রাবি প্রতিনিধি

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরীক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে এক ‘ভুতুড়ে’ আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকা সত্ত্বেও সেই কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ভোগান্তি কমার চেয়ে উল্টো বেড়েছে। ভুতুড়ে এই আসনবিন্যাস বাতিল করে নতুন আসনবিন্যাস প্রকাশের দাবি করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তাঁর সিট পড়েছে। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো ভর্তিপ্রক্রিয়াকে পুনরায় সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পর আসনবিন্যাসের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র’ নামক একটি গ্রুপে অভিযোগ করে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা লেখেন—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটপ্ল্যান বাতিল চাই, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী নতুন করে সিটপ্ল্যান দিতে হবে।’
ওই ফেসবুক গ্রুপে জিকরা নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাসা ঝিনাইদহে। একজন মেয়ে হয়ে আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এত টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার অত দূর অনেক টাকা দিয়ে জার্নি করাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারি না, অসুস্থ বোধ করি। এ ছাড়া এত টাইম জার্নি করার পর পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াটা কারোও পক্ষে সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য অনেক হয়রানি। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেক স্টুডেন্টের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।’
রওনক জাহান রোজি নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি বগুড়া হলেও পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে রাজশাহীতে যেতে ৩ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিত ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিটপ্ল্যান নতুন করে প্রণয়ন করা উচিত।’
শিমুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের ভোগান্তি কমাতে গিয়ে উল্টো অনেকের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই বাস্তব।’
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক এক ফেসবুক গ্রুপে কাওসার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহীর শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে খুলনা বিভাগে। প্রশাসনের এটা কী ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? এতে করে প্রশাসন কী অর্জন করল জানতে চাই? শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি কি তাদের উদ্দেশ্য?’
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাসের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘যে খুলনা কেন্দ্র চয়েজ দিয়েছে, তার এক ইউনিটে পড়েছে রাজশাহী, এক ইউনিটে ঢাকা, অন্য ইউনিটে চট্টগ্রাম! মানে সিরিয়াসলি? এটা কী হযবরল করেছে রাবির আইসিটি সেন্টার! এ তো নতুন ভোগান্তি চালু করা হচ্ছে। যেখানে ভর্তি পরীক্ষার ডিসেন্ট্রালাইজেশনের মূল উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো। এ সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় নিয়ে হলেও করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার এখনো অনেক সময় বাকি। শিক্ষার্থীদের সাথে এটা নতুন প্রহসন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে রেখেছে, কিন্তু আমাদের আসনসংখ্যা সীমিত। এ কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এইচএসসির ফলাফল সাপেক্ষে সিটপ্ল্যান করা হয়েছে।’
এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন বা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। এদিকে শিগগির ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যাবে, তাই সময়ও কম। তবে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ। এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।’

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরীক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে এক ‘ভুতুড়ে’ আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকা সত্ত্বেও সেই কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ভোগান্তি কমার চেয়ে উল্টো বেড়েছে। ভুতুড়ে এই আসনবিন্যাস বাতিল করে নতুন আসনবিন্যাস প্রকাশের দাবি করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তাঁর সিট পড়েছে। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো ভর্তিপ্রক্রিয়াকে পুনরায় সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পর আসনবিন্যাসের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র’ নামক একটি গ্রুপে অভিযোগ করে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা লেখেন—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটপ্ল্যান বাতিল চাই, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী নতুন করে সিটপ্ল্যান দিতে হবে।’
ওই ফেসবুক গ্রুপে জিকরা নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাসা ঝিনাইদহে। একজন মেয়ে হয়ে আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এত টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার অত দূর অনেক টাকা দিয়ে জার্নি করাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারি না, অসুস্থ বোধ করি। এ ছাড়া এত টাইম জার্নি করার পর পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াটা কারোও পক্ষে সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য অনেক হয়রানি। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেক স্টুডেন্টের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।’
রওনক জাহান রোজি নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি বগুড়া হলেও পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে রাজশাহীতে যেতে ৩ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিত ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিটপ্ল্যান নতুন করে প্রণয়ন করা উচিত।’
শিমুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের ভোগান্তি কমাতে গিয়ে উল্টো অনেকের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই বাস্তব।’
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক এক ফেসবুক গ্রুপে কাওসার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহীর শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে খুলনা বিভাগে। প্রশাসনের এটা কী ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? এতে করে প্রশাসন কী অর্জন করল জানতে চাই? শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি কি তাদের উদ্দেশ্য?’
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাসের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘যে খুলনা কেন্দ্র চয়েজ দিয়েছে, তার এক ইউনিটে পড়েছে রাজশাহী, এক ইউনিটে ঢাকা, অন্য ইউনিটে চট্টগ্রাম! মানে সিরিয়াসলি? এটা কী হযবরল করেছে রাবির আইসিটি সেন্টার! এ তো নতুন ভোগান্তি চালু করা হচ্ছে। যেখানে ভর্তি পরীক্ষার ডিসেন্ট্রালাইজেশনের মূল উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো। এ সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় নিয়ে হলেও করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার এখনো অনেক সময় বাকি। শিক্ষার্থীদের সাথে এটা নতুন প্রহসন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে রেখেছে, কিন্তু আমাদের আসনসংখ্যা সীমিত। এ কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এইচএসসির ফলাফল সাপেক্ষে সিটপ্ল্যান করা হয়েছে।’
এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন বা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। এদিকে শিগগির ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যাবে, তাই সময়ও কম। তবে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ। এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।’
রাবি প্রতিনিধি

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরীক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে এক ‘ভুতুড়ে’ আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকা সত্ত্বেও সেই কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ভোগান্তি কমার চেয়ে উল্টো বেড়েছে। ভুতুড়ে এই আসনবিন্যাস বাতিল করে নতুন আসনবিন্যাস প্রকাশের দাবি করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তাঁর সিট পড়েছে। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো ভর্তিপ্রক্রিয়াকে পুনরায় সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পর আসনবিন্যাসের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র’ নামক একটি গ্রুপে অভিযোগ করে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা লেখেন—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটপ্ল্যান বাতিল চাই, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী নতুন করে সিটপ্ল্যান দিতে হবে।’
ওই ফেসবুক গ্রুপে জিকরা নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাসা ঝিনাইদহে। একজন মেয়ে হয়ে আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এত টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার অত দূর অনেক টাকা দিয়ে জার্নি করাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারি না, অসুস্থ বোধ করি। এ ছাড়া এত টাইম জার্নি করার পর পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াটা কারোও পক্ষে সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য অনেক হয়রানি। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেক স্টুডেন্টের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।’
রওনক জাহান রোজি নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি বগুড়া হলেও পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে রাজশাহীতে যেতে ৩ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিত ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিটপ্ল্যান নতুন করে প্রণয়ন করা উচিত।’
শিমুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের ভোগান্তি কমাতে গিয়ে উল্টো অনেকের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই বাস্তব।’
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক এক ফেসবুক গ্রুপে কাওসার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহীর শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে খুলনা বিভাগে। প্রশাসনের এটা কী ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? এতে করে প্রশাসন কী অর্জন করল জানতে চাই? শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি কি তাদের উদ্দেশ্য?’
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাসের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘যে খুলনা কেন্দ্র চয়েজ দিয়েছে, তার এক ইউনিটে পড়েছে রাজশাহী, এক ইউনিটে ঢাকা, অন্য ইউনিটে চট্টগ্রাম! মানে সিরিয়াসলি? এটা কী হযবরল করেছে রাবির আইসিটি সেন্টার! এ তো নতুন ভোগান্তি চালু করা হচ্ছে। যেখানে ভর্তি পরীক্ষার ডিসেন্ট্রালাইজেশনের মূল উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো। এ সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় নিয়ে হলেও করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার এখনো অনেক সময় বাকি। শিক্ষার্থীদের সাথে এটা নতুন প্রহসন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে রেখেছে, কিন্তু আমাদের আসনসংখ্যা সীমিত। এ কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এইচএসসির ফলাফল সাপেক্ষে সিটপ্ল্যান করা হয়েছে।’
এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন বা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। এদিকে শিগগির ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যাবে, তাই সময়ও কম। তবে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ। এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।’

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরীক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে এক ‘ভুতুড়ে’ আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকা সত্ত্বেও সেই কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ভোগান্তি কমার চেয়ে উল্টো বেড়েছে। ভুতুড়ে এই আসনবিন্যাস বাতিল করে নতুন আসনবিন্যাস প্রকাশের দাবি করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তাঁর সিট পড়েছে। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো ভর্তিপ্রক্রিয়াকে পুনরায় সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পর আসনবিন্যাসের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র’ নামক একটি গ্রুপে অভিযোগ করে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা লেখেন—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটপ্ল্যান বাতিল চাই, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী নতুন করে সিটপ্ল্যান দিতে হবে।’
ওই ফেসবুক গ্রুপে জিকরা নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাসা ঝিনাইদহে। একজন মেয়ে হয়ে আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এত টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার অত দূর অনেক টাকা দিয়ে জার্নি করাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারি না, অসুস্থ বোধ করি। এ ছাড়া এত টাইম জার্নি করার পর পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াটা কারোও পক্ষে সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য অনেক হয়রানি। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেক স্টুডেন্টের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।’
রওনক জাহান রোজি নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি বগুড়া হলেও পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে রাজশাহীতে যেতে ৩ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিত ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিটপ্ল্যান নতুন করে প্রণয়ন করা উচিত।’
শিমুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের ভোগান্তি কমাতে গিয়ে উল্টো অনেকের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই বাস্তব।’
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক এক ফেসবুক গ্রুপে কাওসার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহীর শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে খুলনা বিভাগে। প্রশাসনের এটা কী ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? এতে করে প্রশাসন কী অর্জন করল জানতে চাই? শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি কি তাদের উদ্দেশ্য?’
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাসের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘যে খুলনা কেন্দ্র চয়েজ দিয়েছে, তার এক ইউনিটে পড়েছে রাজশাহী, এক ইউনিটে ঢাকা, অন্য ইউনিটে চট্টগ্রাম! মানে সিরিয়াসলি? এটা কী হযবরল করেছে রাবির আইসিটি সেন্টার! এ তো নতুন ভোগান্তি চালু করা হচ্ছে। যেখানে ভর্তি পরীক্ষার ডিসেন্ট্রালাইজেশনের মূল উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো। এ সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় নিয়ে হলেও করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার এখনো অনেক সময় বাকি। শিক্ষার্থীদের সাথে এটা নতুন প্রহসন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে রেখেছে, কিন্তু আমাদের আসনসংখ্যা সীমিত। এ কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এইচএসসির ফলাফল সাপেক্ষে সিটপ্ল্যান করা হয়েছে।’
এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন বা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। এদিকে শিগগির ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যাবে, তাই সময়ও কম। তবে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ। এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।’

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
৯ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আবু সৈয়দ উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌকিদারের বাড়ির মালেকুজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা থানাধীন সদর এলাকার কেজি ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি এই বৃদ্ধ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখেন মিলু আকতার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে আনোয়ারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি আবু সৈয়দের বলে শনাক্ত করেন।
স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু সৈয়দ। কয়েক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।
নিহত ব্যক্তির ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারা থানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। পরে আমার মা আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাবার পরনে লুঙ্গি ও গলার তাবিজ দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আবু সৈয়দ উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌকিদারের বাড়ির মালেকুজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা থানাধীন সদর এলাকার কেজি ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি এই বৃদ্ধ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখেন মিলু আকতার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে আনোয়ারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি আবু সৈয়দের বলে শনাক্ত করেন।
স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু সৈয়দ। কয়েক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।
নিহত ব্যক্তির ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারা থানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। পরে আমার মা আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাবার পরনে লুঙ্গি ও গলার তাবিজ দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর
০৫ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
৯ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর ও পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসে। পুলিশ কবিরকে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করলেও, কবির আদালতে দাবি করেছেন—মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধুর, যিনি কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সেটি কিনেছিলেন।
গুরুতর আহত ওসমান হাদির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় প্রচার চালিয়ে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে দুই দফায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে প্রথম গ্রেপ্তার হন মো. আব্দুল হান্নান। রিমান্ড শুনানিতে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর নয়। হাতে সমস্যার কারণে তিনি চালাতে পারছিলেন না বলে সেটি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোনকল করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।
তবে গতকাল আদালতে মো. কবিরকে হাজির করা হলে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছিলেন এবং সেই কেনার সময় শুভ তাঁর (কবিরের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছিলেন।
অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে জোর দিয়ে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, হান্নানের বিক্রি করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক হলেন কবির।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মো. কবির ঢাকার আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমসহ কবির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ওসমান হাদির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সেখানে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
গতকাল আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সাল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সাল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’
এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মোটরসাইকেলের মালিক কে?’ জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’ বিচারক বলেন, ‘তার নাম কী?’ কবির বলেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’
র্যাব আরও জানায়, গত ৫ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে মো. কবিরকে দেখা যায়। প্রথমে স্বীকার না করলেও ফুটেজ দেখানোর পর কবির নিশ্চিত করেন যে ফয়সাল করিমের সঙ্গে সেদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।
শুনানি শেষে বিচারক কবিরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কবির এবং প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম—উভয়েই পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর ও পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসে। পুলিশ কবিরকে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করলেও, কবির আদালতে দাবি করেছেন—মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধুর, যিনি কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সেটি কিনেছিলেন।
গুরুতর আহত ওসমান হাদির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় প্রচার চালিয়ে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে দুই দফায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে প্রথম গ্রেপ্তার হন মো. আব্দুল হান্নান। রিমান্ড শুনানিতে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর নয়। হাতে সমস্যার কারণে তিনি চালাতে পারছিলেন না বলে সেটি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোনকল করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।
তবে গতকাল আদালতে মো. কবিরকে হাজির করা হলে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছিলেন এবং সেই কেনার সময় শুভ তাঁর (কবিরের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছিলেন।
অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে জোর দিয়ে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, হান্নানের বিক্রি করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক হলেন কবির।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মো. কবির ঢাকার আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমসহ কবির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ওসমান হাদির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সেখানে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
গতকাল আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সাল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সাল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’
এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মোটরসাইকেলের মালিক কে?’ জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’ বিচারক বলেন, ‘তার নাম কী?’ কবির বলেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’
র্যাব আরও জানায়, গত ৫ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে মো. কবিরকে দেখা যায়। প্রথমে স্বীকার না করলেও ফুটেজ দেখানোর পর কবির নিশ্চিত করেন যে ফয়সাল করিমের সঙ্গে সেদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।
শুনানি শেষে বিচারক কবিরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কবির এবং প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম—উভয়েই পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর
০৫ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
৪ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে আইভ্যাক জেএফপি, ঢাকা আজ বেলা ২টায় বন্ধ থাকবে। আজ জমা দেওয়ার জন্য বুক করা সমস্ত আবেদনকারীকে পরবর্তী সময়ে একটি স্লট দেওয়া হবে।’

‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে আইভ্যাক জেএফপি, ঢাকা আজ বেলা ২টায় বন্ধ থাকবে। আজ জমা দেওয়ার জন্য বুক করা সমস্ত আবেদনকারীকে পরবর্তী সময়ে একটি স্লট দেওয়া হবে।’

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর
০৫ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
৯ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিরু মোল্লা উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জহুরুল মোল্লা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিরু মোল্লা নিজ বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জহুরুল মোল্লা ও তাঁর লোকজন বিরু মোল্লাকে গুলি করে। কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্তারিত পরে...

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিরু মোল্লা উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জহুরুল মোল্লা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিরু মোল্লা নিজ বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জহুরুল মোল্লা ও তাঁর লোকজন বিরু মোল্লাকে গুলি করে। কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্তারিত পরে...

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর
০৫ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
৯ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে