মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর মহিপুরে সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে; কিন্তু উদ্বোধনের এক বছরেও তা চালু হয়নি। অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জায়গা না থাকা এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকার বছরে ৩-৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করার ফলে এই কেন্দ্রের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্য খাতসংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০১২ সালে জেলার কলাপাড়ার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরে দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন। তবে জমি অধিগ্রহণ করতেই সময় লাগে চার বছর। ২০১৬ সালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে সংস্থাটি। এগুলোসহ দেশের তিন জেলার চারটি স্থানে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণকাজ শেষ করে বিএফডিসি।
২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দুটি উদ্বোধন করেন। তবে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হলেও উদ্বোধনের এক বছরেও চালু হয়নি মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।
সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ ট্রলার থেকে নামানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পন্টুন ও গ্যাংওয়ে। সেখানে আছে ১ হাজার বর্গফুটের অকশন এলাকা, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য আলাদা প্যাকেজিং সেট, আড়তদারদের অফিসরুম, স্যানিটেশন ও পয়োনিষ্কাশনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া মাছ পরিবহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৭ হাজার বর্গফুটের ট্রাকস্ট্যান্ড।
তবে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে ৪০ জন ব্যবসায়ী থাকার সক্ষমতা থাকলেও পুরো মহিপুরে রয়েছেন ৮২ জন নিবন্ধিত ব্যবসায়ী। এ ছাড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন ২০টি ট্রলার অবস্থান করার উপযোগী; কিন্তু ৮২ জন ব্যবসায়ীর দুই হাজারেরও বেশি ট্রলার রয়েছে। এ ছাড়া পাইকার আছেন ২০০ ও শ্রমিক রয়েছেন ৮০০ জন। তাই তো চাহিদা অনুযায়ী সক্ষমতা না থাকায় অবতরণ কেন্দ্রে ভিড়তে চান না মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে হাসান ফকির বলেন, ‘এহন সাগর দিয়া মাছ লইয়া আইলে সিন্ডিকেটের মধ্যে পড়তে হয়, তিন থেকে চারজন পাইকার যুক্তি কইরা মাছের দাম কমাইয়া দেয়; কিন্তু এই কেন্দ্র চালু হইলে সব পাইকার এক জায়গায় থাকবে। এতে কইরা মাছের ভালো দাম উঠবে।’
কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হলে মহিপুরের ট্রলারমালিক, জেলে, আড়তদার, পাইকারসহ সবাই এক ছাদের নিচে মাছ কেনাবেচা এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করবেন। এতে মৎস্য খাতের ভোগান্তি এবং সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে।
মহিপুরের কক্সবাজার ফিশের আড়তদার মনির হোসেন বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করলেও এখন এটি কোনো কাজে আসছে না। এর মূল কারণ পরিকল্পিতভাবে এটি নির্মাণ করা হয়নি। আমাদের মহিপুরে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শতাধিক ব্যবসায়ী আছেন; কিন্তু অবতরণ কেন্দ্রের সক্ষমতা আছে ৪০ জনের। দরকার হলে ব্যবসা ছেড়ে দেব। তারপরও ওখানে যাব না।’
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমাদের মহিপুরের ব্যবসায়ী, পাইকার ও শ্রমিকদের দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত হবে না অবতরণ কেন্দ্রে। এ ছাড়া ২ হাজার ট্রলারের জন্য একটি পন্টুন এখানে পাওয়া অসম্ভব। তাঁরা যদি এটি নির্মাণ করার আগে আমাদের পরামর্শ ও খোঁজখবর নিয়ে করতেন, তাহলে এই সমস্যা হতো না। তার পরও আমরা বলেছি আপনারা জায়গা বড় করেন। আমরা সবাই যাব।’
মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. শাকিল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এক বছরেও অপারেশনে যেতে পারেনি। কারণ ব্যবসায়ীরা আসতে চাইছেন না। আমাদের এখানে জায়গা কম হলেও বাড়ানোর সুযোগ আছে, আমরা তাঁদের অনেকবার বলেছি। এর জন্য বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা না আসায় সরকার বছরে ৩-৪ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।’

পটুয়াখালীর মহিপুরে সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে; কিন্তু উদ্বোধনের এক বছরেও তা চালু হয়নি। অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জায়গা না থাকা এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকার বছরে ৩-৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করার ফলে এই কেন্দ্রের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্য খাতসংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০১২ সালে জেলার কলাপাড়ার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরে দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন। তবে জমি অধিগ্রহণ করতেই সময় লাগে চার বছর। ২০১৬ সালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে সংস্থাটি। এগুলোসহ দেশের তিন জেলার চারটি স্থানে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণকাজ শেষ করে বিএফডিসি।
২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দুটি উদ্বোধন করেন। তবে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হলেও উদ্বোধনের এক বছরেও চালু হয়নি মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।
সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ ট্রলার থেকে নামানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পন্টুন ও গ্যাংওয়ে। সেখানে আছে ১ হাজার বর্গফুটের অকশন এলাকা, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য আলাদা প্যাকেজিং সেট, আড়তদারদের অফিসরুম, স্যানিটেশন ও পয়োনিষ্কাশনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া মাছ পরিবহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৭ হাজার বর্গফুটের ট্রাকস্ট্যান্ড।
তবে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে ৪০ জন ব্যবসায়ী থাকার সক্ষমতা থাকলেও পুরো মহিপুরে রয়েছেন ৮২ জন নিবন্ধিত ব্যবসায়ী। এ ছাড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন ২০টি ট্রলার অবস্থান করার উপযোগী; কিন্তু ৮২ জন ব্যবসায়ীর দুই হাজারেরও বেশি ট্রলার রয়েছে। এ ছাড়া পাইকার আছেন ২০০ ও শ্রমিক রয়েছেন ৮০০ জন। তাই তো চাহিদা অনুযায়ী সক্ষমতা না থাকায় অবতরণ কেন্দ্রে ভিড়তে চান না মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে হাসান ফকির বলেন, ‘এহন সাগর দিয়া মাছ লইয়া আইলে সিন্ডিকেটের মধ্যে পড়তে হয়, তিন থেকে চারজন পাইকার যুক্তি কইরা মাছের দাম কমাইয়া দেয়; কিন্তু এই কেন্দ্র চালু হইলে সব পাইকার এক জায়গায় থাকবে। এতে কইরা মাছের ভালো দাম উঠবে।’
কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হলে মহিপুরের ট্রলারমালিক, জেলে, আড়তদার, পাইকারসহ সবাই এক ছাদের নিচে মাছ কেনাবেচা এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করবেন। এতে মৎস্য খাতের ভোগান্তি এবং সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে।
মহিপুরের কক্সবাজার ফিশের আড়তদার মনির হোসেন বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করলেও এখন এটি কোনো কাজে আসছে না। এর মূল কারণ পরিকল্পিতভাবে এটি নির্মাণ করা হয়নি। আমাদের মহিপুরে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শতাধিক ব্যবসায়ী আছেন; কিন্তু অবতরণ কেন্দ্রের সক্ষমতা আছে ৪০ জনের। দরকার হলে ব্যবসা ছেড়ে দেব। তারপরও ওখানে যাব না।’
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমাদের মহিপুরের ব্যবসায়ী, পাইকার ও শ্রমিকদের দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত হবে না অবতরণ কেন্দ্রে। এ ছাড়া ২ হাজার ট্রলারের জন্য একটি পন্টুন এখানে পাওয়া অসম্ভব। তাঁরা যদি এটি নির্মাণ করার আগে আমাদের পরামর্শ ও খোঁজখবর নিয়ে করতেন, তাহলে এই সমস্যা হতো না। তার পরও আমরা বলেছি আপনারা জায়গা বড় করেন। আমরা সবাই যাব।’
মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. শাকিল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এক বছরেও অপারেশনে যেতে পারেনি। কারণ ব্যবসায়ীরা আসতে চাইছেন না। আমাদের এখানে জায়গা কম হলেও বাড়ানোর সুযোগ আছে, আমরা তাঁদের অনেকবার বলেছি। এর জন্য বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা না আসায় সরকার বছরে ৩-৪ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।’
মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর মহিপুরে সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে; কিন্তু উদ্বোধনের এক বছরেও তা চালু হয়নি। অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জায়গা না থাকা এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকার বছরে ৩-৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করার ফলে এই কেন্দ্রের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্য খাতসংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০১২ সালে জেলার কলাপাড়ার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরে দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন। তবে জমি অধিগ্রহণ করতেই সময় লাগে চার বছর। ২০১৬ সালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে সংস্থাটি। এগুলোসহ দেশের তিন জেলার চারটি স্থানে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণকাজ শেষ করে বিএফডিসি।
২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দুটি উদ্বোধন করেন। তবে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হলেও উদ্বোধনের এক বছরেও চালু হয়নি মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।
সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ ট্রলার থেকে নামানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পন্টুন ও গ্যাংওয়ে। সেখানে আছে ১ হাজার বর্গফুটের অকশন এলাকা, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য আলাদা প্যাকেজিং সেট, আড়তদারদের অফিসরুম, স্যানিটেশন ও পয়োনিষ্কাশনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া মাছ পরিবহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৭ হাজার বর্গফুটের ট্রাকস্ট্যান্ড।
তবে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে ৪০ জন ব্যবসায়ী থাকার সক্ষমতা থাকলেও পুরো মহিপুরে রয়েছেন ৮২ জন নিবন্ধিত ব্যবসায়ী। এ ছাড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন ২০টি ট্রলার অবস্থান করার উপযোগী; কিন্তু ৮২ জন ব্যবসায়ীর দুই হাজারেরও বেশি ট্রলার রয়েছে। এ ছাড়া পাইকার আছেন ২০০ ও শ্রমিক রয়েছেন ৮০০ জন। তাই তো চাহিদা অনুযায়ী সক্ষমতা না থাকায় অবতরণ কেন্দ্রে ভিড়তে চান না মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে হাসান ফকির বলেন, ‘এহন সাগর দিয়া মাছ লইয়া আইলে সিন্ডিকেটের মধ্যে পড়তে হয়, তিন থেকে চারজন পাইকার যুক্তি কইরা মাছের দাম কমাইয়া দেয়; কিন্তু এই কেন্দ্র চালু হইলে সব পাইকার এক জায়গায় থাকবে। এতে কইরা মাছের ভালো দাম উঠবে।’
কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হলে মহিপুরের ট্রলারমালিক, জেলে, আড়তদার, পাইকারসহ সবাই এক ছাদের নিচে মাছ কেনাবেচা এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করবেন। এতে মৎস্য খাতের ভোগান্তি এবং সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে।
মহিপুরের কক্সবাজার ফিশের আড়তদার মনির হোসেন বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করলেও এখন এটি কোনো কাজে আসছে না। এর মূল কারণ পরিকল্পিতভাবে এটি নির্মাণ করা হয়নি। আমাদের মহিপুরে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শতাধিক ব্যবসায়ী আছেন; কিন্তু অবতরণ কেন্দ্রের সক্ষমতা আছে ৪০ জনের। দরকার হলে ব্যবসা ছেড়ে দেব। তারপরও ওখানে যাব না।’
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমাদের মহিপুরের ব্যবসায়ী, পাইকার ও শ্রমিকদের দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত হবে না অবতরণ কেন্দ্রে। এ ছাড়া ২ হাজার ট্রলারের জন্য একটি পন্টুন এখানে পাওয়া অসম্ভব। তাঁরা যদি এটি নির্মাণ করার আগে আমাদের পরামর্শ ও খোঁজখবর নিয়ে করতেন, তাহলে এই সমস্যা হতো না। তার পরও আমরা বলেছি আপনারা জায়গা বড় করেন। আমরা সবাই যাব।’
মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. শাকিল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এক বছরেও অপারেশনে যেতে পারেনি। কারণ ব্যবসায়ীরা আসতে চাইছেন না। আমাদের এখানে জায়গা কম হলেও বাড়ানোর সুযোগ আছে, আমরা তাঁদের অনেকবার বলেছি। এর জন্য বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা না আসায় সরকার বছরে ৩-৪ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।’

পটুয়াখালীর মহিপুরে সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে; কিন্তু উদ্বোধনের এক বছরেও তা চালু হয়নি। অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জায়গা না থাকা এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকার বছরে ৩-৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করার ফলে এই কেন্দ্রের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্য খাতসংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০১২ সালে জেলার কলাপাড়ার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরে দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন। তবে জমি অধিগ্রহণ করতেই সময় লাগে চার বছর। ২০১৬ সালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে সংস্থাটি। এগুলোসহ দেশের তিন জেলার চারটি স্থানে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণকাজ শেষ করে বিএফডিসি।
২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দুটি উদ্বোধন করেন। তবে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হলেও উদ্বোধনের এক বছরেও চালু হয়নি মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।
সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ ট্রলার থেকে নামানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পন্টুন ও গ্যাংওয়ে। সেখানে আছে ১ হাজার বর্গফুটের অকশন এলাকা, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য আলাদা প্যাকেজিং সেট, আড়তদারদের অফিসরুম, স্যানিটেশন ও পয়োনিষ্কাশনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া মাছ পরিবহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৭ হাজার বর্গফুটের ট্রাকস্ট্যান্ড।
তবে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে ৪০ জন ব্যবসায়ী থাকার সক্ষমতা থাকলেও পুরো মহিপুরে রয়েছেন ৮২ জন নিবন্ধিত ব্যবসায়ী। এ ছাড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন ২০টি ট্রলার অবস্থান করার উপযোগী; কিন্তু ৮২ জন ব্যবসায়ীর দুই হাজারেরও বেশি ট্রলার রয়েছে। এ ছাড়া পাইকার আছেন ২০০ ও শ্রমিক রয়েছেন ৮০০ জন। তাই তো চাহিদা অনুযায়ী সক্ষমতা না থাকায় অবতরণ কেন্দ্রে ভিড়তে চান না মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে হাসান ফকির বলেন, ‘এহন সাগর দিয়া মাছ লইয়া আইলে সিন্ডিকেটের মধ্যে পড়তে হয়, তিন থেকে চারজন পাইকার যুক্তি কইরা মাছের দাম কমাইয়া দেয়; কিন্তু এই কেন্দ্র চালু হইলে সব পাইকার এক জায়গায় থাকবে। এতে কইরা মাছের ভালো দাম উঠবে।’
কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হলে মহিপুরের ট্রলারমালিক, জেলে, আড়তদার, পাইকারসহ সবাই এক ছাদের নিচে মাছ কেনাবেচা এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করবেন। এতে মৎস্য খাতের ভোগান্তি এবং সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে।
মহিপুরের কক্সবাজার ফিশের আড়তদার মনির হোসেন বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করলেও এখন এটি কোনো কাজে আসছে না। এর মূল কারণ পরিকল্পিতভাবে এটি নির্মাণ করা হয়নি। আমাদের মহিপুরে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শতাধিক ব্যবসায়ী আছেন; কিন্তু অবতরণ কেন্দ্রের সক্ষমতা আছে ৪০ জনের। দরকার হলে ব্যবসা ছেড়ে দেব। তারপরও ওখানে যাব না।’
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমাদের মহিপুরের ব্যবসায়ী, পাইকার ও শ্রমিকদের দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত হবে না অবতরণ কেন্দ্রে। এ ছাড়া ২ হাজার ট্রলারের জন্য একটি পন্টুন এখানে পাওয়া অসম্ভব। তাঁরা যদি এটি নির্মাণ করার আগে আমাদের পরামর্শ ও খোঁজখবর নিয়ে করতেন, তাহলে এই সমস্যা হতো না। তার পরও আমরা বলেছি আপনারা জায়গা বড় করেন। আমরা সবাই যাব।’
মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. শাকিল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এক বছরেও অপারেশনে যেতে পারেনি। কারণ ব্যবসায়ীরা আসতে চাইছেন না। আমাদের এখানে জায়গা কম হলেও বাড়ানোর সুযোগ আছে, আমরা তাঁদের অনেকবার বলেছি। এর জন্য বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা না আসায় সরকার বছরে ৩-৪ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।’

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৪০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের এই তথ্য জানান।
ফয়সাল কাদের জানান, ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন কারণে যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ মোল্যা, আবুল হাসান সিদ্দিক ও আরিফুর রহমান মিঠু। তবে তাঁরা চাইলে বিধি অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।
এই আসনে যাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আউয়াল, বিএনপির রকিবুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর মাহফুজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ খান লিটন ও মইন মোহাম্মদ মায়াজ, বাসদের জনার্দন দত্ত, খেলাফত মজলিসের এফ এম হারুন অর রশিদ, এনডিএমের শেখ আরমান হোসেন এবং জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন।

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের এই তথ্য জানান।
ফয়সাল কাদের জানান, ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন কারণে যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ মোল্যা, আবুল হাসান সিদ্দিক ও আরিফুর রহমান মিঠু। তবে তাঁরা চাইলে বিধি অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।
এই আসনে যাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আউয়াল, বিএনপির রকিবুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর মাহফুজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ খান লিটন ও মইন মোহাম্মদ মায়াজ, বাসদের জনার্দন দত্ত, খেলাফত মজলিসের এফ এম হারুন অর রশিদ, এনডিএমের শেখ আরমান হোসেন এবং জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পটুয়াখালীর মহিপুরে সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে; কিন্তু উদ্বোধনের এক বছরেও তা চালু হয়নি। অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জায়গা না থাকা এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকার বছরে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৪০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ বছরও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা কক্সবাজারে এসেছেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের আবহ বিরাজ করায় অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, নাশকতা কিংবা সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একই সময়ে উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আয়োজন করা যাবে না। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ থাকবে।
অলক বিশ্বাস জানান, বিধিনিষেধ কার্যকরের পাশাপাশি শহরের প্রবেশমুখসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নজরদারি জোরদার করা হবে।
পর্যটকের উপস্থিতি
বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের শুরুতে কক্সবাজারে সাধারণত পর্যটকের ঢল নামে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও সৈকতে ভিড় জমান। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ৮-৯ বছর ধরে সৈকতে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উন্মুক্ত কোনো আয়োজন হচ্ছে না। শহরের কয়েকটি মানসম্মত হোটেল ও রিসোর্টে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান হলেও এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সেসব আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেলের মালিকেরা।
হোটেল ও রিসোর্টের মালিকেরা বলেন, ‘শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে অনেক পর্যটক বুধবারের কক্ষ বুকিং বাতিল করেছেন। আবার যাঁরা মঙ্গল বা বুধবার কক্সবাজারে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁদের বড় অংশই সফর স্থগিত করেছেন।’
কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ বছরও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা কক্সবাজারে এসেছেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের আবহ বিরাজ করায় অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, নাশকতা কিংবা সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একই সময়ে উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আয়োজন করা যাবে না। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ থাকবে।
অলক বিশ্বাস জানান, বিধিনিষেধ কার্যকরের পাশাপাশি শহরের প্রবেশমুখসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নজরদারি জোরদার করা হবে।
পর্যটকের উপস্থিতি
বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের শুরুতে কক্সবাজারে সাধারণত পর্যটকের ঢল নামে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও সৈকতে ভিড় জমান। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ৮-৯ বছর ধরে সৈকতে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উন্মুক্ত কোনো আয়োজন হচ্ছে না। শহরের কয়েকটি মানসম্মত হোটেল ও রিসোর্টে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান হলেও এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সেসব আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেলের মালিকেরা।
হোটেল ও রিসোর্টের মালিকেরা বলেন, ‘শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে অনেক পর্যটক বুধবারের কক্ষ বুকিং বাতিল করেছেন। আবার যাঁরা মঙ্গল বা বুধবার কক্সবাজারে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁদের বড় অংশই সফর স্থগিত করেছেন।’
কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর মহিপুরে সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে; কিন্তু উদ্বোধনের এক বছরেও তা চালু হয়নি। অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জায়গা না থাকা এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকার বছরে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ভ্যানযোগে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাছেত সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশটির পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় উদ্ঘাটনে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ভ্যানযোগে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাছেত সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশটির পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় উদ্ঘাটনে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পটুয়াখালীর মহিপুরে সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে; কিন্তু উদ্বোধনের এক বছরেও তা চালু হয়নি। অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জায়গা না থাকা এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকার বছরে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৪০ মিনিট আগে
বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত রিংকি শাজাহানপুর উপজেলার নন্দকুল উত্তর পাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে নুনগোলা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশীরা রিংকিকে বাড়ির উঠানে স্বাভাবিকভাবে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখেন। যদিও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে পারিবারিক কলহের কথা শোনা যেত। রাতের দিকে হঠাৎ তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত রিংকির বোন আশা খাতুন জানান, বিকেলে রিংকির মোবাইল থেকে তাঁর ফোনে একটি মিসকল আসে। পরে একাধিকবার ফোন করলেও রিংকি ফোন ধরেননি। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতে নুরুন্নবী ফোন করে জানায়, রিংকির ওপর জিনের আছর পড়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রিংকির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।
রিংকির মামি আয়না খাতুন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রিংকিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই আলামত নষ্ট করতে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। আমরা এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী নুরুন্নবী ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পরপরই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু রায়হান বলেন, ‘এর আগে তাঁদের মধ্যে কোনো ঝগড়াবিবাদের কথা আমার জানা ছিল না। হঠাৎ রাতে মৃত্যুর খবর পাই। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার কোনো সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

বগুড়ায় রিফাত জাহান রিংকি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত রিংকি শাজাহানপুর উপজেলার নন্দকুল উত্তর পাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে নুনগোলা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশীরা রিংকিকে বাড়ির উঠানে স্বাভাবিকভাবে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখেন। যদিও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে পারিবারিক কলহের কথা শোনা যেত। রাতের দিকে হঠাৎ তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত রিংকির বোন আশা খাতুন জানান, বিকেলে রিংকির মোবাইল থেকে তাঁর ফোনে একটি মিসকল আসে। পরে একাধিকবার ফোন করলেও রিংকি ফোন ধরেননি। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতে নুরুন্নবী ফোন করে জানায়, রিংকির ওপর জিনের আছর পড়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রিংকির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।
রিংকির মামি আয়না খাতুন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রিংকিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই আলামত নষ্ট করতে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। আমরা এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী নুরুন্নবী ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পরপরই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু রায়হান বলেন, ‘এর আগে তাঁদের মধ্যে কোনো ঝগড়াবিবাদের কথা আমার জানা ছিল না। হঠাৎ রাতে মৃত্যুর খবর পাই। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার কোনো সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

পটুয়াখালীর মহিপুরে সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে; কিন্তু উদ্বোধনের এক বছরেও তা চালু হয়নি। অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জায়গা না থাকা এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকার বছরে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৪০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে