Ajker Patrika

শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল, উপদেষ্টার অপেক্ষায় গুদামে বস্তাবন্দী কম্বল

রিমন রহমান, রাজশাহী 
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ৫৩
গুদামে পড়ে থাকা শীতার্তদের কম্বল। ছবি: সংগৃহীত
গুদামে পড়ে থাকা শীতার্তদের কম্বল। ছবি: সংগৃহীত

কথা ছিল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজহাতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবেন। তাই, তাঁর সফরসূচির আওতায় থাকা প্রতিটি উপজেলার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২ হাজার করে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে উপদেষ্টাকে সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকা ফিরতে হওয়ায় রাজশাহী ও বগুড়ার তিনটি উপজেলায় একটি কম্বলও বিতরণ করা হয়নি।

এদিকে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। আজ রোববার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একটি গরম কাপড়ের আশায় বসে আছেন অনেক ছিন্নমূল মানুষ।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সফরসূচিতে দেখা যায়, গত ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরবঙ্গের ১২টি জেলা সফর করার কথা ছিল তাঁর। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে কম্বল বিতরণ করে তাঁর রাজশাহী বিভাগে ঢোকার কথা ছিল। বিকেলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের কথা ছিল। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ, জয়পুরহাটের কালাই, আক্কেলপুর ও নওগাঁর আত্রাইয়ে এবং ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া, মোহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এবং গোমস্তাপুরে একই কর্মসূচি ছিল এই উপদেষ্টার।

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে রংপুর বিভাগ থেকেই ঢাকায় ফিরে যান উপদেষ্টা। ফলে সফরসূচিতে থাকলেও যাওয়া হয়নি রাজশাহী বিভাগে। এই বিভাগের তিনটি উপজেলায় উপদেষ্টার বিতরণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরবরাহ করা কম্বল বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে বিভাগের অন্য উপজেলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কম্বল বিতরণ শুরু করে দিয়েছেন।

কম্বলের ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বীকৃতি প্রামাণিক আজ রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকা বলেন, ‘কম্বলের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। কম্বল ওভাবেই আছে। যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

কম্বল বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের পিআইও আবদুল আলীম বলেন, ‘কম্বল আমার হেফাজতেই আছে। ওপর থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে সেটা তো জানি না। কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ইউএনও স্যার সিদ্ধান্ত নেবেন। শীত থাকতে থাকতেই কম্বল বিতরণ করা হবে।’

রাজশাহীর মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আলাদা কিছু কম্বল এসেছিল। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিতরণের জন্য যেসব কম্বল এসেছিল, সেগুলো এখনো গুদামেই রাখা আছে। ইউএনও বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। কম্বল ওভাবেই আছে।’

রাজশাহীর পুঠিয়ার পিআইও মাহবুবা আক্তার বলেন, ‘কম্বল ওইভাবেই গুদামে আছে। ইউএনও স্যারকে নাকি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, আগামী ১৮ জানুয়ারি উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন। কিন্তু সেটাও স্থগিত হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমরা কম্বল বিতরণ করিনি।’

কম্বল বিতরণের অবস্থা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান বলেন, ‘শুনেছি, কম্বলগুলো স্ট্যান্ড স্টিল রয়েছে। শীত চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা তো আমার না। কম্বলগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের টাকায় কেনা। এ বিষয়ে তারা বলতে পারবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন কিনা, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই কম্বল বিতরণ করে দিতে বলা হয়নি। আমরা কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করছি। যদি দেখি উনি আসবেন না, তখন কম্বলগুলো বিতরণ করে দিতে বলা হবে। আমরা বললেই ইউএনওরা কম্বল বিতরণ করে দেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত