নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে, তাঁদের ছবি তুলে রাখতে বলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।
এলাকার ভোটারদের উদ্দেশ্যে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আপনারা কেউ কিছু লোকের কিছু কথায় ভয় পাবেন না। ৭ তারিখ সাজুগুজু করে উৎসবের মতো করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নিজের ভোটটা নিজে দেবেন। কারণ, কিছু মানুষ জানেন তাঁর জনপ্রিয়তা কতটুকু। এখানে যদি একটা কাকপক্ষিকেও জিজ্ঞেস করা হয় যে যিনি ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁর জনপ্রিয়তা কতটুকু? আমার মনে হয়, ওনার থেকে অজনপ্রিয় মানুষ এই এলাকায় নেই। আশ্চর্য একটা বিষয়, একটা সিংহও যদি রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়, তাঁকে দেখে কেউ ভয় পাবে না যতটা না এই মানুষকে দেখে মানুষ ভয় পায়।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষকে এই ভয়ভীতি থেকে তাদের বাঁচানো আমার দায়িত্ব। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কে কি বলছেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কেউ যদি কাজ করতে চায়, কাজ করতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। কেন্দ্রীয় নেতারা—মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—তাঁরা অনেক মানবিক। তাঁরা এই শাসকের মতো না। তাঁদের কথা হচ্ছে—নির্বাচন হবে উৎসবমুখর। তাঁরা একবারও বলেননি, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তাঁদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহ, এ রকম কোনো তথ্য তো কেন্দ্র দেয়নি। আপনি কে যে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছেন?’
এমপি ফারুক চৌধুরীর উদ্দেশ্যে মাহিয়া মাহি আরও বলেন, ‘যে সমস্ত নেতা-কর্মী আমার পক্ষে কাজ করছেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে কাজ করছেন, তাঁদের নিয়ে আপনি মন্তব্য করেছেন ভিডিও করে রাখতে হবে, ছবি তুলে রাখতে হবে। কেন? আপনি কতদিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন সেটা কিন্তু জানি। আপনি আগে কী ছিলেন, কোন দল করতেন সেটা কিন্তু আমরা সবাই জানি। ওগুলো নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আপনাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই-কাউকে ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করেন। নির্বাচনটা উৎসবমুখর হতে দেন। আপনি যে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই এলাকায় একটা ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন, সেটা কিন্তু এবার হবে না।’
ফারুক চৌধুরীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাহি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে বাধা দেবে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই আপনি কিন্তু বেশি তিড়িংবিড়িং কইরেন না। ঠিক আছে? এতদিন অনেক কিছু মানুষ সহ্য করেছে। এইবার আর করবে না। কারণ, সবকিছুর তো একটা শেষ আছে। অহংকার পতনের মূল। আপনার অহংকার, আপনার এই জমিদারি স্টাইল আপনাকে পতন করাবে। আপনার মতো শাসক এই এলাকার মানুষ আর চায় না। তারা একটা সাধারণ জনপ্রতিনিধি চায়। আপনার মতো না। তাই এই সমস্ত ভুলভাল তথ্য দেওয়া বন্ধ করেন।’
রাজনীতির মাঠে এসে ফারুক চৌধুরীর নানা বাঁধার কথা তুলে ধরে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মাহি বলেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন না। এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। কারণ, আমি নিজে প্রমাণ। যদি ভালোবাসতেন বঙ্গবঙ্গুর শতবর্ষ উপলক্ষে আমার আয়োজন করা টুর্নামেন্ট বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারতেন না। আপনার অত্যাচার আমি জানি। আপনি কীভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। আপনি পারেন নাই, পারবেন না। শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছিলাম, সেটাও বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। কারণ, আপনি ভয় পান। আপনার জনপ্রিয়তা নেই। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে আছে, তারা আপনার চেয়ে বহুগুণে জনপ্রিয়, আপনারই এলাকায়।’
ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্প্রতি তারই এক অনুসারির মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘যেভাবে নিজের নেতা-কর্মীদেরই মোবাইল-টোবাইল ভাঙা শুরু করেছেন, এগুলো বন্ধ করেন। তা না হলে সব নেতাকর্মী আপনার চলে যাবে। কারণ, জনগণও আপনার সাথে নাই, আপনার নেতাকর্মীও আপনার সাথে নাই। নির্বাচনটা একটা উৎসবমুখর হতে দেন। জনগণ যাকে বেছে নেবে আমরা সেটা মেনে নেব। দশটা হুন্ডা, বিশটা গুন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা-এই টাইপের নির্বাচন এবার হবে না। জনগণ এবার সোচ্চার। বিষয়টা মাথায় রাখবেন।’
এর আগে বুধবার রাতে এক নির্বাচনী সভায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যারা নৌকার বিরোধীতা করবে, তাদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরবর্তীতে কাজে লাগবে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকা নেতা-কর্মীদের কৌশলে ‘রাজাকার’ বলেও মন্তব্য করেন আসনের টানা তিনবারের এই এমপি।’
দলের কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশনা না থাকলেও ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন-যারা নৌকার বিপক্ষে যাবে তাদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতে হবে। দল তাদের ব্যাপারে কিছু করবে এবং সেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের জন্য যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে দেশ স্বাধীন হতে না দেওয়া তারা হলেন রাজাকার। নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে যারা নির্বাচন করছেন তারাও রাজাকার। নৌকার পক্ষে যারা থাকবে তারা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ। নৌকার বিপক্ষে যারা কাজ করবে তারা আওয়ামী লীগ হতে পারবে না। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা প্রতিরোধ করেছিল, আমরা বাঙালিরা অন্য নামে ডাকি। আজকে আওয়ামী লীগের ও নৌকার বিজয়ের জায়গাকে যারা প্রতিরোধ করতে যাচ্ছে স্বাধীনতার প্রতিরোধকারীরা আর এরা (স্বতন্ত্র প্রার্থী), এদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এরা আমাদের দেশের কোনো মঙ্গলজনক মানুষ অবশ্যই না। যাদের দেখবেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করছে তাদের ছবি ও ভিডিও করে রাখবেন। আমাদের প্রয়োজনে লাগবে।’

যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে, তাঁদের ছবি তুলে রাখতে বলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।
এলাকার ভোটারদের উদ্দেশ্যে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আপনারা কেউ কিছু লোকের কিছু কথায় ভয় পাবেন না। ৭ তারিখ সাজুগুজু করে উৎসবের মতো করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নিজের ভোটটা নিজে দেবেন। কারণ, কিছু মানুষ জানেন তাঁর জনপ্রিয়তা কতটুকু। এখানে যদি একটা কাকপক্ষিকেও জিজ্ঞেস করা হয় যে যিনি ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁর জনপ্রিয়তা কতটুকু? আমার মনে হয়, ওনার থেকে অজনপ্রিয় মানুষ এই এলাকায় নেই। আশ্চর্য একটা বিষয়, একটা সিংহও যদি রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়, তাঁকে দেখে কেউ ভয় পাবে না যতটা না এই মানুষকে দেখে মানুষ ভয় পায়।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষকে এই ভয়ভীতি থেকে তাদের বাঁচানো আমার দায়িত্ব। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কে কি বলছেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কেউ যদি কাজ করতে চায়, কাজ করতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। কেন্দ্রীয় নেতারা—মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—তাঁরা অনেক মানবিক। তাঁরা এই শাসকের মতো না। তাঁদের কথা হচ্ছে—নির্বাচন হবে উৎসবমুখর। তাঁরা একবারও বলেননি, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তাঁদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহ, এ রকম কোনো তথ্য তো কেন্দ্র দেয়নি। আপনি কে যে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছেন?’
এমপি ফারুক চৌধুরীর উদ্দেশ্যে মাহিয়া মাহি আরও বলেন, ‘যে সমস্ত নেতা-কর্মী আমার পক্ষে কাজ করছেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে কাজ করছেন, তাঁদের নিয়ে আপনি মন্তব্য করেছেন ভিডিও করে রাখতে হবে, ছবি তুলে রাখতে হবে। কেন? আপনি কতদিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন সেটা কিন্তু জানি। আপনি আগে কী ছিলেন, কোন দল করতেন সেটা কিন্তু আমরা সবাই জানি। ওগুলো নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আপনাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই-কাউকে ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করেন। নির্বাচনটা উৎসবমুখর হতে দেন। আপনি যে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই এলাকায় একটা ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন, সেটা কিন্তু এবার হবে না।’
ফারুক চৌধুরীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাহি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে বাধা দেবে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই আপনি কিন্তু বেশি তিড়িংবিড়িং কইরেন না। ঠিক আছে? এতদিন অনেক কিছু মানুষ সহ্য করেছে। এইবার আর করবে না। কারণ, সবকিছুর তো একটা শেষ আছে। অহংকার পতনের মূল। আপনার অহংকার, আপনার এই জমিদারি স্টাইল আপনাকে পতন করাবে। আপনার মতো শাসক এই এলাকার মানুষ আর চায় না। তারা একটা সাধারণ জনপ্রতিনিধি চায়। আপনার মতো না। তাই এই সমস্ত ভুলভাল তথ্য দেওয়া বন্ধ করেন।’
রাজনীতির মাঠে এসে ফারুক চৌধুরীর নানা বাঁধার কথা তুলে ধরে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মাহি বলেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন না। এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। কারণ, আমি নিজে প্রমাণ। যদি ভালোবাসতেন বঙ্গবঙ্গুর শতবর্ষ উপলক্ষে আমার আয়োজন করা টুর্নামেন্ট বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারতেন না। আপনার অত্যাচার আমি জানি। আপনি কীভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। আপনি পারেন নাই, পারবেন না। শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছিলাম, সেটাও বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। কারণ, আপনি ভয় পান। আপনার জনপ্রিয়তা নেই। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে আছে, তারা আপনার চেয়ে বহুগুণে জনপ্রিয়, আপনারই এলাকায়।’
ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্প্রতি তারই এক অনুসারির মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘যেভাবে নিজের নেতা-কর্মীদেরই মোবাইল-টোবাইল ভাঙা শুরু করেছেন, এগুলো বন্ধ করেন। তা না হলে সব নেতাকর্মী আপনার চলে যাবে। কারণ, জনগণও আপনার সাথে নাই, আপনার নেতাকর্মীও আপনার সাথে নাই। নির্বাচনটা একটা উৎসবমুখর হতে দেন। জনগণ যাকে বেছে নেবে আমরা সেটা মেনে নেব। দশটা হুন্ডা, বিশটা গুন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা-এই টাইপের নির্বাচন এবার হবে না। জনগণ এবার সোচ্চার। বিষয়টা মাথায় রাখবেন।’
এর আগে বুধবার রাতে এক নির্বাচনী সভায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যারা নৌকার বিরোধীতা করবে, তাদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরবর্তীতে কাজে লাগবে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকা নেতা-কর্মীদের কৌশলে ‘রাজাকার’ বলেও মন্তব্য করেন আসনের টানা তিনবারের এই এমপি।’
দলের কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশনা না থাকলেও ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন-যারা নৌকার বিপক্ষে যাবে তাদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতে হবে। দল তাদের ব্যাপারে কিছু করবে এবং সেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের জন্য যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে দেশ স্বাধীন হতে না দেওয়া তারা হলেন রাজাকার। নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে যারা নির্বাচন করছেন তারাও রাজাকার। নৌকার পক্ষে যারা থাকবে তারা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ। নৌকার বিপক্ষে যারা কাজ করবে তারা আওয়ামী লীগ হতে পারবে না। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা প্রতিরোধ করেছিল, আমরা বাঙালিরা অন্য নামে ডাকি। আজকে আওয়ামী লীগের ও নৌকার বিজয়ের জায়গাকে যারা প্রতিরোধ করতে যাচ্ছে স্বাধীনতার প্রতিরোধকারীরা আর এরা (স্বতন্ত্র প্রার্থী), এদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এরা আমাদের দেশের কোনো মঙ্গলজনক মানুষ অবশ্যই না। যাদের দেখবেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করছে তাদের ছবি ও ভিডিও করে রাখবেন। আমাদের প্রয়োজনে লাগবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালি
৬ ঘণ্টা আগে
দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য
৭ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেদীন ইসলাম, রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে প্রতিনিধিদের দাবি, প্রশাসন রাকসুর তহবিলের সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁরা যথাযথভাবে অগ্রসর হতে পারছেন না।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ অক্টোবর শপথগ্রহণ করেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। তবে দুই মাস পার হয়ে গেলে এখনো রাকসু তহবিলের হিসাব দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১৩ সালের পর থেকে হিসাব দিতে পারলেও ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ের তহবিলের কোনো হিসাব দিতে পারছে না প্রশাসন। এ বিষয়ে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর দেখি কোনো ফাইল, কোনো হিসাবই ছিল না। শূন্য থেকে পুরো ভিত্তি গড়ে তুলতে হয়েছে।’
রাকসুর ভিপি ও এজিএসসহ ২৩ পদের মধ্যে ২০ জনই শিবিরসমর্থিত প্যানেলের। এই প্যানেলের ইশতেহারে ১২ মাসে ২৪টি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিলের যথাযথ হিসাব দিতে না পারায় কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন রাকসু প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পরই তাঁরা প্রশাসনকে তহবিলের হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রশাসন ১৫ দিনের সময় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেওয়ার কথা জানালেও শেষ পর্যন্ত তা দিতে পারেনি।
রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বিতর্ক উৎসব, মাঠ সংস্কার, পানির ফিল্টার স্থাপন ও অনলাইন সেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। হয়তো অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজের গতি আশানুরূপ নয়। তবে রাকসুর কাজ বাদ দিচ্ছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে এগুলো নিয়ে কেউ কাজ করেনি। এখন কাজ হচ্ছে এবং সবকিছু আস্তে আস্তে সামনে আসবে। ব্যাংক থেকে স্টেটমেন্টগুলো জমা করতে আরও সময় লাগবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে প্রতিনিধিদের দাবি, প্রশাসন রাকসুর তহবিলের সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁরা যথাযথভাবে অগ্রসর হতে পারছেন না।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ অক্টোবর শপথগ্রহণ করেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। তবে দুই মাস পার হয়ে গেলে এখনো রাকসু তহবিলের হিসাব দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১৩ সালের পর থেকে হিসাব দিতে পারলেও ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ের তহবিলের কোনো হিসাব দিতে পারছে না প্রশাসন। এ বিষয়ে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর দেখি কোনো ফাইল, কোনো হিসাবই ছিল না। শূন্য থেকে পুরো ভিত্তি গড়ে তুলতে হয়েছে।’
রাকসুর ভিপি ও এজিএসসহ ২৩ পদের মধ্যে ২০ জনই শিবিরসমর্থিত প্যানেলের। এই প্যানেলের ইশতেহারে ১২ মাসে ২৪টি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিলের যথাযথ হিসাব দিতে না পারায় কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন রাকসু প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পরই তাঁরা প্রশাসনকে তহবিলের হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রশাসন ১৫ দিনের সময় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেওয়ার কথা জানালেও শেষ পর্যন্ত তা দিতে পারেনি।
রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বিতর্ক উৎসব, মাঠ সংস্কার, পানির ফিল্টার স্থাপন ও অনলাইন সেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। হয়তো অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজের গতি আশানুরূপ নয়। তবে রাকসুর কাজ বাদ দিচ্ছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে এগুলো নিয়ে কেউ কাজ করেনি। এখন কাজ হচ্ছে এবং সবকিছু আস্তে আস্তে সামনে আসবে। ব্যাংক থেকে স্টেটমেন্টগুলো জমা করতে আরও সময় লাগবে।’

যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে, তাঁদের ছবি তুলে রাখতে বলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালি
৬ ঘণ্টা আগে
দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য
৭ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালিকেরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্তত ৫০০ জন এ ঘটনায় ভুক্তভোগী।
জেলা প্রশাসন বলছে, প্রাক্কলিত অর্থ না পাওয়ায় এখনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে রাস্তার দুপাশে বসবাসরত অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
ভূমি অধিগ্রহণের টাকা দ্রুত দেওয়ার দাবিতে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন জমির মালিকেরা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী জমির মালিক করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রেনু মিয়া, ভুক্তভোগী কবির উদ্দিন ভূইয়া, চামটাঘাট বণিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু, মো. নাজমুল মিয়া, মো. জুয়েল মিয়া, হেলিম মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে প্রায় ৫০০ ভুক্তভোগী জমির মালিক অংশ নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্ব পায় কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তর। সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয় ২০১৯ সালে। এ প্রকল্পের অনেক জায়গায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন কেস বা ভূমি অধিগ্রহণ মামলা (এলএ কেস) নম্বর ০৯/২০১৯-২০ অধীন থাকা মৌজাগুলোর অধিগ্রহণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। অধিগ্রহণের কাজ ৭ ধারা নোটিশ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়ে এখন মুখথুবড়ে পড়ে আছে। যে কারণে চামটাঘাট বন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকান নতুন করে সংস্কার ও মেরামত করতে পারছে না। চামটাঘাট বন্দর জনবহুল ব্যবসাকেন্দ্র এবং বহু জেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাটি কোনো জায়গায় সম্প্রসারিত আবার কোনো জায়গায় খানাখন্দ, ভাঙা। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তার দুপাশে বসবাসরত অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছে না। কারণ তারা অধিগ্রহণের টাকা কবে পাবে, সেটা অনিশ্চিত।
জমির মালিক করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য রেনু মিয়া বলেন, ‘৬ শতাংশ জায়গা গেছে। ২০০ ফুটের একটা ঘর গেছে। এই পর্যন্ত টাকা পাইতাছি না। আমরা রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছি। অধিগ্রহণের টাকা না দিয়েই ওরা রাস্তা করে ফেলতে চাচ্ছে। শুধু বাইল দিয়া রাস্তা করে ফেলতে চাচ্ছে।’
চামটাঘাট বণিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু বলেন, ‘টাকার জন্য আমরা ঘরবাড়ি ভেঙে দিছি। এখন পর্যন্ত সরকার অধিগ্রহণের টাকা আমাদের দেয় না। ৭ ধারা নোটিশ দিয়ে বলছে আমাদের টাকা-পয়সা দিয়ে দেবে, কিন্তু কোনো টাকা-পয়সা দেয় না। ১৫ শতাংশ জায়গা গেছে আমার।’
ভুক্তভোগী কবির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত আমাদের যে কাজ হচ্ছে, তার এলএ কেস নং হচ্ছে ৯। আমরা ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তা দিয়ে দিছি। কিন্তু আমাদের অধিগ্রহণের টাকা এখনো পাচ্ছি না। আমরা যারা ভুক্তভোগী আছি তাদের দাবি অতিসত্বর আমাদের টাকা দিয়ে দিক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘অধিগ্রহণের একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা প্রাক্কলন প্রস্তুতক্রমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত মে মাসে পাঠিয়ে দিয়েছি। ডিসেম্বর মাস চলছে এখনো আমরা প্রাক্কলিত অর্থ পাইনি। যে কারণে আমরা অধিগ্রহণের টাকা ডেসপাচ করতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খুবই চিন্তিত। আমরাও চাচ্ছি টাকা এলে দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন দিয়ে দিতে পারি।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের এ প্রকল্পের ৫টি এলএ মামলা ছিল। আমরা ইতিমধ্যে ৪টির টাকা দিয়ে দিয়েছি। শুধু একটি রয়েছে। এটার প্রাক্কলিত মূল্য ১২৩ কোটি টাকা। আমার ডিপিটিতে টাকা বাকি আছে ৬০ কোটির মতো। আরও ৬৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত লাগতেছে। এই ডিপিটিটা সংশোধন করা প্রয়োজন। আমরা সংশোধন করে সংশোধিত ডিপিটিটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে সংশোধিত ডিপিটিটা অনুমোদন হয়ে গেলে টাকাটার ছাড় আসলে আমরা ডিসি অফিসকে দিয়ে দিতে পারব।’

ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালিকেরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্তত ৫০০ জন এ ঘটনায় ভুক্তভোগী।
জেলা প্রশাসন বলছে, প্রাক্কলিত অর্থ না পাওয়ায় এখনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে রাস্তার দুপাশে বসবাসরত অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
ভূমি অধিগ্রহণের টাকা দ্রুত দেওয়ার দাবিতে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন জমির মালিকেরা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী জমির মালিক করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রেনু মিয়া, ভুক্তভোগী কবির উদ্দিন ভূইয়া, চামটাঘাট বণিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু, মো. নাজমুল মিয়া, মো. জুয়েল মিয়া, হেলিম মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে প্রায় ৫০০ ভুক্তভোগী জমির মালিক অংশ নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্ব পায় কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তর। সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয় ২০১৯ সালে। এ প্রকল্পের অনেক জায়গায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন কেস বা ভূমি অধিগ্রহণ মামলা (এলএ কেস) নম্বর ০৯/২০১৯-২০ অধীন থাকা মৌজাগুলোর অধিগ্রহণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। অধিগ্রহণের কাজ ৭ ধারা নোটিশ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়ে এখন মুখথুবড়ে পড়ে আছে। যে কারণে চামটাঘাট বন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকান নতুন করে সংস্কার ও মেরামত করতে পারছে না। চামটাঘাট বন্দর জনবহুল ব্যবসাকেন্দ্র এবং বহু জেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাটি কোনো জায়গায় সম্প্রসারিত আবার কোনো জায়গায় খানাখন্দ, ভাঙা। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তার দুপাশে বসবাসরত অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছে না। কারণ তারা অধিগ্রহণের টাকা কবে পাবে, সেটা অনিশ্চিত।
জমির মালিক করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য রেনু মিয়া বলেন, ‘৬ শতাংশ জায়গা গেছে। ২০০ ফুটের একটা ঘর গেছে। এই পর্যন্ত টাকা পাইতাছি না। আমরা রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছি। অধিগ্রহণের টাকা না দিয়েই ওরা রাস্তা করে ফেলতে চাচ্ছে। শুধু বাইল দিয়া রাস্তা করে ফেলতে চাচ্ছে।’
চামটাঘাট বণিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু বলেন, ‘টাকার জন্য আমরা ঘরবাড়ি ভেঙে দিছি। এখন পর্যন্ত সরকার অধিগ্রহণের টাকা আমাদের দেয় না। ৭ ধারা নোটিশ দিয়ে বলছে আমাদের টাকা-পয়সা দিয়ে দেবে, কিন্তু কোনো টাকা-পয়সা দেয় না। ১৫ শতাংশ জায়গা গেছে আমার।’
ভুক্তভোগী কবির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত আমাদের যে কাজ হচ্ছে, তার এলএ কেস নং হচ্ছে ৯। আমরা ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তা দিয়ে দিছি। কিন্তু আমাদের অধিগ্রহণের টাকা এখনো পাচ্ছি না। আমরা যারা ভুক্তভোগী আছি তাদের দাবি অতিসত্বর আমাদের টাকা দিয়ে দিক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘অধিগ্রহণের একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা প্রাক্কলন প্রস্তুতক্রমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত মে মাসে পাঠিয়ে দিয়েছি। ডিসেম্বর মাস চলছে এখনো আমরা প্রাক্কলিত অর্থ পাইনি। যে কারণে আমরা অধিগ্রহণের টাকা ডেসপাচ করতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খুবই চিন্তিত। আমরাও চাচ্ছি টাকা এলে দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন দিয়ে দিতে পারি।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের এ প্রকল্পের ৫টি এলএ মামলা ছিল। আমরা ইতিমধ্যে ৪টির টাকা দিয়ে দিয়েছি। শুধু একটি রয়েছে। এটার প্রাক্কলিত মূল্য ১২৩ কোটি টাকা। আমার ডিপিটিতে টাকা বাকি আছে ৬০ কোটির মতো। আরও ৬৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত লাগতেছে। এই ডিপিটিটা সংশোধন করা প্রয়োজন। আমরা সংশোধন করে সংশোধিত ডিপিটিটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে সংশোধিত ডিপিটিটা অনুমোদন হয়ে গেলে টাকাটার ছাড় আসলে আমরা ডিসি অফিসকে দিয়ে দিতে পারব।’

যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে, তাঁদের ছবি তুলে রাখতে বলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য
৭ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেআবুল কাশেম, সাঁথিয়া (পাবনা)

দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য আধা পাকা দোকান। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নদের তলদেশ ভরাট করে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে একসময় স্রোতস্বিনী আত্রাইয়ের আয়তন দ্রুত সংকুচিত হয়ে নিঃশেষ হওয়ার পথে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, নব্বইয়ের দশকেও আত্রাইয়ে পালতোলা পণ্যবোঝাই সারি সারি নৌকা চলাচল করত। এটি তখন ছিল এলাকার যোগাযোগ ও জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু এখন সেটি পরিণত হয়েছে প্রায় মরা খালে।
সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নে ইছামতী নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া আত্রাই নদ সাঁথিয়া, বেড়া ও সুজানগর উপজেলা অতিক্রম করে মাসুমদিয়া ইউনিয়নের বাদাই নদের সঙ্গে মিলিত হয়ে যমুনায় গিয়ে পড়ে। তবে সাঁথিয়া উপজেলার অংশে এর বড় একটি অংশই দখল হয়ে গেছে। পাবনা-ঢাকা ও কাজিরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পাশের জেলার অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা কাশিনাথপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আত্রাইয়ের জায়গা দখল করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রতিনিয়ত নদের বুক চিরে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাশিনাথপুর ট্রাফিক মোড় থেকে কাশিনাথপুর হাটের শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদের কোনো দৃশ্যমান অস্তিত্ব নেই। হাট এলাকার একাংশে নদের মাঝখানে নির্মিত একটি সেতুর দুই পাশে নদের দুই তীর ভরাট করে তৈরি হয়েছে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট, আবাসিক ভবন এবং ৪০-৪৫টি দোকান। এগুলোর বেশ কিছুর নির্মাণকাজ এখনো চলছে। অন্যদিকে নদের অবশিষ্ট জলাশয়টি হাটবাজার ও আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ২০০০ সালের পর থেকে আত্রাই দখলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় সুজানগর উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারি অর্থায়নে আত্রাইয়ের ওপর একটি সেতু ও সড়ক নির্মাণ করা হয়। সেতু ও সড়ক নির্মাণের পরপরই রাস্তার দুই পাশে নদের জমি দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এসব স্থাপনার মালিকদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
স্থানীয়দের আরও দাবি, একসময় বাঘুলপুর, বাদাই, ভাটিকয়া, সাগতা, রানীনগর, মাসুমদিয়া, আমিনপুরসহ আশপাশের বহু এলাকার মানুষের যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের প্রধান পথ ছিল আত্রাই নদ। বর্তমানে এর বড় অংশে পানির অস্তিত্ব নেই। বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসনের কার্যকর নজরদারির অভাবে নদটি এভাবে দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। সচেতন মহলের মতে, একসময় প্রশস্ত ও খরস্রোতা আত্রাই এখন অনেক স্থানে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এটি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একসময় এই নদে নৌকা ও লঞ্চ চলত, নানা প্রজাতির মাছ ছিল। জলাধার সংরক্ষণ আইন থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের দুর্বল নজরদারি ও আইন প্রয়োগের অভাবে প্রভাবশালীরা এর বুকে বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তুলেছে। কোথাও কোথাও নদের জমি দখল করে ফসলও আবাদ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ রায়হান বলেন, ‘নদটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। তারা সহযোগিতা চাইলে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’ এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার কাশিনাথপুরে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য আধা পাকা দোকান। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নদের তলদেশ ভরাট করে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে একসময় স্রোতস্বিনী আত্রাইয়ের আয়তন দ্রুত সংকুচিত হয়ে নিঃশেষ হওয়ার পথে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, নব্বইয়ের দশকেও আত্রাইয়ে পালতোলা পণ্যবোঝাই সারি সারি নৌকা চলাচল করত। এটি তখন ছিল এলাকার যোগাযোগ ও জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু এখন সেটি পরিণত হয়েছে প্রায় মরা খালে।
সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নে ইছামতী নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া আত্রাই নদ সাঁথিয়া, বেড়া ও সুজানগর উপজেলা অতিক্রম করে মাসুমদিয়া ইউনিয়নের বাদাই নদের সঙ্গে মিলিত হয়ে যমুনায় গিয়ে পড়ে। তবে সাঁথিয়া উপজেলার অংশে এর বড় একটি অংশই দখল হয়ে গেছে। পাবনা-ঢাকা ও কাজিরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পাশের জেলার অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা কাশিনাথপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আত্রাইয়ের জায়গা দখল করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রতিনিয়ত নদের বুক চিরে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাশিনাথপুর ট্রাফিক মোড় থেকে কাশিনাথপুর হাটের শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদের কোনো দৃশ্যমান অস্তিত্ব নেই। হাট এলাকার একাংশে নদের মাঝখানে নির্মিত একটি সেতুর দুই পাশে নদের দুই তীর ভরাট করে তৈরি হয়েছে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট, আবাসিক ভবন এবং ৪০-৪৫টি দোকান। এগুলোর বেশ কিছুর নির্মাণকাজ এখনো চলছে। অন্যদিকে নদের অবশিষ্ট জলাশয়টি হাটবাজার ও আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ২০০০ সালের পর থেকে আত্রাই দখলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় সুজানগর উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারি অর্থায়নে আত্রাইয়ের ওপর একটি সেতু ও সড়ক নির্মাণ করা হয়। সেতু ও সড়ক নির্মাণের পরপরই রাস্তার দুই পাশে নদের জমি দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এসব স্থাপনার মালিকদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
স্থানীয়দের আরও দাবি, একসময় বাঘুলপুর, বাদাই, ভাটিকয়া, সাগতা, রানীনগর, মাসুমদিয়া, আমিনপুরসহ আশপাশের বহু এলাকার মানুষের যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের প্রধান পথ ছিল আত্রাই নদ। বর্তমানে এর বড় অংশে পানির অস্তিত্ব নেই। বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসনের কার্যকর নজরদারির অভাবে নদটি এভাবে দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। সচেতন মহলের মতে, একসময় প্রশস্ত ও খরস্রোতা আত্রাই এখন অনেক স্থানে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এটি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একসময় এই নদে নৌকা ও লঞ্চ চলত, নানা প্রজাতির মাছ ছিল। জলাধার সংরক্ষণ আইন থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের দুর্বল নজরদারি ও আইন প্রয়োগের অভাবে প্রভাবশালীরা এর বুকে বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তুলেছে। কোথাও কোথাও নদের জমি দখল করে ফসলও আবাদ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ রায়হান বলেন, ‘নদটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। তারা সহযোগিতা চাইলে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’ এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার কাশিনাথপুরে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে, তাঁদের ছবি তুলে রাখতে বলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালি
৬ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেআনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে হাসানুজ্জামিল শাহীন জেলা সভাপতি ও ফরহাদ ইকবাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সভাপতি পদে জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু ও সাবেক সহসভাপতি আলী ইমাম তপন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু।
নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দুজনই দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের সমর্থিত। অন্যদিকে পরাজিতরা ছিলেন প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সমর্থিত। কেন্দ্রীয় এই দুই নেতার দ্বন্দ্বে প্রায় তিন বছরেও জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
দ্বিধাবিভক্ত কমিটির কারণে দিন দিন সাংগঠনিক শৃঙ্খলা দুর্বল হয়ে পড়ছে। উপজেলা পর্যায়ে পকেট কমিটির অভিযোগ এনে নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। আট আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের ২৪ জন নেতা। আর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে বিভিন্ন দল থেকে মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অন্তত ৪১ জন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি তা অনুমোদন দেয়নি। ফলে তিন বছর ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই কর্মকাণ্ড চালাতে হচ্ছে। সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনেক আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। দু-একটি আসনে অন্য এলাকার নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় সমস্যা জটিল হয়েছে। পুনর্বিবেচনা করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তবে এর বাইরে আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী ও সাবেক এমপি আশিকা আকবরের ছেলে আফিফ আহমেদ। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর–গোপালপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। এখানে দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির। তবে তাঁর জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও তিনবারের সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান খান আজাদ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. লুৎফর রহমান মতিন। পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আওয়াল। তবে তাঁর মনোনয়নে ক্ষুব্ধ দলের অন্য অংশ। এই আসনে পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন খান, ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান ও মো. জুয়েল সরকার।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোরহাব, বহিষ্কৃত নেতা ফিরোজ হায়দার খান ও কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপু হায়দার খান।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল, হাবিবুর রহমান কামাল ও বহিষ্কৃত সখীপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান। তবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল ও হাবিবুর রহমান কামালের কোনো দলীয় পদবি নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু বলেন, দীর্ঘদিনেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় এবং জেলা বিএনপির কোনো সাংগঠনিক অফিস না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন দোকান, হোটেল ও ফুটপাতে বসে দলীয় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জেলায় পকেট রাজনীতি শুরু হওয়ায় অধিকাংশ নেতা-কর্মী অন্য নেতার পকেটের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। কেউ কারও কমান্ড শুনছে না। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করে বিভিন্ন আসনে একাধিক নেতা মনোনয়নপত্র কিনছেন। সেগুলোও দেখার কেউ নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী নির্বাচনে খেসারত দিতে হবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জিয়াউল হক শাহীন বলেন, বড় দলে একাধিক প্রার্থী থাকে, আবার সমঝোতাও হয়। নির্দিষ্ট কার্যালয় ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় হযবরল অবস্থা। স্থানীয়ভাবে সমঝোতার উদ্যোগ না থাকায় কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘আমরা সমঝোতার চেষ্টায় রয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতারাও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছেন। আগামী নির্বাচনে সব কটি আসনে বিজয় নিশ্চিতের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। যাঁরা সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন তাঁদের বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে বিবেচনা করা হবে।’

টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে হাসানুজ্জামিল শাহীন জেলা সভাপতি ও ফরহাদ ইকবাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সভাপতি পদে জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু ও সাবেক সহসভাপতি আলী ইমাম তপন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু।
নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দুজনই দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের সমর্থিত। অন্যদিকে পরাজিতরা ছিলেন প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সমর্থিত। কেন্দ্রীয় এই দুই নেতার দ্বন্দ্বে প্রায় তিন বছরেও জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
দ্বিধাবিভক্ত কমিটির কারণে দিন দিন সাংগঠনিক শৃঙ্খলা দুর্বল হয়ে পড়ছে। উপজেলা পর্যায়ে পকেট কমিটির অভিযোগ এনে নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। আট আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের ২৪ জন নেতা। আর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে বিভিন্ন দল থেকে মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অন্তত ৪১ জন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি তা অনুমোদন দেয়নি। ফলে তিন বছর ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই কর্মকাণ্ড চালাতে হচ্ছে। সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনেক আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। দু-একটি আসনে অন্য এলাকার নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় সমস্যা জটিল হয়েছে। পুনর্বিবেচনা করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তবে এর বাইরে আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী ও সাবেক এমপি আশিকা আকবরের ছেলে আফিফ আহমেদ। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর–গোপালপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। এখানে দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির। তবে তাঁর জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও তিনবারের সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান খান আজাদ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. লুৎফর রহমান মতিন। পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আওয়াল। তবে তাঁর মনোনয়নে ক্ষুব্ধ দলের অন্য অংশ। এই আসনে পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন খান, ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান ও মো. জুয়েল সরকার।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোরহাব, বহিষ্কৃত নেতা ফিরোজ হায়দার খান ও কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপু হায়দার খান।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল, হাবিবুর রহমান কামাল ও বহিষ্কৃত সখীপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান। তবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল ও হাবিবুর রহমান কামালের কোনো দলীয় পদবি নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু বলেন, দীর্ঘদিনেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় এবং জেলা বিএনপির কোনো সাংগঠনিক অফিস না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন দোকান, হোটেল ও ফুটপাতে বসে দলীয় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জেলায় পকেট রাজনীতি শুরু হওয়ায় অধিকাংশ নেতা-কর্মী অন্য নেতার পকেটের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। কেউ কারও কমান্ড শুনছে না। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করে বিভিন্ন আসনে একাধিক নেতা মনোনয়নপত্র কিনছেন। সেগুলোও দেখার কেউ নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী নির্বাচনে খেসারত দিতে হবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জিয়াউল হক শাহীন বলেন, বড় দলে একাধিক প্রার্থী থাকে, আবার সমঝোতাও হয়। নির্দিষ্ট কার্যালয় ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় হযবরল অবস্থা। স্থানীয়ভাবে সমঝোতার উদ্যোগ না থাকায় কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘আমরা সমঝোতার চেষ্টায় রয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতারাও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছেন। আগামী নির্বাচনে সব কটি আসনে বিজয় নিশ্চিতের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। যাঁরা সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন তাঁদের বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে বিবেচনা করা হবে।’

যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে, তাঁদের ছবি তুলে রাখতে বলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালি
৬ ঘণ্টা আগে
দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য
৭ ঘণ্টা আগে