Ajker Patrika

পলিথিনমুক্ত পৃথিবীর স্বপ্নে ইফতেখারুল

 রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ১০
ভুট্টায় তৈরি বায়োটেক ব্যাগ কারখানা। ছবি: মিলন শেখ
ভুট্টায় তৈরি বায়োটেক ব্যাগ কারখানা। ছবি: মিলন শেখ

প্রথম দেখায় পলিথিনের ব্যাগ ছাড়া কিছুই মনে হবে না। তাতে পানিও বহন করা যায় নিশ্চিন্তে, যেমন করা যায় পলিথিনে। কিন্তু পলিথিন না পচলেও এটি পচে যায় বলে পরিবেশের ক্ষতি করে না। এই ব্যাগ তৈরিতে পেট্রোলিয়াম নয়, ব্যবহার করা হয় ভুট্টার উপাদান। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চাপাল এলাকায় চার বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ব্যাগ তৈরির কারখানা। উদ্যোক্তা ইফতেখারুল হক।

খোঁজ মিলল যেভাবে

ব্যবসায় প্রশাসনে পড়াশোনা শেষ করে পাটশিল্পে ক্যারিয়ার গড়েছিলেন ইফতেখারুল হক। দেখলেন, পলিথিনের কারণে দেশের পাটশিল্পের বিকাশ হচ্ছে না। ইফতেখারুল ভাবেন, পাটের ব্যাগ দিয়ে আসলে পলিথিনকে ঠেকানো সম্ভব নয়। সেটিকে আটকাতে হলে পলিথিনের মতোই বিকল্প কিছু প্রয়োজন।

তারপর ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন ইন্টারনেটে। খুঁজতে খুঁজতেই পেয়ে যান জার্মান টেকনোলজির ভুট্টায় তৈরি বায়োটেক ব্যাগ। তথ্য পেলেন, বেশ কিছু দেশে সেগুলোর উৎপাদন ও ব্যবহার হচ্ছে। ২০২০ সালের শুরুর দিকে ইফতেখারুল ভারতের আহমেদাবাদে যান এই ব্যাগ তৈরির একটি কারখানা পরিদর্শনে। দেখে সবকিছুই পছন্দ হয়। সেখানেই এই ব্যাগ তৈরির কাঁচামাল এবং কারখানার বিভিন্ন যন্ত্র অর্ডার দিয়ে আসেন। দেশে এসে পড়ে থাকা গোদাগাড়ীর জমিতে স্থাপন করেন কারখানা, ক্রিস্টাল বায়োটেক।

ব্যাগের বৈশিষ্ট্য

দেখতে পলিথিন ব্যাগের মতো হলেও ভুট্টার তৈরি এ ব্যাগ ওজনে কিছুটা ভারী। এই ব্যাগে যেকোনো পণ্য পরিবহন করা যায়। এমনকি পানিসহ মাছও নেওয়া যায় বায়োটেক ব্যাগে। আর এতে খাবার রাখাও নিরাপদ।

ইফতেখারুল সম্প্রতি একটি পলিথিন এবং একটি বায়োটেক ব্যাগে ২০ দিন কাঁচা মরিচ রেখেছিলেন ফ্রিজে। দেখা গেছে, পলিথিনের ভেতর পানি জমে কাঁচা মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু বায়োটেক ব্যাগের ভেতরটা ছিল শুকনো। তাতে কাঁচা মরিচের কোনো ক্ষতি হয়নি। বছরের পর বছর পলিথিন যখন মাটিতে পচে না, তখন বায়োটেক ব্যাগ ব্যাকটেরিয়ার ছোঁয়ায় ছয় মাসের মধ্যে প্রকৃতিতে বিলীন হয়ে যায়।

আসলেই কি ভুট্টার ব্যাগ

ক্রিস্টাল বায়োটেকের কর্ণধার ইফতেখারুল জানালেন, মসুর ডালের দানার মতো সাদা সাদা একটি কাঁচামাল ভারত থেকে আমদানি করতে হয় এই ব্যাগ তৈরির জন্য। এই বায়োপ্লাস্টিকই ব্যাগ তৈরির একমাত্র উপাদান। এটিতে থাকে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, পিএলএ, পিবিএটি এবং ভুট্টার দানার ভেতরের সাদা অংশ। তাই এটি ভুট্টার ব্যাগ হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। ব্যাগ তৈরির ওই কাঁচামালে ওয়ানস্টার্চসহ থাকে আরও কিছু বায়ো ম্যাটেরিয়াল।

ইফতেখারুল তাঁর কারখানার জন্য আবেদন করে রাখলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাননি এখনো। বুয়েটে ব্যাগ পরীক্ষার আগে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আর বিএসটিআই মৌখিকভাবেই ব্যাগ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে ইফতেখারুলকে।

ভুট্টায় তৈরি বায়োটেক ব্যাগ কারখানা। ছবি: মিলন শেখ
ভুট্টায় তৈরি বায়োটেক ব্যাগ কারখানা। ছবি: মিলন শেখ

বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে

দিনে দিনে পরিবেশবান্ধব এই ব্যাগের কথা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এখন দেশের নানা প্রান্ত থেকে কারখানায় অর্ডার আসছে। শুধু তা-ই নয়, ইতিমধ্যে দুবাইয়ে রপ্তানি হয়েছে এই ব্যাগ। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে নমুনা পাঠানো হয়েছে। রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা চলছে। বায়োটেক ব্যাগের দাম অবশ্য পলিথিনের চেয়ে কিছুটা বেশি।

১ কেজি পণ্য রাখা যায় এমন ব্যাগ কারখানা থেকে বিক্রি করা হয় প্রতিটি ২ টাকা। এ ছাড়া দেড় কেজির ব্যাগ ৩ টাকা এবং ৩ কেজির ব্যাগ ৫ টাকায় বিক্রি হয় কারখানা থেকে।

উদ্যোক্তারাও আসছেন কারখানায়

ইফতেখারুল দাবি করছেন, দেশে তিনিই প্রথম পরিবেশবান্ধব এই ব্যাগ তৈরি শুরু করেন। তারপর আরও দু-এক জায়গায় শুরু হয়েছে। তিনি চান, এই ব্যাগ তৈরির কারখানা ছড়িয়ে পড়ুক। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্যোক্তারা তাঁর কারখানা পরিদর্শনে আসছেন।

ইফতেখারুল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইফতেখারুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

যে স্বপ্ন দেখেন ইফতেখারুল

ইফতেখারুল স্বপ্ন দেখেন, একদিন দেশে কোনো পলিথিন ব্যাগ থাকবে না। তিনি বলেন, ‘আমি তো অন্য ব্যবসাও করতে পারতাম। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে আমি এই প্রতিষ্ঠান গড়েছি।’

অন্তর্বর্তী সরকার পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সাধুবাদ জানান ইফতেখারুল। তিনি সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তরের এক মেলায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে বেশ প্রশংসিত হয়েছে এই পরিবেশবান্ধব ব্যাগ। পরিবেশ উপদেষ্টা এই ব্যাগ সম্প্রসারণের আগ্রহ দেখিয়েছেন।

ইফতেখারুল মনে করেন, পলিথিনের সব কারখানা এই বায়োটেক ব্যাগ তৈরির কারখানায় রূপান্তর করা সম্ভব। অল্প কিছু অর্থ ব্যয় হলেও কোনো শ্রমিক বেকার হবেন না। এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে ইফতেখারুল এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টাল বায়োটেক।

কিছু বিতর্ক থাকলেও পলিথিনমুক্ত পৃথিবী এখন সবার স্বপ্ন। রাজশাহীর ইফতেখারুল হক সেই স্বপ্নের বীজ বুনেছেন। এখন দেখার বিষয়, সেই বীজ থেকে কত দ্রুত চারা জন্মায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যমুনার ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি

আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ
যমুনার ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে অন্যের দেওয়া এই ডেরাঘরে আশ্রয় নিয়েছেন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
যমুনার ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে অন্যের দেওয়া এই ডেরাঘরে আশ্রয় নিয়েছেন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাদা দাড়িতে অর্ধেক মেহেদি, কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ। ডান পায়ে ফোঁড়ার// কারণে বাঁধা ব্যান্ডেজ। কাঠের টুলে বসে থাকা মানুষটির দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই—মাত্র এক বছর আগেও তিনি ছিলেন সাড়ে চার বিঘা আবাদি জমির মালিক।

৬৬ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের নাম আব্দুল রাজ্জাক। স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বয়স ৫৫। চার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে একসময় ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। জমিতে বছরে বিভিন্ন সময়ে গম, ভুট্টা, খেসারি, কালাই ও বাদামের চাষ হতো। পরিশ্রম করেই চলত জীবন। তবে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে দেয় যমুনা নদীর ভাঙন।

ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন। বন, বস্তার চাটাই আর পলিথিনে মোড়ানো ছোট একটি ঘরই তাঁদের বর্তমান ঠিকানা। আব্দুল রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াখোলা ইউনিয়নের দোরতা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মৃত রহিজ তালুকদারের ছেলে।

শনিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেলে সিরাজগঞ্জ ক্রসবার এলাকায় প্লাস্টিকের টুলে বসে কথা বলছিলেন আব্দুল রাজ্জাক। তিনি জানান, তাঁর দাদার প্রায় ২৪ বিঘা জমি ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি পান সাড়ে চার বিঘা। গত বছরেও সেই জমিতে গম, ভুট্টা, কালাইসহ নানা ফসল আবাদ করেছিলেন। ‘বুড়া-বুড়ির ভালোই চলছিল,’ বলেন তিনি।

সন্তানদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ নীরব থাকেন আব্দুল রাজ্জাক। এরপর ধীর কণ্ঠে বলেন, ‘ওদের নিজেদেরই খুব কষ্ট। আমাদের দেখবে কীভাবে?’

বর্তমানে ফুফাতো ভাইয়ের জমির ওপর কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। শীত এলে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আয়ের একমাত্র সম্বল পাঁচটি গরু। তবে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারেন না তিনি।

আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘তোমার চাচি যমুনার চরে গিয়ে গরুর জন্য ঘাস কেটে আনে। আর অন্যদের সামান্য সহযোগিতা আর মেয়েরা মাঝে মাঝে যা দেয়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলে।’

কথার একপর্যায়ে তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। শেষবারের মতো বলেন, ‘আমাকে যদি কেউ একটা ঘর আর মাসে মাসে একটু খাবার বা কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে সারা জীবন দোয়া করতাম।’

যমুনার ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য জীবনের ভিড়ে আব্দুল রাজ্জাক ও মর্জিনা বেগমের গল্পটি শুধু একটি উদাহরণ—নদীভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষের নীরব দীর্ঘশ্বাসের গল্প।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনার পূর্ব রূপসায় যুবককে গুলি করে হত্যা

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাগর বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাত ১১টায় কয়েকজন যুবক তার গতি রোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। একটি গুলি তার মাথায় এবং অপরটি তার হাঁটুতে লাগে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তী সময়ে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রূপসা থানার এএসআই গৌতম বলেন, গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আ. রহমান রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে ৯৯৯ থেকে আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।

রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ বলেন, ‘রাতে জাপুসা এলাকায় ডিউটি করছিলাম। থানা থেকে ফোন আসলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারলাম তারা এখানে জায়গা কিনে নতুন বাড়ি করেছে।’ তবে কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার প্রকৃত কারণ তিনি বলতে পারেনি।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. রাজ্জাক মীর বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৫ দিনেও পরিচয় মেলেনি সীতাকুণ্ডে উদ্ধার হওয়া পোড়া নারীর মরদেহের

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া এক নারীর পোড়া মরদেহের পরিচয় ১৫ দিনেও শনাক্ত করা যায়নি। আঙুল আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ সম্ভব না হওয়ায় পরিচয় শনাক্তে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে মরদেহটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাত ওই নারীর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ ঘাটা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন একটি ডিপোর সামনে থেকে আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী এক নারীর আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। তাঁদের ভাষ্য, ওই নারী কীভাবে ঘটনাস্থলে এলেন এবং কেন নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরালেন—তা বোধগম্য নয়। তাঁদের ধারণা, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মরদেহে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হতে পারে।

স্থানীয়রা আরও জানান, প্রযুক্তির আধুনিকতার এই সময়ে ১৫ দিনেও পরিচয় শনাক্ত না হওয়া কিংবা মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটন না হওয়ায় তাঁরা উদ্বিগ্ন। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর পরিচয় ও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।

ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. সোহেল রানা বলেন, আগুনে পুড়ে আঙুল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মরদেহটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর জানান, মরদেহের পরিচয় ও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে। কোনো স্বজন সামনে এলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হবে। এরপর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সোয়া ৭টায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান।

তিনি জানান, ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় তার এক আত্মীয় বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন পল্টন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়াসিন মিয়া।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

হামলার এ ঘটনার পর থেকে র‍্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁরা কেউ সরাসরি হামলাকারী নন।

গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, মানব পাচারে জড়িত চক্রের দুই সহযোগী, সন্দেহভাজন শুটার ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবী। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।

হাদির হত্যাচেষ্টাকে কেন্দ্র করে অভিযানে সর্বশেষ গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে র‍্যাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত