Ajker Patrika

টিআর দিয়ে কমিশন বাণিজ্য বাদশার

রিমন রহমান, রাজশাহী
টিআর দিয়ে কমিশন বাণিজ্য বাদশার

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গাড়ি-বাড়ি-সম্পদ ফেলে গা ঢাকা দিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নগরের বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাঁকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বাদশার বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে। এমপি থাকার সময় কমিশন না পেলে তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় কোনো প্রকল্পই দিতেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ব্যক্তিগত সহকারী কামরুল হাসান সুমনের মাধ্যমে তিনি কমিশন আদায় করে নিতেন। এ ছাড়া টাকার বিনিময়ে স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের ঠিকাদারদের কাছ থেকেও কমিশন নেওয়ার অভিযোগ আছে।

ফজলে হোসেন বাদশা ২০০৮ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে রাজশাহী সদরের এমপি হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নৌকার প্রার্থী হন। ২০১৪ সালে এমপি হন বিনা ভোটে। এরপর ২০১৮ সালে এমপি হলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে নৌকা ধার করেও পার পাননি তিনি। হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমপি হওয়ার পর থেকে ফজলে হোসেন বাদশা ঘুরেফিরে কিছু ভুঁইফোড় সংস্থাকে তাঁর টিআর বরাদ্দ দিতেন। বিনিময়ে সেসব সংস্থার কাছ থেকে কমিশন নিতেন। আর কমিশন দিয়ে প্রকল্প নেওয়া সংস্থাগুলো বাস্তবে কোনো কাজই করেনি। ফজলে হোসেন বাদশা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদেরও ভুয়া প্রকল্প দিয়ে খুশি রাখেন। ফলে তাঁরাও সরেজমিনে প্রকল্প পরিদর্শন করেননি।

বিষয়টি নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরেই অনুসন্ধান করে আজকের পত্রিকা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে টিআরের আওতায় ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে তৎকালীন এমপি বাদশার দেওয়া প্রকল্পগুলোর তালিকা নিয়ে যাচাই করা হয়। এতে দেখা যায়, ওই তিন অর্থবছরে মোট ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৯ টাকার প্রকল্প দিয়েছেন বাদশা। কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া ১২৬টি নামসর্বস্ব মহিলা সংস্থা এসব প্রকল্প পায়। সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয় সংস্থাগুলোকে। সংস্থাগুলো তিন বছরে সর্বনিম্ন একবার থেকে ছয়বার পর্যন্ত টাকা পেয়েছে। এক অর্থবছরে একাধিকবার বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও অনেক সংস্থাকেই একাধিক বরাদ্দ দেন বাদশা।

নথি ঘেঁটে দেখা যায়, রঙের মেলা মহিলা সংস্থা নামের একটি নামসর্বস্ব সংস্থা তিন অর্থবছরে ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। প্রতি অর্থবছরেই সংস্থাটিকে দুবার করে অর্থ বরাদ্দ দেন বাদশা। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম দফায় ৪৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। একই অর্থবছরের দ্বিতীয় দফায় একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদের বরাদ্দ বাদ দিয়ে সংস্থাটিকে ৮৮ হাজার টাকা দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেন বাদশা।

এ ছাড়া তিন অর্থবছরে পাঁচবার করে অর্থ বরাদ্দ পায় দুস্থ মহিলা সমাজকল্যাণ সমিতি, পথশিশুদের শিক্ষা নিকেতন, ইচ্ছামতি, উৎসব, গোধুলি, জোনাকী, মেঘালয়, সন্ধ্যাতারা ও সবুজ মহিলা কল্যাণ সমিতি। চারবার করে অর্থ পেয়েছে দুস্থ ও বেকার মহিলা কল্যাণ সমিতি, আলোকিত নারী, করতোয়া, গন্ধরাজ, ডালিয়া, মধুমতি, শতদল ও সোনামনি মহিলা কল্যাণ সংস্থা এবং ষষ্ঠীতলা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা। নিয়ম ভেঙে ষষ্ঠীতলা মহিলা উন্নয়ন সংস্থাটিকে দুই অর্থবছরেই চার দফায় ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এমপি বাদশার দেওয়া তালিকায় এই সংস্থার নাম বাদ পড়েছিল। পরে রাজশাহী পুলিশ লাইনসের শহীদ মিনার সংস্কারে দেওয়া এক লাখ টাকার আগের প্রকল্প বাতিল করে সেই টাকা এই সংস্থাকে দিতে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেন বাদশা।

প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়া এক নারী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে জানান, ফজলে হোসেন বাদশা যে প্রকল্প তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিতেন, সেখানে স্থান পেতে হলে গুনতে হতো টাকা। বাদশার ব্যক্তিগত সহকারী কামরুল হাসান সুমন এই টাকা নিতেন।

রাজশাহীর অপর একটি সংস্থার সভানেত্রী বলেন, ‘যা টাকা পেতাম, তার অর্ধেকই চলে যেত। যাঁরা বরাদ্দ দিতেন, তাঁদেরই অর্ধেক টাকা দিয়ে দিতে হতো। সেটাও আগাম।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি অর্থবছরে প্রতিটি বরাদ্দের তালিকাতেই বোয়ালিয়া থানা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কোনো না কোনো কাজ দেখিয়ে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি তালিকাতেই দেখা গেছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) নাম। অবসরে যাওয়া রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল হক সংগঠনের জেলার সভাপতি। তিন অর্থবছরে সাত দফায় আইডিইবি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৬ টাকা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় পাঁচ দফায় ৪ লাখ ৪০ হাজার এবং বোয়ালিয়া থানা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ পায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীর প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করতেন তৎকালীন এমপি বাদশার নামে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, বাদশার স্ত্রী তসলিমা খাতুন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়গুলো দেখাশোনা করতেন। তিনিই নিতেন টাকা। এ ছাড়া বাদশা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওএমএসের ডিলার নিয়োগ দিয়ে কমিশন বাগিয়ে নিয়েছেন।

বাদশার ২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, সে সময় তাঁর সব মিলিয়ে ১ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৬৪০ টাকার সম্পদ ছিল। বাদশার স্ত্রীর নামে ছিল ৫ কাঠা জমি। পরের নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর সম্পদ ও অর্থ অনেকটাই বেড়ে যায়। নগদ অর্থ দাঁড়ায় ১০ লাখ ২০ হাজার ৫৯১ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংক এবং নগদ অর্থ মিলে দাঁড়ায় ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫১৫ টাকা। ২০১৮ সালে বাদশার নগদ ও ব্যাংক মিলে অর্থ দাঁড়ায় ৪১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৬ টাকা। দুটি গাড়ির দাম দেখানো হয় ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে এসে বাদশার সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। এবার হলফনামায় দেখা যায়, তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৫ টাকা। নগদ টাকা ছিল ২৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এর বাইরে একটি ৭০ লাখ টাকার জিপ দেখা যায়।

কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত