মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী

করোনা শুরুর পর পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। করোনার ছুটিতে এত বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ক্লাসে ছাত্রীসংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষকেরা কাজ করলেও সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীতে মোট ২৯৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বালিকা বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ বেশি হয়েছে। তবে কতসংখ্যক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়নি।
জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, শহরের চেয়ে শহরতলীর বা গ্রামের স্কুলের বাল্যবিবাহের ঘটনা আরও বেশি। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের অনেকে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করত। পারিবারিক অসচ্ছলতা ছাড়া প্রেমের সম্পর্কেও অনেকের বিয়ে হয়েছে।
পটুয়াখালী পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্থানীয়ভাবে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী, দশম ও নবম শ্রেণি মিলে গত দেড় বছরে মোট ২৫ জনের বিয়ে হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুললেও এদের অধিকাংশই ক্লাসে ফেরেনি।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছয়জন, দশম শ্রেণির পাঁচজন এবং নবম শ্রেণির পাঁচজনের বাল্যবিবাহ হয়েছে। একই উপজেলার ছোট বাইশদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আট ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে।
এ ছাড়া কলাপাড়া উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। ধুলাশ্বার ইউনিয়নের চরচাপলি ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একই ইউনিয়নের ধুলাশ্বার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে। এভাবে জেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়েও বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।
নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় মেয়ে অনেক দিন বাড়িতে। স্কুলও খুলতে ছিল না। মেয়ে নিয়ে কোনো বদনাম হওয়ার আগেই তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।’ নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীর বাবা জসিম মোল্লা বলেন, ‘মেয়ে বড় হয়েছে। বাড়ির পাশে ভালো সম্বন্ধ পেয়েছি ,তাই বিয়ে দিয়েছি। আর কোনো কারণ নেই।’
তবে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, বিবাহিত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজও চলমান রয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমাদের স্কুলে ১৬ জনের বেশি ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। এদের অনেকেই ঝরে পড়েছে। তাদের স্কুলে ফেরাতে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি।’
কলাপাড়ার চরচাপলি ইসলামি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী আলী আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ৩৫ থেকে ৪০ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। আমার স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগের ১ রোলধারীকে বিয়ে না দেওয়ার জন্য ওর বাবার কাছে অনেক অনুরোধ করেছি; তার পরও বিয়ে দিয়েছে।’
পটুয়াখালী শেরেবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা সরোয়ার বলেন, ‘বিয়ে হওয়া অনেক ছাত্রী ক্লাস করে। দূরে থাকা অনেকেই অ্যাসাইনমেন্ট পাঠাচ্ছে।’
এদিকে জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিদা বেগম বলেন, ‘করোনার বন্ধে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। আমরা সব সময় মনিটরিং করছি। যখনই খবর পাচ্ছি বাল্যবিবাহ বন্ধ করছি। গত মাসে পাঁচটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি।’
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কতসংখ্যক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই। সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

করোনা শুরুর পর পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। করোনার ছুটিতে এত বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ক্লাসে ছাত্রীসংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষকেরা কাজ করলেও সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীতে মোট ২৯৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বালিকা বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ বেশি হয়েছে। তবে কতসংখ্যক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়নি।
জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, শহরের চেয়ে শহরতলীর বা গ্রামের স্কুলের বাল্যবিবাহের ঘটনা আরও বেশি। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের অনেকে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করত। পারিবারিক অসচ্ছলতা ছাড়া প্রেমের সম্পর্কেও অনেকের বিয়ে হয়েছে।
পটুয়াখালী পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্থানীয়ভাবে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী, দশম ও নবম শ্রেণি মিলে গত দেড় বছরে মোট ২৫ জনের বিয়ে হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুললেও এদের অধিকাংশই ক্লাসে ফেরেনি।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছয়জন, দশম শ্রেণির পাঁচজন এবং নবম শ্রেণির পাঁচজনের বাল্যবিবাহ হয়েছে। একই উপজেলার ছোট বাইশদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আট ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে।
এ ছাড়া কলাপাড়া উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। ধুলাশ্বার ইউনিয়নের চরচাপলি ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একই ইউনিয়নের ধুলাশ্বার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে। এভাবে জেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়েও বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।
নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় মেয়ে অনেক দিন বাড়িতে। স্কুলও খুলতে ছিল না। মেয়ে নিয়ে কোনো বদনাম হওয়ার আগেই তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।’ নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীর বাবা জসিম মোল্লা বলেন, ‘মেয়ে বড় হয়েছে। বাড়ির পাশে ভালো সম্বন্ধ পেয়েছি ,তাই বিয়ে দিয়েছি। আর কোনো কারণ নেই।’
তবে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, বিবাহিত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজও চলমান রয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমাদের স্কুলে ১৬ জনের বেশি ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। এদের অনেকেই ঝরে পড়েছে। তাদের স্কুলে ফেরাতে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি।’
কলাপাড়ার চরচাপলি ইসলামি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী আলী আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ৩৫ থেকে ৪০ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। আমার স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগের ১ রোলধারীকে বিয়ে না দেওয়ার জন্য ওর বাবার কাছে অনেক অনুরোধ করেছি; তার পরও বিয়ে দিয়েছে।’
পটুয়াখালী শেরেবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা সরোয়ার বলেন, ‘বিয়ে হওয়া অনেক ছাত্রী ক্লাস করে। দূরে থাকা অনেকেই অ্যাসাইনমেন্ট পাঠাচ্ছে।’
এদিকে জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিদা বেগম বলেন, ‘করোনার বন্ধে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। আমরা সব সময় মনিটরিং করছি। যখনই খবর পাচ্ছি বাল্যবিবাহ বন্ধ করছি। গত মাসে পাঁচটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি।’
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কতসংখ্যক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই। সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী

করোনা শুরুর পর পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। করোনার ছুটিতে এত বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ক্লাসে ছাত্রীসংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষকেরা কাজ করলেও সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীতে মোট ২৯৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বালিকা বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ বেশি হয়েছে। তবে কতসংখ্যক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়নি।
জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, শহরের চেয়ে শহরতলীর বা গ্রামের স্কুলের বাল্যবিবাহের ঘটনা আরও বেশি। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের অনেকে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করত। পারিবারিক অসচ্ছলতা ছাড়া প্রেমের সম্পর্কেও অনেকের বিয়ে হয়েছে।
পটুয়াখালী পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্থানীয়ভাবে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী, দশম ও নবম শ্রেণি মিলে গত দেড় বছরে মোট ২৫ জনের বিয়ে হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুললেও এদের অধিকাংশই ক্লাসে ফেরেনি।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছয়জন, দশম শ্রেণির পাঁচজন এবং নবম শ্রেণির পাঁচজনের বাল্যবিবাহ হয়েছে। একই উপজেলার ছোট বাইশদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আট ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে।
এ ছাড়া কলাপাড়া উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। ধুলাশ্বার ইউনিয়নের চরচাপলি ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একই ইউনিয়নের ধুলাশ্বার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে। এভাবে জেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়েও বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।
নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় মেয়ে অনেক দিন বাড়িতে। স্কুলও খুলতে ছিল না। মেয়ে নিয়ে কোনো বদনাম হওয়ার আগেই তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।’ নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীর বাবা জসিম মোল্লা বলেন, ‘মেয়ে বড় হয়েছে। বাড়ির পাশে ভালো সম্বন্ধ পেয়েছি ,তাই বিয়ে দিয়েছি। আর কোনো কারণ নেই।’
তবে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, বিবাহিত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজও চলমান রয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমাদের স্কুলে ১৬ জনের বেশি ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। এদের অনেকেই ঝরে পড়েছে। তাদের স্কুলে ফেরাতে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি।’
কলাপাড়ার চরচাপলি ইসলামি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী আলী আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ৩৫ থেকে ৪০ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। আমার স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগের ১ রোলধারীকে বিয়ে না দেওয়ার জন্য ওর বাবার কাছে অনেক অনুরোধ করেছি; তার পরও বিয়ে দিয়েছে।’
পটুয়াখালী শেরেবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা সরোয়ার বলেন, ‘বিয়ে হওয়া অনেক ছাত্রী ক্লাস করে। দূরে থাকা অনেকেই অ্যাসাইনমেন্ট পাঠাচ্ছে।’
এদিকে জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিদা বেগম বলেন, ‘করোনার বন্ধে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। আমরা সব সময় মনিটরিং করছি। যখনই খবর পাচ্ছি বাল্যবিবাহ বন্ধ করছি। গত মাসে পাঁচটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি।’
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কতসংখ্যক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই। সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

করোনা শুরুর পর পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। করোনার ছুটিতে এত বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ক্লাসে ছাত্রীসংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষকেরা কাজ করলেও সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীতে মোট ২৯৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বালিকা বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ বেশি হয়েছে। তবে কতসংখ্যক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়নি।
জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, শহরের চেয়ে শহরতলীর বা গ্রামের স্কুলের বাল্যবিবাহের ঘটনা আরও বেশি। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের অনেকে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করত। পারিবারিক অসচ্ছলতা ছাড়া প্রেমের সম্পর্কেও অনেকের বিয়ে হয়েছে।
পটুয়াখালী পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্থানীয়ভাবে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী, দশম ও নবম শ্রেণি মিলে গত দেড় বছরে মোট ২৫ জনের বিয়ে হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুললেও এদের অধিকাংশই ক্লাসে ফেরেনি।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছয়জন, দশম শ্রেণির পাঁচজন এবং নবম শ্রেণির পাঁচজনের বাল্যবিবাহ হয়েছে। একই উপজেলার ছোট বাইশদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আট ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে।
এ ছাড়া কলাপাড়া উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। ধুলাশ্বার ইউনিয়নের চরচাপলি ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একই ইউনিয়নের ধুলাশ্বার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে। এভাবে জেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়েও বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।
নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় মেয়ে অনেক দিন বাড়িতে। স্কুলও খুলতে ছিল না। মেয়ে নিয়ে কোনো বদনাম হওয়ার আগেই তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।’ নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীর বাবা জসিম মোল্লা বলেন, ‘মেয়ে বড় হয়েছে। বাড়ির পাশে ভালো সম্বন্ধ পেয়েছি ,তাই বিয়ে দিয়েছি। আর কোনো কারণ নেই।’
তবে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, বিবাহিত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজও চলমান রয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমাদের স্কুলে ১৬ জনের বেশি ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। এদের অনেকেই ঝরে পড়েছে। তাদের স্কুলে ফেরাতে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি।’
কলাপাড়ার চরচাপলি ইসলামি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী আলী আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ৩৫ থেকে ৪০ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। আমার স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগের ১ রোলধারীকে বিয়ে না দেওয়ার জন্য ওর বাবার কাছে অনেক অনুরোধ করেছি; তার পরও বিয়ে দিয়েছে।’
পটুয়াখালী শেরেবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা সরোয়ার বলেন, ‘বিয়ে হওয়া অনেক ছাত্রী ক্লাস করে। দূরে থাকা অনেকেই অ্যাসাইনমেন্ট পাঠাচ্ছে।’
এদিকে জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিদা বেগম বলেন, ‘করোনার বন্ধে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। আমরা সব সময় মনিটরিং করছি। যখনই খবর পাচ্ছি বাল্যবিবাহ বন্ধ করছি। গত মাসে পাঁচটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি।’
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কতসংখ্যক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই। সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেপিরোজপুর প্রতিনিধি

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়ক আলামিন হোসেন প্রমুখ।
জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিরোজপুর প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়ক আলামিন হোসেন প্রমুখ।
জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিরোজপুর প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।

করোনা শুরুর পর পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাল্য বিয়ে বেড়েছে। করোনার ছুটিতে এত বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ক্লাসে ছাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষকেরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশের মতো চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন ফুলপুরের শিক্ষার্থীরাও। রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামের এক কৃষক শহীদ হন।
আন্দোলনের শক্তি সঞ্চার করতে ফুলপুর গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ‘পানি লাগবে কারও পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে’ এমন নানা উক্তি লেখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এসব উক্তি মুছে ফেলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জুলাই যোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, ‘দু-তিন দিন ধরে দেখছি, আমাদের অঙ্কিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এ কাজটি করেছে জানি না; তবে তা খুব খারাপ হয়েছে। এটা আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের ফাঁকে ফাঁকে এগুলো এঁকেছিলাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা শহরের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অঙ্কিত গ্রাফিতি ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে স্থানীয় জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে নতুনভাবে গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্দেশ্যে চুন দিয়ে সাদা করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর এই গ্রাফিতি ছাত্র-ছাত্রী ও জুলাই যোদ্ধাদের সমন্বয়ে নতুন করে আঁকা হবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানায় উপজেলা প্রশাসন।
ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অঙ্কিত লেখার মাধ্যমে সাহস সঞ্চার করেছিলেন। তাই ইতিহাস মুছে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশের মতো চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন ফুলপুরের শিক্ষার্থীরাও। রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামের এক কৃষক শহীদ হন।
আন্দোলনের শক্তি সঞ্চার করতে ফুলপুর গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ‘পানি লাগবে কারও পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে’ এমন নানা উক্তি লেখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এসব উক্তি মুছে ফেলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জুলাই যোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, ‘দু-তিন দিন ধরে দেখছি, আমাদের অঙ্কিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এ কাজটি করেছে জানি না; তবে তা খুব খারাপ হয়েছে। এটা আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের ফাঁকে ফাঁকে এগুলো এঁকেছিলাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা শহরের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অঙ্কিত গ্রাফিতি ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে স্থানীয় জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে নতুনভাবে গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্দেশ্যে চুন দিয়ে সাদা করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর এই গ্রাফিতি ছাত্র-ছাত্রী ও জুলাই যোদ্ধাদের সমন্বয়ে নতুন করে আঁকা হবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানায় উপজেলা প্রশাসন।
ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অঙ্কিত লেখার মাধ্যমে সাহস সঞ্চার করেছিলেন। তাই ইতিহাস মুছে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

করোনা শুরুর পর পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাল্য বিয়ে বেড়েছে। করোনার ছুটিতে এত বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ক্লাসে ছাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষকেরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১০ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

করোনা শুরুর পর পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাল্য বিয়ে বেড়েছে। করোনার ছুটিতে এত বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ক্লাসে ছাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষকেরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

করোনা শুরুর পর পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাল্য বিয়ে বেড়েছে। করোনার ছুটিতে এত বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ক্লাসে ছাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে শিক্ষকেরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে