আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’
আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৩০ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৩০ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১৩ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৩০ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৩০ মিনিট আগে