Ajker Patrika

তানোরে যুবককে ধরে প্রেসক্লাবে নিয়ে তল্লাশি, মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ০০: ১৪
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর তানোর থানার সামনে থেকে এক যুবককে ধরে প্রেসক্লাবে নিয়ে তল্লাশি করেছেন একদল সাংবাদিক ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। পরে মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগ তুলে তাঁকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। পুলিশে না দেওয়ার জন্য দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। দিতে রাজি না হলে ওই যুবককে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করেছে।

গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধারের পর মধ্যরাতে পুলিশ সজল আলী (৩০) নামের ওই যুবককে স্বজনদের জিম্মায় দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। থানা-পুলিশ ঘটনাটি থামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের দাবি, ভুক্তভোগী যুবক মামলা করতে চাননি। আর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলছেন, সময় শেষ হয়ে যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশও বাদী হয়ে মামলা করতে পারে। ভুক্তভোগী সজল আলী পেশায় একজন মোটরসাইকেল মেকানিক। তাঁর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর গ্রামে।

আর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত আটজন সাংবাদিকের নাম জানা গেছে। তাঁরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের তানোর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের সঙ্গে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তানোর জোনের একজন মেকানিক, উপজেলা সদরের একজন মুদিদোকানি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যও জড়িত ছিলেন। তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুরে শিবগঞ্জ থেকে আসা সজল আলী মোটরসাইকেল নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনূরা দিয়ে মুণ্ডুমালা-তানোর সড়কে ঢোকেন। তাঁর গন্তব্য ছিল নাটোরের নলডাঙ্গায় বোনের বাড়ি। মুণ্ডুমালা আসার পরে বিএমডিএর ওই কর্মচারীর সঙ্গে তাঁর পেট্রোলপাম্পে তেল নিতে গিয়ে দেখা হয়। সজল তাঁর কাছে নলডাঙ্গা যাওয়ার সহজ রাস্তা কোনটি, তা জানতে চান। ওই কর্মচারী তখন তাঁকে তাঁর পেছন পেছন আসতে বলেন। তাঁর কথামতো সজল ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেলের পেছন পেছন আসতে থাকেন।

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তানোর থানার সামনে পৌঁছালে ওই মেকানিক তাঁকে থামান। এরপর তিনি ও চার সাংবাদিক তাঁকে আটকান। তাঁরা বলেন, সজলের কাছে মাদকদ্রব্য রয়েছে। তাঁরা পুলিশের লোক। তাঁকে তল্লাশি করতে হবে। এরপর তানোর থানার সামনে থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উপজেলা পরিষদের কাছে তাঁকে একটি প্রেসক্লাবে নেওয়া হয়।

সেখানে ব্যাগ তল্লাশি করে সজলের কাছে একটি কাঁঠাল, কিছু আম ও কিছু যবের ছাতু পাওয়া যায়। এই ছাতুকেই হেরোইন বলে ধরে নিয়ে তাঁকে থানায় নেওয়ার ভয় দেখান। এরপর থানায় নেওয়ার নামে তাঁকে আরও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মালার মোড় এলাকায় একটি স্কুলে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হয়। একপর্যায়ে যোগ দেন আরও চারজন সাংবাদিক। সজল তাঁদের টাকা দিতে না চাইলে শুরু হয় মারধর। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁর চিৎকার শুনে এগিয়ে যান।

তাঁরা পরিচয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের সাংবাদিক বলেই পরিচয় দেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের জানান, সাংবাদিকদের তো এভাবে তল্লাশি ও মারধর করার সুযোগ নেই। পরে তাঁরা সবাইকে ঘেরাও করে রেখে থানায় খবর দেন। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, এ সময় ক্ষুব্ধ লোকজন সাংবাদিকদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে ওই সাংবাদিকেরা দিকবিদিক দৌড়ে পালিয়ে যান। থানায় নেওয়ার পর পুলিশ দেখতে পায়, ওই যুবকের কাছে ছিল ছাতু। এগুলো হেরোইন নয়। পরে মধ্যরাতে সজলকে তাঁর মামা হোসাইন আলীর জিম্মায় দেন ওসি আফজাল হোসেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী সজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শারীরিকভাবে তিনি ভীষণ অসুস্থ। মারধরের কারণে সারা শরীরে ব্যাথা। তিনি কথা বলতে পারবেন না। তিনি তাঁর একজন মামার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। ওই মামার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এভাবে থানার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া অপহরণ। অপহরণ করে সজলের কাছে মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ কোনো মামলা না করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছে। কারণ, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিক।

ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন? আপনাদের সাংবাদিকেরাই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁদেরই জিজ্ঞেস করুন।’ কোন কোন সাংবাদিক এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন—জানতে চাইলে ওসি একটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতিসহ কয়েকজনের নাম জানান। আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘যিনি ভুক্তভোগী, তিনি কিংবা তাঁর স্বজনেরা মামলা করতে চাননি। এখনো তাঁরা চাইলে আমরা মামলা নেব।’

ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি বলেন, ‘কাউকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া, তল্লাশি করা, মারধর করা কিংবা টাকা দাবি করা তো সাংবাদিকদের কাজ নয়। এটা ক্রিমিনাল অফেন্স। ধামাচাপা দেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।’

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত। প্রথমত ভুক্তভোগী ব্যক্তি মামলা করলে ভালো হয়। তা না হলে তাঁর কোনো নিকটাত্মীয় মামলা করতে পারেন। কিন্তু যত দূর জানি, তাঁরা মামলা করতে চাননি। এই রকম পরিস্থিতিতে পুলিশও বাদী হয়ে মামলা করতে পারে। আমরা আরেকটু অপেক্ষা করছি। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা না হলে পুলিশই মামলা করবে। সে সুযোগ আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাহজাদপুরের হত্যা মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি   
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে র‍্যাব-১২-এর সদস্যরা অংশ নেন।

গ্রেপ্তার ওয়াজ আলী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া এলাকার মোকছেদ শেখের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সকালে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পোতাজিয়া গ্রামে মো. ওসমান গণি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এতে সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত সাব্বির হোসেনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

এ ঘটনায় মো. ওসমান গণি বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আদালত ওই মামলায় ওয়াজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পানছড়ি সীমান্তে ১১টি ভারতীয় গরুসহ আটক ১

পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি 
পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় গরুসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় গরুসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরুসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ৩ বিজিবি লোগাং জোন অভিযান চালিয়ে গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে আটক করে।

আটক ব্যক্তির নাম রন্তু চাকমা (৩৮)। তিনি পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবচরণ কার্বারিপাড়ার লিফ চরণ চাকমার ছেলে।

বিজিবি সূত্র জানায়, আজ ভোরে ৩ বিজিবির লোগাং বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টহল দল পানছড়ির হাতিমারা (সেগুনবাগান) এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় গরু ও একটি অবৈধ ওয়াকিটকিসহ এক চোরাকারবারিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে দুপুরে আটক চোরাকারবারি ও গরুগুলো পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ভারতীয় গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাছ লুট ও খেত নষ্টের অভিযোগ

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাছ লুট ও খেত নষ্টের অভিযোগ

বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন সিকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জমির বিরোধের জেরে একই গ্রামের মামুন আকন ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে মাছ লুট করেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন সিকদার। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে জামাল সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরাফাত জাহান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জামাল উদ্দিন সিকদার জানান, তিনি এলাকায় সার ও কীটনাশকের ব্যবসার পাশাপাশি বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ এবং বাড়িসংলগ্ন খেতে তরমুজ, খিরা ও ফুটি চাষ করেছেন। জমির বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মামুন আকনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢোকেন। দুর্বৃত্তরা ২-৩টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং তাঁর পুকুরের প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা পুকুরের বেড়া, খুঁটি ও জাল উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া বাড়িসংলগ্ন তরমুজ, খিরা ও ফুটিখেতের গাছ উপড়ে ফেলে তারা। ওই সময় জামাল উদ্দিন সিকদার ও তাঁর লোকজন বাধা দিতে গেলে তাঁদের হত্যা ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন হামলাকারীরা।

পরে শনিবার দুপুরে জামাল উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে মামুন আকন (৫০), দিদার আকন (৪০), জহিরুল আকন (৩৬), সুরুজ আকন (২৮), জহির রাঢ়ীসহ (৩৫) ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন।

জানতে চাইলে মামুন আকন মাছ লুট ও খেত নষ্টের কথা অস্বীকার করে বলেন, জমি উদ্ধার করতে শুক্রবার রাতে লোকজন নিয়ে মাছ ধরা হয়েছে এবং খেত পরিষ্কার করা হয়েছে।

মুলাদী থানার ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীর মাছ লুট ও তরমুজখেত নষ্টের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোলায় আবাসিক হোটেলে যুবলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ

ভোলা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভোলায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আমির হোসেন তালুকদার (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কে জাহান ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

আমির হোসেন ভোলার লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি একই এলাকার হাসপাতাল রোডের মৃত মহসিন তালুকদারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শহরের কে জাহান মার্কেটের কে জাহান হোটেলের তৃতীয় তলায় ২০২ নম্বর কক্ষটি বুকিং নেন আমির হোসেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে আমিরের কোনো সাড়াশব্দ পায়নি কেউ। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁর রুমের দরজা বন্ধ এবং ভেতরে অন্ধকার দেখতে পান। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ সদর মডেল থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে রুমের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টে মরদেহের কোনো অংশে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেন বা কী কারণে এই মৃত্যু তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত