রাজেশ গৌড়, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)
সকালের আলো যখন নদীর জলে পড়ে সোনা ঝলকে, তখনই শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। সোমেশ্বরীর বুকে ভেসে বেড়ানো সেই নৌকাগুলো আর শুধু পারাপারের মাধ্যম নয়, তা হয়ে ওঠে স্বপ্ন ও বেঁচে থাকার অবলম্বন।
নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলা। একপাশে ভারতের মেঘালয় আর তার গা ছুঁয়ে বয়ে আসা নীল জল সোমেশ্বরী। যতই এগোবে, চোখে পড়বে পাহাড়-নদী-আকাশের এক মোহনীয় মেলবন্ধন। আর এই অপরূপ প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠেছে এক নীরবতাপূর্ণ অথচ প্রাণচঞ্চল জীবনধারা—নৌকার মাঝির জীবন।
বছরের অন্যান্য সময়েও এই নদী পর্যটকে সরগরম, তবে ঈদ এলেই যেন জমে ওঠে উৎসব। সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ পানির টানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে পর্যটক। আর তাদের সেই আনন্দঘন মুহূর্তে রং ছড়াচ্ছে নৌকাভ্রমণ। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষের ভিড়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠে বিজয়পুর নৌঘাট।
হাসিমুখে যাত্রী তুলছেন আসিফ মিয়া। বয়স ত্রিশ ছুঁইছুঁই। জীবন তাকে স্কুল থেকে তুলে এনে দাঁড় করিয়েছে বইঠার সামনে। আসিফ বলেন, ‘ঈদের সময় যাত্রী বেশি থাকে, আয়ও হয় ভালো। আগে দিনে ৫০০ টাকাও জোটত না, এখন ঈদে দেড় থেকে দুই হাজার টাকাও হয়।’
তাঁর চোখে-মুখে তখন ঈদের আনন্দ, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন।
আসিফের মতোই নদীর স্রোতের সঙ্গে স্বপ্ন বয়ে নিচ্ছে কিশোর রিদয় মিয়াও। বইঠার বদলে নৌকায় বসেছে ইঞ্জিন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেও এগোতে শিখেছে।
‘মেশিন লাগানোর পর যাত্রী বাড়ছে, আয়ও বেশি’—বলল রিদয়, চোখে একরাশ আত্মবিশ্বাস।
শুধু কিশোরেরা নয়, নৌকার মাঝি হয়েছেন অনেকে, যাঁরা যৌবন পেরিয়েছেন বহু আগেই। ষাটোর্ধ্ব আব্দুল মালেক মিয়া ছয় বছর ধরে চালাচ্ছেন নৌকা। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীর নিয়েও ঈদের সময় নেমে পড়েন নদীতে—বাড়তি রোজগারের আশায়, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে।
মালেক মিয়া বলেন, ‘ঈদের সময় মানুষ আসে ঘুরতে, আমরাও একটু বেশি আয় করতে পারি। চাহিদা বাড়লেও আমরা কখনো অতিরিক্ত ভাড়া নেই না, খুশি রেখেই পারিশ্রমিক নিই।’
পর্যটকেরা বলেন, নৌকাভ্রমণে সোমেশ্বরীর সৌন্দর্য যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। শান্ত জলে ভেসে চলা নৌকা, দুপাশে পাহাড় আর ঝরনা—সব মিলিয়ে এক অপার নান্দনিকতা। সেই সৌন্দর্যের মাঝেই লুকিয়ে আছে মানুষের ঘাম, শ্রম আর আশার গল্প।
এই নদী, এই নৌকা আর তাদের ঘিরে বোনা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন ঈদের খুশিকে আরও গভীর করে তোলে। সোমেশ্বরীর জলে ভেসে বেড়ায় শুধু নৌকা নয়—ভেসে বেড়ায় জীবনের স্বপ্নও।
সকালের আলো যখন নদীর জলে পড়ে সোনা ঝলকে, তখনই শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। সোমেশ্বরীর বুকে ভেসে বেড়ানো সেই নৌকাগুলো আর শুধু পারাপারের মাধ্যম নয়, তা হয়ে ওঠে স্বপ্ন ও বেঁচে থাকার অবলম্বন।
নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলা। একপাশে ভারতের মেঘালয় আর তার গা ছুঁয়ে বয়ে আসা নীল জল সোমেশ্বরী। যতই এগোবে, চোখে পড়বে পাহাড়-নদী-আকাশের এক মোহনীয় মেলবন্ধন। আর এই অপরূপ প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠেছে এক নীরবতাপূর্ণ অথচ প্রাণচঞ্চল জীবনধারা—নৌকার মাঝির জীবন।
বছরের অন্যান্য সময়েও এই নদী পর্যটকে সরগরম, তবে ঈদ এলেই যেন জমে ওঠে উৎসব। সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ পানির টানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে পর্যটক। আর তাদের সেই আনন্দঘন মুহূর্তে রং ছড়াচ্ছে নৌকাভ্রমণ। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষের ভিড়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠে বিজয়পুর নৌঘাট।
হাসিমুখে যাত্রী তুলছেন আসিফ মিয়া। বয়স ত্রিশ ছুঁইছুঁই। জীবন তাকে স্কুল থেকে তুলে এনে দাঁড় করিয়েছে বইঠার সামনে। আসিফ বলেন, ‘ঈদের সময় যাত্রী বেশি থাকে, আয়ও হয় ভালো। আগে দিনে ৫০০ টাকাও জোটত না, এখন ঈদে দেড় থেকে দুই হাজার টাকাও হয়।’
তাঁর চোখে-মুখে তখন ঈদের আনন্দ, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন।
আসিফের মতোই নদীর স্রোতের সঙ্গে স্বপ্ন বয়ে নিচ্ছে কিশোর রিদয় মিয়াও। বইঠার বদলে নৌকায় বসেছে ইঞ্জিন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেও এগোতে শিখেছে।
‘মেশিন লাগানোর পর যাত্রী বাড়ছে, আয়ও বেশি’—বলল রিদয়, চোখে একরাশ আত্মবিশ্বাস।
শুধু কিশোরেরা নয়, নৌকার মাঝি হয়েছেন অনেকে, যাঁরা যৌবন পেরিয়েছেন বহু আগেই। ষাটোর্ধ্ব আব্দুল মালেক মিয়া ছয় বছর ধরে চালাচ্ছেন নৌকা। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীর নিয়েও ঈদের সময় নেমে পড়েন নদীতে—বাড়তি রোজগারের আশায়, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে।
মালেক মিয়া বলেন, ‘ঈদের সময় মানুষ আসে ঘুরতে, আমরাও একটু বেশি আয় করতে পারি। চাহিদা বাড়লেও আমরা কখনো অতিরিক্ত ভাড়া নেই না, খুশি রেখেই পারিশ্রমিক নিই।’
পর্যটকেরা বলেন, নৌকাভ্রমণে সোমেশ্বরীর সৌন্দর্য যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। শান্ত জলে ভেসে চলা নৌকা, দুপাশে পাহাড় আর ঝরনা—সব মিলিয়ে এক অপার নান্দনিকতা। সেই সৌন্দর্যের মাঝেই লুকিয়ে আছে মানুষের ঘাম, শ্রম আর আশার গল্প।
এই নদী, এই নৌকা আর তাদের ঘিরে বোনা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন ঈদের খুশিকে আরও গভীর করে তোলে। সোমেশ্বরীর জলে ভেসে বেড়ায় শুধু নৌকা নয়—ভেসে বেড়ায় জীবনের স্বপ্নও।
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক যুবকের অর্ধমৃত দেহ পড়ে আছে। ৫-৬ যুবক তাঁকে ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করছে। এতেই শেষ নয়। রক্তাক্ত মৃতদেহটি টেনে রাস্তায় নিয়ে শরীরে আঘাত করা হচ্ছে। কেউ কেউ লাফাচ্ছে বুকের ওপর।
০১ জানুয়ারি ১৯৭০রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মোহাম্মদ সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ নামের এক তরুণ ব্যবসায়ীকে জনসমক্ষে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামে ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছাপিয়ে মারাত্মক হয়ে উঠেছে চিকুনগুনিয়া। নগরের দুটি বেসরকারি ল্যাবের তথ্যমতে, নমুনা পরীক্ষায় প্রায় ৮৭ শতাংশের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে। ৪ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে ৯ জুলাই চট্টগ্রামে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১০ জনের, করোনা শনাক্ত ৩ জনের।
১৩ মিনিট আগেরাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলে আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব
১ ঘণ্টা আগে