Ajker Patrika

সেতুমন্ত্রীর তিন ভাগনের প্রতিদ্বন্দ্বী কাদের মির্জার তিন প্রার্থী

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
সেতুমন্ত্রীর তিন ভাগনের প্রতিদ্বন্দ্বী কাদের মির্জার তিন প্রার্থী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের তিন ভাগনের বিপরীতে লড়ছেন মেয়র কাদের মির্জা সমর্থিত তিন হেভিওয়েট প্রার্থী। একদিকে মন্ত্রীর ভাগনে, অপরদিকে তাঁদেরই আরেক আপন মামা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা সমর্থিত প্রার্থী পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে উপজেলায়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে সেতুমন্ত্রীর তিন ভাগনে উপজেলার তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে ২ নম্বর চরপার্বতী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু। ৬ নম্বর রামপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী রামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজিস সালেকিন রিমন। আর ৫ নম্বর চরফকিরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি। মঞ্জু ও রিমন মন্ত্রীর আপন ভাগনে, আর কচি মন্ত্রীর ফুফাতো বোনের ছেলে। তিনজনেরই নির্বাচনী প্রতীক আনারস। 

মন্ত্রীর তিন ভাগনে ভোটের ময়দানে এবারই প্রথম। তাঁরা এক সময় মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীই ছিলেন। তবে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী স্থানীয় রাজনৈতিক বিভাজনে তাঁরা এখন কাদের মির্জার ঘোরতর প্রতিপক্ষ। তাঁরা তিনজনই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী। 

চরপার্বতী ইউপিতে সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র কাদের মির্জা সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন কামরুল। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক টেলিফোন। এ ইউনিয়নে অপর হেভিওয়েট প্রার্থী কাজী হানিফ। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক মোটরসাইকেল। কাজী হানিফ বিগত দুইবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ত্রিমুখী হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা। 

এ প্রসঙ্গে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জুলফিকার হায়দার মোহন বলেন, ‘একজন দক্ষ সংগঠক মঞ্জু ভাই। তা ছাড়া তিনি মন্ত্রীর ভাগনে হওয়ায় ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়নকাজ করতে পারবেন। তাই ভোটাররা এবার তাঁর দিকেই ঝুঁকছে।’ 

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোতাহের হোসেন বাদল বলেন, ‘দু’বার ইউপি চেয়ারম্যান থেকে কামরুল ভাই বিভিন্ন উন্নয়নকাজ করেছেন। তাই জনগণ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবারও তাঁর পক্ষেই থাকবে।’ 

অপরদিকে বয়সে একেবারেই তরুণ সালেকিন রিমন, তিনি রামপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। এখানে তাঁরও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র কাদের মির্জা সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক মোটরসাইকেল। 

বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের দুলাল জানান, এলাকার যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি মার্জিত আচরণের কারণে বয়োবৃদ্ধ ভোটারদেরও প্রথম পছন্দ রিমন। অপরদিকে স্থানীয় ভোটার প্রগতি গ্রন্থাগারের সভাপতি হেদায়েত উল্যা বলেন, ‘চেয়ারম্যান হওয়ার আগে আমেরিকা থাকায় প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন ইকবাল বাহার। নির্লোভ চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে।’ 

 ৫ নম্বর চরফকিরা ইউনিয়নে প্রার্থী মন্ত্রীর ফুফাতো বোনের ছেলে জায়দল হক কচি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এখানে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন লিটন। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক মোটরসাইকেল। কচি বয়সে তরুণ। তাঁর বিপরীতে প্রবীণ লিটন। নবীন প্রবীণের মাঝেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে চরফকিরা ইউপির ভোটার মাসুদুর রহমান মিল্টন বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা মাথায় রেখেই গত তিন বছর এলাকায় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন কচি ভাই। তা ছাড়া জনপ্রিয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থন কচির বিজয়ের পথকে আরও সুগম করবে।’ 

তবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ভোটের সমীকরণে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের বড়ভাই সলিম উল্যাহ টেলু চশমা প্রতীক নিয়ে চমক দেখাতে পারেন। 

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোম্পানীগঞ্জের চলমান অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে এখানে কোনো প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক দেয়নি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না’

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।

এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’

প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’

তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষকের ঘরে ১২ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ, আটক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।

পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জেলে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত