আরিফ আহম্মেদ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)

যখন তাঁর স্বামী শহীদ হলেন, তখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া খাতুন। বিয়ের মাত্র ছয় মাস পর স্বামীকে হারিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় তিনি। স্বামীর জন্য শোক পালন করবেন, সে সুযোগও দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনী। সারাক্ষণ বাড়িতে পুলিশের আনাগোনা, হাজারো হুমকি-ধমকি আর নানা প্রশ্ন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেলেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া দিশেহারা হয়ে গেলেন স্বামীর শেষ স্মৃতি গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় বাবা শাহাব উদ্দিন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুনাইল গ্রামে নিজ বাড়িতে। এমন কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাননি কোনো সান্ত্বনাও।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে গেলে নতুন স্বাধীন দেশে স্বস্তির নিশ্বাস নেন সাদিয়া খাতুন। কিন্তু তখন বুঝতে পারেননি, স্বামীর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে বঞ্চিত হবেন তিনি ও তাঁদের সন্তান। স্বামী শহীদ হওয়ার ছয় মাস পর ১৯ জানুয়ারি তিনি একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। নাম রাখেন সাবরিনা বিনতে সিদ্দিকী। সরকার শহীদ পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিলেও আজও একটি টাকাও পাননি তিনি। শ্বশুর আব্দুল হালিম সব টাকা উত্তোলন করে নিজের নামে ব্যাংকে জমা করেছেন। অপর দিকে সরকার ১০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র দিলেও তাঁর নমিনি কে হবে, তা নিয়ে চলছে জটিলতা। বাবা ও স্ত্রী দুজনই নমিনি হওয়ার দাবি করছেন।
কোলের শিশুকে নিয়ে ইউএনও কার্যালয়সহ নানাজনের কাছে ঘোরাঘুরি করেছেন সাদিয়া, কেউ পাশে দাঁড়াননি তাঁর। শিশুসন্তানের লালন-পালনের ব্যয় কোথা থেকে আসবে, কেউ খোঁজ নেননি। স্বামীর শোক আর সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাবনায়, এখন পাগল প্রায় তিনি। তবে এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ থেকে একজন সমন্বয়কের মাধ্যমে কিছু অনুদান পেয়েছেন সাদিয়া।
বর্তমানে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই আছেন সাদিয়া খাতুন। ছোট্ট শিশুটি বাবার স্নেহ, আদর-ভালোবাসা কোনো দিন পাবে না, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন তিনি। লালন-পালন আর ভবিষ্যতে লেখাপড়ার খরচ আসবে কোথায় থেকে, এমন হাজারো চিন্তায় দিশেহারা তিনি। সরকার থেকে প্রাপ্ত পাঁচ লাখ টাকা তাঁর শ্বশুর উত্তোলন করে নিজের নামে ব্যাংকে রেখে দিয়েছেন, অথচ শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকীর শিশুসন্তানের লালন-পালনের খরচ কোথা থেকে আসবে, সে খবর কখনো নেন না তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আব্দুল হালিমকে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পায় যায়।
গৌরীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি বাহালুল মুন্সী বলেন, ‘শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের সন্তানের লালন-পালন ও একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নূরে আলম সিদ্দিকীর পরিবারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে, এগুলো সমাধানের জন্য চেষ্টাও হয়েছে একাধিকবার।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া আমীন পাপ্পা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুসন্তানকে নিয়ে শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকীর স্ত্রী কষ্ট করছেন, বিষয়টি অমানবিক। দুই পরিবারের বিরোধ সমাধান করতে একাধিকবার উভয় পরিবারকে নিয়ে বসা হয়েছে, কিন্তু কোনো মীমাংসা হয়নি। আমরা আন্তরিকভাবেই সে চেষ্টা করছি। অনুদানের পাঁচ লাখ টাকা নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আব্দুল হালিমের নামে সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে জমা আছে। স্ত্রী-সন্তানের প্রাপ্য হিস্যা ডিসি স্যারের (জেলা প্রশাসক) সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই সারা দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এদিন সকাল থেকেই ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জড়ো হতে থাকেন ছাত্র-জনতা।
একপর্যায়ে ১৪৪ ধারা ভেঙে তাঁরা ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে প্রথমে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে ও পরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম গ্রামের নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিব, ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের বিপ্লব হাসান ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের জুবায়ের শহীদ হয়েছেন। এদিন আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী।

যখন তাঁর স্বামী শহীদ হলেন, তখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া খাতুন। বিয়ের মাত্র ছয় মাস পর স্বামীকে হারিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় তিনি। স্বামীর জন্য শোক পালন করবেন, সে সুযোগও দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনী। সারাক্ষণ বাড়িতে পুলিশের আনাগোনা, হাজারো হুমকি-ধমকি আর নানা প্রশ্ন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেলেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া দিশেহারা হয়ে গেলেন স্বামীর শেষ স্মৃতি গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় বাবা শাহাব উদ্দিন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুনাইল গ্রামে নিজ বাড়িতে। এমন কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাননি কোনো সান্ত্বনাও।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে গেলে নতুন স্বাধীন দেশে স্বস্তির নিশ্বাস নেন সাদিয়া খাতুন। কিন্তু তখন বুঝতে পারেননি, স্বামীর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে বঞ্চিত হবেন তিনি ও তাঁদের সন্তান। স্বামী শহীদ হওয়ার ছয় মাস পর ১৯ জানুয়ারি তিনি একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। নাম রাখেন সাবরিনা বিনতে সিদ্দিকী। সরকার শহীদ পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিলেও আজও একটি টাকাও পাননি তিনি। শ্বশুর আব্দুল হালিম সব টাকা উত্তোলন করে নিজের নামে ব্যাংকে জমা করেছেন। অপর দিকে সরকার ১০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র দিলেও তাঁর নমিনি কে হবে, তা নিয়ে চলছে জটিলতা। বাবা ও স্ত্রী দুজনই নমিনি হওয়ার দাবি করছেন।
কোলের শিশুকে নিয়ে ইউএনও কার্যালয়সহ নানাজনের কাছে ঘোরাঘুরি করেছেন সাদিয়া, কেউ পাশে দাঁড়াননি তাঁর। শিশুসন্তানের লালন-পালনের ব্যয় কোথা থেকে আসবে, কেউ খোঁজ নেননি। স্বামীর শোক আর সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাবনায়, এখন পাগল প্রায় তিনি। তবে এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ থেকে একজন সমন্বয়কের মাধ্যমে কিছু অনুদান পেয়েছেন সাদিয়া।
বর্তমানে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই আছেন সাদিয়া খাতুন। ছোট্ট শিশুটি বাবার স্নেহ, আদর-ভালোবাসা কোনো দিন পাবে না, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন তিনি। লালন-পালন আর ভবিষ্যতে লেখাপড়ার খরচ আসবে কোথায় থেকে, এমন হাজারো চিন্তায় দিশেহারা তিনি। সরকার থেকে প্রাপ্ত পাঁচ লাখ টাকা তাঁর শ্বশুর উত্তোলন করে নিজের নামে ব্যাংকে রেখে দিয়েছেন, অথচ শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকীর শিশুসন্তানের লালন-পালনের খরচ কোথা থেকে আসবে, সে খবর কখনো নেন না তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আব্দুল হালিমকে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পায় যায়।
গৌরীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি বাহালুল মুন্সী বলেন, ‘শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের সন্তানের লালন-পালন ও একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নূরে আলম সিদ্দিকীর পরিবারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে, এগুলো সমাধানের জন্য চেষ্টাও হয়েছে একাধিকবার।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া আমীন পাপ্পা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুসন্তানকে নিয়ে শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকীর স্ত্রী কষ্ট করছেন, বিষয়টি অমানবিক। দুই পরিবারের বিরোধ সমাধান করতে একাধিকবার উভয় পরিবারকে নিয়ে বসা হয়েছে, কিন্তু কোনো মীমাংসা হয়নি। আমরা আন্তরিকভাবেই সে চেষ্টা করছি। অনুদানের পাঁচ লাখ টাকা নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আব্দুল হালিমের নামে সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে জমা আছে। স্ত্রী-সন্তানের প্রাপ্য হিস্যা ডিসি স্যারের (জেলা প্রশাসক) সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই সারা দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এদিন সকাল থেকেই ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জড়ো হতে থাকেন ছাত্র-জনতা।
একপর্যায়ে ১৪৪ ধারা ভেঙে তাঁরা ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে প্রথমে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে ও পরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম গ্রামের নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিব, ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের বিপ্লব হাসান ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের জুবায়ের শহীদ হয়েছেন। এদিন আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী।
আরিফ আহম্মেদ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)

যখন তাঁর স্বামী শহীদ হলেন, তখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া খাতুন। বিয়ের মাত্র ছয় মাস পর স্বামীকে হারিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় তিনি। স্বামীর জন্য শোক পালন করবেন, সে সুযোগও দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনী। সারাক্ষণ বাড়িতে পুলিশের আনাগোনা, হাজারো হুমকি-ধমকি আর নানা প্রশ্ন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেলেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া দিশেহারা হয়ে গেলেন স্বামীর শেষ স্মৃতি গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় বাবা শাহাব উদ্দিন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুনাইল গ্রামে নিজ বাড়িতে। এমন কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাননি কোনো সান্ত্বনাও।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে গেলে নতুন স্বাধীন দেশে স্বস্তির নিশ্বাস নেন সাদিয়া খাতুন। কিন্তু তখন বুঝতে পারেননি, স্বামীর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে বঞ্চিত হবেন তিনি ও তাঁদের সন্তান। স্বামী শহীদ হওয়ার ছয় মাস পর ১৯ জানুয়ারি তিনি একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। নাম রাখেন সাবরিনা বিনতে সিদ্দিকী। সরকার শহীদ পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিলেও আজও একটি টাকাও পাননি তিনি। শ্বশুর আব্দুল হালিম সব টাকা উত্তোলন করে নিজের নামে ব্যাংকে জমা করেছেন। অপর দিকে সরকার ১০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র দিলেও তাঁর নমিনি কে হবে, তা নিয়ে চলছে জটিলতা। বাবা ও স্ত্রী দুজনই নমিনি হওয়ার দাবি করছেন।
কোলের শিশুকে নিয়ে ইউএনও কার্যালয়সহ নানাজনের কাছে ঘোরাঘুরি করেছেন সাদিয়া, কেউ পাশে দাঁড়াননি তাঁর। শিশুসন্তানের লালন-পালনের ব্যয় কোথা থেকে আসবে, কেউ খোঁজ নেননি। স্বামীর শোক আর সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাবনায়, এখন পাগল প্রায় তিনি। তবে এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ থেকে একজন সমন্বয়কের মাধ্যমে কিছু অনুদান পেয়েছেন সাদিয়া।
বর্তমানে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই আছেন সাদিয়া খাতুন। ছোট্ট শিশুটি বাবার স্নেহ, আদর-ভালোবাসা কোনো দিন পাবে না, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন তিনি। লালন-পালন আর ভবিষ্যতে লেখাপড়ার খরচ আসবে কোথায় থেকে, এমন হাজারো চিন্তায় দিশেহারা তিনি। সরকার থেকে প্রাপ্ত পাঁচ লাখ টাকা তাঁর শ্বশুর উত্তোলন করে নিজের নামে ব্যাংকে রেখে দিয়েছেন, অথচ শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকীর শিশুসন্তানের লালন-পালনের খরচ কোথা থেকে আসবে, সে খবর কখনো নেন না তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আব্দুল হালিমকে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পায় যায়।
গৌরীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি বাহালুল মুন্সী বলেন, ‘শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের সন্তানের লালন-পালন ও একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নূরে আলম সিদ্দিকীর পরিবারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে, এগুলো সমাধানের জন্য চেষ্টাও হয়েছে একাধিকবার।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া আমীন পাপ্পা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুসন্তানকে নিয়ে শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকীর স্ত্রী কষ্ট করছেন, বিষয়টি অমানবিক। দুই পরিবারের বিরোধ সমাধান করতে একাধিকবার উভয় পরিবারকে নিয়ে বসা হয়েছে, কিন্তু কোনো মীমাংসা হয়নি। আমরা আন্তরিকভাবেই সে চেষ্টা করছি। অনুদানের পাঁচ লাখ টাকা নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আব্দুল হালিমের নামে সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে জমা আছে। স্ত্রী-সন্তানের প্রাপ্য হিস্যা ডিসি স্যারের (জেলা প্রশাসক) সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই সারা দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এদিন সকাল থেকেই ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জড়ো হতে থাকেন ছাত্র-জনতা।
একপর্যায়ে ১৪৪ ধারা ভেঙে তাঁরা ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে প্রথমে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে ও পরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম গ্রামের নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিব, ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের বিপ্লব হাসান ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের জুবায়ের শহীদ হয়েছেন। এদিন আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী।

যখন তাঁর স্বামী শহীদ হলেন, তখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া খাতুন। বিয়ের মাত্র ছয় মাস পর স্বামীকে হারিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় তিনি। স্বামীর জন্য শোক পালন করবেন, সে সুযোগও দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনী। সারাক্ষণ বাড়িতে পুলিশের আনাগোনা, হাজারো হুমকি-ধমকি আর নানা প্রশ্ন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেলেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া দিশেহারা হয়ে গেলেন স্বামীর শেষ স্মৃতি গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় বাবা শাহাব উদ্দিন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুনাইল গ্রামে নিজ বাড়িতে। এমন কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাননি কোনো সান্ত্বনাও।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে গেলে নতুন স্বাধীন দেশে স্বস্তির নিশ্বাস নেন সাদিয়া খাতুন। কিন্তু তখন বুঝতে পারেননি, স্বামীর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে বঞ্চিত হবেন তিনি ও তাঁদের সন্তান। স্বামী শহীদ হওয়ার ছয় মাস পর ১৯ জানুয়ারি তিনি একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। নাম রাখেন সাবরিনা বিনতে সিদ্দিকী। সরকার শহীদ পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিলেও আজও একটি টাকাও পাননি তিনি। শ্বশুর আব্দুল হালিম সব টাকা উত্তোলন করে নিজের নামে ব্যাংকে জমা করেছেন। অপর দিকে সরকার ১০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র দিলেও তাঁর নমিনি কে হবে, তা নিয়ে চলছে জটিলতা। বাবা ও স্ত্রী দুজনই নমিনি হওয়ার দাবি করছেন।
কোলের শিশুকে নিয়ে ইউএনও কার্যালয়সহ নানাজনের কাছে ঘোরাঘুরি করেছেন সাদিয়া, কেউ পাশে দাঁড়াননি তাঁর। শিশুসন্তানের লালন-পালনের ব্যয় কোথা থেকে আসবে, কেউ খোঁজ নেননি। স্বামীর শোক আর সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাবনায়, এখন পাগল প্রায় তিনি। তবে এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ থেকে একজন সমন্বয়কের মাধ্যমে কিছু অনুদান পেয়েছেন সাদিয়া।
বর্তমানে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই আছেন সাদিয়া খাতুন। ছোট্ট শিশুটি বাবার স্নেহ, আদর-ভালোবাসা কোনো দিন পাবে না, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন তিনি। লালন-পালন আর ভবিষ্যতে লেখাপড়ার খরচ আসবে কোথায় থেকে, এমন হাজারো চিন্তায় দিশেহারা তিনি। সরকার থেকে প্রাপ্ত পাঁচ লাখ টাকা তাঁর শ্বশুর উত্তোলন করে নিজের নামে ব্যাংকে রেখে দিয়েছেন, অথচ শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকীর শিশুসন্তানের লালন-পালনের খরচ কোথা থেকে আসবে, সে খবর কখনো নেন না তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আব্দুল হালিমকে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পায় যায়।
গৌরীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি বাহালুল মুন্সী বলেন, ‘শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের সন্তানের লালন-পালন ও একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নূরে আলম সিদ্দিকীর পরিবারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে, এগুলো সমাধানের জন্য চেষ্টাও হয়েছে একাধিকবার।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া আমীন পাপ্পা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুসন্তানকে নিয়ে শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকীর স্ত্রী কষ্ট করছেন, বিষয়টি অমানবিক। দুই পরিবারের বিরোধ সমাধান করতে একাধিকবার উভয় পরিবারকে নিয়ে বসা হয়েছে, কিন্তু কোনো মীমাংসা হয়নি। আমরা আন্তরিকভাবেই সে চেষ্টা করছি। অনুদানের পাঁচ লাখ টাকা নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আব্দুল হালিমের নামে সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে জমা আছে। স্ত্রী-সন্তানের প্রাপ্য হিস্যা ডিসি স্যারের (জেলা প্রশাসক) সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই সারা দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এদিন সকাল থেকেই ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জড়ো হতে থাকেন ছাত্র-জনতা।
একপর্যায়ে ১৪৪ ধারা ভেঙে তাঁরা ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে প্রথমে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে ও পরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম গ্রামের নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিব, ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের বিপ্লব হাসান ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের জুবায়ের শহীদ হয়েছেন। এদিন আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৮ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া দিশেহারা হয়ে গেলেন স্বামীর শেষ স্মৃতি গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় বাবা শাহাব উদ্দিন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুনাইল গ্রামে নিজ বাড়িতে। এমন কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাননি কোনো সান্ত্বনাও।
০৪ আগস্ট ২০২৫
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৮ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া দিশেহারা হয়ে গেলেন স্বামীর শেষ স্মৃতি গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় বাবা শাহাব উদ্দিন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুনাইল গ্রামে নিজ বাড়িতে। এমন কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাননি কোনো সান্ত্বনাও।
০৪ আগস্ট ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৮ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া দিশেহারা হয়ে গেলেন স্বামীর শেষ স্মৃতি গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় বাবা শাহাব উদ্দিন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুনাইল গ্রামে নিজ বাড়িতে। এমন কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাননি কোনো সান্ত্বনাও।
০৪ আগস্ট ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

অন্তঃসত্ত্বা সাদিয়া দিশেহারা হয়ে গেলেন স্বামীর শেষ স্মৃতি গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় বাবা শাহাব উদ্দিন ওরফে আব্দুর রাজ্জাক এসে তাঁকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পুনাইল গ্রামে নিজ বাড়িতে। এমন কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাননি কোনো সান্ত্বনাও।
০৪ আগস্ট ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৮ মিনিট আগে