রিমন রহমান, রাজশাহী

সবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছিল পাপিয়া আকতার। করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে কিছুদিন পরই বাবা রেজাউল করিম মেয়েটির বিয়ে দেন। এখন পাপিয়ার কোলে এক বছরের ছেলে। স্কুল খুলেছে, কিন্তু পাপিয়া আর স্কুলে যায় না। স্বামীর সংসার আর সন্তান সামলাতেই ব্যস্ত সে।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কলিকাপুর নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল পাপিয়া। স্কুলের পাশেই তাঁর বাবার বাড়ি। এখন পাপিয়া মাঝেমধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। বাড়ির পাশেই কোলের সন্তান নিয়ে বসে সহপাঠীদের স্কুলে যেতে দেখে। পাপিয়ার আরও অনেক বান্ধবীর খোঁজ নেই। তারাও বাল্যবিবাহের শিকার। এখন তারাও আর স্কুলে আসতে পারে না।
কালিকাপুর নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার বানু জানান, করোনা মহামারি শুরুর আগে তাঁর স্কুলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৭০। এদের মধ্যে ৩০ জনই বাল্যবিবাহের শিকার। এর মধ্যে ১০ জন বিয়ের পরও স্কুলে আসছে। ২০ জন আসে না। স্কুলটিতে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০। সেলিনা আকতার বানু বলেন, একেবারেই গ্রাম তো। অভিভাবকদের বুঝিয়েও কাজ হয় না। স্কুল বন্ধ হওয়ার পরই একে একে ৩০ জনের বিয়ে হয়ে গেল।
করোনা মহামারি শুরুর পর গত দেড় বছরে রাজশাহীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের কেউ কেউ স্কুলে এলেও বেশির ভাগই ঘর-সংসার সামলাতে ব্যস্ত। পাপিয়ার মতো সন্তানও জন্ম দিয়েছে কেউ কেউ। সম্প্রতি প্রতিটি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল থেকে বাল্যবিবাহের শিকার শিক্ষার্থীদের তালিকা নিয়েছেন রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন। তবে প্রাথমিকের পরিস্থিতি কী, সে তথ্য সংগ্রহ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, করোনার প্রকোপ শুরুর সময় ৫৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৬৩।
এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৪০৭। এই ছাত্রীদের মধ্য থেকে ৬ হাজার ৫১২ জনের বিয়ে হয়ে গেছে। এর ফলে রাজশাহীতে বাল্যবিবাহের হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে। জেলায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৮৫ জনের বিয়ে হয়েছে বাগমারা উপজেলায়। এখানে মোট ছাত্রী ছিল ২১ হাজার ৩৯০ জন। বাগমারায় বাল্যবিবাহের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ৯ উপজেলার মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ।
এ ছাড়া রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ৩ হাজার ৪৫৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ১২১ জন, চারঘাটে ৯ হাজার ৩১ জনের মধ্যে ৬৮৪ জন, দুর্গাপুরে ৬ হাজার ৬০২ জন ছাত্রীর মধ্যে ৪৯০ জন, গোদাগাড়ীতে ১২ হাজার ৯৯২ ছাত্রীর মধ্যে ৮৭৩ জন, মোহনপুরে ৬ হাজার ৫৬০ জন ছাত্রীর মধ্যে ৫০১ জন, পবায় ১১ হাজার ২৯৬ জনের মধ্যে ৮৩০ জন, পুঠিয়ায় ৭ হাজার ৫৮৭ জনের মধ্যে ৪৬৫ জন, তানোরে ৮ হাজার ৪৪২ জনের মধ্যে ৬৮০ জন এবং রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে থাকা ৭ হাজার ২৫০ জনের মধ্যে ১৯ জন, মতিহার থানার অধীন ৮ হাজার ৮০০ জনের মধ্যে ৬৪ জন ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
বাঘায় বাল্যবিবাহের হার ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, চারঘাটে ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, দুর্গাপুরে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, গোদাগাড়ীতে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, মোহনপুরে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, পবায় ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, পুঠিয়ায় ৬ দশমিক ১২ শতাংশ, তানোরে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, বোয়ালিয়ায় শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ এবং মতিহারে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বাগমারা উপজেলার মচমইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. আলী হাসান জানান, তাঁর স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে এ রকম তিনজন শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। সামনে পরীক্ষা, তাই তারা স্কুলে আসছে।
তবে দুর্গাপুরের দাওকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, তাঁর স্কুলের বাল্যবিবাহ হওয়া ছাত্রীদের কেউ স্কুলে আসে না।
দুর্গাপুরের গোপালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদ আলী কারিগর জানান, তাঁর স্কুলের আট ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। এঁদের চারজনই অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল।
প্রধান শিক্ষক আজাদ আলী বলেন, মুখচেনা যেসব ভালো শিক্ষার্থীর নাম সামনে এসেছে, কেবল তাদেরই নামের তালিকা করে শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। খুঁজতে গেলে আরও নাম পাওয়া যাবে।
রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন বলেন, কতজন ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, তা ঊর্ধ্বতন কোনো কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে চায়নি। তবে বিষয়টা জেনে রাখার জন্য তিনি নিজে থেকেই এই উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ী স্কুলে স্কুলে তথ্য চাওয়া হয়। সেই তথ্য সম্প্রতি পাওয়া গেছে। এতে বাল্যবিবাহের এই ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পরও কেউ কেউ স্কুলে আসে, যাদের সামনে এসএসসি পরীক্ষা। এর নিচের ক্লাসের যাদের বিয়ে হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই আসে না।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের বাল্যবিবাহ কম হয়। সে কারণে আমরা এ রকম তথ্য সংগ্রহ করিনি। এখন আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৮০ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ এক দিন আসে, আরেক দিন আসে না। হয়তো কেউ একেবারেই আসে না। কারও বাল্যবিবাহ হয়েছে কি না, সেই তথ্য আগামী পরীক্ষার সময় পাওয়া যাবে।’

সবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছিল পাপিয়া আকতার। করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে কিছুদিন পরই বাবা রেজাউল করিম মেয়েটির বিয়ে দেন। এখন পাপিয়ার কোলে এক বছরের ছেলে। স্কুল খুলেছে, কিন্তু পাপিয়া আর স্কুলে যায় না। স্বামীর সংসার আর সন্তান সামলাতেই ব্যস্ত সে।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কলিকাপুর নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল পাপিয়া। স্কুলের পাশেই তাঁর বাবার বাড়ি। এখন পাপিয়া মাঝেমধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। বাড়ির পাশেই কোলের সন্তান নিয়ে বসে সহপাঠীদের স্কুলে যেতে দেখে। পাপিয়ার আরও অনেক বান্ধবীর খোঁজ নেই। তারাও বাল্যবিবাহের শিকার। এখন তারাও আর স্কুলে আসতে পারে না।
কালিকাপুর নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার বানু জানান, করোনা মহামারি শুরুর আগে তাঁর স্কুলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৭০। এদের মধ্যে ৩০ জনই বাল্যবিবাহের শিকার। এর মধ্যে ১০ জন বিয়ের পরও স্কুলে আসছে। ২০ জন আসে না। স্কুলটিতে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০। সেলিনা আকতার বানু বলেন, একেবারেই গ্রাম তো। অভিভাবকদের বুঝিয়েও কাজ হয় না। স্কুল বন্ধ হওয়ার পরই একে একে ৩০ জনের বিয়ে হয়ে গেল।
করোনা মহামারি শুরুর পর গত দেড় বছরে রাজশাহীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের কেউ কেউ স্কুলে এলেও বেশির ভাগই ঘর-সংসার সামলাতে ব্যস্ত। পাপিয়ার মতো সন্তানও জন্ম দিয়েছে কেউ কেউ। সম্প্রতি প্রতিটি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল থেকে বাল্যবিবাহের শিকার শিক্ষার্থীদের তালিকা নিয়েছেন রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন। তবে প্রাথমিকের পরিস্থিতি কী, সে তথ্য সংগ্রহ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, করোনার প্রকোপ শুরুর সময় ৫৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৬৩।
এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৪০৭। এই ছাত্রীদের মধ্য থেকে ৬ হাজার ৫১২ জনের বিয়ে হয়ে গেছে। এর ফলে রাজশাহীতে বাল্যবিবাহের হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে। জেলায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৮৫ জনের বিয়ে হয়েছে বাগমারা উপজেলায়। এখানে মোট ছাত্রী ছিল ২১ হাজার ৩৯০ জন। বাগমারায় বাল্যবিবাহের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ৯ উপজেলার মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ।
এ ছাড়া রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ৩ হাজার ৪৫৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ১২১ জন, চারঘাটে ৯ হাজার ৩১ জনের মধ্যে ৬৮৪ জন, দুর্গাপুরে ৬ হাজার ৬০২ জন ছাত্রীর মধ্যে ৪৯০ জন, গোদাগাড়ীতে ১২ হাজার ৯৯২ ছাত্রীর মধ্যে ৮৭৩ জন, মোহনপুরে ৬ হাজার ৫৬০ জন ছাত্রীর মধ্যে ৫০১ জন, পবায় ১১ হাজার ২৯৬ জনের মধ্যে ৮৩০ জন, পুঠিয়ায় ৭ হাজার ৫৮৭ জনের মধ্যে ৪৬৫ জন, তানোরে ৮ হাজার ৪৪২ জনের মধ্যে ৬৮০ জন এবং রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে থাকা ৭ হাজার ২৫০ জনের মধ্যে ১৯ জন, মতিহার থানার অধীন ৮ হাজার ৮০০ জনের মধ্যে ৬৪ জন ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
বাঘায় বাল্যবিবাহের হার ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, চারঘাটে ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, দুর্গাপুরে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, গোদাগাড়ীতে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, মোহনপুরে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, পবায় ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, পুঠিয়ায় ৬ দশমিক ১২ শতাংশ, তানোরে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, বোয়ালিয়ায় শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ এবং মতিহারে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বাগমারা উপজেলার মচমইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. আলী হাসান জানান, তাঁর স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে এ রকম তিনজন শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। সামনে পরীক্ষা, তাই তারা স্কুলে আসছে।
তবে দুর্গাপুরের দাওকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, তাঁর স্কুলের বাল্যবিবাহ হওয়া ছাত্রীদের কেউ স্কুলে আসে না।
দুর্গাপুরের গোপালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদ আলী কারিগর জানান, তাঁর স্কুলের আট ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। এঁদের চারজনই অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল।
প্রধান শিক্ষক আজাদ আলী বলেন, মুখচেনা যেসব ভালো শিক্ষার্থীর নাম সামনে এসেছে, কেবল তাদেরই নামের তালিকা করে শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। খুঁজতে গেলে আরও নাম পাওয়া যাবে।
রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন বলেন, কতজন ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, তা ঊর্ধ্বতন কোনো কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে চায়নি। তবে বিষয়টা জেনে রাখার জন্য তিনি নিজে থেকেই এই উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ী স্কুলে স্কুলে তথ্য চাওয়া হয়। সেই তথ্য সম্প্রতি পাওয়া গেছে। এতে বাল্যবিবাহের এই ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পরও কেউ কেউ স্কুলে আসে, যাদের সামনে এসএসসি পরীক্ষা। এর নিচের ক্লাসের যাদের বিয়ে হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই আসে না।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের বাল্যবিবাহ কম হয়। সে কারণে আমরা এ রকম তথ্য সংগ্রহ করিনি। এখন আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৮০ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ এক দিন আসে, আরেক দিন আসে না। হয়তো কেউ একেবারেই আসে না। কারও বাল্যবিবাহ হয়েছে কি না, সেই তথ্য আগামী পরীক্ষার সময় পাওয়া যাবে।’

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

সবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছিল পাপিয়া আকতার। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়লে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে কিছুদিন পরই বাবা রেজাউল করিম মেয়েটির বিয়ে দেন। এখন পাপিয়ার কোলে এক বছরের ছেলে। স্কুল খুলেছে কিন্তু পাপিয়া আর স্কুলে যায় না। স্বামীর সংসার আর সন্তান সামলাতেই ব্যস্ত সে।
২৩ অক্টোবর ২০২১
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

সবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছিল পাপিয়া আকতার। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়লে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে কিছুদিন পরই বাবা রেজাউল করিম মেয়েটির বিয়ে দেন। এখন পাপিয়ার কোলে এক বছরের ছেলে। স্কুল খুলেছে কিন্তু পাপিয়া আর স্কুলে যায় না। স্বামীর সংসার আর সন্তান সামলাতেই ব্যস্ত সে।
২৩ অক্টোবর ২০২১
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছিল পাপিয়া আকতার। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়লে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে কিছুদিন পরই বাবা রেজাউল করিম মেয়েটির বিয়ে দেন। এখন পাপিয়ার কোলে এক বছরের ছেলে। স্কুল খুলেছে কিন্তু পাপিয়া আর স্কুলে যায় না। স্বামীর সংসার আর সন্তান সামলাতেই ব্যস্ত সে।
২৩ অক্টোবর ২০২১
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছিল পাপিয়া আকতার। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়লে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে কিছুদিন পরই বাবা রেজাউল করিম মেয়েটির বিয়ে দেন। এখন পাপিয়ার কোলে এক বছরের ছেলে। স্কুল খুলেছে কিন্তু পাপিয়া আর স্কুলে যায় না। স্বামীর সংসার আর সন্তান সামলাতেই ব্যস্ত সে।
২৩ অক্টোবর ২০২১
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে