রিমন রহমান

রাজশাহী: রাজশাহীতে আত্মীয়-স্বজন থাকলে দেশের অন্য স্থানের বাসিন্দারা আম পাঠানোর বায়না ধরেন। আবার না চাইলেও বাগান থেকে আম নামানোর পর রাজশাহীর বাসিন্দারা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আম পাঠান। কিন্তু রাজশাহীতে যাঁদের আত্মীয়-স্বজন নেই, তাঁদের জন্য অনলাইনই হয়ে উঠেছে ভরসা। অনলাইনে অর্ডার দিলেই কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে যায় রাজশাহীর আম।
কৃষি বিভাগ বলছে, ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে রাজশাহীর আম বিক্রি শুরু হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে অনলাইনে আম বিক্রি বেড়েছে। শিক্ষিত তরুণেরাই এ পেশায় বেশি ঝুঁকছেন। কেউ কেউ ওয়েবসাইট খুলে আবার কেউ ফেসবুকে প্রচার চালিয়ে আমের রমরমা ভার্চ্যুয়াল বাজার তৈরি করেছেন। চলতি মৌসুমে অন্তত ৫০০ জন অনলাইনে আমের অর্ডার নিচ্ছেন। সময়মতো তাঁরা আমও পাঠাচ্ছেন। আমের মান কিংবা অন্য কোনোভাবে ক্রেতারা প্রতারিত হয়েছেন বলে কোনো অভিযোগ পায়নি কৃষি বিভাগ।
‘রাজশাহী এক্সপ্রেস’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ঢুকতেই আম বিক্রির বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। গোপালভোগ, হিমসাগর আর লক্ষণভোগ আমে ঠাসা ওয়েবসাইটটি। ফেসবুকেও দেখা যাচ্ছে অসংখ্য আম বিক্রির পেজ। রাজশাহী মহানগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার বাসিন্দা সারোয়ার হোসেনও একটি পেজ পরিচালনা করেন। তিনি জানালেন, দুই বছর ধরে আমের মৌসুমে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে আম পাঠাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ মণ আম পাঠিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি পাঠিয়েছেন গোপালভোগ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের নানা প্রান্তে গেছে তাঁর আম।
রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম ‘অনলাইন ম্যাঙ্গো শপ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ চালান। পেজটি নিয়ে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। প্রতিনিয়ত আমের অর্ডার আসছে। বাগান থেকে আম সংগ্রহ, ক্যারেটে ভরা, কুরিয়ার সার্ভিসে পৌঁছে দেওয়াসহ সব কাজই করছেন নিজে উপস্থিত থেকে। একের পর এক অর্ডার নিতে সব সময় কাছেই থাকছে ল্যাপটপ। বাগানমালিক আম নামান, রাশেদুল বাগানে বসেই ক্রেতাদের আম পাড়ার ছবি দেখান। ল্যাপটপে চোখ রেখে অর্ডার নেন। ২০১২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করা রাশেদুলের কাছে ক্রেতার সন্তুষ্টির মাধ্যমে নিজের সুনাম অর্জনটাই বড় কথা।
রাশেদুল জানালেন, এবার জেলা প্রশাসন গোপালভোগ আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করে দেয় ২০ মে। কিন্তু তার পর্যবেক্ষণে তখনো গোপালভোগ গাছে পরিপক্ব হয়নি। তাই তিনি অর্ডার নিলেও একটি আমও পাঠাননি। যাঁরা আম নেওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠান, সবাইকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারের একটি গ্রুপে যুক্ত করেন। গাছের পরিপক্ব আম পেতে অপেক্ষা করতে বলেন। রাশেদুল গত মঙ্গলবার (১ জুন) প্রথম ক্রেতাদের কাছে গোপালভোগ আম পাঠিয়েছেন।
রাশেদুল বলেন, ‘যাঁরা নতুন নতুন এ ব্যবসায় আসছেন, তাঁরা কোনো কিছু না বুঝেই আম পাঠাচ্ছেন। অনেক সময় অপরিপক্ব আম পাঠাচ্ছেন। ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর পরই আমে পচন ধরছে। এতে দুর্নাম হচ্ছে। তাই আমি গাছের পাকা আমই পাঠাচ্ছি। এ জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু ক্রেতারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা ভালো আম পেয়েছেন। তাঁরা আগামী বছরও আমার কাছ থেকে আম নেবেন। এটাই আমার প্রাপ্তি।’ তিনি বলেন, ‘দেরি হলেও পরিপক্ব হওয়ার পরই আমি গাছ থেকে আম পাড়ি। প্রয়োজনে বাগানমালিকদের বাজারের চলতি দাম থেকে মণপ্রতি ২০০ টাকা বেশি দিই। এতে বাগানমালিকেরাও আপত্তি করেননি। ফলে আমি গ্রাহকদের ভালো আম পাঠাতে পারছি।’
সাংবাদিকতায় পড়াশোনা শেষ করে রাশেদুল গত সাত বছর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। কিন্তু চাকরির পাশাপাশি প্রতিবছর আমের মৌসুমে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে আম পাঠাতেন। গত বছর এক চালানেই তিনি ৩ হাজার ৬০০ কেজি আম পাঠান। কিন্তু শ্রমিকেরা ভুলভাবে প্যাকেট করেছিলেন বলে ১ হাজার ৩৬০ কেজি আম নষ্ট হয়ে যায়। এবার আমের ব্যবসা ভালোভাবে করতে গত এপ্রিলে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। সর্বশেষ একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। রাশেদুল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি আমাকে বলল যে, কোনো একটি কাজ করতে হবে। তাই আমি ব্যবসাটাকেই বেছে নিলাম। কারণ, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। খুব ভালো সাড়াও পেয়েছি। আর কয়দিন পর প্রতিদিন আমি অন্তত দুই টন করে আম পাঠাব। এখন সব আম পাঠাচ্ছি ইউএসবি এক্সপ্রেস কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে। ইউএসবি কম খরচে এক দিনেই ঢাকায় আম পৌঁছে দিচ্ছে।’
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বলিহার গ্রামের সৌমেন মণ্ডল অনলাইনের বড় একটি বাজার তৈরি করেছেন টানা ১০ বছরের পরিশ্রমে। অনলাইনে তাঁর ফেসবুক পেজের নাম ‘অনিমা আম বাজার’। সৌমেনের ক্রেতাদের অধিকাংশই বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত। প্রতিবছরই তাঁর ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। সৌমেন জানান, প্রথম কয়েক বছর তিনি গাছে আম আসার পরই ঢাকায় গিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়গুলোতে গিয়ে জানিয়ে এসেছেন, অর্ডার দিলেই তিনি নিজের বাগানের আম পাঠাবেন। পাশাপাশি দিয়ে আসেন তাঁর ভিজিটিং কার্ড। এর পর থেকেই তাঁর আমের অর্ডার আসতে থাকে।
সৌমেন জানান, তাঁদের আট বিঘার আমবাগান আছে। ক্রেতাদের কাছে মোবাইল নম্বর আছে বলে গাছে গুটি ধরা থেকে শুরু করে আম বড় হওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রায়ই তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওকল দেন। গাছে কেমন আম এসেছে তা দেখেন। আমে কোনো কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে কি না অথবা আমগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে, তার খোঁজ নেন। তাঁরা নিশ্চিত হন, এই আম নিরাপদ কি না। তারপর আম নামানোর যখন সময় হয় সৌমেন এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দেন। এরপরই অর্ডার আসতে থাকে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চলে আসে আগাম টাকাও।
সৌমেন বলেন, অনলাইনে আমের ব্যবসার জন্য প্রয়োজন সততার মাধ্যমে ক্রেতার আস্থা অর্জন। টানা ১০ বছরের পরিশ্রমে তিনি সেটি অর্জন করেছেন। এখন ব্যবসা ভালো চলছে। চলতি মৌসুমে তিনি ১২০ ক্যারেট আম পাঠিয়েছেন। প্রতি ক্যারেটে ছিল ২০ কেজি আম। গোপালভোগ আমের দাম মণ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি ইউএসবি এক্সপ্রেস পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস এবং জননী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পাঠান। এক মণ আম পাঠানোর খরচ ৪০০ টাকা। এই খরচও ক্রেতাদের। অনলাইনে আম পাঠালে মণপ্রতি তাঁর ২০০ টাকার বেশি লাভ থাকে।
রাজশাহী জেলা কৃষি কর্মকর্তা কে জে এম আবদুল আউয়াল বলেন, জেলায় এ বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। এ বছর হেক্টরপ্রতি ১১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আছে। আমের উৎপাদনও ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত নানা জাতের গুটি ছাড়াও খিরসাপাত বা হিমসাগর, গোপালভোগ ও লক্ষণভোগ বা লখনা আম উঠেছে। আরও কিছু আম উঠতে বাকি রয়েছে।
করোনাকালেও দূরদূরান্তে আম পাঠানোর জন্য গাড়ি চলছে। কিন্তু খুচরা বাজারে করোনার প্রভাব আছে। অনেকে হাট-বাজারে এখন যেতে চাইছেন না। সে ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে রাজশাহী থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে আম পাঠানোটা একটা ভালো দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে করছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

রাজশাহী: রাজশাহীতে আত্মীয়-স্বজন থাকলে দেশের অন্য স্থানের বাসিন্দারা আম পাঠানোর বায়না ধরেন। আবার না চাইলেও বাগান থেকে আম নামানোর পর রাজশাহীর বাসিন্দারা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আম পাঠান। কিন্তু রাজশাহীতে যাঁদের আত্মীয়-স্বজন নেই, তাঁদের জন্য অনলাইনই হয়ে উঠেছে ভরসা। অনলাইনে অর্ডার দিলেই কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে যায় রাজশাহীর আম।
কৃষি বিভাগ বলছে, ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে রাজশাহীর আম বিক্রি শুরু হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে অনলাইনে আম বিক্রি বেড়েছে। শিক্ষিত তরুণেরাই এ পেশায় বেশি ঝুঁকছেন। কেউ কেউ ওয়েবসাইট খুলে আবার কেউ ফেসবুকে প্রচার চালিয়ে আমের রমরমা ভার্চ্যুয়াল বাজার তৈরি করেছেন। চলতি মৌসুমে অন্তত ৫০০ জন অনলাইনে আমের অর্ডার নিচ্ছেন। সময়মতো তাঁরা আমও পাঠাচ্ছেন। আমের মান কিংবা অন্য কোনোভাবে ক্রেতারা প্রতারিত হয়েছেন বলে কোনো অভিযোগ পায়নি কৃষি বিভাগ।
‘রাজশাহী এক্সপ্রেস’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ঢুকতেই আম বিক্রির বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। গোপালভোগ, হিমসাগর আর লক্ষণভোগ আমে ঠাসা ওয়েবসাইটটি। ফেসবুকেও দেখা যাচ্ছে অসংখ্য আম বিক্রির পেজ। রাজশাহী মহানগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার বাসিন্দা সারোয়ার হোসেনও একটি পেজ পরিচালনা করেন। তিনি জানালেন, দুই বছর ধরে আমের মৌসুমে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে আম পাঠাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ মণ আম পাঠিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি পাঠিয়েছেন গোপালভোগ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের নানা প্রান্তে গেছে তাঁর আম।
রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম ‘অনলাইন ম্যাঙ্গো শপ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ চালান। পেজটি নিয়ে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। প্রতিনিয়ত আমের অর্ডার আসছে। বাগান থেকে আম সংগ্রহ, ক্যারেটে ভরা, কুরিয়ার সার্ভিসে পৌঁছে দেওয়াসহ সব কাজই করছেন নিজে উপস্থিত থেকে। একের পর এক অর্ডার নিতে সব সময় কাছেই থাকছে ল্যাপটপ। বাগানমালিক আম নামান, রাশেদুল বাগানে বসেই ক্রেতাদের আম পাড়ার ছবি দেখান। ল্যাপটপে চোখ রেখে অর্ডার নেন। ২০১২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করা রাশেদুলের কাছে ক্রেতার সন্তুষ্টির মাধ্যমে নিজের সুনাম অর্জনটাই বড় কথা।
রাশেদুল জানালেন, এবার জেলা প্রশাসন গোপালভোগ আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করে দেয় ২০ মে। কিন্তু তার পর্যবেক্ষণে তখনো গোপালভোগ গাছে পরিপক্ব হয়নি। তাই তিনি অর্ডার নিলেও একটি আমও পাঠাননি। যাঁরা আম নেওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠান, সবাইকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারের একটি গ্রুপে যুক্ত করেন। গাছের পরিপক্ব আম পেতে অপেক্ষা করতে বলেন। রাশেদুল গত মঙ্গলবার (১ জুন) প্রথম ক্রেতাদের কাছে গোপালভোগ আম পাঠিয়েছেন।
রাশেদুল বলেন, ‘যাঁরা নতুন নতুন এ ব্যবসায় আসছেন, তাঁরা কোনো কিছু না বুঝেই আম পাঠাচ্ছেন। অনেক সময় অপরিপক্ব আম পাঠাচ্ছেন। ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর পরই আমে পচন ধরছে। এতে দুর্নাম হচ্ছে। তাই আমি গাছের পাকা আমই পাঠাচ্ছি। এ জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু ক্রেতারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা ভালো আম পেয়েছেন। তাঁরা আগামী বছরও আমার কাছ থেকে আম নেবেন। এটাই আমার প্রাপ্তি।’ তিনি বলেন, ‘দেরি হলেও পরিপক্ব হওয়ার পরই আমি গাছ থেকে আম পাড়ি। প্রয়োজনে বাগানমালিকদের বাজারের চলতি দাম থেকে মণপ্রতি ২০০ টাকা বেশি দিই। এতে বাগানমালিকেরাও আপত্তি করেননি। ফলে আমি গ্রাহকদের ভালো আম পাঠাতে পারছি।’
সাংবাদিকতায় পড়াশোনা শেষ করে রাশেদুল গত সাত বছর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। কিন্তু চাকরির পাশাপাশি প্রতিবছর আমের মৌসুমে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে আম পাঠাতেন। গত বছর এক চালানেই তিনি ৩ হাজার ৬০০ কেজি আম পাঠান। কিন্তু শ্রমিকেরা ভুলভাবে প্যাকেট করেছিলেন বলে ১ হাজার ৩৬০ কেজি আম নষ্ট হয়ে যায়। এবার আমের ব্যবসা ভালোভাবে করতে গত এপ্রিলে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। সর্বশেষ একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। রাশেদুল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি আমাকে বলল যে, কোনো একটি কাজ করতে হবে। তাই আমি ব্যবসাটাকেই বেছে নিলাম। কারণ, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। খুব ভালো সাড়াও পেয়েছি। আর কয়দিন পর প্রতিদিন আমি অন্তত দুই টন করে আম পাঠাব। এখন সব আম পাঠাচ্ছি ইউএসবি এক্সপ্রেস কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে। ইউএসবি কম খরচে এক দিনেই ঢাকায় আম পৌঁছে দিচ্ছে।’
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বলিহার গ্রামের সৌমেন মণ্ডল অনলাইনের বড় একটি বাজার তৈরি করেছেন টানা ১০ বছরের পরিশ্রমে। অনলাইনে তাঁর ফেসবুক পেজের নাম ‘অনিমা আম বাজার’। সৌমেনের ক্রেতাদের অধিকাংশই বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত। প্রতিবছরই তাঁর ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। সৌমেন জানান, প্রথম কয়েক বছর তিনি গাছে আম আসার পরই ঢাকায় গিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়গুলোতে গিয়ে জানিয়ে এসেছেন, অর্ডার দিলেই তিনি নিজের বাগানের আম পাঠাবেন। পাশাপাশি দিয়ে আসেন তাঁর ভিজিটিং কার্ড। এর পর থেকেই তাঁর আমের অর্ডার আসতে থাকে।
সৌমেন জানান, তাঁদের আট বিঘার আমবাগান আছে। ক্রেতাদের কাছে মোবাইল নম্বর আছে বলে গাছে গুটি ধরা থেকে শুরু করে আম বড় হওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রায়ই তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওকল দেন। গাছে কেমন আম এসেছে তা দেখেন। আমে কোনো কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে কি না অথবা আমগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে, তার খোঁজ নেন। তাঁরা নিশ্চিত হন, এই আম নিরাপদ কি না। তারপর আম নামানোর যখন সময় হয় সৌমেন এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দেন। এরপরই অর্ডার আসতে থাকে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চলে আসে আগাম টাকাও।
সৌমেন বলেন, অনলাইনে আমের ব্যবসার জন্য প্রয়োজন সততার মাধ্যমে ক্রেতার আস্থা অর্জন। টানা ১০ বছরের পরিশ্রমে তিনি সেটি অর্জন করেছেন। এখন ব্যবসা ভালো চলছে। চলতি মৌসুমে তিনি ১২০ ক্যারেট আম পাঠিয়েছেন। প্রতি ক্যারেটে ছিল ২০ কেজি আম। গোপালভোগ আমের দাম মণ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি ইউএসবি এক্সপ্রেস পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস এবং জননী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পাঠান। এক মণ আম পাঠানোর খরচ ৪০০ টাকা। এই খরচও ক্রেতাদের। অনলাইনে আম পাঠালে মণপ্রতি তাঁর ২০০ টাকার বেশি লাভ থাকে।
রাজশাহী জেলা কৃষি কর্মকর্তা কে জে এম আবদুল আউয়াল বলেন, জেলায় এ বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। এ বছর হেক্টরপ্রতি ১১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আছে। আমের উৎপাদনও ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত নানা জাতের গুটি ছাড়াও খিরসাপাত বা হিমসাগর, গোপালভোগ ও লক্ষণভোগ বা লখনা আম উঠেছে। আরও কিছু আম উঠতে বাকি রয়েছে।
করোনাকালেও দূরদূরান্তে আম পাঠানোর জন্য গাড়ি চলছে। কিন্তু খুচরা বাজারে করোনার প্রভাব আছে। অনেকে হাট-বাজারে এখন যেতে চাইছেন না। সে ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে রাজশাহী থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে আম পাঠানোটা একটা ভালো দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে করছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
৩৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা।
১ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান অলি, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে রাজশাহীর আম বিক্রি শুরু হয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে অনলাইনে আম বিক্রি বেড়েছে। তবে শিক্ষিত তরুণেরাই এ পেশায় বেশি ঝুঁকছেন। কেউ কেউ ওয়েবসাইট খুলে আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালিয়েই আমের বাজার তৈরি করেছেন।
০৩ জুন ২০২১
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
৩৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা।
১ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে রাজশাহীর আম বিক্রি শুরু হয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে অনলাইনে আম বিক্রি বেড়েছে। তবে শিক্ষিত তরুণেরাই এ পেশায় বেশি ঝুঁকছেন। কেউ কেউ ওয়েবসাইট খুলে আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালিয়েই আমের বাজার তৈরি করেছেন।
০৩ জুন ২০২১
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
৬ মিনিট আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
৩৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা।
১ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে রাজশাহীর আম বিক্রি শুরু হয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে অনলাইনে আম বিক্রি বেড়েছে। তবে শিক্ষিত তরুণেরাই এ পেশায় বেশি ঝুঁকছেন। কেউ কেউ ওয়েবসাইট খুলে আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালিয়েই আমের বাজার তৈরি করেছেন।
০৩ জুন ২০২১
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ।
গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা। পাশেই বসতবাড়ি ও স্কুল। বিআরবি থেকে অল্প দূরত্বে শীলা নদী ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে সততা ইটভাটা। এসব ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি।
মাখল নিগুয়ারী গ্রামের বাসিন্দা আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘এক মাস আগে ভাটার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। আমাদের এলাকায় পাশাপাশি তিনটি ভাটা রয়েছে। একটিরও ছাড়পত্র নেই। তাহলে তারা কীভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।’ একই গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ভাটায় ব্যবহৃত অবৈধ লরির নিচে পড়ে তিন বছর আগে এক শিশু নিহত হয়। ভাটা এই এলাকায় আতঙ্কের নাম। এগুলোর মালিকেরা বিভিন্ন কৌশলে কৃষকদের জমি থেকে মাটি নিচ্ছেন। এতে কৃষক সাময়িকভাবে লাভবান হলেও দীর্ঘ মেয়াদে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।
মাখল নিগুয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে ভাটা থেকে ইট বহনকারী লরি। এতে ধুলোবালিতে শ্রেণিকক্ষে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় শিশুদের। শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল এলাকায় তিনটি ভাটা। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
লাইসেন্স নবায়ন না হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইট উৎপাদনের কথা জানান বিআরবি ইট ভাটার ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, একসময় তাঁদের বৈধ লাইসেন্স ছিল, কিন্তু ২০১৯ সালের পর নবায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা এভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রশাসন ভেঙে দিলে তাঁদের কিছু করার নেই। সততা ইটভাটার পরিচালক জুয়েল খান বলেন, জীবনের সবটুকু উপার্জন ভাটায় বিনিয়োগ করেছেন। এখন প্রশাসন ভেঙে দিলে রাস্তায় বসতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েই যত দিন সম্ভব ভাটা চালিয়ে যাবেন।
অবৈধভাবে চলা ভাটাগুলো বন্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, বিভাগের চার জেলায় ৫৪৩টি ভাটার মধ্যে ৪৫৯টি অবৈধ। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়েকটি ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সংখ্যা বেশি হওয়ায় অভিযান চালিয়ে কুলিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ।
গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা। পাশেই বসতবাড়ি ও স্কুল। বিআরবি থেকে অল্প দূরত্বে শীলা নদী ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে সততা ইটভাটা। এসব ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি।
মাখল নিগুয়ারী গ্রামের বাসিন্দা আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘এক মাস আগে ভাটার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। আমাদের এলাকায় পাশাপাশি তিনটি ভাটা রয়েছে। একটিরও ছাড়পত্র নেই। তাহলে তারা কীভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।’ একই গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ভাটায় ব্যবহৃত অবৈধ লরির নিচে পড়ে তিন বছর আগে এক শিশু নিহত হয়। ভাটা এই এলাকায় আতঙ্কের নাম। এগুলোর মালিকেরা বিভিন্ন কৌশলে কৃষকদের জমি থেকে মাটি নিচ্ছেন। এতে কৃষক সাময়িকভাবে লাভবান হলেও দীর্ঘ মেয়াদে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।
মাখল নিগুয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে ভাটা থেকে ইট বহনকারী লরি। এতে ধুলোবালিতে শ্রেণিকক্ষে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় শিশুদের। শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল এলাকায় তিনটি ভাটা। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
লাইসেন্স নবায়ন না হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইট উৎপাদনের কথা জানান বিআরবি ইট ভাটার ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, একসময় তাঁদের বৈধ লাইসেন্স ছিল, কিন্তু ২০১৯ সালের পর নবায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা এভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রশাসন ভেঙে দিলে তাঁদের কিছু করার নেই। সততা ইটভাটার পরিচালক জুয়েল খান বলেন, জীবনের সবটুকু উপার্জন ভাটায় বিনিয়োগ করেছেন। এখন প্রশাসন ভেঙে দিলে রাস্তায় বসতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েই যত দিন সম্ভব ভাটা চালিয়ে যাবেন।
অবৈধভাবে চলা ভাটাগুলো বন্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, বিভাগের চার জেলায় ৫৪৩টি ভাটার মধ্যে ৪৫৯টি অবৈধ। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়েকটি ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সংখ্যা বেশি হওয়ায় অভিযান চালিয়ে কুলিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।

ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে রাজশাহীর আম বিক্রি শুরু হয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে অনলাইনে আম বিক্রি বেড়েছে। তবে শিক্ষিত তরুণেরাই এ পেশায় বেশি ঝুঁকছেন। কেউ কেউ ওয়েবসাইট খুলে আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালিয়েই আমের বাজার তৈরি করেছেন।
০৩ জুন ২০২১
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
৩৭ মিনিট আগে