Ajker Patrika

আবেদনের যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি

মো. ফাহাদ বিন সাঈদ, জাককানইবি 
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ০৪
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মুশফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মুশফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমান (হীরক মুশফিক)। তিনি ২০১৮ সালে বিভাগটিতে অস্থায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ পান৷ যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক হওয়াসহ তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ মে অধ্যাপক পদের বিপরীতে প্রভাষক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সর্বনিম্ন সিজিপিএ ৩.৫০ (৪.০০ এর মধ্যে)  চাওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে একাডেমিক ফলাফলের যেকোনো একটির আংশিক শিথিল করা যেতে পারে বলে একটি বিশেষ ধারা যুক্ত করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, হীরক মুশফিক স্নাতকোত্তরে ৩.২৫ সিজিপিএ নিয়েই প্রভাষক পদের বিপরীতে আবেদন করেন। আবেদনের শেষ তারিখ পর্যন্ত হীরক মুশফিকের কোনো বিশেষ যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা নামক একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকায় আর্টিকেল প্রকাশিত হবে দেখিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সুপারিশ করে তৎকালীন বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি। তিনি যে পত্রিকার আর্টিকেলকে বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে দেখিয়েছেন, সেটি প্রকাশিত হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদনের শেষ তারিখের অনেক পরে এবং সেটি কোনো মানসম্মত স্বীকৃত জার্নাল নয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সেই সময়কার বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ইসমত আরা ভূঁইয়া ইলার ইচ্ছাতেই কম সিজিপিএ থাকা স্বত্ত্বেও ত্রৈমাসিক পত্রিকায় আর্টিকেল প্রকাশিত হবে এটিকেই বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে দেখিয়ে পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছিলেন হীরক মুশফিক। প্ল্যানিং কমিটির বাকি সদস্যরাও তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন। সে সময়ের প্ল্যানিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ইসমত আরা ভূঁইয়া ইলা ছাড়াও ছিলেন বিভাগের অন্য দুই শিক্ষক আল জাবির ও নীলা সাহা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. ইসমত আরা ভূঁইয়া ইলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর দায় চাপিয়ে বলেন, ‘এটা আমার একক কোনো সিদ্ধান্ত নয়, প্ল্যানিং কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই নিয়োগে আমাদের বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল, যাদের স্নাতকোত্তর রেজাল্ট হয়নি। আমরা প্ল্যানিং কমিটি থেকে নিয়োগ বোর্ড শুরুর আগে যদি ফলাফল প্রকাশিত হয়, তাহলে পরীক্ষায় বসতে পারবে এরকম একটি শর্ত দিয়ে সুপারিশ করেছিলাম। একই বিবেচনায় হীরক মুশফিককেও সুপারিশ করা হয়েছে৷ আমরা যদি হীরক মুশফিককে সুপারিশ না করতাম, তাহলে সেটি অবিচার করা হতো।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস তিনি কোনো প্রকার ছুটি না নিয়ে একই সঙ্গে বাংলাদেশে চাকরিরত ও ভারতে অধ্যয়নরত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের  ছুটিবিধি অনুযায়ী চাকরিতে যোগদানের এক বছর অতিক্রমের আগে ছুটি গ্রহণের নিয়ম না থাকলেও তিনি ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে ছয় মাস ছুটি কাটিয়েছেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরির অস্থায়ী অবস্থাতেই অগ্নিবীণা হলের হাউজ টিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হীরক মুশফিক।

এ ঘটনায় হীরক মুশফিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের এবং নিয়োগ পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানিয়ে ২০২১ সালের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান সেই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক তিন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া হীরক মুশফিকের নিয়োগে অনিয়ম, তথ্য গোপন ও অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে ২০২১ সালের ২৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ মামুন রেজা৷

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হীরক মুশফিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক মামলায় ১০১ নম্বর আসামি। সেই মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অর্থদাতা। সম্প্রতি তিনি নানা অনিয়মের শাস্তি থেকে বাঁচতে শিক্ষাছুটি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। শিক্ষাছুটির জন্য তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে৷

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ যোগ্যতা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগে বেসিক শর্ত শিথিল করা যাবে না। অনেক সময় প্রকৃত যোগ্যতা সম্পন্ন আবেদনকারীকে বাদ দিয়ে বিশেষ যোগ্যতার মাধ্যমে কম যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী নিয়োগ দেওয়া হয়, যা শিক্ষার মান ও ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর।’

এ বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়মে অভিযুক্ত শিক্ষক হীরক মুশফিক বলেন, ‘এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। যেভাবে সার্কুলার হয়েছে সেভাবেই আমি আবেদন করেছি। এ ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো মতামত দেওয়া ঠিক হবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার জানামতে এসব বিষয় নিয়ে একাডেমিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। রিপোর্ট পেলেই আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জামালপুর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত