Ajker Patrika

ইজারা ভুয়া জেলের কবজায়

  • নীতিমালা উপেক্ষা করে মোটা অঙ্কের টাকা কিংবা দলীয় প্রভাবে সমবায় সমিতির নিবন্ধন।
  • গোদাগাড়ীর ৪৮টি নিবন্ধিত মৎস্যজীবী সমিতির ১৬টিতে একজনেরও জেলে কার্ড নেই।
  • নামসর্বস্ব সমবায় সমিতির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে লিখিত অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০: ৩৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মাঠে-মাঠে, গ্রামে-গ্রামে শত শত সরকারি খাসপুকুর। তিন বছরের জন্য এসব পুকুর ইজারা দেয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, পুকুর ইজারা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির। তাই এই পুকুর ইজারা নিতে সৃষ্টি হয়েছে ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি। একজনও মৎস্যজীবী নেই—এমন বেশ কিছু সমবায় সমিতি আছে রাজশাহীতে।

জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার এমন নামসর্বস্ব সমবায় সমিতির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ করেছেন একজন মৎস্যজীবী। অভিযোগে তিনি বলেছেন, ভুয়া সমিতি পুকুর বাগিয়ে নেওয়ার কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত।

তবে জেলা সমবায় কর্মকর্তা এ পর্যন্ত তদন্তই শুরু করেননি।

নীতিমালা অনুযায়ী, সমবায় সমিতি করতে হলে কমপক্ষে ২০ জন জেলে কার্ডধারী (এফআইডি) মৎস্যজীবী সদস্য থাকতে হবে। তবে এই নীতিমালা উপেক্ষা করে মোটা অঙ্কের টাকা কিংবা আওয়ামী লীগের আমলে দলীয় প্রভাবে সমবায় সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সমিতিতে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গোদাগাড়ী উপজেলায় ৪৮টি নিবন্ধিত মৎস্যজীবী সমিতি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬টি মৎস্যজীবী সমিতিতে একজনেরও এফআইডি নেই। সমিতিগুলো হলো সূর্যসেনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড, হরিশংকরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, কাঁকনহাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, ফরিদপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, জিওলমারী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মায়ের দোয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, জোতগোসাইদাস ভগবন্তপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, হরিনবিস্কা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, বরেন্দ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, গোদাগাড়ী পৌর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, স্লুইসগেট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মোল্লাপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, রামনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও মাধবপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।

একজন কার্ডধারী নিয়ে শ্রীমন্তপুর মৎস্যজীবী সমিতিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তিনজন কার্ডধারী নিয়ে কামিরপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে, দুজন কার্ডধারী নিয়ে চান্দলিয়া কুমরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মাটিকাটা মৎস্যজীবী সমিতি ও মাদারপুর মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে। তিনজন কার্ডধারী নিয়ে আলীপুর মৎস্যজীবী সমিতি ও রাজাবাড়ীহাট মৎস্যজীবী সমিতিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। চারজন কার্ডধারী নিয়ে দেওয়ানপাড়া মৎস্যজীবী সমিতি ও মাদারপুর দক্ষিণ জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমিতি নিবন্ধন পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে সদস্য হিসেবে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক, নির্মাণকাজের ঠিকাদার, কাঠমিস্ত্রি, স্কুলশিক্ষক, মসজিদের ইমাম, প্রবাসী, দোকান ব্যবসায়ী, আড়তদার ও কৃষক।

এ বিষয়ে কথা হয় কামিরপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য এনামুল হক তোতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমিতিতে ১৬-১৭টা কার্ডধারী সদস্য আছে। তবে আমার নিজের কার্ড নেই।’ কার্ড না থাকলেও সমিতির সদস্য কীভাবে হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে সমিতি করতে জেলে কার্ড লাগত না। তখন সদস্য হয়েছি। পরে সরকার যখন জেলে কার্ড বাধ্যতামূলক করল, তখন আমরা পাইনি।

এটা দলীয়করণ হয়েছে। নেতা-গোতা, অন্য পেশার মানুষ টাকা দিয়ে কার্ড নিয়েছে। প্রকৃত জেলেরা এখনো সবাই কার্ড পায়নি।’

এদিকে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘সমিতিগুলো নিবন্ধনের সময় মৎস্য অফিস থেকে যদি প্রত্যয়ন নিয়ে নিবন্ধিত হতো, তাহলে ২০১৪ সালে সরকার যখন এফআইডি কার্ড দেওয়া শুরু করল, তখন তাঁরা এফআইডি কার্ডধারী সদস্য হতেন। কিন্তু তাঁরা প্রকৃত মৎস্যজীবীই নন। তাই কার্ড পাননি। এই সমিতিগুলোর জন্য আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’

অভিযোগে বলা হয়, গোদাগাড়ীতে সম্প্রতি ২ হাজার ২৩৬ পুকুর ইজারা দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নামসর্বস্ব এসব ভুয়া সমিতি ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দরপত্র জমা দিয়েছে। ২০০৯ সালের জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী, মৎস্যজীবী সমিতি পুকুর পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তাই প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হবে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভুয়া মৎস্যজীবী সেজে সমিতি নিবন্ধন করে অবৈধভাবে সুবিধা গ্রহণ করছে।

তানোরের অভিযোগকারী ওই মৎস্যজীবী অভিযোগে বলেছেন, একই সমিতি গোদাগাড়ীতে যেমন ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে, তেমনি তারা তানোরেও অংশ নিয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী তারা শুধু দুটি পুকুর বরাদ্দ পাবে। দুই উপজেলায় এই চক্র বেশি পুকুর নিতে চায়।

প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নামসর্বস্ব সমিতির মাধ্যমে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বছরের পর বছর সরকারি খাসপুকুর ইজারা নিচ্ছে। ইজারা প্রক্রিয়ার শুরুতেই তাঁরা সিন্ডিকেট করে ফেলেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নামমাত্র দাম দেন দরপত্রে। বার্ষিক ইজারামূল্য ২ লাখ হবে, এমন পুকুর সিন্ডিকেট নেয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায়। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা আবার প্রকাশ্যে এসব পুকুর ডাক দেন। আবার অনেক সময় ডাক না দিয়েও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুকুর ইজারা প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আগে এসব সমিতিকে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিতে হয় যে, সমিতিতে ২০ জন কার্ডধারী জেলে রয়েছেন। এবার গোদাগাড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামানের কাছে সমিতিগুলো প্রত্যয়ন নিতে গেলে তিনি দেখেন, সব সমিতিতে ২০ জন কার্ডধারী সদস্য নেই। তিনি প্রত্যয়নে সেটিই লিখে দিচ্ছিলেন। একটি ভুয়া সমিতিকে তিনি প্রত্যয়ন দিতে না চাইলে মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে মারমুখী আচরণও করেন পুকুর সিন্ডিকেটের এক সদস্য। পরদিন অবশ্য মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলছেন, সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় মাঝে মাঝে সমিতিগুলো নিয়ে অডিট (নিরীক্ষা) করলেও এসব অনিয়ম উঠে আসে না। কর্মকর্তাদের খুশি করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন করিয়ে নেয় সমিতিগুলো। ফলে প্রকৃত জেলে না থাকলেও সমিতিগুলোর নিবন্ধন বাতিল হয় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন ইসলাম বলেন, ‘আগে কী হয়েছে, সেটা বলতে পারব না। তবে এখন মৎস্যজীবী কার্ড না থাকলে নিবন্ধন দেওয়া হয় না।’ ভুয়া সমিতিগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তানোরের একজন মৎস্যজীবী অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। যোগাযোগ হলে দ্রুতই তদন্ত শুরু হবে। তা না হলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পেট্রোলিয়াম করপোরেশন: দেড় বছরেও চালু হয়নি ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

  • ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে প্রকল্প।
  • দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা।
  • চালু হলে বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।

প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।

প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহ বিভাগ: অবৈধভাবে চলছে ৪৫৯ ইটভাটা

  • বিভাগের চার জেলায় বৈধ ইটভাটা মাত্র ৮৪টি।
  • ভাটাগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ।
  • এসব ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি।
  • অবৈধভাবে চলা ভাটা বন্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বসতবাড়ির পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ একটি ইটভাটা। সম্প্রতি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বসতবাড়ির পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ একটি ইটভাটা। সম্প্রতি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ইটভাটা ৫৪৩টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫৯টিই অবৈধ। বৈধ ৮৪টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কার্যক্রম চলছে অবৈধগুলোতেও। এগুলোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ।

গত বৃহস্পতিবার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিআরবি ইটভাটা। পাশেই বসতবাড়ি ও স্কুল। বিআরবি থেকে অল্প দূরত্বে শীলা নদী ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে সততা ইটভাটা। এসব ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি।

মাখল নিগুয়ারী গ্রামের বাসিন্দা আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘এক মাস আগে ভাটার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। আমাদের এলাকায় পাশাপাশি তিনটি ভাটা রয়েছে। একটিরও ছাড়পত্র নেই। তাহলে তারা কীভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।’ একই গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ভাটায় ব্যবহৃত অবৈধ লরির নিচে পড়ে তিন বছর আগে এক শিশু নিহত হয়। ভাটা এই এলাকায় আতঙ্কের নাম। এগুলোর মালিকেরা বিভিন্ন কৌশলে কৃষকদের জমি থেকে মাটি নিচ্ছেন। এতে কৃষক সাময়িকভাবে লাভবান হলেও দীর্ঘ মেয়াদে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।

মাখল নিগুয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে ভাটা থেকে ইট বহনকারী লরি। এতে ধুলোবালিতে শ্রেণিকক্ষে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় শিশুদের। শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল এলাকায় তিনটি ভাটা। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

লাইসেন্স নবায়ন না হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইট উৎপাদনের কথা জানান বিআরবি ইট ভাটার ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, একসময় তাঁদের বৈধ লাইসেন্স ছিল, কিন্তু ২০১৯ সালের পর নবায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা এভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রশাসন ভেঙে দিলে তাঁদের কিছু করার নেই। সততা ইটভাটার পরিচালক জুয়েল খান বলেন, জীবনের সবটুকু উপার্জন ভাটায় বিনিয়োগ করেছেন। এখন প্রশাসন ভেঙে দিলে রাস্তায় বসতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েই যত দিন সম্ভব ভাটা চালিয়ে যাবেন।

অবৈধভাবে চলা ভাটাগুলো বন্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, বিভাগের চার জেলায় ৫৪৩টি ভাটার মধ্যে ৪৫৯টি অবৈধ। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়েকটি ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সংখ্যা বেশি হওয়ায় অভিযান চালিয়ে কুলিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মানিকগঞ্জের ৩ আসন: বিএনপির ঘাঁটিতে ভাগ বসাতে চায় জামায়াত

  • আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত থাকায় শক্ত অবস্থানে বিএনপি।
  • সভা, সমাবেশ, উঠান বৈঠক চালাচ্ছেন দুই দলের প্রার্থীরা।
মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ  
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সংসদীয় আসনগুলোয় বরাবরই বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। তবে ২০০৮ সালে দৃশ্যপট বদলে আসনগুলো আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটি এবার অনুপস্থিত থাকায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও শক্ত অবস্থানে বিএনপি। বসে নেই তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতও। দলটি বিএনপির ঘাঁটিতে ভাগ বসাতে মরিয়া। দুই দলই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচার চালাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসনগুলো পুনরুদ্ধারে দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে সভা, সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করছেন বিএনপির প্রার্থী। জামায়াতসহ অন্য দলের প্রার্থীরাও ভোটার টানতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

জানা গেছে, দল গঠনের পর ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের চারটি আসনের সব কটিতেই বিএনপির প্রার্থীরা জয় পান। পঞ্চম থেকে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সব কটি আসনই ধরে রেখেছিলেন বিএনপির প্রার্থীরা। তবে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হন। পরে বিতর্কিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনেও একই ধারা বজায় থাকে। এবার ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ না থাকায় ভিন্ন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে সব আসনে জয় পেতে চেষ্টায় আছেন বিএনপির প্রার্থীরা।

বিএনপির কয়েক মাস আগে তিনটি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে জামায়াত। এর পর থেকে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন দলটির প্রার্থীরা। এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরাও ভোটের মাঠে রয়েছেন।

মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়)

বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের নির্বাচনী আসন ছিল এটি। বিএনপি প্রথম ধাপে এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও দ্বিতীয় ধাপে ঘোষণা করেছে। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য এস এ জিন্নাহ কবিরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ আসনে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তোজাম্মেল হক এবং জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আমিনূল হক দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ঢাকা মহানগরের (উত্তর) সদস্য চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক। এ ছাড়া এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুকও প্রচারণা শুরু করছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঘিওর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনিও ইতিমধ্যে ভোটের প্রচারণা শুরু করেছেন।

মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর, সিংগাইর ও জেলা সদরের দুটি ইউনিয়ন)

এ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাবা শামসুল ইসলাম খান এই আসনে চারবার সংসদ সদস্য এবং ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির আমলে শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তিনি সভা, সমাবেশ, উঠান বৈঠক করে আসছেন।

এ আসনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. জাহিদুর রহমানকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাউদ্দিনও ভোটের মাঠে আছেন। সিপিবির জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল ইসলাম শিকদার নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।

মানিকগঞ্জ-৩ (সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ পৌরসভা ও সদরের সাতটি ইউনিয়ন)

জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী আসন হচ্ছে মানিকগঞ্জ-৩। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা। তিনি সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত হারুণার রশিদ খানের বড় মেয়ে।

এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তরের সহকারী পরিচালক দেলওয়ার হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্যসচিব নাহিদ মনির এনসিপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও তিনিসহ এ আসনে জাতীয় পার্টি, সিপিবিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় তেমন দেখা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি সম্মিলিত নারী প্রয়াসের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘সম্মিলিত নারী প্রয়াস’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘সম্মিলিত নারী প্রয়াস’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।

সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’

অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।

কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত