শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি

পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন নতুন করে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে আলু মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছে আলুর দাম।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার উপজেলার খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা, দুই সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকা কেজিতে।
এসব বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বড় ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে আলু বিক্রি করছেন না, যার ফলে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মোকামতলা বাজারের আলু ব্যবসায়ী আব্দুল বারী জানান, ‘দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছি। বর্তমানে দাম বাড়ায় সেই আলু ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি।’
মহাস্থান বাজারের খুচরা আলু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ‘হিমাগারে গেলে ব্যবসায়ীরা আলুই বিক্রি করতে চান না। নিজেরা ইচ্ছেমতো দাম হেঁকে বসে থাকেন। আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনছি।’
উথুলি বাজারে আসা শিবগঞ্জ পৌরসভার বেড়াবালা পাইকপাড়া গ্রামের দিনমজুর এনামুল হক বলেন, ‘বাজারে এলে চোখে পানি আসে। সব জিনিসের দাম বেশি। ৫০০ টাকার বাজার করলে দুই দিন চালাতে পারি না। এখন আবার আলুর দামও বেড়েছে। আমরা কীভাবে বাঁচব?’
মোকামতলা হাটে বাজার করতে আসা মাদ্রাসাশিক্ষক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘হিমাগার ও বাজারগুলোতে প্রশাসন তদারকি না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক দিনও প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং করতে দেখলাম না। এ অবস্থায় বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
শিবগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কুমার সরকার জানান, গত মৌসুমে শিবগঞ্জের ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন আলু। উপজেলায় ভোক্তা পর্যায়ে এক বছরে আলুর চাহিদা ১৫ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত আলু দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশে বিক্রি করেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ কৃষক আলু উৎপাদনের পর মৌসুমেই বিক্রি করে দেন। আর ব্যবসায়ীরা তা কিনে হিমাগারে মজুত করেন। বর্তমানে কৃষকের ঘরে কোনো আলুর মজুত নেই। তাই, হিমাগার থেকে সীমিত সরবরাহকৃত আলু এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি অফিস জানায়, বর্তমানে এই উপজেলায় সর্বমোট ১৫টি হিমাগার আছে। মৌসুমে এসব হিমাগারে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৭ মেট্রিক টন আলু মজুত করা হয়েছিল। বিক্রির পর বর্তমানে ৮২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আলু হিমাগারে মজুত আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বেশির ভাগ হিমাগারে আলু কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে। দু-একজন প্রান্তিক কৃষক তাঁদের সংরক্ষণে থাকা সামান্য পরিমাণ আলু খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। আলুর বাজার আরও বাড়তে পারে এই আশায় হিমাগারে মজুত করা আলু বিক্রি করছেন না বড় ব্যবসায়ীরা।
গত মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিন শিবগঞ্জের আরএন্ডআর কোল্ড স্টোরেজ, সাহা হিমাগার, হিমাদ্রি লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আলু বিক্রি হচ্ছে খুব কম।
এবার হিমাগার ভাড়াসহ ৬০ কেজির প্রতি বস্তা অ্যাস্টেরিক, ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে খরচ হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে হিমাগারের সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকায়। আর দেশি পাকড়ি জাতের আলু হিমাগার ভাড়াসহ বস্তাপ্রতি খরচ হয়েছে দেড় হাজার টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকায়। সংরক্ষণের মাত্র চার মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তা আলুতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা হচ্ছে প্রায় ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
শিবগঞ্জের আলু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক বছর যাবৎ হিমাগারে আলু রেখে লোকসান হয়েছে। তখন তো কোনো সাংবাদিককে নিউজ করতে দেখিনি। কেউ খোঁজও নিতে আসেনি। বাজারে অনেক সবজির দাম বেড়েছে। সে কারণে আলুর দামও বেড়েছে।’
মোকামতলা কাশিপুর আরএন্ডআর পটেটো কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই হিমাগারে শুরুতে ২ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু মজুত ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু মজুত আছে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ হিমাগারেই কৃষকের চেয়ে ব্যবসায়ীরা আলু বেশি মজুত করেন। গত তিন বছর আলুতে লোকসান হয়েছে। এবার বাজার ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারছেন। দাম আরও বাড়ার আশায় অনেকে আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন নতুন করে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে আলু মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছে আলুর দাম।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার উপজেলার খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা, দুই সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকা কেজিতে।
এসব বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বড় ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে আলু বিক্রি করছেন না, যার ফলে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মোকামতলা বাজারের আলু ব্যবসায়ী আব্দুল বারী জানান, ‘দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছি। বর্তমানে দাম বাড়ায় সেই আলু ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি।’
মহাস্থান বাজারের খুচরা আলু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ‘হিমাগারে গেলে ব্যবসায়ীরা আলুই বিক্রি করতে চান না। নিজেরা ইচ্ছেমতো দাম হেঁকে বসে থাকেন। আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনছি।’
উথুলি বাজারে আসা শিবগঞ্জ পৌরসভার বেড়াবালা পাইকপাড়া গ্রামের দিনমজুর এনামুল হক বলেন, ‘বাজারে এলে চোখে পানি আসে। সব জিনিসের দাম বেশি। ৫০০ টাকার বাজার করলে দুই দিন চালাতে পারি না। এখন আবার আলুর দামও বেড়েছে। আমরা কীভাবে বাঁচব?’
মোকামতলা হাটে বাজার করতে আসা মাদ্রাসাশিক্ষক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘হিমাগার ও বাজারগুলোতে প্রশাসন তদারকি না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক দিনও প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং করতে দেখলাম না। এ অবস্থায় বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
শিবগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কুমার সরকার জানান, গত মৌসুমে শিবগঞ্জের ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন আলু। উপজেলায় ভোক্তা পর্যায়ে এক বছরে আলুর চাহিদা ১৫ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত আলু দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশে বিক্রি করেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ কৃষক আলু উৎপাদনের পর মৌসুমেই বিক্রি করে দেন। আর ব্যবসায়ীরা তা কিনে হিমাগারে মজুত করেন। বর্তমানে কৃষকের ঘরে কোনো আলুর মজুত নেই। তাই, হিমাগার থেকে সীমিত সরবরাহকৃত আলু এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি অফিস জানায়, বর্তমানে এই উপজেলায় সর্বমোট ১৫টি হিমাগার আছে। মৌসুমে এসব হিমাগারে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৭ মেট্রিক টন আলু মজুত করা হয়েছিল। বিক্রির পর বর্তমানে ৮২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আলু হিমাগারে মজুত আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বেশির ভাগ হিমাগারে আলু কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে। দু-একজন প্রান্তিক কৃষক তাঁদের সংরক্ষণে থাকা সামান্য পরিমাণ আলু খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। আলুর বাজার আরও বাড়তে পারে এই আশায় হিমাগারে মজুত করা আলু বিক্রি করছেন না বড় ব্যবসায়ীরা।
গত মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিন শিবগঞ্জের আরএন্ডআর কোল্ড স্টোরেজ, সাহা হিমাগার, হিমাদ্রি লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আলু বিক্রি হচ্ছে খুব কম।
এবার হিমাগার ভাড়াসহ ৬০ কেজির প্রতি বস্তা অ্যাস্টেরিক, ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে খরচ হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে হিমাগারের সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকায়। আর দেশি পাকড়ি জাতের আলু হিমাগার ভাড়াসহ বস্তাপ্রতি খরচ হয়েছে দেড় হাজার টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকায়। সংরক্ষণের মাত্র চার মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তা আলুতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা হচ্ছে প্রায় ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
শিবগঞ্জের আলু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক বছর যাবৎ হিমাগারে আলু রেখে লোকসান হয়েছে। তখন তো কোনো সাংবাদিককে নিউজ করতে দেখিনি। কেউ খোঁজও নিতে আসেনি। বাজারে অনেক সবজির দাম বেড়েছে। সে কারণে আলুর দামও বেড়েছে।’
মোকামতলা কাশিপুর আরএন্ডআর পটেটো কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই হিমাগারে শুরুতে ২ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু মজুত ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু মজুত আছে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ হিমাগারেই কৃষকের চেয়ে ব্যবসায়ীরা আলু বেশি মজুত করেন। গত তিন বছর আলুতে লোকসান হয়েছে। এবার বাজার ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারছেন। দাম আরও বাড়ার আশায় অনেকে আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি

পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন নতুন করে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে আলু মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছে আলুর দাম।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার উপজেলার খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা, দুই সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকা কেজিতে।
এসব বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বড় ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে আলু বিক্রি করছেন না, যার ফলে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মোকামতলা বাজারের আলু ব্যবসায়ী আব্দুল বারী জানান, ‘দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছি। বর্তমানে দাম বাড়ায় সেই আলু ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি।’
মহাস্থান বাজারের খুচরা আলু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ‘হিমাগারে গেলে ব্যবসায়ীরা আলুই বিক্রি করতে চান না। নিজেরা ইচ্ছেমতো দাম হেঁকে বসে থাকেন। আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনছি।’
উথুলি বাজারে আসা শিবগঞ্জ পৌরসভার বেড়াবালা পাইকপাড়া গ্রামের দিনমজুর এনামুল হক বলেন, ‘বাজারে এলে চোখে পানি আসে। সব জিনিসের দাম বেশি। ৫০০ টাকার বাজার করলে দুই দিন চালাতে পারি না। এখন আবার আলুর দামও বেড়েছে। আমরা কীভাবে বাঁচব?’
মোকামতলা হাটে বাজার করতে আসা মাদ্রাসাশিক্ষক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘হিমাগার ও বাজারগুলোতে প্রশাসন তদারকি না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক দিনও প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং করতে দেখলাম না। এ অবস্থায় বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
শিবগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কুমার সরকার জানান, গত মৌসুমে শিবগঞ্জের ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন আলু। উপজেলায় ভোক্তা পর্যায়ে এক বছরে আলুর চাহিদা ১৫ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত আলু দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশে বিক্রি করেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ কৃষক আলু উৎপাদনের পর মৌসুমেই বিক্রি করে দেন। আর ব্যবসায়ীরা তা কিনে হিমাগারে মজুত করেন। বর্তমানে কৃষকের ঘরে কোনো আলুর মজুত নেই। তাই, হিমাগার থেকে সীমিত সরবরাহকৃত আলু এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি অফিস জানায়, বর্তমানে এই উপজেলায় সর্বমোট ১৫টি হিমাগার আছে। মৌসুমে এসব হিমাগারে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৭ মেট্রিক টন আলু মজুত করা হয়েছিল। বিক্রির পর বর্তমানে ৮২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আলু হিমাগারে মজুত আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বেশির ভাগ হিমাগারে আলু কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে। দু-একজন প্রান্তিক কৃষক তাঁদের সংরক্ষণে থাকা সামান্য পরিমাণ আলু খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। আলুর বাজার আরও বাড়তে পারে এই আশায় হিমাগারে মজুত করা আলু বিক্রি করছেন না বড় ব্যবসায়ীরা।
গত মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিন শিবগঞ্জের আরএন্ডআর কোল্ড স্টোরেজ, সাহা হিমাগার, হিমাদ্রি লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আলু বিক্রি হচ্ছে খুব কম।
এবার হিমাগার ভাড়াসহ ৬০ কেজির প্রতি বস্তা অ্যাস্টেরিক, ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে খরচ হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে হিমাগারের সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকায়। আর দেশি পাকড়ি জাতের আলু হিমাগার ভাড়াসহ বস্তাপ্রতি খরচ হয়েছে দেড় হাজার টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকায়। সংরক্ষণের মাত্র চার মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তা আলুতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা হচ্ছে প্রায় ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
শিবগঞ্জের আলু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক বছর যাবৎ হিমাগারে আলু রেখে লোকসান হয়েছে। তখন তো কোনো সাংবাদিককে নিউজ করতে দেখিনি। কেউ খোঁজও নিতে আসেনি। বাজারে অনেক সবজির দাম বেড়েছে। সে কারণে আলুর দামও বেড়েছে।’
মোকামতলা কাশিপুর আরএন্ডআর পটেটো কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই হিমাগারে শুরুতে ২ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু মজুত ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু মজুত আছে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ হিমাগারেই কৃষকের চেয়ে ব্যবসায়ীরা আলু বেশি মজুত করেন। গত তিন বছর আলুতে লোকসান হয়েছে। এবার বাজার ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারছেন। দাম আরও বাড়ার আশায় অনেকে আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন নতুন করে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে আলু মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছে আলুর দাম।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার উপজেলার খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা, দুই সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকা কেজিতে।
এসব বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বড় ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে আলু বিক্রি করছেন না, যার ফলে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মোকামতলা বাজারের আলু ব্যবসায়ী আব্দুল বারী জানান, ‘দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছি। বর্তমানে দাম বাড়ায় সেই আলু ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি।’
মহাস্থান বাজারের খুচরা আলু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ‘হিমাগারে গেলে ব্যবসায়ীরা আলুই বিক্রি করতে চান না। নিজেরা ইচ্ছেমতো দাম হেঁকে বসে থাকেন। আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনছি।’
উথুলি বাজারে আসা শিবগঞ্জ পৌরসভার বেড়াবালা পাইকপাড়া গ্রামের দিনমজুর এনামুল হক বলেন, ‘বাজারে এলে চোখে পানি আসে। সব জিনিসের দাম বেশি। ৫০০ টাকার বাজার করলে দুই দিন চালাতে পারি না। এখন আবার আলুর দামও বেড়েছে। আমরা কীভাবে বাঁচব?’
মোকামতলা হাটে বাজার করতে আসা মাদ্রাসাশিক্ষক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘হিমাগার ও বাজারগুলোতে প্রশাসন তদারকি না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক দিনও প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং করতে দেখলাম না। এ অবস্থায় বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
শিবগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কুমার সরকার জানান, গত মৌসুমে শিবগঞ্জের ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন আলু। উপজেলায় ভোক্তা পর্যায়ে এক বছরে আলুর চাহিদা ১৫ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত আলু দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশে বিক্রি করেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ কৃষক আলু উৎপাদনের পর মৌসুমেই বিক্রি করে দেন। আর ব্যবসায়ীরা তা কিনে হিমাগারে মজুত করেন। বর্তমানে কৃষকের ঘরে কোনো আলুর মজুত নেই। তাই, হিমাগার থেকে সীমিত সরবরাহকৃত আলু এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি অফিস জানায়, বর্তমানে এই উপজেলায় সর্বমোট ১৫টি হিমাগার আছে। মৌসুমে এসব হিমাগারে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৭ মেট্রিক টন আলু মজুত করা হয়েছিল। বিক্রির পর বর্তমানে ৮২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আলু হিমাগারে মজুত আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বেশির ভাগ হিমাগারে আলু কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে। দু-একজন প্রান্তিক কৃষক তাঁদের সংরক্ষণে থাকা সামান্য পরিমাণ আলু খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। আলুর বাজার আরও বাড়তে পারে এই আশায় হিমাগারে মজুত করা আলু বিক্রি করছেন না বড় ব্যবসায়ীরা।
গত মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিন শিবগঞ্জের আরএন্ডআর কোল্ড স্টোরেজ, সাহা হিমাগার, হিমাদ্রি লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আলু বিক্রি হচ্ছে খুব কম।
এবার হিমাগার ভাড়াসহ ৬০ কেজির প্রতি বস্তা অ্যাস্টেরিক, ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে খরচ হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে হিমাগারের সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকায়। আর দেশি পাকড়ি জাতের আলু হিমাগার ভাড়াসহ বস্তাপ্রতি খরচ হয়েছে দেড় হাজার টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকায়। সংরক্ষণের মাত্র চার মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তা আলুতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা হচ্ছে প্রায় ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
শিবগঞ্জের আলু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক বছর যাবৎ হিমাগারে আলু রেখে লোকসান হয়েছে। তখন তো কোনো সাংবাদিককে নিউজ করতে দেখিনি। কেউ খোঁজও নিতে আসেনি। বাজারে অনেক সবজির দাম বেড়েছে। সে কারণে আলুর দামও বেড়েছে।’
মোকামতলা কাশিপুর আরএন্ডআর পটেটো কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই হিমাগারে শুরুতে ২ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু মজুত ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু মজুত আছে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ হিমাগারেই কৃষকের চেয়ে ব্যবসায়ীরা আলু বেশি মজুত করেন। গত তিন বছর আলুতে লোকসান হয়েছে। এবার বাজার ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারছেন। দাম আরও বাড়ার আশায় অনেকে আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন নতুন করে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে আলু মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছ
৩১ আগস্ট ২০২৩
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেআবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন নতুন করে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে আলু মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছ
৩১ আগস্ট ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪১ মিনিট আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেআরিফ রহমান, ঝালকাঠি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন নতুন করে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে আলু মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছ
৩১ আগস্ট ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন নতুন করে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আলু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে আলু মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাড়ছ
৩১ আগস্ট ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে