Ajker Patrika

রাজশাহী

আরডিএ কমপ্লেক্স চায় জুলাই ছাত্র পরিষদ

  • মাসিক ৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় ভাড়া, বাতিলের দাবিতে আন্দোলন।
  • সেখানে জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা করতে চান জুলাই যোদ্ধারা।
 রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে প্রায় ৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আরডিএ কমপ্লেক্সটি জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা করতে চান জুলাই যোদ্ধারা। এ দাবিতে তাঁরা আন্দোলনও করছেন। এদিকে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) ইতিমধ্যে মাসিক ৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় ভবনের সিংহভাগ ভাড়া দিয়েছে। সেখানে একটি বেসরকারি স্কুল চালুর কাজ চলছে।

নগরের তালাইমারী মোড়ে এক একর জায়গার ওপর এই ভবন নির্মাণ করেছে আরডিএ। আওয়ামী সরকারের আমলে প্রকল্পটি শুরু হয় ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ নামে। এটি চালুর আগেই আওয়ামী সরকারের পতন হলে স্থাপনাটির নাম পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম দেওয়া হয় ‘আরডিএ কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে ৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় হয়।

আরডিএ থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি কমপ্লেক্সটি ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড সভা। সে অনুযায়ী উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে ২৯ হাজার ৫০০ বর্গফুট জায়গার জন্য মাসে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ভাড়া দিতে চান দেবাশীষ প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তি। ২৯ লাখ টাকা জামানত নিয়ে ইতিমধ্যে ১০ বছরের জন্য দেবাশীষকে কমপ্লেক্সটি বুঝিয়েও দেয়। ১ নভেম্বর থেকে ভাড়া ধরা হবে। ভবনটি ভাড়া পেয়ে দেবাশীষ প্রামাণিক সেটি ক্যামব্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলকে ভাড়া দেন। ইতিমধ্যে কমপ্লেক্সে স্কুলটির রাজশাহী শাখা হিসেবে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থীও ভর্তি হয়েছে। তবে ভেতরে কিছু কাজ চলছে।

এখন এ ভাড়া বাতিল করে জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা করার দাবি জানাচ্ছেন রাজশাহীর জুলাই যোদ্ধারা। এ দাবিতে এবং ‘সরকারি সম্পত্তি নিয়ম-বহির্ভূতভাবে ফ্যাসিস্টদের হাতে লিজ দেওয়ার প্রতিবাদে’ গত রোববার দুপুরে ৩৬ জুলাই ছাত্র পরিষদ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা আরডিএ ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভা করে। পরে সংগঠনের সদস্যরা আরডিএ চেয়ারম্যান এস এম তুহিনুর আলমের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি জানান। পরে তাঁরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী জুলাই যোদ্ধা মাহমুদুল হাসান মাসুম বলেন, ‘তালাইমারিকেন্দ্রিক আমাদের আন্দোলন হয়েছে। ওই খানে অবস্থান করে আমরা কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করেছি। সেই জায়গা থেকে আমরা চাই, শহীদদের স্মৃতি যেন সংরক্ষণ করা হয়। এই ভবনটা অন্য একজনের নামে করা হয়েছিল। আমরা দাবি করেছিলাম, এটা যেন জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা হিসেবে তৈরি করা হয়। তাঁরা আমাদের আশ্বাস দিলেও ইজারা দেওয়া হয়।’

মাহমুদুল হাসান মাসুম বলেন, ‘এখন যে প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে, তারাও স্বৈরাচারের দোসর। আরডিএ জুলাই আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে। আমরা আরডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি দুই দিন সময় নিয়েছেন। এর মধ্যে তাঁদের বোর্ড সভা হবে। আমরা আগামী বৃহস্পতিবার আবার তাঁদের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানব।’

৩৬ জুলাই ছাত্র পরিষদের সভাপতি আবদুল মমিন বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য দাবি—আমাদের পরিষদকে এই প্রতিষ্ঠানটা দিতে হবে। এ পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে, কাকে তারা ইজারা দেবে। এই পরিষদ অবশ্যই ছাত্রদের স্মৃতিকেই ধারণ করার চেষ্টা করবে। ছাত্র আন্দোলন সবার জন্য। একজনের কাছে কেন এই প্রতিষ্ঠান থাকবে। এই প্রতিষ্ঠান হবে একটি জ্ঞানের প্রতিষ্ঠান, এটা শিক্ষা নেওয়ার প্রতিষ্ঠান; যেন আর কেউ ফ্যাসিস্ট হতে না পারে।’

রোববার বিকেলে আরডিএ কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশপথে ক্যামব্রিয়ান স্কুলের কর্মকর্তারা বসে আছেন। ভেতরে স্কুলের অফিস কক্ষও করা হয়েছে। অভিভাবকেরা এসে ভর্তির বিষয়ে জেনে যাচ্ছেন। প্রধান ফটকে স্কুলের ব্যানার টানানো আছে। তার পাশেই ৩৬ জুলাই ছাত্র পরিষদের ব্যানার ঝুলছে। দেয়ালে কয়েকজন শহীদের ছবিও টাঙানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরডিএ কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল তারিক বলেন, ‘আগে এটা বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এটা আরডিএ কমপ্লেক্স হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলাম। সর্বোচ্চ ভাড়া দিয়ে দেবাশীষ প্রামাণিক এটা বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি কাকে ভাড়া দিয়েছেন, সেটা দেখার বিষয় না। তবে প্রতিষ্ঠান যদি সরকারি অনুমোদিত না হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আইন অনুযায়ী দেখব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাণিজ্য, অফিসের বাইরে সেখানে কিছু করতে পারবে না।’

এখন ভাড়া দেওয়ার বিরোধিতা হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল তারিক বলেন, ‘এখন বিরোধিতা হচ্ছে, আমরা চিন্তা করছি—এই বিষয়টা সুরাহা করে নেব। যদি না করা যায়, আমরা সেই সুরাহা করে ফেলব।’

জানতে চাইলে ক্যামব্রিয়ান স্কুলের সিইও রমেনটু চাকমা বলেন, ‘এখানে আমরা সব নিয়মকানুন মেনে এসেছি। সব প্রস্তুতি শেষ। শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এখন আমাদের ফিরে যেতে হলে আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহবাগে আবারও ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা

‎শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।

‎অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। এতে এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

‎আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তাঁরা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। সোয়া ২টার পর তাঁরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেন।

‎গত শুক্রবার দুপুর থেকে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।

‎গতকাল সারা দেশের বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে রাত ১০টার দিকে খুনিদের গ্রেপ্তার, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের কাজের অনুমতি বাতিলসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।

‎ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা হলো—

১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।

২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়ের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।

৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সব খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।

৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুবির প্রথম বর্ষের চার ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

খুলনা প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার্থীরা http://apply.ku.ac.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে ফল জানতে পারবে।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ না করলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ডিসিপ্লিনভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগামী ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা) পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারটি ইউনিটের প্রধানেরা নিজ নিজ ইউনিটের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সভায় চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সব স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা স্কুল) ও ‘ডি’ ইউনিট (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) এবং ১৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ও ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরা হকের কাছে তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।

একই আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনুও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এ ছাড়া ফেনী-২ আসনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়নপত্র জমা দেন।

জানতে চাইলে আবদুল আউয়াল মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে। তবে নেত্রীর বিকল্প কেউ নেই, তাঁর অসুস্থতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, চেয়ারপারসন মাঠে না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া এই আসন থেকে বিপুল ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি খালেদা জিয়াকে সহযোগিতার জন্য কাজ করব।’

উল্লেখ্য, ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৪৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ১৩ জন, ফেনী-২ আসনে ১৬ জন ও ফেনী-৩ আসনে ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা, স্বাক্ষরের স্থলে আঙুলের ছাপ

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা তিনটার দিকে দলীয় প্রধানের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদারের (লালু) নেতৃত্বে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কাছে এই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। তবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে মনোনয়নপত্রে তাঁর স্বাক্ষরের বদলে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বেলা দেড়টার দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।

তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ সময় জেলা বিএনপি ও সদর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জানান তালুকদার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি ইশারা-ইঙ্গিতে যোগাযোগ করছেন। মনোনয়নপত্রে খালেদা জিয়া স্বাক্ষরের বদলে তাঁর আঙুলের ছাপ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) ও তারেক রহমান বগুড়া-৭ (সদর) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত