Ajker Patrika

দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখর হাতিয়ার কমলার দীঘি 

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪: ২৫
দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখর হাতিয়ার কমলার দীঘি 

কেউ চড়ছে ঘোড়ার পিঠে। কেউ নদীতে সাঁতার কাটছে। শিশুরা হাঁটুপানিতে নেমে করছে দুরন্তপনা। পরিবারের অন্য সদস্যরা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে তুলছে ছবি। প্রচণ্ড রোদ কাউকে থামাতে পারেনি। ঈদ-পরবর্তী গত কয়েক দিন একই চিত্র দেখা যাচ্ছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ঐতিহ্যবাহী কমলার দীঘির সমুদ্রসৈকতে। 

হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব পাশে বেড়িবাঁধের বাইরে এই সমুদ্রসৈকতের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে পাকা রাস্তায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটারের দূরত্ব হওয়ায় অনেকে আসছেন এখানে। গণপরিবহন চলাচল না করায় সবাই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এসেছেন এই সমুদ্রসৈকতে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যক্তিমালিকানার সারি সারি গাড়ি রাখা কেওড়া বাগানের ফাঁকে ফাঁকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই এখানে অবস্থান করে আর অন্ধকার হওয়ার আগেই সবাই যে যার মতো বাড়িতে ফিরে যায়। 

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম চৌকিদার শংকর চন্দ্র সাহা জানান, ঈদের দিন থেকেই এখানে মানুষের সমাগম হচ্ছে। প্রতিদিন ৭-৮ হাজার মানুষ আসছে এখানে। দুই যুগেরও বেশি সময় এই স্থানে দর্শনার্থীদের পদচারণা থাকলেও এবার সবচেয়ে বেশি মানুষ এখানে আসছে। নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় মানুষ এখানে বেশি আসে না। 

নিজেদের আনন্দঘন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকামানুষের তৈরি বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজমান। একদিকে তিন কিলোমিটার বিশাল সি বিচ। আছে বিশাল কেওড়াবাগান। 

ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদ্‌যাপন করতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আলা উদ্দিন এসেছেন পরিবার নিয়ে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকের কাছে শুনেছি এই কমলার দীঘির গল্প। সত্যিই দেখার মতো জায়গা এটি। ছোট শিশুরাও আনন্দে আত্মহারা। সহজে নদীতে নামা যায়, কোনো কাদা লাগে না। তীব্র গরমে বনের মধ্যে একটু দাঁড়ালে প্রশান্তি চলে আসে। বিদ্যুতের সরবরাহ নেই। নেই কোনো বৈদ্যুতিক পাকা। এর পরও সবাই ক্লান্তিহীন।’ 

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল সহিদ জানান, গত কয়েক বছর ধরে এখানে মানুষ আসছে। তবে এবার যে পরিমাণ মানুষ এসেছে, তা বিগত বছরগুলোতে কখনো আসেনি। কিন্তু অতিরিক্ত মানুষের চাপে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের দিন তীব্র যানজট ছিল। বেড়িবাঁধ থেকে পূর্বদিকে সৈকতে যাওয়ার রাস্তাটি সরু হওয়ায় অনেকের ভিন্ন ভিন্ন পথে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়া লাগছে। 

কমলার দিঘী সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাচরঈশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন জানান, ২০২৩ সালে হরিণের খাওয়ার পানি জোগান দেওয়ার জন্য এখানে একটি দীঘি তৈরি করা হয়। মাটিকাটা এক নারী শ্রমিকের নামানুসারে এর নাম রাখা হয় কমলার দীঘি। এর পাশে বন বিভাগ কেওড়াবাগান এবং পরে ঝাউবাগান সৃজন করে। এতে স্থানটি দর্শনীয় হয়ে ওঠে। তিন বছর আগে কেওড়াবাগানের পাশে নদীর কূল ঘেঁষে বিশাল বিচ তৈরি হয়, যা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেক লোক আসছে। গত কয়েক বছর সরকারি–বেসরকারি ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এখানে আসেন। 

তিনি আরও বলেন, মানুষের আনাগোনা বেশি দেখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পরে কয়েকটি ছাতা ও একটি শৌচাগার নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এবার ঈদে মানুষের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে গ্রাম চৌকিদার নিয়োজিত করা হয়। তাঁরা প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট অনেক কম হওয়ায় অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা যাচ্ছে না। সরকারিভাবে পর্যটন করপোরেশন থেকে লোকজন এসেছে। তাঁরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিলে এই স্থান পর্যটন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সম্পাদক পরিষদের নিন্দা

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমন-পীড়নের পুনরাবৃত্তি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আনিস আলমগীরকে আজ আদালতে আনা হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা
আনিস আলমগীরকে আজ আদালতে আনা হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের এই সংগঠন বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়।

আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। তাঁকে সেখানে আটকে রেখে পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয় এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়। এ ধরনের চর্চা তারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও দেখেছে। সেই সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার ছিল নিয়মিত ঘটনা। বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃখজনক বাস্তবতারই পুনরাবৃত্তি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিষদ স্পষ্টভাবে বলতে চায়—কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তা অবশ্যই প্রচলিত আইন ও ন্যায়বিচারসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ ছাড়াই ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া, সেখানে আটকে রাখা কিংবা পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ আরও বলেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বহু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা করা হয়েছে এবং অনেকেই এখনো কারাগারে রয়েছেন। এ বিষয়ে এর আগেও সম্পাদক পরিষদ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের কথা। সরকারের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা এসব মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সাংবাদিক নিপীড়নের স্মৃতিই মনে করিয়ে দেয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সব ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় আজ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে জানা যায়, ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ গতকাল রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আড়িয়াল খাঁ নদে ভাসছিল নারীর লাশ

মাদারীপুর, প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে হনুফা বেগম (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাবনাতলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত হনুফা বেগম মাদারীপুরের সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি এলাকার আহমেদ ব্যাপারীর মেয়ে এবং একই এলাকার আনোয়ার ব্যাপারীর স্ত্রী।

পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে আড়িয়াল খাঁ নদে এক নারীর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা এটি হনুফা বেগমের লাশ হিসেবে নিশ্চিত করেন। এর আগে সকালে হনুফা বেগম বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

শিবচর কলাতলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটে যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না বুধবার

সিলেট প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ কেভি মুক্তিরচক ফিডারের কুশিঘাট, সোনাপুর, নয়াবস্তি, মীরেরচক, শাহপরান হাউজিং, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, আমদরপুর ও আশপাশ এলাকায় আগামী বুধবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিশু সাজিদের মৃত্যু: মামলা করবে না পরিবার, ডিসি বললেন মামলা হবে

 রিমন রহমান, রাজশাহী
কছির উদ্দিন ও শিশু সাজিদ। ছবি: সংগৃহীত
কছির উদ্দিন ও শিশু সাজিদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই। কিন্তু কোনো মামলা করব না।’ তবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার বলেছেন, এ ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে।

ঘটনার পর এখন পর্যন্ত শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।

আজ বিকেলে শিশু সাজিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে সাজিদের তিন মাস বয়সী ছোট ভাই সাদমানের জন্য আকিকা দেওয়া হয়েছে। আকিকার মাংস কেটে বিলি করা হচ্ছে।

কথা হয় সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, জমির মালিক কছির উদ্দিন এখনো তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। সমবেদনাও জানাননি। এত বড় একটি ঘটনার পর তাঁর অন্তত সমবেদনা জানানো উচিত ছিল।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই।’

মামলা করতে চাচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিবুল বলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহই নিয়েছে। আমরা মামলা করব না।’

মামলা না করতে কোনো চাপ আছে কি না—এমন প্রশ্নে রাকিবুল বলেন, ‘আমার ওপর কোনো চাপ নাই। কারণ, গোটা দেশ আমাদের পক্ষে আছে। ইনশা আল্লাহ পুলিশ-প্রশাসন সবাই আমাদের পক্ষে আছে। কোনো চাপ নাই ভাই।’

এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র চাইলে মামলা করতে পারে, তবে সেটিও এখনো হয়নি। জানতে চাইলে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন চাইলে বাদী হয়ে মামলা করতে পারে। আমরা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করব না।’

কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার আজ রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটা মামলা করতে গেলেও কিছু প্রসিডিউর আছে। সেগুলো দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে। সেটা হয়েছে বা হবে।’

সন্ধ্যায় কছির উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি এখনো বাড়ি ফেরেননি। গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কছিরের ভাইয়ের স্ত্রী তৌহিদা খাতুন। বলেন, মিডিয়া মিথ্যা লিখে বিষয়টি এত বড় করেছে। তাঁরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান না। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর ভাশুর কছির উদ্দিন বাড়িতে নেই। মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে জানান, মোবাইল নম্বর নেই। থাকলেও দেবেন না।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বাড়ির পাশে আট ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। ৩২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে মাটির প্রায় ৫০ ফুট গভীর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গভীর নলকূপ বসাতে এই গর্ত করে এক বছর ধরে ফেলে রেখেছিলেন কছির উদ্দিন। ঘটনার পর থেকে কছির উদ্দিন পলাতক। এ নিয়ে অবশ্য সাজিদের পরিবার কোনো মামলা করেনি। অবৈধভাবে বোরহোল করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসনও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত