ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

একই বাগানে আম, আঙুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উদ্যোক্তা হাসেম আলী। তবে তাঁর বাগানের আঙুরই মুখ্য। বাগানের প্রায় আড়াই শ আঙুরগাছের মধ্য ৪০টি গাছে আঙুর ধরেছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানে কাটিং পদ্ধতিতে মাল্টা, আঙুর ও আমের চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর এই সাফল্য যেন হাসি-তামাশাকারীদের মুখে কালির ছিটা।
হাশেম আলী প্রথম যখন মিশ্র এ বাগান করার উদ্যোগ নেন তখন এলাকার মানুষজন হাসি-তামাশা করতেন। বলতেন, ‘এটা পাগলামি। এখানে আঙুর নয়, ছাই চাষ হবে। কোনোভাবেই এ মাটিতে আঙুর ফলানো সম্ভব নয়।’ তবে তাদের কথায় তিনি হতাশ হননি হাসেম। স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছেন। হয়েছেন সফল। বাগানে লাগিয়েছেন আড়াই শ আঙুরগাছ। এর মধ্যে গত বছর ২০টি গাছে ফল ধরে। এতে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
এ বছর ৪০টি গাছে থোকায় থোকায় ফল ধরেছে। আশাতীত ফলনে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে ফলে পাক ধরেছে। পাকা ফল তুলে স্থানীয়ভাবে দোকানদারদের কাছে ৩০০ টাকা কেজি দরে দেড় মণ আঙুর বিক্রি করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে আরও ৪ মণ বিক্রির আশা করছেন। শুধু তাই নয়। তাঁর বাগানে রয়েছে কাটিং পদ্ধতিতে তৈরি করা বিভিন্ন প্রজাতির মাল্টা, আঙুর ও আমের চার হাজার চারা গাছ। বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী ও উৎসাহী উদ্যোক্তারা তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের আঙুর ও আমের চারা কিনছেন। প্রতিটি চারা গাছ ৫০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী গ্ৰাম। এ গ্ৰামের কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী দুই বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এ মিশ্র বাগান করেন। এ অঞ্চলের সমতল মাটি আঙুর চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায় দেশি-বিদেশি আঙুর, আম, মাল্টাসহ মিশ্র ফল ও চারা গাছ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেন।
এ কাজে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তাঁর এ বাগানে শুধু আঙুরগাছ রয়েছে ৩০-৪০ জাতের। তিনি বলেন, তিন বছর আগে তিনি একবার ভারতে যান। সেখানে এটি চাষ করতে দেখেছেন, যা তাঁর মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে। এরপর ইউটিউবে আঙুর চাষাবাদের পদ্ধতি রপ্ত করেন। ২০২২ সাল থেকে শুরু করেন চারা গাছ সংগ্রহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানসম্মত আঙুর চারা বাদে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাইকুনর, গ্রিনলং, একেলো, এনজেলিকা, মুনড্রপসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির উন্নত জাতের ৪০০ আঙুরের চারা সংগ্রহ করেন।
এরপর দুই বিঘা জমিতে রিং টবে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ করেন। পাশাপাশি বিদেশে যেভাবে আঙুর চাষ করা হয়, সে কৌশল অবলম্বন করে চারা রোপণ করেন। তাঁর এ কাজে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত দেড় মণ আঙুর ও বিভিন্ন জাতের আঙুর ও আমের চারা বিক্রি করে পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
হাসেম আলী বলেন, ‘গত বছর গাছে কিছু আঙুর এসেছিল। এ বছর আরও বেশি ফল এসেছে। আগামী বছর সবগুলো গাছে আঙুর আসলে তা দিয়ে জেলার বাজারের চাহিদা অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে। আঙুর পাকার সময় বৃষ্টি হলে আঙুরের গুণাগুণসহ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। আবার পাখি খেয়ে ফেলে বলে এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়।’
আঙুরের বাগান একনজর দেখতে জেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন তাঁর বাগানে ভিড় করেছেন। আঙুর বাগান দেখতে আসা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক জানান, হাসেম আলীর কাছ থেকে আঙুর চারা সংগ্রহ করে তিনি বাগান করেছেন। বাগানে ফল এসেছে। এ ফলের রং ও স্বাদ বাজারে আমদানি করা আঙুরের চেয়েও ভালো।
পাশের নাগেশ্বরী উপজেলার ব্যাপারী হাট থেকে আসা মহির উদ্দিন বলেন, হাসেম আলীর মতো এ জেলায় আঙুর চাষ ছাড়িয়ে দেওয়া গেলে স্থানীয় বাজারে আমদানি-নির্ভরতা কমার পাশাপাশি লাভবান হতে পারবেন চাষিরাও। উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্ৰামের রজব আলী বলেন, এসব আঙুরের রং ও স্বাদ বিদেশ থেকে আমদানি করা আঙুরের মতোই।
হাশেম আলী বলেন, যুবক-যুবতীরা চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই উদ্যোক্তা হলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, উদ্যোক্তা হাসেম আলী আবাদি জমিতে আঙুর ফল ও চারাগাছ উৎপাদন করে ফুলবাড়ীসহ কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এই প্রথম এই ফুলবাড়ী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করায় অনেকেই একনজর দেখার জন্য ছুটছেন এই উদ্যোক্তার বাগানে। তাঁর আঙুর ফলের চারা গাছ সবল ও পুষ্ট হয়েছে। অনেক গাছে ফলনও ভালো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আঙুর চাষের উপযোগী বিপুল পরিমাণ জমি, জলবায়ু ও তাপমাত্রা অনুকূলে থাকায় ভবিষ্যতে কুড়িগ্রাম জেলায় এ ফল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় আঙুর চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩০২ হেক্টর।

একই বাগানে আম, আঙুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উদ্যোক্তা হাসেম আলী। তবে তাঁর বাগানের আঙুরই মুখ্য। বাগানের প্রায় আড়াই শ আঙুরগাছের মধ্য ৪০টি গাছে আঙুর ধরেছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানে কাটিং পদ্ধতিতে মাল্টা, আঙুর ও আমের চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর এই সাফল্য যেন হাসি-তামাশাকারীদের মুখে কালির ছিটা।
হাশেম আলী প্রথম যখন মিশ্র এ বাগান করার উদ্যোগ নেন তখন এলাকার মানুষজন হাসি-তামাশা করতেন। বলতেন, ‘এটা পাগলামি। এখানে আঙুর নয়, ছাই চাষ হবে। কোনোভাবেই এ মাটিতে আঙুর ফলানো সম্ভব নয়।’ তবে তাদের কথায় তিনি হতাশ হননি হাসেম। স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছেন। হয়েছেন সফল। বাগানে লাগিয়েছেন আড়াই শ আঙুরগাছ। এর মধ্যে গত বছর ২০টি গাছে ফল ধরে। এতে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
এ বছর ৪০টি গাছে থোকায় থোকায় ফল ধরেছে। আশাতীত ফলনে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে ফলে পাক ধরেছে। পাকা ফল তুলে স্থানীয়ভাবে দোকানদারদের কাছে ৩০০ টাকা কেজি দরে দেড় মণ আঙুর বিক্রি করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে আরও ৪ মণ বিক্রির আশা করছেন। শুধু তাই নয়। তাঁর বাগানে রয়েছে কাটিং পদ্ধতিতে তৈরি করা বিভিন্ন প্রজাতির মাল্টা, আঙুর ও আমের চার হাজার চারা গাছ। বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী ও উৎসাহী উদ্যোক্তারা তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের আঙুর ও আমের চারা কিনছেন। প্রতিটি চারা গাছ ৫০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী গ্ৰাম। এ গ্ৰামের কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী দুই বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এ মিশ্র বাগান করেন। এ অঞ্চলের সমতল মাটি আঙুর চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায় দেশি-বিদেশি আঙুর, আম, মাল্টাসহ মিশ্র ফল ও চারা গাছ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেন।
এ কাজে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তাঁর এ বাগানে শুধু আঙুরগাছ রয়েছে ৩০-৪০ জাতের। তিনি বলেন, তিন বছর আগে তিনি একবার ভারতে যান। সেখানে এটি চাষ করতে দেখেছেন, যা তাঁর মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে। এরপর ইউটিউবে আঙুর চাষাবাদের পদ্ধতি রপ্ত করেন। ২০২২ সাল থেকে শুরু করেন চারা গাছ সংগ্রহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানসম্মত আঙুর চারা বাদে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাইকুনর, গ্রিনলং, একেলো, এনজেলিকা, মুনড্রপসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির উন্নত জাতের ৪০০ আঙুরের চারা সংগ্রহ করেন।
এরপর দুই বিঘা জমিতে রিং টবে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ করেন। পাশাপাশি বিদেশে যেভাবে আঙুর চাষ করা হয়, সে কৌশল অবলম্বন করে চারা রোপণ করেন। তাঁর এ কাজে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত দেড় মণ আঙুর ও বিভিন্ন জাতের আঙুর ও আমের চারা বিক্রি করে পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
হাসেম আলী বলেন, ‘গত বছর গাছে কিছু আঙুর এসেছিল। এ বছর আরও বেশি ফল এসেছে। আগামী বছর সবগুলো গাছে আঙুর আসলে তা দিয়ে জেলার বাজারের চাহিদা অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে। আঙুর পাকার সময় বৃষ্টি হলে আঙুরের গুণাগুণসহ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। আবার পাখি খেয়ে ফেলে বলে এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়।’
আঙুরের বাগান একনজর দেখতে জেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন তাঁর বাগানে ভিড় করেছেন। আঙুর বাগান দেখতে আসা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক জানান, হাসেম আলীর কাছ থেকে আঙুর চারা সংগ্রহ করে তিনি বাগান করেছেন। বাগানে ফল এসেছে। এ ফলের রং ও স্বাদ বাজারে আমদানি করা আঙুরের চেয়েও ভালো।
পাশের নাগেশ্বরী উপজেলার ব্যাপারী হাট থেকে আসা মহির উদ্দিন বলেন, হাসেম আলীর মতো এ জেলায় আঙুর চাষ ছাড়িয়ে দেওয়া গেলে স্থানীয় বাজারে আমদানি-নির্ভরতা কমার পাশাপাশি লাভবান হতে পারবেন চাষিরাও। উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্ৰামের রজব আলী বলেন, এসব আঙুরের রং ও স্বাদ বিদেশ থেকে আমদানি করা আঙুরের মতোই।
হাশেম আলী বলেন, যুবক-যুবতীরা চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই উদ্যোক্তা হলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, উদ্যোক্তা হাসেম আলী আবাদি জমিতে আঙুর ফল ও চারাগাছ উৎপাদন করে ফুলবাড়ীসহ কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এই প্রথম এই ফুলবাড়ী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করায় অনেকেই একনজর দেখার জন্য ছুটছেন এই উদ্যোক্তার বাগানে। তাঁর আঙুর ফলের চারা গাছ সবল ও পুষ্ট হয়েছে। অনেক গাছে ফলনও ভালো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আঙুর চাষের উপযোগী বিপুল পরিমাণ জমি, জলবায়ু ও তাপমাত্রা অনুকূলে থাকায় ভবিষ্যতে কুড়িগ্রাম জেলায় এ ফল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় আঙুর চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩০২ হেক্টর।
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

একই বাগানে আম, আঙুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উদ্যোক্তা হাসেম আলী। তবে তাঁর বাগানের আঙুরই মুখ্য। বাগানের প্রায় আড়াই শ আঙুরগাছের মধ্য ৪০টি গাছে আঙুর ধরেছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানে কাটিং পদ্ধতিতে মাল্টা, আঙুর ও আমের চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর এই সাফল্য যেন হাসি-তামাশাকারীদের মুখে কালির ছিটা।
হাশেম আলী প্রথম যখন মিশ্র এ বাগান করার উদ্যোগ নেন তখন এলাকার মানুষজন হাসি-তামাশা করতেন। বলতেন, ‘এটা পাগলামি। এখানে আঙুর নয়, ছাই চাষ হবে। কোনোভাবেই এ মাটিতে আঙুর ফলানো সম্ভব নয়।’ তবে তাদের কথায় তিনি হতাশ হননি হাসেম। স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছেন। হয়েছেন সফল। বাগানে লাগিয়েছেন আড়াই শ আঙুরগাছ। এর মধ্যে গত বছর ২০টি গাছে ফল ধরে। এতে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
এ বছর ৪০টি গাছে থোকায় থোকায় ফল ধরেছে। আশাতীত ফলনে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে ফলে পাক ধরেছে। পাকা ফল তুলে স্থানীয়ভাবে দোকানদারদের কাছে ৩০০ টাকা কেজি দরে দেড় মণ আঙুর বিক্রি করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে আরও ৪ মণ বিক্রির আশা করছেন। শুধু তাই নয়। তাঁর বাগানে রয়েছে কাটিং পদ্ধতিতে তৈরি করা বিভিন্ন প্রজাতির মাল্টা, আঙুর ও আমের চার হাজার চারা গাছ। বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী ও উৎসাহী উদ্যোক্তারা তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের আঙুর ও আমের চারা কিনছেন। প্রতিটি চারা গাছ ৫০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী গ্ৰাম। এ গ্ৰামের কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী দুই বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এ মিশ্র বাগান করেন। এ অঞ্চলের সমতল মাটি আঙুর চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায় দেশি-বিদেশি আঙুর, আম, মাল্টাসহ মিশ্র ফল ও চারা গাছ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেন।
এ কাজে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তাঁর এ বাগানে শুধু আঙুরগাছ রয়েছে ৩০-৪০ জাতের। তিনি বলেন, তিন বছর আগে তিনি একবার ভারতে যান। সেখানে এটি চাষ করতে দেখেছেন, যা তাঁর মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে। এরপর ইউটিউবে আঙুর চাষাবাদের পদ্ধতি রপ্ত করেন। ২০২২ সাল থেকে শুরু করেন চারা গাছ সংগ্রহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানসম্মত আঙুর চারা বাদে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাইকুনর, গ্রিনলং, একেলো, এনজেলিকা, মুনড্রপসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির উন্নত জাতের ৪০০ আঙুরের চারা সংগ্রহ করেন।
এরপর দুই বিঘা জমিতে রিং টবে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ করেন। পাশাপাশি বিদেশে যেভাবে আঙুর চাষ করা হয়, সে কৌশল অবলম্বন করে চারা রোপণ করেন। তাঁর এ কাজে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত দেড় মণ আঙুর ও বিভিন্ন জাতের আঙুর ও আমের চারা বিক্রি করে পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
হাসেম আলী বলেন, ‘গত বছর গাছে কিছু আঙুর এসেছিল। এ বছর আরও বেশি ফল এসেছে। আগামী বছর সবগুলো গাছে আঙুর আসলে তা দিয়ে জেলার বাজারের চাহিদা অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে। আঙুর পাকার সময় বৃষ্টি হলে আঙুরের গুণাগুণসহ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। আবার পাখি খেয়ে ফেলে বলে এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়।’
আঙুরের বাগান একনজর দেখতে জেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন তাঁর বাগানে ভিড় করেছেন। আঙুর বাগান দেখতে আসা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক জানান, হাসেম আলীর কাছ থেকে আঙুর চারা সংগ্রহ করে তিনি বাগান করেছেন। বাগানে ফল এসেছে। এ ফলের রং ও স্বাদ বাজারে আমদানি করা আঙুরের চেয়েও ভালো।
পাশের নাগেশ্বরী উপজেলার ব্যাপারী হাট থেকে আসা মহির উদ্দিন বলেন, হাসেম আলীর মতো এ জেলায় আঙুর চাষ ছাড়িয়ে দেওয়া গেলে স্থানীয় বাজারে আমদানি-নির্ভরতা কমার পাশাপাশি লাভবান হতে পারবেন চাষিরাও। উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্ৰামের রজব আলী বলেন, এসব আঙুরের রং ও স্বাদ বিদেশ থেকে আমদানি করা আঙুরের মতোই।
হাশেম আলী বলেন, যুবক-যুবতীরা চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই উদ্যোক্তা হলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, উদ্যোক্তা হাসেম আলী আবাদি জমিতে আঙুর ফল ও চারাগাছ উৎপাদন করে ফুলবাড়ীসহ কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এই প্রথম এই ফুলবাড়ী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করায় অনেকেই একনজর দেখার জন্য ছুটছেন এই উদ্যোক্তার বাগানে। তাঁর আঙুর ফলের চারা গাছ সবল ও পুষ্ট হয়েছে। অনেক গাছে ফলনও ভালো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আঙুর চাষের উপযোগী বিপুল পরিমাণ জমি, জলবায়ু ও তাপমাত্রা অনুকূলে থাকায় ভবিষ্যতে কুড়িগ্রাম জেলায় এ ফল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় আঙুর চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩০২ হেক্টর।

একই বাগানে আম, আঙুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উদ্যোক্তা হাসেম আলী। তবে তাঁর বাগানের আঙুরই মুখ্য। বাগানের প্রায় আড়াই শ আঙুরগাছের মধ্য ৪০টি গাছে আঙুর ধরেছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানে কাটিং পদ্ধতিতে মাল্টা, আঙুর ও আমের চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর এই সাফল্য যেন হাসি-তামাশাকারীদের মুখে কালির ছিটা।
হাশেম আলী প্রথম যখন মিশ্র এ বাগান করার উদ্যোগ নেন তখন এলাকার মানুষজন হাসি-তামাশা করতেন। বলতেন, ‘এটা পাগলামি। এখানে আঙুর নয়, ছাই চাষ হবে। কোনোভাবেই এ মাটিতে আঙুর ফলানো সম্ভব নয়।’ তবে তাদের কথায় তিনি হতাশ হননি হাসেম। স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছেন। হয়েছেন সফল। বাগানে লাগিয়েছেন আড়াই শ আঙুরগাছ। এর মধ্যে গত বছর ২০টি গাছে ফল ধরে। এতে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
এ বছর ৪০টি গাছে থোকায় থোকায় ফল ধরেছে। আশাতীত ফলনে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে ফলে পাক ধরেছে। পাকা ফল তুলে স্থানীয়ভাবে দোকানদারদের কাছে ৩০০ টাকা কেজি দরে দেড় মণ আঙুর বিক্রি করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে আরও ৪ মণ বিক্রির আশা করছেন। শুধু তাই নয়। তাঁর বাগানে রয়েছে কাটিং পদ্ধতিতে তৈরি করা বিভিন্ন প্রজাতির মাল্টা, আঙুর ও আমের চার হাজার চারা গাছ। বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী ও উৎসাহী উদ্যোক্তারা তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের আঙুর ও আমের চারা কিনছেন। প্রতিটি চারা গাছ ৫০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী গ্ৰাম। এ গ্ৰামের কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী দুই বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এ মিশ্র বাগান করেন। এ অঞ্চলের সমতল মাটি আঙুর চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায় দেশি-বিদেশি আঙুর, আম, মাল্টাসহ মিশ্র ফল ও চারা গাছ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেন।
এ কাজে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তাঁর এ বাগানে শুধু আঙুরগাছ রয়েছে ৩০-৪০ জাতের। তিনি বলেন, তিন বছর আগে তিনি একবার ভারতে যান। সেখানে এটি চাষ করতে দেখেছেন, যা তাঁর মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে। এরপর ইউটিউবে আঙুর চাষাবাদের পদ্ধতি রপ্ত করেন। ২০২২ সাল থেকে শুরু করেন চারা গাছ সংগ্রহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানসম্মত আঙুর চারা বাদে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাইকুনর, গ্রিনলং, একেলো, এনজেলিকা, মুনড্রপসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির উন্নত জাতের ৪০০ আঙুরের চারা সংগ্রহ করেন।
এরপর দুই বিঘা জমিতে রিং টবে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ করেন। পাশাপাশি বিদেশে যেভাবে আঙুর চাষ করা হয়, সে কৌশল অবলম্বন করে চারা রোপণ করেন। তাঁর এ কাজে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত দেড় মণ আঙুর ও বিভিন্ন জাতের আঙুর ও আমের চারা বিক্রি করে পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
হাসেম আলী বলেন, ‘গত বছর গাছে কিছু আঙুর এসেছিল। এ বছর আরও বেশি ফল এসেছে। আগামী বছর সবগুলো গাছে আঙুর আসলে তা দিয়ে জেলার বাজারের চাহিদা অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে। আঙুর পাকার সময় বৃষ্টি হলে আঙুরের গুণাগুণসহ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। আবার পাখি খেয়ে ফেলে বলে এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়।’
আঙুরের বাগান একনজর দেখতে জেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন তাঁর বাগানে ভিড় করেছেন। আঙুর বাগান দেখতে আসা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক জানান, হাসেম আলীর কাছ থেকে আঙুর চারা সংগ্রহ করে তিনি বাগান করেছেন। বাগানে ফল এসেছে। এ ফলের রং ও স্বাদ বাজারে আমদানি করা আঙুরের চেয়েও ভালো।
পাশের নাগেশ্বরী উপজেলার ব্যাপারী হাট থেকে আসা মহির উদ্দিন বলেন, হাসেম আলীর মতো এ জেলায় আঙুর চাষ ছাড়িয়ে দেওয়া গেলে স্থানীয় বাজারে আমদানি-নির্ভরতা কমার পাশাপাশি লাভবান হতে পারবেন চাষিরাও। উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্ৰামের রজব আলী বলেন, এসব আঙুরের রং ও স্বাদ বিদেশ থেকে আমদানি করা আঙুরের মতোই।
হাশেম আলী বলেন, যুবক-যুবতীরা চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই উদ্যোক্তা হলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, উদ্যোক্তা হাসেম আলী আবাদি জমিতে আঙুর ফল ও চারাগাছ উৎপাদন করে ফুলবাড়ীসহ কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এই প্রথম এই ফুলবাড়ী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করায় অনেকেই একনজর দেখার জন্য ছুটছেন এই উদ্যোক্তার বাগানে। তাঁর আঙুর ফলের চারা গাছ সবল ও পুষ্ট হয়েছে। অনেক গাছে ফলনও ভালো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আঙুর চাষের উপযোগী বিপুল পরিমাণ জমি, জলবায়ু ও তাপমাত্রা অনুকূলে থাকায় ভবিষ্যতে কুড়িগ্রাম জেলায় এ ফল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় আঙুর চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩০২ হেক্টর।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

একই বাগানে আম, আঙুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উদ্যোক্তা হাসেম আলী। তবে তাঁর বাগানের আঙুরই মুখ্য। বাগানের প্রায় আড়াই শ আঙুরগাছের মধ্য ৪০টি গাছে আঙুর ধরেছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানে কাটিং পদ্ধতিতে, মাল্টা, আঙুর ও আমের চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর এই সাফল্য যেন হাসি-তা
০১ জুন ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগেহাসান মাতুব্বর, ফরিদপুর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে
সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর-১
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-২
সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ফরিদপুর-৩
ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।
খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ফরিদপুর-৪
ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে
সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর-১
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-২
সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ফরিদপুর-৩
ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।
খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ফরিদপুর-৪
ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

একই বাগানে আম, আঙুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উদ্যোক্তা হাসেম আলী। তবে তাঁর বাগানের আঙুরই মুখ্য। বাগানের প্রায় আড়াই শ আঙুরগাছের মধ্য ৪০টি গাছে আঙুর ধরেছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানে কাটিং পদ্ধতিতে, মাল্টা, আঙুর ও আমের চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর এই সাফল্য যেন হাসি-তা
০১ জুন ২০২৩
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দিপু যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরাই তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানায় কর্মরত ওই শ্রমিকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অর্ধদগ্ধ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দিপু চন্দ্র দাস দুই বছর ধরে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেডে কাজ করছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নিহত দিপুর স্ত্রী মেঘনা রানী বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান আজ বাবা-হারা। অভাবের সংসার নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না। এই হত্যার বিচার চাই।’
আর দিপু চন্দ্র দাসের বোন চম্পা দাস বিলাপ করে বলেন, ‘আমার ভাই বিএ পাস। সে সাধারণ বাটন মোবাইল ব্যবহার করত। ধর্ম নিয়ে তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার মতো মানুষ সে নয়। উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল—এমন কথা শুনেছি। সেই কারণেই তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, কোম্পানির লোকজন চাইলে তাঁকে জনতার হাতে তুলে না দিয়ে পুলিশের কাছে দিতে পারতেন। তাহলে এমন নির্মম মৃত্যু হতো না।
নিহত দিপুর বাবা রবি চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার ছেলে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমেই বিচার হতো। আমরা গরিব বলে ছেলের জীবন রক্ষা করতে পারিনি।’
এদিকে এই ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভালুকা মডেল থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দিপু যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরাই তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানায় কর্মরত ওই শ্রমিকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অর্ধদগ্ধ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দিপু চন্দ্র দাস দুই বছর ধরে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেডে কাজ করছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নিহত দিপুর স্ত্রী মেঘনা রানী বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান আজ বাবা-হারা। অভাবের সংসার নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না। এই হত্যার বিচার চাই।’
আর দিপু চন্দ্র দাসের বোন চম্পা দাস বিলাপ করে বলেন, ‘আমার ভাই বিএ পাস। সে সাধারণ বাটন মোবাইল ব্যবহার করত। ধর্ম নিয়ে তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার মতো মানুষ সে নয়। উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল—এমন কথা শুনেছি। সেই কারণেই তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, কোম্পানির লোকজন চাইলে তাঁকে জনতার হাতে তুলে না দিয়ে পুলিশের কাছে দিতে পারতেন। তাহলে এমন নির্মম মৃত্যু হতো না।
নিহত দিপুর বাবা রবি চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার ছেলে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমেই বিচার হতো। আমরা গরিব বলে ছেলের জীবন রক্ষা করতে পারিনি।’
এদিকে এই ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভালুকা মডেল থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।

একই বাগানে আম, আঙুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উদ্যোক্তা হাসেম আলী। তবে তাঁর বাগানের আঙুরই মুখ্য। বাগানের প্রায় আড়াই শ আঙুরগাছের মধ্য ৪০টি গাছে আঙুর ধরেছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানে কাটিং পদ্ধতিতে, মাল্টা, আঙুর ও আমের চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর এই সাফল্য যেন হাসি-তা
০১ জুন ২০২৩
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

একই বাগানে আম, আঙুর, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উদ্যোক্তা হাসেম আলী। তবে তাঁর বাগানের আঙুরই মুখ্য। বাগানের প্রায় আড়াই শ আঙুরগাছের মধ্য ৪০টি গাছে আঙুর ধরেছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানে কাটিং পদ্ধতিতে, মাল্টা, আঙুর ও আমের চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর এই সাফল্য যেন হাসি-তা
০১ জুন ২০২৩
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে