নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর বিএনপিতে এখন ‘হাইব্রিডের বাম্পার ফলন’ হচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সকালে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগরের বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। সংবাদ সম্মেলনে নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরে এসব বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। সংবাদ সম্মেলনে কয়েক নেতার দখলদারির অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে থানা ও ওয়ার্ডে পকেট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিগত দিনে যেসব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা, মামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদেরই নগর বিএনপির কিছু নেতা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন, শিষ্য বানাচ্ছেন।’ তিনি দাবি করেন, নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সদস্যসচিব ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ, মাহমুদুল হক রুবেল, হারুনুর আব্দুর রাজ্জাক, কমিটির সাবেক সদস্য বদরুদ্দোজা বদর বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা।
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিজান ও আমিনুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন নির্বাচনে সরাসরি ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোসহ দলীয় ভূমিকা পালন করেছেন।’ বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আমিনুল ইসলাম রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণ করা সন্ত্রাসী রনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক। রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও তাঁকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামানের ভাই নুরুজ্জামান টুকুর (রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে। আর গত ৫ আগস্টের পর রাজশাহী পুলিশ লাইনস স্কুল থেকে বিতাড়িত হওয়া অধ্যক্ষ গোলাম মাওলাকে তাঁর চেয়ারে বসাতে সেখানে পেশিশক্তি দেখাতে গিয়েছিলেন মিজান। তাঁদের ইন্ধনে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাসায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২২ জুলাই বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলুর বাসায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে হামলা হয়। পরে তাঁকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। মিলুর বাসায় হামলাকারী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বর্তমানে ভোল পরিবর্তন করে নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘মহানগর বিএনপিতে একটি অনুপ্রবেশকারী সক্রিয় সন্ত্রাসী বলয়ের কারণে তিনটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই সন্ত্রাসী বলয় নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সরাসরি নেতৃত্ব-আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বহাল তবিয়তে আছে। কিছুদিন আগে নগরের উপকণ্ঠে ভুগরইলে নওহাটা যুবদলের সাবেক সদস্য সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে তাঁর বাবা আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। হামলার নেপথ্যে সাঈদ, শিপলু, সোহাগ, আব্দুল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ, শান্ত, শিমুল, ইমনের নাম উঠে এসেছে। কয়েক বছর আগেও রাজশাহী নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড যুবদল কর্মী রিয়াজকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পেছনে তৎকালীন মহানগর তাঁতী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নাঈম, রানা, রনি, অভির সম্পৃক্ততা উঠে আসে। সম্প্রতি কাদিরগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জিম্মি করে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে নিরীহ রিকশাচালক গোলাম হোসেনকে খুন করা হয়। এ খুনে নাঈম, সোহেল রানা, তারেক, ফাইজুল হক ফাহি, সুমন সরদার, রনির নাম আলোচিত হয়েছে। এই তিনটি খুনের অধিকাংশ প্রধান অভিযুক্ত বিগত সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা নগর বিএনপির একটি শক্তিশালী বলয়ের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লালিত-পালিত হয়ে একের পর এক অপকর্ম ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি দখলের অভিযোগও করা হয়। এতে বলা হয়, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ও বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি ৯ আগস্ট বলপূর্বক দখল নেওয়া হয়। এর আগে বিনা নির্বাচনে অবৈধভাবে নজরুল ইসলাম হেলালকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটিও ঘোষণা দেওয়া হয়। মামুন এর আগে নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে বাস মালিক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মরহুম আনোয়ার হোসেন আনুকে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাড়িয়ে দিয়ে নিজের ভাই শহিদুর রশিদ মন্টুকে বাস মালিক সমিতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই একই সড়ক পরিবহন মালিক কমিটির তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মামুনের আজ্ঞাবহ নজরুল ইসলাম হেলাল। এসব কারণে তিনি র্যাবের এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সাইদুর রহমান পিন্টু দাবি করেন, নগর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিসের জায়গাটি অবৈধভাবে দখল করেছেন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি মামলাও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদ মামলা হওয়ায় আদালত এই সম্পত্তিতে “স্থিতাবস্থা” জারি করলেও নজরুল হুদা কিসের বলে কিসের জোরে, কোন আইনে এখন পর্যন্ত ওই জমির ভবনটি ব্যবহার করছেন ও ভাড়া দিয়েছেন, আমরা জানতে চাই।’
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের বিনিময়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন রাজশাহীতে জুলাই বিপ্লবে হামলা, খুন এবং বিএনপি অফিস ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত এজাহারভুক্ত বিভিন্ন আসামিকে আটক না করতে পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন। আবার মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের নেতৃত্বে অনেক অরাজনৈতিক নিরপরাধ ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা হচ্ছে।’
বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও লেনদেন ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, রাজপাড়া থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ও মাহমুদুল হক রুবেল অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের না জানিয়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে এবং তাঁরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তাই কমিটি গঠনের পরপরই তাঁরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে রাসেল হোসেন নামের এক যুবলীগ নেতাকে। ওই যুবলীগ নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে তাঁকে বিএনপিতে নেওয়া হয়।
নেতাদের অভিযোগ, নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নগরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মমিনকে প্রত্যক্ষভাবে শুধু সহযোগিতাই করেননি বরং সরাসরি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচন-পরবর্তী ফলাফল ঘোষণার পরে ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে বরণ করেছেন। মামুন ও ঈসা এত দিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছিলেন। তাই আওয়ামী আমলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি বলে তাঁরা মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা ও সদস্যসচিব মামুন-অর-রশিদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। সেটি পড়ে দেখার পর মামুন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, তাদের প্রতি অনুরোধ করব, তারা যেন নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে দল, দেশ এবং জনগণের জন্য কাজ করে। এই বিষয়ে এটাই আমার বক্তব্য।’
এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘সাবেক যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট তাঁর ব্যক্তিস্বার্থে ৫ আগস্টের পর মাউশির একজন কর্মকর্তাকে চেয়ার থেকে টেনে বের করে দেন। এ কারণে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলাম। পরে সাবেক একজন ছাত্রনেতা হিসেবে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করি। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আবার খেয়ালখুশি মতো যা খুশি করছেন। কখনো বিক্ষোভ করছেন, কখনো সংবাদ সম্মেলন করছেন। সবই মিথ্যা অভিযোগ।’

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর বিএনপিতে এখন ‘হাইব্রিডের বাম্পার ফলন’ হচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সকালে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগরের বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। সংবাদ সম্মেলনে নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরে এসব বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। সংবাদ সম্মেলনে কয়েক নেতার দখলদারির অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে থানা ও ওয়ার্ডে পকেট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিগত দিনে যেসব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা, মামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদেরই নগর বিএনপির কিছু নেতা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন, শিষ্য বানাচ্ছেন।’ তিনি দাবি করেন, নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সদস্যসচিব ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ, মাহমুদুল হক রুবেল, হারুনুর আব্দুর রাজ্জাক, কমিটির সাবেক সদস্য বদরুদ্দোজা বদর বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা।
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিজান ও আমিনুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন নির্বাচনে সরাসরি ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোসহ দলীয় ভূমিকা পালন করেছেন।’ বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আমিনুল ইসলাম রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণ করা সন্ত্রাসী রনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক। রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও তাঁকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামানের ভাই নুরুজ্জামান টুকুর (রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে। আর গত ৫ আগস্টের পর রাজশাহী পুলিশ লাইনস স্কুল থেকে বিতাড়িত হওয়া অধ্যক্ষ গোলাম মাওলাকে তাঁর চেয়ারে বসাতে সেখানে পেশিশক্তি দেখাতে গিয়েছিলেন মিজান। তাঁদের ইন্ধনে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাসায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২২ জুলাই বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলুর বাসায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে হামলা হয়। পরে তাঁকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। মিলুর বাসায় হামলাকারী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বর্তমানে ভোল পরিবর্তন করে নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘মহানগর বিএনপিতে একটি অনুপ্রবেশকারী সক্রিয় সন্ত্রাসী বলয়ের কারণে তিনটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই সন্ত্রাসী বলয় নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সরাসরি নেতৃত্ব-আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বহাল তবিয়তে আছে। কিছুদিন আগে নগরের উপকণ্ঠে ভুগরইলে নওহাটা যুবদলের সাবেক সদস্য সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে তাঁর বাবা আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। হামলার নেপথ্যে সাঈদ, শিপলু, সোহাগ, আব্দুল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ, শান্ত, শিমুল, ইমনের নাম উঠে এসেছে। কয়েক বছর আগেও রাজশাহী নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড যুবদল কর্মী রিয়াজকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পেছনে তৎকালীন মহানগর তাঁতী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নাঈম, রানা, রনি, অভির সম্পৃক্ততা উঠে আসে। সম্প্রতি কাদিরগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জিম্মি করে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে নিরীহ রিকশাচালক গোলাম হোসেনকে খুন করা হয়। এ খুনে নাঈম, সোহেল রানা, তারেক, ফাইজুল হক ফাহি, সুমন সরদার, রনির নাম আলোচিত হয়েছে। এই তিনটি খুনের অধিকাংশ প্রধান অভিযুক্ত বিগত সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা নগর বিএনপির একটি শক্তিশালী বলয়ের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লালিত-পালিত হয়ে একের পর এক অপকর্ম ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি দখলের অভিযোগও করা হয়। এতে বলা হয়, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ও বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি ৯ আগস্ট বলপূর্বক দখল নেওয়া হয়। এর আগে বিনা নির্বাচনে অবৈধভাবে নজরুল ইসলাম হেলালকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটিও ঘোষণা দেওয়া হয়। মামুন এর আগে নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে বাস মালিক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মরহুম আনোয়ার হোসেন আনুকে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাড়িয়ে দিয়ে নিজের ভাই শহিদুর রশিদ মন্টুকে বাস মালিক সমিতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই একই সড়ক পরিবহন মালিক কমিটির তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মামুনের আজ্ঞাবহ নজরুল ইসলাম হেলাল। এসব কারণে তিনি র্যাবের এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সাইদুর রহমান পিন্টু দাবি করেন, নগর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিসের জায়গাটি অবৈধভাবে দখল করেছেন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি মামলাও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদ মামলা হওয়ায় আদালত এই সম্পত্তিতে “স্থিতাবস্থা” জারি করলেও নজরুল হুদা কিসের বলে কিসের জোরে, কোন আইনে এখন পর্যন্ত ওই জমির ভবনটি ব্যবহার করছেন ও ভাড়া দিয়েছেন, আমরা জানতে চাই।’
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের বিনিময়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন রাজশাহীতে জুলাই বিপ্লবে হামলা, খুন এবং বিএনপি অফিস ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত এজাহারভুক্ত বিভিন্ন আসামিকে আটক না করতে পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন। আবার মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের নেতৃত্বে অনেক অরাজনৈতিক নিরপরাধ ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা হচ্ছে।’
বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও লেনদেন ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, রাজপাড়া থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ও মাহমুদুল হক রুবেল অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের না জানিয়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে এবং তাঁরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তাই কমিটি গঠনের পরপরই তাঁরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে রাসেল হোসেন নামের এক যুবলীগ নেতাকে। ওই যুবলীগ নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে তাঁকে বিএনপিতে নেওয়া হয়।
নেতাদের অভিযোগ, নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নগরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মমিনকে প্রত্যক্ষভাবে শুধু সহযোগিতাই করেননি বরং সরাসরি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচন-পরবর্তী ফলাফল ঘোষণার পরে ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে বরণ করেছেন। মামুন ও ঈসা এত দিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছিলেন। তাই আওয়ামী আমলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি বলে তাঁরা মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা ও সদস্যসচিব মামুন-অর-রশিদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। সেটি পড়ে দেখার পর মামুন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, তাদের প্রতি অনুরোধ করব, তারা যেন নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে দল, দেশ এবং জনগণের জন্য কাজ করে। এই বিষয়ে এটাই আমার বক্তব্য।’
এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘সাবেক যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট তাঁর ব্যক্তিস্বার্থে ৫ আগস্টের পর মাউশির একজন কর্মকর্তাকে চেয়ার থেকে টেনে বের করে দেন। এ কারণে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলাম। পরে সাবেক একজন ছাত্রনেতা হিসেবে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করি। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আবার খেয়ালখুশি মতো যা খুশি করছেন। কখনো বিক্ষোভ করছেন, কখনো সংবাদ সম্মেলন করছেন। সবই মিথ্যা অভিযোগ।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর বিএনপিতে এখন ‘হাইব্রিডের বাম্পার ফলন’ হচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সকালে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগরের বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। সংবাদ সম্মেলনে নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরে এসব বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। সংবাদ সম্মেলনে কয়েক নেতার দখলদারির অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে থানা ও ওয়ার্ডে পকেট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিগত দিনে যেসব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা, মামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদেরই নগর বিএনপির কিছু নেতা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন, শিষ্য বানাচ্ছেন।’ তিনি দাবি করেন, নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সদস্যসচিব ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ, মাহমুদুল হক রুবেল, হারুনুর আব্দুর রাজ্জাক, কমিটির সাবেক সদস্য বদরুদ্দোজা বদর বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা।
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিজান ও আমিনুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন নির্বাচনে সরাসরি ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোসহ দলীয় ভূমিকা পালন করেছেন।’ বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আমিনুল ইসলাম রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণ করা সন্ত্রাসী রনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক। রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও তাঁকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামানের ভাই নুরুজ্জামান টুকুর (রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে। আর গত ৫ আগস্টের পর রাজশাহী পুলিশ লাইনস স্কুল থেকে বিতাড়িত হওয়া অধ্যক্ষ গোলাম মাওলাকে তাঁর চেয়ারে বসাতে সেখানে পেশিশক্তি দেখাতে গিয়েছিলেন মিজান। তাঁদের ইন্ধনে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাসায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২২ জুলাই বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলুর বাসায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে হামলা হয়। পরে তাঁকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। মিলুর বাসায় হামলাকারী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বর্তমানে ভোল পরিবর্তন করে নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘মহানগর বিএনপিতে একটি অনুপ্রবেশকারী সক্রিয় সন্ত্রাসী বলয়ের কারণে তিনটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই সন্ত্রাসী বলয় নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সরাসরি নেতৃত্ব-আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বহাল তবিয়তে আছে। কিছুদিন আগে নগরের উপকণ্ঠে ভুগরইলে নওহাটা যুবদলের সাবেক সদস্য সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে তাঁর বাবা আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। হামলার নেপথ্যে সাঈদ, শিপলু, সোহাগ, আব্দুল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ, শান্ত, শিমুল, ইমনের নাম উঠে এসেছে। কয়েক বছর আগেও রাজশাহী নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড যুবদল কর্মী রিয়াজকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পেছনে তৎকালীন মহানগর তাঁতী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নাঈম, রানা, রনি, অভির সম্পৃক্ততা উঠে আসে। সম্প্রতি কাদিরগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জিম্মি করে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে নিরীহ রিকশাচালক গোলাম হোসেনকে খুন করা হয়। এ খুনে নাঈম, সোহেল রানা, তারেক, ফাইজুল হক ফাহি, সুমন সরদার, রনির নাম আলোচিত হয়েছে। এই তিনটি খুনের অধিকাংশ প্রধান অভিযুক্ত বিগত সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা নগর বিএনপির একটি শক্তিশালী বলয়ের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লালিত-পালিত হয়ে একের পর এক অপকর্ম ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি দখলের অভিযোগও করা হয়। এতে বলা হয়, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ও বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি ৯ আগস্ট বলপূর্বক দখল নেওয়া হয়। এর আগে বিনা নির্বাচনে অবৈধভাবে নজরুল ইসলাম হেলালকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটিও ঘোষণা দেওয়া হয়। মামুন এর আগে নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে বাস মালিক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মরহুম আনোয়ার হোসেন আনুকে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাড়িয়ে দিয়ে নিজের ভাই শহিদুর রশিদ মন্টুকে বাস মালিক সমিতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই একই সড়ক পরিবহন মালিক কমিটির তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মামুনের আজ্ঞাবহ নজরুল ইসলাম হেলাল। এসব কারণে তিনি র্যাবের এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সাইদুর রহমান পিন্টু দাবি করেন, নগর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিসের জায়গাটি অবৈধভাবে দখল করেছেন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি মামলাও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদ মামলা হওয়ায় আদালত এই সম্পত্তিতে “স্থিতাবস্থা” জারি করলেও নজরুল হুদা কিসের বলে কিসের জোরে, কোন আইনে এখন পর্যন্ত ওই জমির ভবনটি ব্যবহার করছেন ও ভাড়া দিয়েছেন, আমরা জানতে চাই।’
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের বিনিময়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন রাজশাহীতে জুলাই বিপ্লবে হামলা, খুন এবং বিএনপি অফিস ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত এজাহারভুক্ত বিভিন্ন আসামিকে আটক না করতে পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন। আবার মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের নেতৃত্বে অনেক অরাজনৈতিক নিরপরাধ ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা হচ্ছে।’
বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও লেনদেন ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, রাজপাড়া থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ও মাহমুদুল হক রুবেল অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের না জানিয়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে এবং তাঁরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তাই কমিটি গঠনের পরপরই তাঁরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে রাসেল হোসেন নামের এক যুবলীগ নেতাকে। ওই যুবলীগ নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে তাঁকে বিএনপিতে নেওয়া হয়।
নেতাদের অভিযোগ, নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নগরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মমিনকে প্রত্যক্ষভাবে শুধু সহযোগিতাই করেননি বরং সরাসরি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচন-পরবর্তী ফলাফল ঘোষণার পরে ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে বরণ করেছেন। মামুন ও ঈসা এত দিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছিলেন। তাই আওয়ামী আমলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি বলে তাঁরা মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা ও সদস্যসচিব মামুন-অর-রশিদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। সেটি পড়ে দেখার পর মামুন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, তাদের প্রতি অনুরোধ করব, তারা যেন নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে দল, দেশ এবং জনগণের জন্য কাজ করে। এই বিষয়ে এটাই আমার বক্তব্য।’
এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘সাবেক যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট তাঁর ব্যক্তিস্বার্থে ৫ আগস্টের পর মাউশির একজন কর্মকর্তাকে চেয়ার থেকে টেনে বের করে দেন। এ কারণে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলাম। পরে সাবেক একজন ছাত্রনেতা হিসেবে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করি। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আবার খেয়ালখুশি মতো যা খুশি করছেন। কখনো বিক্ষোভ করছেন, কখনো সংবাদ সম্মেলন করছেন। সবই মিথ্যা অভিযোগ।’

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর বিএনপিতে এখন ‘হাইব্রিডের বাম্পার ফলন’ হচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সকালে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগরের বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। সংবাদ সম্মেলনে নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরে এসব বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। সংবাদ সম্মেলনে কয়েক নেতার দখলদারির অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে থানা ও ওয়ার্ডে পকেট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিগত দিনে যেসব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা, মামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদেরই নগর বিএনপির কিছু নেতা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন, শিষ্য বানাচ্ছেন।’ তিনি দাবি করেন, নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সদস্যসচিব ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ, মাহমুদুল হক রুবেল, হারুনুর আব্দুর রাজ্জাক, কমিটির সাবেক সদস্য বদরুদ্দোজা বদর বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা।
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিজান ও আমিনুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন নির্বাচনে সরাসরি ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোসহ দলীয় ভূমিকা পালন করেছেন।’ বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আমিনুল ইসলাম রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণ করা সন্ত্রাসী রনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক। রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও তাঁকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামানের ভাই নুরুজ্জামান টুকুর (রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে। আর গত ৫ আগস্টের পর রাজশাহী পুলিশ লাইনস স্কুল থেকে বিতাড়িত হওয়া অধ্যক্ষ গোলাম মাওলাকে তাঁর চেয়ারে বসাতে সেখানে পেশিশক্তি দেখাতে গিয়েছিলেন মিজান। তাঁদের ইন্ধনে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাসায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২২ জুলাই বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলুর বাসায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে হামলা হয়। পরে তাঁকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। মিলুর বাসায় হামলাকারী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বর্তমানে ভোল পরিবর্তন করে নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘মহানগর বিএনপিতে একটি অনুপ্রবেশকারী সক্রিয় সন্ত্রাসী বলয়ের কারণে তিনটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই সন্ত্রাসী বলয় নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সরাসরি নেতৃত্ব-আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বহাল তবিয়তে আছে। কিছুদিন আগে নগরের উপকণ্ঠে ভুগরইলে নওহাটা যুবদলের সাবেক সদস্য সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে তাঁর বাবা আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। হামলার নেপথ্যে সাঈদ, শিপলু, সোহাগ, আব্দুল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ, শান্ত, শিমুল, ইমনের নাম উঠে এসেছে। কয়েক বছর আগেও রাজশাহী নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড যুবদল কর্মী রিয়াজকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পেছনে তৎকালীন মহানগর তাঁতী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নাঈম, রানা, রনি, অভির সম্পৃক্ততা উঠে আসে। সম্প্রতি কাদিরগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জিম্মি করে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে নিরীহ রিকশাচালক গোলাম হোসেনকে খুন করা হয়। এ খুনে নাঈম, সোহেল রানা, তারেক, ফাইজুল হক ফাহি, সুমন সরদার, রনির নাম আলোচিত হয়েছে। এই তিনটি খুনের অধিকাংশ প্রধান অভিযুক্ত বিগত সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা নগর বিএনপির একটি শক্তিশালী বলয়ের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লালিত-পালিত হয়ে একের পর এক অপকর্ম ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি দখলের অভিযোগও করা হয়। এতে বলা হয়, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ও বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি ৯ আগস্ট বলপূর্বক দখল নেওয়া হয়। এর আগে বিনা নির্বাচনে অবৈধভাবে নজরুল ইসলাম হেলালকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটিও ঘোষণা দেওয়া হয়। মামুন এর আগে নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে বাস মালিক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মরহুম আনোয়ার হোসেন আনুকে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাড়িয়ে দিয়ে নিজের ভাই শহিদুর রশিদ মন্টুকে বাস মালিক সমিতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই একই সড়ক পরিবহন মালিক কমিটির তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মামুনের আজ্ঞাবহ নজরুল ইসলাম হেলাল। এসব কারণে তিনি র্যাবের এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সাইদুর রহমান পিন্টু দাবি করেন, নগর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিসের জায়গাটি অবৈধভাবে দখল করেছেন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি মামলাও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদ মামলা হওয়ায় আদালত এই সম্পত্তিতে “স্থিতাবস্থা” জারি করলেও নজরুল হুদা কিসের বলে কিসের জোরে, কোন আইনে এখন পর্যন্ত ওই জমির ভবনটি ব্যবহার করছেন ও ভাড়া দিয়েছেন, আমরা জানতে চাই।’
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের বিনিময়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন রাজশাহীতে জুলাই বিপ্লবে হামলা, খুন এবং বিএনপি অফিস ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত এজাহারভুক্ত বিভিন্ন আসামিকে আটক না করতে পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন। আবার মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের নেতৃত্বে অনেক অরাজনৈতিক নিরপরাধ ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা হচ্ছে।’
বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও লেনদেন ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, রাজপাড়া থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ও মাহমুদুল হক রুবেল অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের না জানিয়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে এবং তাঁরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তাই কমিটি গঠনের পরপরই তাঁরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে রাসেল হোসেন নামের এক যুবলীগ নেতাকে। ওই যুবলীগ নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে তাঁকে বিএনপিতে নেওয়া হয়।
নেতাদের অভিযোগ, নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নগরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মমিনকে প্রত্যক্ষভাবে শুধু সহযোগিতাই করেননি বরং সরাসরি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচন-পরবর্তী ফলাফল ঘোষণার পরে ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে বরণ করেছেন। মামুন ও ঈসা এত দিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছিলেন। তাই আওয়ামী আমলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি বলে তাঁরা মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা ও সদস্যসচিব মামুন-অর-রশিদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। সেটি পড়ে দেখার পর মামুন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, তাদের প্রতি অনুরোধ করব, তারা যেন নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে দল, দেশ এবং জনগণের জন্য কাজ করে। এই বিষয়ে এটাই আমার বক্তব্য।’
এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘সাবেক যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট তাঁর ব্যক্তিস্বার্থে ৫ আগস্টের পর মাউশির একজন কর্মকর্তাকে চেয়ার থেকে টেনে বের করে দেন। এ কারণে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলাম। পরে সাবেক একজন ছাত্রনেতা হিসেবে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করি। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আবার খেয়ালখুশি মতো যা খুশি করছেন। কখনো বিক্ষোভ করছেন, কখনো সংবাদ সম্মেলন করছেন। সবই মিথ্যা অভিযোগ।’

বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন নওগাঁ-৫ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমীন। আজ রোববার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
৩৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়ে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় ছাত্রশক্তি বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক সায়মন শমিত জিয়নকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়নের বাড়ির গেটে রেখা যাওয়া একটি চিরকুটে এই হুমকি দেওয়া হয়।
৪৪ মিনিট আগেবোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান (৩৬), রিয়াজ উদ্দিন ও আজমিরী আমরিন (২০)। এর মধ্যে মো. মিজান ও রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আজমিরী আমরিনকে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরে লালমোহন থেকে চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভোলার দিকে যাচ্ছিল। পথে মানিকার হাটবাজার এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে সেটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অটোরিকশাচালকসহ তিন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওসার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান (৩৬), রিয়াজ উদ্দিন ও আজমিরী আমরিন (২০)। এর মধ্যে মো. মিজান ও রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আজমিরী আমরিনকে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরে লালমোহন থেকে চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভোলার দিকে যাচ্ছিল। পথে মানিকার হাটবাজার এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে সেটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অটোরিকশাচালকসহ তিন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওসার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর
১১ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন নওগাঁ-৫ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমীন। আজ রোববার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
৩৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়ে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় ছাত্রশক্তি বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক সায়মন শমিত জিয়নকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়নের বাড়ির গেটে রেখা যাওয়া একটি চিরকুটে এই হুমকি দেওয়া হয়।
৪৪ মিনিট আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন নওগাঁ-৫ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমীন। আজ রোববার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
মনিরা শারমীন লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থী রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ-৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সঙ্গে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না।’
মনিরা শারমীন আরও বলেছেন, ‘আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্টের চেয়ে আমার গণ অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মনিরা শারমীন আরও লেখেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারও একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমীনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন নওগাঁ-৫ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমীন। আজ রোববার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
মনিরা শারমীন লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থী রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ-৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সঙ্গে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না।’
মনিরা শারমীন আরও বলেছেন, ‘আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্টের চেয়ে আমার গণ অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মনিরা শারমীন আরও লেখেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারও একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমীনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর
১১ মে ২০২৫
বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়ে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় ছাত্রশক্তি বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক সায়মন শমিত জিয়নকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়নের বাড়ির গেটে রেখা যাওয়া একটি চিরকুটে এই হুমকি দেওয়া হয়।
৪৪ মিনিট আগেটঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়ে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মহাসড়কে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে পুলিশের অনুরোধে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। ছাত্র-জনতার ব্যানারে পালিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়ে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মহাসড়কে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে পুলিশের অনুরোধে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। ছাত্র-জনতার ব্যানারে পালিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর
১১ মে ২০২৫
বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন নওগাঁ-৫ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমীন। আজ রোববার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
৩৮ মিনিট আগে
জাতীয় ছাত্রশক্তি বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক সায়মন শমিত জিয়নকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়নের বাড়ির গেটে রেখা যাওয়া একটি চিরকুটে এই হুমকি দেওয়া হয়।
৪৪ মিনিট আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

জাতীয় ছাত্রশক্তি বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক সায়মন শমিত জিয়নকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়নের বাড়ির গেটে রেখা যাওয়া একটি চিরকুটে এই হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরদিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।
এদিকে আজ রোববার হুমকির চিরকুটটি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শেখ বাদশা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানতে চাইলে সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, ২৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১টা ২৫ মিনিটে প্রতিদিনের মতো বাড়িতে ফেরার সময় তিনি বাড়ির মূল গেটের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা একটি চিরকুট দেখতে পান। কাগজটি খুলে দেখতে পান, সেখানে লেখা ছিল—‘সায়মন জিয়ন। তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু। দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ। জুলাই... জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’
চিরকুটের ভাষা ও হুমকির ধরন দেখে তাঁর ধারণা, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ে রাজপথে ছিলাম, গুলির মুখোমুখি হয়েই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন করেছি। এসব হুমকি-ধমকিতে আমরা ভয় পাই না। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। দেশের জন্য আমরা যে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও যে কাজ করব, তা অব্যাহত থাকবে।
‘কিছুদিন আগে জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি ভাইকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আজ জাতির কাছে একজন শহীদ। তিনি জুলাইকে ধারণ করেই শহীদ হয়েছেন, জুলাইকে বিক্রি করেননি। আমরাও সেই পথেই হাঁটতে চাই।’
সায়মন শমিত জিয়ন আরও বলেন, ‘হুমকির বিষয়টি আমি কিছু মনে না করলেও পরিবারের সবাই খুবই আতঙ্কে আছে।’
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিরকুটের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

জাতীয় ছাত্রশক্তি বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক সায়মন শমিত জিয়নকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়নের বাড়ির গেটে রেখা যাওয়া একটি চিরকুটে এই হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরদিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।
এদিকে আজ রোববার হুমকির চিরকুটটি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শেখ বাদশা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানতে চাইলে সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, ২৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১টা ২৫ মিনিটে প্রতিদিনের মতো বাড়িতে ফেরার সময় তিনি বাড়ির মূল গেটের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা একটি চিরকুট দেখতে পান। কাগজটি খুলে দেখতে পান, সেখানে লেখা ছিল—‘সায়মন জিয়ন। তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু। দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ। জুলাই... জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’
চিরকুটের ভাষা ও হুমকির ধরন দেখে তাঁর ধারণা, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ে রাজপথে ছিলাম, গুলির মুখোমুখি হয়েই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন করেছি। এসব হুমকি-ধমকিতে আমরা ভয় পাই না। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। দেশের জন্য আমরা যে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও যে কাজ করব, তা অব্যাহত থাকবে।
‘কিছুদিন আগে জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি ভাইকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আজ জাতির কাছে একজন শহীদ। তিনি জুলাইকে ধারণ করেই শহীদ হয়েছেন, জুলাইকে বিক্রি করেননি। আমরাও সেই পথেই হাঁটতে চাই।’
সায়মন শমিত জিয়ন আরও বলেন, ‘হুমকির বিষয়টি আমি কিছু মনে না করলেও পরিবারের সবাই খুবই আতঙ্কে আছে।’
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিরকুটের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর
১১ মে ২০২৫
বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন নওগাঁ-৫ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমীন। আজ রোববার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
৩৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়ে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
৪১ মিনিট আগে