Ajker Patrika

সোনামসজিদ স্থলবন্দর: ৭ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৬৫ কোটি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
সোনামসজিদ স্থলবন্দর: ৭ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৬৫ কোটি

সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এতে আমদানি কমে রাজস্ব আদায়ে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ঘাটতি। রাজস্ব বোর্ডের বেধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। 

 ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯৮ কোটি ৯৯ লাখ ২ হাজার টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৬৫ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। 

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায় কমেছে। ফল আমদানি বাড়লে অর্থবছরের বাকি সময়ে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে স্থলপথে আমদানি পণ্যের বড় অংশ আসে এ পথে। কিন্তু এলসি সংকটের সমাধান, স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিরাজমান সমস্যার জন্য আমদানি কমেছে। এ কারণে রাজস্ব আদায়ও কমেছে। 

বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছিল এ স্থলবন্দরটি। তবে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানি-রপ্তানি কম হওয়ায় রাজস্ব ঘাটতিতে পড়েছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রধান আমদানি পণ্য ফল আমদানি একবারে কম। 

গত (২০২১-২০২২) অর্থ বছরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিকটন। অথচ চলতি অর্থবছরে প্রথম সাত মাসে এ বন্দর দিকে ফল আমদানি হয়েছে মাত্র ৪ হাজার মেট্রিকটন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র ফল আমদানি না হওয়ায় ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে বলে জানান তারা। 

সোনামসজিদ কাস্টম হাউজের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯৮ কোটি ৯৯ লাখ ২ হাজার টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬৫ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ শতাংশ কম রাজস্ব আদায় করেছে সোনামসজিদ কাস্টমস। 

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নানা হয়রানি ও পণ্য খালাসে ধীর গতির কারণে পচনশীল পণ্য ফল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। কাস্টমস জটিলতার কারণে যথাসময়ে পণ্য খালাস করতে পারছেন না। এতে অনেক ব্যবসায়ী অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছেন। ফলে কমে যাচ্ছে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ। ব্যবসায়িক সুবিধার কারণে বেনাপোল, হিলি ও ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। 

সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, কিছুদিন আগেও ফলসহ পচনশীল সব ধরনের পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক ছাড় পেতেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বর্তমানে এ বন্দরে সেই সুবিধা পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। এতে সোনামসজিদ বন্দর ব্যবহার না করে ব্যবসায়ীরা যশোরের বেনাপোল, সাতক্ষীরার ভোমরা ও দিনাজপুরের হিলি বন্দরে চলে গেছেন। কারণ ওই তিন বন্দরে শুল্ক ছাড় পাচ্ছেন আমদানিকারকেরা। 

আমদানি-রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক ও জরিমানা আদায়, দিনের পর দিন ফাইল আটকে রাখা, অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা হয়রানির কারণে আমদানিকারকেরা এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। 

তারা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য যথাসময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ছাড়ে বিলম্ব করে থাকে। এ ছাড়াও আমদানি করা পণ্য ছাড়ে কাস্টমসের কড়াকড়িসহ নিয়মিত পণ্য ছাড়ে দেরি থাকে সোনামসজিদ কাস্টমস কর্মকর্তারা। এসব কারণে আমদানি-রপ্তানিকারকেরা ব্যবসায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। 

সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর মূলত আমদানিনির্ভর বন্দর। তবে চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন কারণে আমদানির পরিমাণ কমেছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে পণ্য আমদানি অনেক কম। 

সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ বলেন, এ বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছে না ব্যবসায়ীরা। মূলত এ কারণেই রাজস্বে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া এলসি সংকটের কারণে এই বন্দরে আমদানি কমেছে বলে আমাদের ধারণা। তবে আমদানি বাড়লে অর্থবছরের বাকি সময়ে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব বলে জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাড়াটে খুনি দিয়ে হকারকে হত্যা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।

গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে হামলা: নিহত শান্তিরক্ষী শামীমের বাড়িতে কান্নার রোল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।

নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।

শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’

বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’

স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত