Ajker Patrika

কুড়িগ্রামের চারটি আসনে স্বতন্ত্রে ভর, স্বতন্ত্রেই ভয় আ.লীগের

আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০: ৪৬
কুড়িগ্রামের চারটি আসনে স্বতন্ত্রে ভর, স্বতন্ত্রেই ভয় আ.লীগের

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের চারটি আসনের মধ্যে দুটি জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে অসন্তুষ্ট নেতা-কর্মীরা একটি আসনে ভিড় করেছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর শিবিরে। বাকি দুই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী থাকলেও স্বস্তি নেই। সেখানে আশঙ্কা তৈরি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

জাপা প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে কুড়িগ্রাম-১ ও ২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই অবস্থায় কুড়িগ্রাম-২ আসনে (সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী) দলের একটি বড় অংশের বিরূপ নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছেন।

এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা প্রার্থী মো. পনির উদ্দিন আহমেদকে ছাড় দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী। তবে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকারকে সমর্থন করছে আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ।

জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা জানান, প্রায় অস্তিত্বহীন জাপার কারণে জেলায় তাঁদের রাজনীতি বিফলে যাচ্ছে। তা ছাড়া দলীয় প্রার্থী সংসদ সদস্য না হওয়ায় এই আসন উন্নয়নবঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। সাংগঠনিক কার্যক্রমেও প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তাঁরা তাঁদেরই দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা হামিদুলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ বলেন, ‘এবার নির্বাচনে মহাজোট নেই। কেন্দ্রীয়ভাবে জাপা প্রার্থীর জন্য কাজ করার কোনো নির্দেশনাও নেই। আমরা দলটির প্রার্থীর জন্য কাজ করতে চাই না। কুড়িগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে লাঙ্গলকে না বলুন। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকারের হয়ে কাজ করছি।’

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকার ও তাঁর প্রতীক ট্রাকের প্রচার করছি। কারণ, জাপা প্রার্থীরা জোটের দোহাই দিয়ে বারবার এই আসন নেন ঠিকই, কিন্তু আমাদের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করেন। উন্নয়নের স্বার্থে এবার আমরা জাপা প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করছি।’

কুড়িগ্রাম-৩ ও ৪ আসনে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন স্বতন্ত্র ও জাপার প্রার্থী। কুড়িগ্রাম-৩ আসনে (উলিপুর) এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আক্কাছ আলী সরকার। ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এই চিকিৎসক আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপক্ষ।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ভোটার মিজানুর বলেন, ‘ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। তবে মানুষের মুখে ট্রাক প্রতীকের কথা বেশি শোনা যায়।’ পৌর এলাকার বাসিন্দা কাজল বলেন, ‘যদি ভোটাররা কেন্দ্রে যান, তাহলে ট্রাক প্রতীকের বিজয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান বঙ্গবাসী (ঈগল) ও জাপা প্রার্থীর (লাঙ্গল) সঙ্গে নৌকার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই আসনে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে হটিয়ে নৌকার বইঠা পাওয়া নতুন প্রার্থী বিপ্লব হাসানের প্রতি জনসমর্থন দিনে দিনে বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে হয়তো শেষ হাসি তিনিই হাসবেন। বিপ্লব বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’

এদিকে কুড়িগ্রাম-১ আসনে (ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী) শক্ত কোনো প্রতিপক্ষ না থাকায় জাপা প্রার্থী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান নির্ভার প্রচার চালাচ্ছেন। তবে এই আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী (গোলাপফুল প্রতীক) আব্দুল হাইয়ের প্রতি ভোটারদের সমর্থন বাড়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জাপা প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্ভার থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভোটাররা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত