Ajker Patrika

দেশের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরটিও বৃষ্টির পানিতে ডুবল কেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ২১: ৫০
দেশের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরটিও বৃষ্টির পানিতে ডুবল কেন?

রাজশাহী যে দেশের সেরা শহর, তা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন। সাজানো-গোছানো পরিচ্ছন্ন পদ্মাপারের এ শহরকে দেশের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরও বলা হয়। সেই সেরা শহরটিও ডুবেছে বৃষ্টির পানিতে। বৃষ্টির পরিমাণটা একটু বেশি হলেও সুন্দর শহরটি তলিয়ে যাওয়া নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এই জলমগ্নতার কারণ খুঁজছেন অনেকে। 

গত বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় রাজশাহীতে বৃষ্টি শুরু হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঝরে। এই সময়ের মধ্যে ২৪৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। গত ১১ বছরের মধ্যে ২০ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি আর হয়নি। এবারের অতি ভারী বৃষ্টির কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে রাজশাহীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। 

গতকাল সন্ধ্যার মধ্যেই বড় সড়কগুলো থেকে পানি নেমে যায়। তবে আজ শুক্রবার সকালেও শহরের কিছু নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। গতকাল নগরীর বর্ণালি মোড় এলাকায় সড়কের ওপর দিয়ে নৌকা চলেছে। আজ সকালে দেখা গেছে, রাস্তার পানি কমলেও পুরোপুরি নেমে যায়নি। অল্প বৃষ্টিতেই এই স্থানটিতে পানি জমে থাকে। নগরীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল এলাকা, সিলিন্দা, তেরোখাদিয়া কলেজপাড়া ও দাসপুকুর মহল্লায় গিয়ে সরু গলিপথগুলোতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। অনেকের বাড়ির ভেতর থেকেও এখনো পানি বের হয়নি। বাসিন্দারা ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। 

এই জলাবদ্ধতার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে কয়েক বছর ধরে আবর্জনা ও পলিথিনে ভরে যাওয়া ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করা, পুকুর-ডোবার মতো জলাশয় ভরাট করে দেওয়া, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন, রাস্তা ও ভবন নির্মাণ এবং সড়ক পুনর্নির্মাণ কিংবা সংস্কারের সময় উচ্চতা ও ঢাল বিবেচনায় না নিয়ে ক্রমাগত উঁচু করা এই জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। 

আজ তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে তরিকুল ইসলামের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে এখনো পানি জমে আছে। তরিকুল ইসলাম বলেন, রান্নাঘর ডুবে গেছে। ঘরের ভেতরও পানি। বাড়িতে রান্না করার জো নেই। ছোট সন্তানকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী ঘরে খাটের ওপর বসে থাকছেন। বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খাচ্ছেন। পানি নামতে আরও সময় লাগতে পারে। 

নগরজুড়ে এভাবে পানি জমে যাওয়ার জন্য কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘রাস্তাঘাটে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখার কারণে পানি স্বাভাবিকভাবে ড্রেনে নেমে যেতে পারেনি। এ ছাড়া পদ্মা নদীর সঙ্গে যেসব বড় ড্রেন সংযুক্ত আছে, সেগুলোর স্লুইসগেট বন্ধ ছিল। শহরের বর্জ্য পানি যেন নদীতে না নামে তার জন্যই এগুলো বন্ধ রাখা ছিল। ফলে সেদিক দিয়ে বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি নামতে পারেনি। এ ছাড়া বড় বড় আটটি ড্রেন যে খালে গিয়ে মিশে শহরের উত্তরে বারণই নদের পানি নেমে যায় সেই খালটিতে পাট জাগ দেওয়া হয়েছিল। ফলে পানির স্বাভাবিক গতি হ্রাস পেয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।’

তবে বিশেষজ্ঞরা রাসিক প্রকৌশলীর এই তিন ব্যাখ্যার যৌক্তিকতা পাচ্ছেন না। রাজশাহীর প্রবীণ সাংবাদিক ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘কল্পনা মোড় থেকে কোর্ট পর্যন্ত আদি রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পাশে যে ১৫টি স্লুইস গেট আছে সেগুলো শহরের পানি বের হওয়ার জন্য নয়। এগুলো করা হয়েছিল পদ্মার পানি প্রবেশের জন্য। কারণ, শহরের দক্ষিণে পদ্মার তির থেকে শহর ক্রমাগত উত্তরের দিকে ঢাল হয়েছে। এই স্লুইস গেটগুলো দিয়ে ভরা মৌসুমে পদ্মার পানি প্রবেশ করে খালের মাধ্যমে উত্তরের মাঠে যেত। বর্ষা শেষে অল্প কিছু পানি এখান দিয়ে নদীতে যেত।’

তিনি জানান, সিটি করপোরেশন গঠনের পর আশির দশকে করা এক ভুলের কারণে রাজশাহী আজও ভুগছে। সফিউদ্দিন জানান, সিটি করপোরেশন গঠনের আগে পুরো শহরে অন্তত ২০ ফুট প্রস্থের নালা ছিল পানি উত্তরে নেমে যাওয়ার জন্য। এই নালাগুলোর নিচের অংশটি ঢালাই করা ছিল না। ফলে নালা দিয়ে প্রবাহের সময় পানি ভূগর্ভেও যেতে পারত। আশির দশকে সিটি করপোরেশন এই নালাগুলো সংস্কারে হাত দেয়। তখন বাজেট স্বল্পতার কথা বলে নালাগুলোর প্রস্থ কমিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় প্রস্থ আরও কমে। এখন সে সময়ের নালাগুলোর প্রস্থ ৮ ফুটও নয়। নালার পাশের জমিগুলো দখল হয়ে গেছে। দখল জমি উদ্ধার না করে কম প্রস্থেই নালাগুলো এখনো সংস্কার করা হয়। এখনকার ড্রেনগুলোতে আবার বাঁক তৈরি হয়েছে বেশি। ফলে পানির গতি কমে যাচ্ছে। পানির চাপ বেড়ে গেলে এখন তা নেমে যেতে পারছে না। 

রাজশাহীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা এখন একেবারেই এলোমেলো উল্লেখ করে আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনে একটি বেঞ্চমার্ক আছে। এখানে লেখা আছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শহরের উচ্চতা কত। এই উচ্চতার চেয়ে রাস্তার উচ্চতা বেশি করা যাবে না। কিন্তু এটি কেউ দেখেন না। প্রতিবছর রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, সংস্কার হচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতাও বাড়ছে। ২০ বছরে কোথাও কোথাও রাস্তা ৪০ ইঞ্চি উঁচু হয়ে গেছে। এর সঙ্গে উঁচু হয়ে যাচ্ছে সড়কের পাশের ড্রেন। কিন্তু বাড়িগুলো আগের অবস্থানেই থাকছে। এর ফলে অল্প বৃষ্টিতেই ড্রেনের পানি গিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ছে।’ 

একই রকম কথা বলেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক নগর পরিকল্পনাবিদ ড. অনুপম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘শহরে পানি যখন আটকেছে তখন বুঝতে হবে এখানকার ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক দুর্বল। স্বাভাবিকভাবে বিষয়টা এমন হতে হবে যে, ছোট ছোট ড্রেনগুলো ক্রমশ ঢাল হয়ে বড় নালায় মিলিত হবে এবং এভাবে পানি নেমে যাবে। সেটা হচ্ছে না বলেই জলাবদ্ধতা হয়েছে। ড্রেন শুধু নির্মাণ করলেই হবে না, পরিকল্পনামাফিক নির্মাণ করতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।’ 

রাজশাহী নগরীতে পানির আধারগুলো ভরাট হয়ে যাওয়াও জলাবদ্ধতার বড় কারণ বলে মনে করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন হেরিটেজ রাজশাহীর প্রতিষ্ঠাতা মাহবুব সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর সব পুকুর ও ডোবা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেই। পুকুরগুলো সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নেই। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও পুকুর ভরাট চলছে। এ নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নজর নেই। তাহলে অতিরিক্ত পানি থাকবে কোথায়? পুকুর ডোবা খুঁজে না পেয়ে পানি রাস্তায় আটকাচ্ছে, এসে মানুষের ঘরে ঢুকেছে। ঠিকই তো আছে।’ 

শহরের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না উল্লেখ করে মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘একটা শহরের ড্রেন বছরে অন্তত তিনবার পরিষ্কার করার কথা। বর্ষার আগে তো একবার অবশ্যই পরিষ্কার করতেই হবে। তাহলে ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে পড়বে না, পানিটা নেমে যেতে পারবে। রাজশাহীতে তো কয়েক বছর ধরে ড্রেন পরিষ্কার করতে দেখি না।’ 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘শহরে এখন প্রায় ২২২ কিলোমিটার ড্রেন আছে। এগুলো পরিষ্কার করতে দরপত্র আহ্বান করতে হয়। তিন-চার বছর আগে দরপত্র আহ্বান করে ৭০ লাখ টাকায় ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। এরপর আর হয়নি।’ 

তিনি বলেন, ‘শহরে যেন জলাবদ্ধতা না হয় তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে শহরের বর্জ্য পানি পরিশোধন করে পদ্মা নদীতে ফেলা যাবে। পাশাপাশি একই স্থান দিয়ে বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি নামানো যাবে। শহরের উত্তরেও দ্রুত পানি নির্গমন করা যাবে। তখন শহরে পানি জমবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

  • মামুন, ইব্রাহিম, শাহাদাত, মোক্তারের নামেই চলছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড
  • ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে
  • অনুসারীদের দিয়ে চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ করছে তারা
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ  করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। কেউ পথের কাঁটা হলে হত্যাও করানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার পল্লবীর যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া।

মিরপুরে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফোর স্টার গ্রুপের চাঁদাবাজিতে মিরপুরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। মামলা, জিডি, আন্দোলন করেও তাঁরা চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পরিবহন খাতেও চলছে চাঁদাবাজি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিরপুরে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন মফিজুর রহমান মামুন, ‘কিলার’ ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন ও মোক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে মামুন মালয়েশিয়ায়, ইব্রাহীম ফ্রান্সে, শাহাদাত ইতালিতে এবং মোক্তার ভারতে অবস্থান করছেন। মামুনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১২, পল্লবী, সাগুফতা ও বাউনিয়া এলাকা। ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণ মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, ভাষানটেক ও কালশীতে। শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১, মিরপুর ২, মিরপুর ৬, মিরপুর ৭। মোক্তার হোসেনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১০ ও ১১ এলাকা। বিদেশে বসেই তাঁরা দেড় শতাধিক অনুসারীকে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একজনের অনুসারীরা অন্যজনের এলাকায় যাচ্ছে না।

পুলিশ বলছে, গত ১৭ নভেম্বর মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ মামুনের অনুসারীরা। কারণ, সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া এলাকায় মাদক কারবারসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করায় মামুন ক্ষিপ্ত হন।

র‍্যাব-৪ সূত্র বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মাদক কারবার, পরিবহন ও আবাসন খাতে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় তাঁর অনুসারীরা। গত জানুয়ারিতে পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্সের অফিসে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান বলেন, মামুনের রেফারেন্স দিয়ে ‘জামিল’ পরিচয়ে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ওই চাঁদা দাবি করেছিলেন।

বিহঙ্গ পরিবহনের একজন লাইনম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিরপুরের প্রতিটি বাস, বাসস্ট্যান্ডে মাসিক ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা টাকা পায়। তারা এলাকা ভাগ করে এই চাঁদা নেয়।

ইব্রাহীমের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় বিহারি ক্যাম্পগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের কারবার করছে তার অনুসারীরা। এসব এলাকায় মাদকের অন্তত ১১টি বড় স্পট রয়েছে।

দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন ইতালিতে থেকে অনুসারীদের দিয়ে তাঁর এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শাহ আলীর স্বাধীন মার্কেটে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আসিফ সিকদারের নেতৃত্বে ভাঙচুর চালায় শাহাদাত বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসিফ পুলিশকে জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ অপরজন মোক্তার ভারতে আত্মগোপনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ান। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর অনুসারীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। মিরপুর ১০ নম্বরের বেনারসিপল্লির ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকির অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।

চাঁদাবাজদের ভয়ে কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখা সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য গত ১০ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১২ বার তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

‘ফোর স্টার গ্রুপের’ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। এর নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিরপুরের কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বধ্যভূমিগুলো জঙ্গলে ভরা

মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে শমশেরনগরের বধ্যভূমি। ছবি: আজকের পত্রিকা
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে শমশেরনগরের বধ্যভূমি। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, চালায় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের নানান দলিলপত্রে এসব উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এসব গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে কয়েকটি বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। তবে যেসব স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে, সেসব স্থান বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। মাঝেমধ্যে বিজয় দিবসে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২০টি বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে মাত্র আটটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই সংরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সব সময় ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়।

সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শমশেরনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ, দেওড়াছড়া বধ্যভূমিতে সরকারিভাবে স্থাপনা তৈরি করা হলেও বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই এগুলো বধ্যভূমি। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটা একটা ভূতের বাড়ি। ঘন জঙ্গলে ভরা।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন নথি সূত্রে জানা যায়, জেলার চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, দেওড়াছড়া; শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গণকবর; কুলাউড়া উপজেলার হাকাতির দিঘিরপাড়ের গণকবর; কুলাউড়া রেলস্টেশনের দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশের গণকবর; রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের হিরনারায়ণ দাসের দিঘিরপাড়ের গণকবর, বড়লেখা উপজেলার সায়পুর গণকবর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাড়ন্তি-নালিউড়ি সড়কের উত্তর পাশের গণকবর ও আপার কাগাবলা ইউপির নড়িয়া গ্রামের কামিনী দেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশের গণকবরসহ বেশ কিছু বধ্যভূমি।

মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নিদর্শন। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এই স্থানগুলো এখনো গরু-ছাগল ও মানুষের মলমূত্র ত্যাগের জায়গা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হোক।

মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। শমশেরনগর বধ্যভূমিতে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। দেওড়াছড়ায় একসাথে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। এ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হলেও কোনো কদর নেই। শুধু এই দুটি নয়, সারা জেলায় অনেক গণকবর ও বধ্যভূমি আছে, যার চিহ্ন এখন নেই।’

মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভায় একটি বধ্যভূমি আছে, যা বিজয় দিবসের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হবে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।

উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।

এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’

পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’

তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীর তিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, মিরপুরে দোকানি আহত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।

এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।

অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।

এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত