদারও ফোন ধরেননি। তাই তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুনের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল তাঁর। আর খালেকের সঙ্গে ছিল সুসম্পর্ক। এ জন্য তিনি ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে খালেকের পক্ষে প্রতিবেদন দেন।
শুধু তা-ই নয়, হাসিনা খাতুন ঈশ্বরদীতে বদলি হয়ে যাওয়ার পর খালেককেও সেখানে নিয়ে যান। বর্তমানেও একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তবে ঈশ্বরদী থেকে হাসিনা ও খালেক তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ঘটনার কিছুদিন পর খালেক সিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ না হতেই তাঁর বরখাস্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে ঈশ্বরদীতে বদলি করা হয়েছে। হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা উঠে না আসার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আরও একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, হাসিনা খাতুন এই কমিটিকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, যাতে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা না হয়। প্রকৃত ঘটনা উঠে এলে তাঁর প্রতিবেদন মিথ্যা প্রমাণিত হবে—এ জন্যই তিনি এটি করছেন।
‘অভিযোগপত্র দাখিল হলে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে খালেক সিকদারকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে।’
জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘খালেকের বিষয়টা আমি জানি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে, এটা আমার নলেজে নেই। অভিযোগপত্র দাখিল হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার আগে একবার তদন্ত হয়েছিল। সেই রিপোর্ট আমি দেখিনি। আমি আসার পরে আবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই প্রকৃত ঘটনা এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আসবে। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’

রাজশাহীতে সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে শুধু রাজশাহী থেকে বদলি করে পাবনার পাকশীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম খালেক সিকদার। তিনি রেলওয়ের একজন ফেরো প্রিন্টার। আগে তিনি রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের (সিএমই) দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।
ওই দপ্তরেই তিনি সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টা চালান গত বছরের ৭ মে। এ ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গত বছরের ২০ জুন নগরের চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন। তদন্তে পুলিশ প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
তবে এখনো খালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তদন্তের নামে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগমতে, ঘটনার দিন বিকেলে অফিস শেষে খালেক সিকদার ছাড়া সবাই চলে যান। তিনিও বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মোবাইল ফোন নিয়ে বের হতে ভুলে যান। তিনি মোবাইল ফোনটি নিতে গেলে তাঁকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এ সময় ধস্তাধস্তি হলে তিনি আহত হন। পরদিন তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তখন যন্ত্র প্রকৌশলী (সদর) ফজলে রব দুজনকে ডাকেন। সেখানে খালেক নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনার এক মাস পর ৬ জুন রেলওয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন। তাঁকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দিতে গড়িমসি শুরু করেন। এ জন্য ২০ জুন থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ইতিমধ্যে পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত খালেকের সঙ্গে হাসিনা খাতুনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তিনি প্রতিবেদনই দিচ্ছিলেন না। অবশেষে প্রায় ছয় মাস পর তিনি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেন, যাতে তিনি ঘটনার সত্যতা পাননি বলে উল্লেখ করেন। উল্টো ওই প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী নারীকেই কটাক্ষ করা হয়। ওই প্রতিবেদনকে মনগড়া বলছেন ভুক্তভোগী নারী।
হাসিনার ওই প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা উঠে না আসায় ওই নারী রাজশাহী মহিলা সহায়তা কর্মসূচিতে অভিযোগ করেন। এ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবা সুলতানা অবশ্য সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনায় হাসিনা খাতুনকে তদন্তে রাখা উচিত হয়নি। বাহ্যিক প্রভাবের চেষ্টা ছিল, যা আমি নিজ চোখে দেখেছি।’
অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে আজ বুধবার দুপুরে হাসিনা খাতুনকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। অভিযুক্ত ফেরো প্রিন্টার খালেক সিকদারও ফোন ধরেননি। তাই তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুনের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল তাঁর। আর খালেকের সঙ্গে ছিল সুসম্পর্ক। এ জন্য তিনি ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে খালেকের পক্ষে প্রতিবেদন দেন।
শুধু তা-ই নয়, হাসিনা খাতুন ঈশ্বরদীতে বদলি হয়ে যাওয়ার পর খালেককেও সেখানে নিয়ে যান। বর্তমানেও একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তবে ঈশ্বরদী থেকে হাসিনা ও খালেক তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ঘটনার কিছুদিন পর খালেক সিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ না হতেই তাঁর বরখাস্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে ঈশ্বরদীতে বদলি করা হয়েছে। হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা উঠে না আসার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আরও একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, হাসিনা খাতুন এই কমিটিকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, যাতে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা না হয়। প্রকৃত ঘটনা উঠে এলে তাঁর প্রতিবেদন মিথ্যা প্রমাণিত হবে—এ জন্যই তিনি এটি করছেন।
‘অভিযোগপত্র দাখিল হলে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে খালেক সিকদারকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে।’
জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘খালেকের বিষয়টা আমি জানি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে, এটা আমার নলেজে নেই। অভিযোগপত্র দাখিল হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার আগে একবার তদন্ত হয়েছিল। সেই রিপোর্ট আমি দেখিনি। আমি আসার পরে আবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই প্রকৃত ঘটনা এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আসবে। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহি
৩ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
৬ মিনিট আগে
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক রংপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর ওই মামলা দায়ের করেন।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার মহেশখালী দ্বীপের অদূরে সোনাদিয়া চ্যানেল
২ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। তবে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, এ নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন তাঁরা।
বছরে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ফুল হাতবদল হয় এ বাজারে। চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে দেরিতে চাষাবাদ শুরু হলেও চাষিদের নিবিড় পরিচর্যায় মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাসসহ নানা ধরনের ফুল। গাছে গাঁদা ফুল ধরে রাখতে চলছে ভিটামিন ও বালাইনাশক স্প্রে। এর মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ফুলের দামও। বিজয় দিবসের আগে এ দাম আরও বাড়বে বলে আশা চাষিদের।
গদখালীর ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা শীতের মৌসুমের বিশেষ দিবসগুলো ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য চাষিরা কয়েক মাস আগে থেকে খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম কম হলেও বিশেষ দিবসগুলোতে দাম বাড়বে বলে আশা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার।’
গদখালী মোকামে ফুল বিক্রি করতে আসা চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে ফুলের উৎপাদন ও বিক্রি বাড়ে। এ বছরও আমরা ফুল বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছি। আজকে বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ তিন টাকা। বর্তমানে বাজারে গোলাপ ও গাঁদার দাম সবচেয়ে কম। আশা করছি, বিজয় দিবস উপলক্ষে সব ধরনের ফুলের দাম বাড়বে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার। দেশের পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে ফুলের বাজার চাঙা হবে।’
বৃহস্পতিবার গদখালী বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৩-৪ টাকা, রজনীগন্ধা ৮-১৫ টাকা, জারবেরা ৮-১০ টাকা, গাঁদা প্রতি হাজার ১০০ টাকা। গ্লাডিওলাস ৬-৮ টাকা, জারবেরা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা। কৃষকেরা জানান, এখন গোলাপ ও রজনীগন্ধা ছাড়া সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগামী সপ্তাহ থেকে এই দুটি ফুলের দামও বাড়বে বলে জানান তাঁরা।
ঝিকরগাছার কুলিয়া গ্রামের চাষি আরিজুল ইসলাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে রজনীগন্ধা চাষ করেছি। প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। আশা করছি, আরও প্রায় তিন লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে। মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে ১০-১২ টাকা দরে প্রতিটি রজনীগন্ধার স্টিক বিক্রি করলেও এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ২১ টাকা দরেও রজনীগন্ধা বিক্রি করেছি।’
পটুয়াপাড়া গ্রামের চাষি তৈয়ব আলী বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে গোপাল চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গোলাপ ফুলের উৎপাদন বেশি। বাজারে গোলাপের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। গাঁদা ফুলের দামেও ধস নেমেছে। আশা করছি, বিজয় দিবসের আগে আবার ফুলের দাম বাড়বে। এই মৌসুমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হতে পারব।’
ফুল চাষ ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ডে, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ, ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণ উৎসব, পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এ বছরও ৫০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসগুলো জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয় না। তাই আমাদের ফুলের চাহিদা ও বিক্রি কমে যায়। তারপরও বাজার ধরার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি, দিবসগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় সাড়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৩ ধরনের ফুলের চাষ হয়েছে। এ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ।

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। তবে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, এ নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন তাঁরা।
বছরে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ফুল হাতবদল হয় এ বাজারে। চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে দেরিতে চাষাবাদ শুরু হলেও চাষিদের নিবিড় পরিচর্যায় মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাসসহ নানা ধরনের ফুল। গাছে গাঁদা ফুল ধরে রাখতে চলছে ভিটামিন ও বালাইনাশক স্প্রে। এর মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ফুলের দামও। বিজয় দিবসের আগে এ দাম আরও বাড়বে বলে আশা চাষিদের।
গদখালীর ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা শীতের মৌসুমের বিশেষ দিবসগুলো ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য চাষিরা কয়েক মাস আগে থেকে খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম কম হলেও বিশেষ দিবসগুলোতে দাম বাড়বে বলে আশা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার।’
গদখালী মোকামে ফুল বিক্রি করতে আসা চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে ফুলের উৎপাদন ও বিক্রি বাড়ে। এ বছরও আমরা ফুল বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছি। আজকে বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ তিন টাকা। বর্তমানে বাজারে গোলাপ ও গাঁদার দাম সবচেয়ে কম। আশা করছি, বিজয় দিবস উপলক্ষে সব ধরনের ফুলের দাম বাড়বে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার। দেশের পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে ফুলের বাজার চাঙা হবে।’
বৃহস্পতিবার গদখালী বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৩-৪ টাকা, রজনীগন্ধা ৮-১৫ টাকা, জারবেরা ৮-১০ টাকা, গাঁদা প্রতি হাজার ১০০ টাকা। গ্লাডিওলাস ৬-৮ টাকা, জারবেরা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা। কৃষকেরা জানান, এখন গোলাপ ও রজনীগন্ধা ছাড়া সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগামী সপ্তাহ থেকে এই দুটি ফুলের দামও বাড়বে বলে জানান তাঁরা।
ঝিকরগাছার কুলিয়া গ্রামের চাষি আরিজুল ইসলাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে রজনীগন্ধা চাষ করেছি। প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। আশা করছি, আরও প্রায় তিন লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে। মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে ১০-১২ টাকা দরে প্রতিটি রজনীগন্ধার স্টিক বিক্রি করলেও এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ২১ টাকা দরেও রজনীগন্ধা বিক্রি করেছি।’
পটুয়াপাড়া গ্রামের চাষি তৈয়ব আলী বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে গোপাল চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গোলাপ ফুলের উৎপাদন বেশি। বাজারে গোলাপের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। গাঁদা ফুলের দামেও ধস নেমেছে। আশা করছি, বিজয় দিবসের আগে আবার ফুলের দাম বাড়বে। এই মৌসুমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হতে পারব।’
ফুল চাষ ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ডে, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ, ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণ উৎসব, পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এ বছরও ৫০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসগুলো জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয় না। তাই আমাদের ফুলের চাহিদা ও বিক্রি কমে যায়। তারপরও বাজার ধরার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি, দিবসগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় সাড়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৩ ধরনের ফুলের চাষ হয়েছে। এ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ।

রাজশাহীতে সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে শুধু রাজশাহী থেকে বদলি করে পাবনার পাকশীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ
১৩ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
৬ মিনিট আগে
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক রংপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর ওই মামলা দায়ের করেন।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার মহেশখালী দ্বীপের অদূরে সোনাদিয়া চ্যানেল
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
সিআইডির প্রধান ছিবগাত উল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের মরদেহ শনাক্তের কাজ আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে করা হবে। রায়েরবাজার কবরস্থানে ১১৪ জনের মতো জুলাই শহীদকে দাফন করা হয়েছে। তবে শনাক্তের প্রক্রিয়াটি একটু সময়সাপেক্ষ। শহীদদের দেহাবশেষ কবর থেকে তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য রায়েরবাজার কবরস্থানেই একটি অস্থায়ী ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী অজ্ঞাত শহীদদের লাশ উত্তোলনপূর্বক শনাক্তকরণ কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডিপ্রধান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী মরদেহগুলো কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। স্বজনেরা চাইলে মরদেহ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হবে, যাতে তাঁরা কবরস্থ করতে পারেন অথবা মরদেহগুলো যথাযথ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন করা হবে।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, কোনো দেশে এ ধরনের গণহত্যার ক্ষেত্রে তদন্ত ও লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য ‘মিনেসোটা প্রটোকল’ অনুসরণ করা হয়। সে অনুযায়ী এসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ও তদন্তকাজ সম্পন্ন করা হবে। এ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তাই কবে নাগাদ শেষ হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রের মাধ্যমে বেআইনি হত্যার ফরেনসিক তদন্তের জাতিসংঘের নির্দেশিকা হচ্ছে মিনেসোটা প্রটোকল।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আর্জেন্টিনার ফরেনসিক অ্যানথ্রোপোলজিস্ট লুইস ফনডিব্রাইডারও উপস্থিত ছিলেন।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস আর্জেন্টিনা থেকে ঢাকায় এসে পুরো কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি গত ৪০ বছরে ৬৫টি দেশে একই ধরনের কাজ করেছেন।
মরদেহ উত্তোলন থেকে শুরু করে পুনরায় দাফন পর্যন্ত নির্দিষ্ট ধাপে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে ছিবগাত উল্লাহ বলেন, আবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ১১৪টি কবর চিহ্নিত হয়েছে, যা বাস্তবে কমবেশি হতে পারে। মরদেহ তোলার পর ময়নাতদন্ত, বোন স্যাম্পল/টিস্যু সংগ্রহ, ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করা হবে।
মরদেহ নিতে কতজন স্বজন এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন—জানতে চাইলে ছিবগাত উল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ জন স্বজন আবেদন করেছেন। আরও কেউ থাকলে সিআইডিতে যোগাযোগ করতে পারবেন। সিআইডির হটলাইনে যোগাযোগ করলে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রায়েরবাজার কবরস্থানের যেখানে দাফন করা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেখানে মার্বেল পাথর, টাইলস দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ২ আগস্ট রায়েরবাজার কবরস্থান পরিদর্শনে গিয়ে অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
সিআইডির প্রধান ছিবগাত উল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের মরদেহ শনাক্তের কাজ আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে করা হবে। রায়েরবাজার কবরস্থানে ১১৪ জনের মতো জুলাই শহীদকে দাফন করা হয়েছে। তবে শনাক্তের প্রক্রিয়াটি একটু সময়সাপেক্ষ। শহীদদের দেহাবশেষ কবর থেকে তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য রায়েরবাজার কবরস্থানেই একটি অস্থায়ী ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী অজ্ঞাত শহীদদের লাশ উত্তোলনপূর্বক শনাক্তকরণ কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডিপ্রধান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী মরদেহগুলো কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। স্বজনেরা চাইলে মরদেহ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হবে, যাতে তাঁরা কবরস্থ করতে পারেন অথবা মরদেহগুলো যথাযথ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন করা হবে।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, কোনো দেশে এ ধরনের গণহত্যার ক্ষেত্রে তদন্ত ও লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য ‘মিনেসোটা প্রটোকল’ অনুসরণ করা হয়। সে অনুযায়ী এসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ও তদন্তকাজ সম্পন্ন করা হবে। এ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তাই কবে নাগাদ শেষ হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রের মাধ্যমে বেআইনি হত্যার ফরেনসিক তদন্তের জাতিসংঘের নির্দেশিকা হচ্ছে মিনেসোটা প্রটোকল।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আর্জেন্টিনার ফরেনসিক অ্যানথ্রোপোলজিস্ট লুইস ফনডিব্রাইডারও উপস্থিত ছিলেন।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস আর্জেন্টিনা থেকে ঢাকায় এসে পুরো কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি গত ৪০ বছরে ৬৫টি দেশে একই ধরনের কাজ করেছেন।
মরদেহ উত্তোলন থেকে শুরু করে পুনরায় দাফন পর্যন্ত নির্দিষ্ট ধাপে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে ছিবগাত উল্লাহ বলেন, আবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ১১৪টি কবর চিহ্নিত হয়েছে, যা বাস্তবে কমবেশি হতে পারে। মরদেহ তোলার পর ময়নাতদন্ত, বোন স্যাম্পল/টিস্যু সংগ্রহ, ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করা হবে।
মরদেহ নিতে কতজন স্বজন এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন—জানতে চাইলে ছিবগাত উল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ জন স্বজন আবেদন করেছেন। আরও কেউ থাকলে সিআইডিতে যোগাযোগ করতে পারবেন। সিআইডির হটলাইনে যোগাযোগ করলে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রায়েরবাজার কবরস্থানের যেখানে দাফন করা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেখানে মার্বেল পাথর, টাইলস দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ২ আগস্ট রায়েরবাজার কবরস্থান পরিদর্শনে গিয়ে অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

রাজশাহীতে সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে শুধু রাজশাহী থেকে বদলি করে পাবনার পাকশীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ
১৩ আগস্ট ২০২৫
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহি
৩ মিনিট আগে
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক রংপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর ওই মামলা দায়ের করেন।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার মহেশখালী দ্বীপের অদূরে সোনাদিয়া চ্যানেল
২ ঘণ্টা আগেসৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক রংপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর ওই মামলা দায়ের করেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা মামলার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযুক্তরা হচ্ছেন সৈয়দপুর শহরের রংপুর রোডের (বঙ্গবন্ধু সড়ক) হোটেল আমজাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আমিনুল ইসলাম, সৈয়দপুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহিন আকতার, সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নীলফামারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এস এম মোর্শেদুল ইসলাম এবং সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম।
মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমিতে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরের রংপুর রোডে (বঙ্গবন্ধু সড়ক) মো. আমিনুল ইসলাম রেলওয়ে মালিকানাধীন জমি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেন।
সৈয়দপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহিন আকতার, সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নীলফামারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এস এম মোর্শেদুল ইসলাম এবং সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমিনুল ইসলামকে সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে জমিতে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণে সহায়তা করেন।
দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (এডি) বর্তমানে দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপপরিচালক পদে কর্মরত হোসাইন শরীফ বিষয়টি ব্যাপক অনুসন্ধান করেন। এরপর গত ২৬ নভেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমিতে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র নীলফামারী সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ে মালিকানাধীন জমি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় পাঁচটি মামলা দায়ের করল।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক রংপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর ওই মামলা দায়ের করেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা মামলার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযুক্তরা হচ্ছেন সৈয়দপুর শহরের রংপুর রোডের (বঙ্গবন্ধু সড়ক) হোটেল আমজাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আমিনুল ইসলাম, সৈয়দপুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহিন আকতার, সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নীলফামারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এস এম মোর্শেদুল ইসলাম এবং সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম।
মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমিতে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরের রংপুর রোডে (বঙ্গবন্ধু সড়ক) মো. আমিনুল ইসলাম রেলওয়ে মালিকানাধীন জমি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেন।
সৈয়দপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহিন আকতার, সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নীলফামারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এস এম মোর্শেদুল ইসলাম এবং সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমিনুল ইসলামকে সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে জমিতে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণে সহায়তা করেন।
দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (এডি) বর্তমানে দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপপরিচালক পদে কর্মরত হোসাইন শরীফ বিষয়টি ব্যাপক অনুসন্ধান করেন। এরপর গত ২৬ নভেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমিতে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র নীলফামারী সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ে মালিকানাধীন জমি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় পাঁচটি মামলা দায়ের করল।

রাজশাহীতে সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে শুধু রাজশাহী থেকে বদলি করে পাবনার পাকশীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ
১৩ আগস্ট ২০২৫
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহি
৩ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
৬ মিনিট আগে
কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার মহেশখালী দ্বীপের অদূরে সোনাদিয়া চ্যানেল
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার মহেশখালী দ্বীপের অদূরে সোনাদিয়া চ্যানেলসংলগ্ন সাগর উপকূলে এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং বোট ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাত দল বোটে থাকা মাছ, খাবার, ইঞ্জিন, ব্যাটারি, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ জেলেদের জিম্মি করে রাখে।
ঘটনাস্থল থেকে এফবি তাসমীম নামের অন্য একটি ফিশিং বোট কোস্ট গার্ডের জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ সাহায্যের জন্য আবেদন করলে বিষয়টি কোস্ট গার্ড অবগত হয়।
এ তথ্যের ভিত্তিতে মহেশখালী কোস্ট গার্ড স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করে। এ সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যান।
পরে উদ্ধার করা জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বোটসহ মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার মহেশখালী দ্বীপের অদূরে সোনাদিয়া চ্যানেলসংলগ্ন সাগর উপকূলে এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং বোট ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাত দল বোটে থাকা মাছ, খাবার, ইঞ্জিন, ব্যাটারি, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ জেলেদের জিম্মি করে রাখে।
ঘটনাস্থল থেকে এফবি তাসমীম নামের অন্য একটি ফিশিং বোট কোস্ট গার্ডের জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ সাহায্যের জন্য আবেদন করলে বিষয়টি কোস্ট গার্ড অবগত হয়।
এ তথ্যের ভিত্তিতে মহেশখালী কোস্ট গার্ড স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করে। এ সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যান।
পরে উদ্ধার করা জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বোটসহ মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

রাজশাহীতে সহকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে শুধু রাজশাহী থেকে বদলি করে পাবনার পাকশীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ
১৩ আগস্ট ২০২৫
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহি
৩ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
৬ মিনিট আগে
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক রংপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর ওই মামলা দায়ের করেন।
১ ঘণ্টা আগে