কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল নয়, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, যাঁরা বলছেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাঁদের উদ্দেশে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে।
আজ শনিবার কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলার অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির এক জনসভায় অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘ফসলের জন্য খেত প্রস্তুত করেছে বিএনপি, বীজ লাগাইছি আমরা, নিরানি দিছি আমরা, রোগ-বালাই দমন করেছি অমরা। এখন ধান কি অন্যের ঘরে যাবে? তা হতে পারে না। রক্তে বোনা এই ধান পাওয়ার ন্যায্য অধিকার কেবল বিএনপিরই আছে। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। ইউনূস সাহেবেরা হলেন পাহারাদার। কাজেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। দেশের মালিকদের ঠিক করতে দিন দেশের পাহারাদার কে হবে, কোন দল হবে।’
দেশে চলমান বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ বিরোধী নেতা–কর্মীদের নির্যাতন করেছে, জেলে দিয়েছে অন্যায়ভাবে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের মতো চালাতে চাই না। আমরা চাই, দেশের আইন সঠিকভাবে চলুক।
আমি বলি, আওয়ামী লীগের নির্দোষ লোকদের নির্যাতন করা যাবে না। তাদের ওপর অন্যায় আচরণ করা যাবে না। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আমরা অনেক অন্যায় হতে দেখেছি। মাজার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সংস্কৃতি ও গান–বাজনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের মনের খোরাক। এগুলোকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষ গান শোনে। তারা লালন, হাসন রাজা, রাধারমণের গান শোনে। তাই আমি বলি, দেশে ধর্ম থাকবে। বাঙালির সংস্কৃতিও থাকবে। ছেলেমেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষা যেমন পাবে, তেমনি স্কুল–কলেজেও যাবে।
তারা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে। বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। পৃথিবীতে বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। বিজ্ঞান মানতে হবে। বিজ্ঞান থাকবে, ইসলামও থাকবে। এই দুটা সমানে চলবে। তা না হলে পৃথিবীতে আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ হতে পারব না।’
ফজলুর রহমান বলেন, ‘আগে আমাদের দেশের নাম ছিল পাকিস্তান। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হইছে। মায়ের পেট থেকে যেমন বাচ্চা হয়, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পেট থেকে বাংলাদেশ হইছে। এখন বাংলাদেশ বা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করলে মাকে অস্বীকার করা হয়। মাকে যে ছেলে অস্বীকার করে, সে ভালো ছেলে নয়।
মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করে, তারা ভালো মানুষ না। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধকে না মানেন, আমি আপনাকে রাজাকার বলব। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে আমি বলব, আপনার পূর্বপুরুষ আল-বদর ও দালাল ছিল। এর জন্য আপনারা আমাকে যত গালাগালিই করেন না কেন, আমি মুক্তিযুদ্ধকে ছাড়তে পারব না। কারণ, লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশকে স্বাধীন করেছি আমরা।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মাইনা আপনি পাল্লা (দাঁড়িপাল্লা) মার্কায় ভোট চান, ডালিম মার্কায় ভোট চান, ইসলামের কথা বলে ভোট চান, হেফাজতে ইসলামের কথা বলে ভোট চান, আহলে হাদিসের নামে ভোট চান। আমার আপত্তি নেই। মানুষ যদি আপনাদের ভোট দেয়, ইসলামের কথা শুনে যদি ভোট দেয়, আপনি দেশ চালান। আপনাকে আমি স্যালুট করব।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাসিনা আর মুক্তিযুদ্ধ এক নয়। এখন হাসিনা ফেল করেছে, তাই বলে তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ তো ফেল করেনি। একটা জাতির মুক্তিযুদ্ধ কখনো ফেল করে না। যারা এসব বলছে, তারা মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করতে চায়, ছোট করতে চায়।
নিজের নির্বাচনী এলাকা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর পরে এই এলাকার মানুষ হচ্ছে আমার মালিক। আমি নেতা না, আমি আপনাদের গোলাম। আমি এখানকার প্রতিনিধি হতে পারলে এখানে যেমন ওয়াজ হবে, তেমনি ফুটবল খেলা হবে, সংস্কৃতিচর্চা হবে। ইসলামি শিক্ষা যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে জ্ঞান-বিজ্ঞাননির্ভর আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। থাকবে মানুষের জীবন-জীবিকার অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাধারণত তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হয়। আপনারা আট মাস পার করে ফেলেছেন। নানা অজুহাতে ও সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করছেন। কখনো বলেন ডিসেম্বরে, কখনো বলেন জুনে।
আমরা হাসিনা সরকারকে বিদায় করেছি নতুন আরেকটি সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কাজেই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। অনির্বাচিতদের হাতে বেশি দিন দেশ থাকতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মালিকদের পছন্দের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান চাওয়া।’
বিএনপি নেতা সৈয়দ সাঈদ আহমেদের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মুকুল, সদর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. দানাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল নয়, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, যাঁরা বলছেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাঁদের উদ্দেশে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে।
আজ শনিবার কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলার অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির এক জনসভায় অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘ফসলের জন্য খেত প্রস্তুত করেছে বিএনপি, বীজ লাগাইছি আমরা, নিরানি দিছি আমরা, রোগ-বালাই দমন করেছি অমরা। এখন ধান কি অন্যের ঘরে যাবে? তা হতে পারে না। রক্তে বোনা এই ধান পাওয়ার ন্যায্য অধিকার কেবল বিএনপিরই আছে। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। ইউনূস সাহেবেরা হলেন পাহারাদার। কাজেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। দেশের মালিকদের ঠিক করতে দিন দেশের পাহারাদার কে হবে, কোন দল হবে।’
দেশে চলমান বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ বিরোধী নেতা–কর্মীদের নির্যাতন করেছে, জেলে দিয়েছে অন্যায়ভাবে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের মতো চালাতে চাই না। আমরা চাই, দেশের আইন সঠিকভাবে চলুক।
আমি বলি, আওয়ামী লীগের নির্দোষ লোকদের নির্যাতন করা যাবে না। তাদের ওপর অন্যায় আচরণ করা যাবে না। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আমরা অনেক অন্যায় হতে দেখেছি। মাজার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সংস্কৃতি ও গান–বাজনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের মনের খোরাক। এগুলোকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষ গান শোনে। তারা লালন, হাসন রাজা, রাধারমণের গান শোনে। তাই আমি বলি, দেশে ধর্ম থাকবে। বাঙালির সংস্কৃতিও থাকবে। ছেলেমেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষা যেমন পাবে, তেমনি স্কুল–কলেজেও যাবে।
তারা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে। বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। পৃথিবীতে বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। বিজ্ঞান মানতে হবে। বিজ্ঞান থাকবে, ইসলামও থাকবে। এই দুটা সমানে চলবে। তা না হলে পৃথিবীতে আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ হতে পারব না।’
ফজলুর রহমান বলেন, ‘আগে আমাদের দেশের নাম ছিল পাকিস্তান। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হইছে। মায়ের পেট থেকে যেমন বাচ্চা হয়, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পেট থেকে বাংলাদেশ হইছে। এখন বাংলাদেশ বা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করলে মাকে অস্বীকার করা হয়। মাকে যে ছেলে অস্বীকার করে, সে ভালো ছেলে নয়।
মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করে, তারা ভালো মানুষ না। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধকে না মানেন, আমি আপনাকে রাজাকার বলব। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে আমি বলব, আপনার পূর্বপুরুষ আল-বদর ও দালাল ছিল। এর জন্য আপনারা আমাকে যত গালাগালিই করেন না কেন, আমি মুক্তিযুদ্ধকে ছাড়তে পারব না। কারণ, লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশকে স্বাধীন করেছি আমরা।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মাইনা আপনি পাল্লা (দাঁড়িপাল্লা) মার্কায় ভোট চান, ডালিম মার্কায় ভোট চান, ইসলামের কথা বলে ভোট চান, হেফাজতে ইসলামের কথা বলে ভোট চান, আহলে হাদিসের নামে ভোট চান। আমার আপত্তি নেই। মানুষ যদি আপনাদের ভোট দেয়, ইসলামের কথা শুনে যদি ভোট দেয়, আপনি দেশ চালান। আপনাকে আমি স্যালুট করব।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাসিনা আর মুক্তিযুদ্ধ এক নয়। এখন হাসিনা ফেল করেছে, তাই বলে তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ তো ফেল করেনি। একটা জাতির মুক্তিযুদ্ধ কখনো ফেল করে না। যারা এসব বলছে, তারা মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করতে চায়, ছোট করতে চায়।
নিজের নির্বাচনী এলাকা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর পরে এই এলাকার মানুষ হচ্ছে আমার মালিক। আমি নেতা না, আমি আপনাদের গোলাম। আমি এখানকার প্রতিনিধি হতে পারলে এখানে যেমন ওয়াজ হবে, তেমনি ফুটবল খেলা হবে, সংস্কৃতিচর্চা হবে। ইসলামি শিক্ষা যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে জ্ঞান-বিজ্ঞাননির্ভর আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। থাকবে মানুষের জীবন-জীবিকার অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাধারণত তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হয়। আপনারা আট মাস পার করে ফেলেছেন। নানা অজুহাতে ও সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করছেন। কখনো বলেন ডিসেম্বরে, কখনো বলেন জুনে।
আমরা হাসিনা সরকারকে বিদায় করেছি নতুন আরেকটি সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কাজেই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। অনির্বাচিতদের হাতে বেশি দিন দেশ থাকতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মালিকদের পছন্দের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান চাওয়া।’
বিএনপি নেতা সৈয়দ সাঈদ আহমেদের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মুকুল, সদর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. দানাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল নয়, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, যাঁরা বলছেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাঁদের উদ্দেশে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে।
আজ শনিবার কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলার অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির এক জনসভায় অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘ফসলের জন্য খেত প্রস্তুত করেছে বিএনপি, বীজ লাগাইছি আমরা, নিরানি দিছি আমরা, রোগ-বালাই দমন করেছি অমরা। এখন ধান কি অন্যের ঘরে যাবে? তা হতে পারে না। রক্তে বোনা এই ধান পাওয়ার ন্যায্য অধিকার কেবল বিএনপিরই আছে। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। ইউনূস সাহেবেরা হলেন পাহারাদার। কাজেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। দেশের মালিকদের ঠিক করতে দিন দেশের পাহারাদার কে হবে, কোন দল হবে।’
দেশে চলমান বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ বিরোধী নেতা–কর্মীদের নির্যাতন করেছে, জেলে দিয়েছে অন্যায়ভাবে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের মতো চালাতে চাই না। আমরা চাই, দেশের আইন সঠিকভাবে চলুক।
আমি বলি, আওয়ামী লীগের নির্দোষ লোকদের নির্যাতন করা যাবে না। তাদের ওপর অন্যায় আচরণ করা যাবে না। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আমরা অনেক অন্যায় হতে দেখেছি। মাজার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সংস্কৃতি ও গান–বাজনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের মনের খোরাক। এগুলোকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষ গান শোনে। তারা লালন, হাসন রাজা, রাধারমণের গান শোনে। তাই আমি বলি, দেশে ধর্ম থাকবে। বাঙালির সংস্কৃতিও থাকবে। ছেলেমেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষা যেমন পাবে, তেমনি স্কুল–কলেজেও যাবে।
তারা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে। বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। পৃথিবীতে বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। বিজ্ঞান মানতে হবে। বিজ্ঞান থাকবে, ইসলামও থাকবে। এই দুটা সমানে চলবে। তা না হলে পৃথিবীতে আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ হতে পারব না।’
ফজলুর রহমান বলেন, ‘আগে আমাদের দেশের নাম ছিল পাকিস্তান। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হইছে। মায়ের পেট থেকে যেমন বাচ্চা হয়, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পেট থেকে বাংলাদেশ হইছে। এখন বাংলাদেশ বা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করলে মাকে অস্বীকার করা হয়। মাকে যে ছেলে অস্বীকার করে, সে ভালো ছেলে নয়।
মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করে, তারা ভালো মানুষ না। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধকে না মানেন, আমি আপনাকে রাজাকার বলব। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে আমি বলব, আপনার পূর্বপুরুষ আল-বদর ও দালাল ছিল। এর জন্য আপনারা আমাকে যত গালাগালিই করেন না কেন, আমি মুক্তিযুদ্ধকে ছাড়তে পারব না। কারণ, লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশকে স্বাধীন করেছি আমরা।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মাইনা আপনি পাল্লা (দাঁড়িপাল্লা) মার্কায় ভোট চান, ডালিম মার্কায় ভোট চান, ইসলামের কথা বলে ভোট চান, হেফাজতে ইসলামের কথা বলে ভোট চান, আহলে হাদিসের নামে ভোট চান। আমার আপত্তি নেই। মানুষ যদি আপনাদের ভোট দেয়, ইসলামের কথা শুনে যদি ভোট দেয়, আপনি দেশ চালান। আপনাকে আমি স্যালুট করব।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাসিনা আর মুক্তিযুদ্ধ এক নয়। এখন হাসিনা ফেল করেছে, তাই বলে তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ তো ফেল করেনি। একটা জাতির মুক্তিযুদ্ধ কখনো ফেল করে না। যারা এসব বলছে, তারা মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করতে চায়, ছোট করতে চায়।
নিজের নির্বাচনী এলাকা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর পরে এই এলাকার মানুষ হচ্ছে আমার মালিক। আমি নেতা না, আমি আপনাদের গোলাম। আমি এখানকার প্রতিনিধি হতে পারলে এখানে যেমন ওয়াজ হবে, তেমনি ফুটবল খেলা হবে, সংস্কৃতিচর্চা হবে। ইসলামি শিক্ষা যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে জ্ঞান-বিজ্ঞাননির্ভর আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। থাকবে মানুষের জীবন-জীবিকার অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাধারণত তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হয়। আপনারা আট মাস পার করে ফেলেছেন। নানা অজুহাতে ও সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করছেন। কখনো বলেন ডিসেম্বরে, কখনো বলেন জুনে।
আমরা হাসিনা সরকারকে বিদায় করেছি নতুন আরেকটি সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কাজেই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। অনির্বাচিতদের হাতে বেশি দিন দেশ থাকতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মালিকদের পছন্দের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান চাওয়া।’
বিএনপি নেতা সৈয়দ সাঈদ আহমেদের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মুকুল, সদর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. দানাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল নয়, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, যাঁরা বলছেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাঁদের উদ্দেশে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে।
আজ শনিবার কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলার অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির এক জনসভায় অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘ফসলের জন্য খেত প্রস্তুত করেছে বিএনপি, বীজ লাগাইছি আমরা, নিরানি দিছি আমরা, রোগ-বালাই দমন করেছি অমরা। এখন ধান কি অন্যের ঘরে যাবে? তা হতে পারে না। রক্তে বোনা এই ধান পাওয়ার ন্যায্য অধিকার কেবল বিএনপিরই আছে। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। ইউনূস সাহেবেরা হলেন পাহারাদার। কাজেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। দেশের মালিকদের ঠিক করতে দিন দেশের পাহারাদার কে হবে, কোন দল হবে।’
দেশে চলমান বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ বিরোধী নেতা–কর্মীদের নির্যাতন করেছে, জেলে দিয়েছে অন্যায়ভাবে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের মতো চালাতে চাই না। আমরা চাই, দেশের আইন সঠিকভাবে চলুক।
আমি বলি, আওয়ামী লীগের নির্দোষ লোকদের নির্যাতন করা যাবে না। তাদের ওপর অন্যায় আচরণ করা যাবে না। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আমরা অনেক অন্যায় হতে দেখেছি। মাজার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সংস্কৃতি ও গান–বাজনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের মনের খোরাক। এগুলোকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষ গান শোনে। তারা লালন, হাসন রাজা, রাধারমণের গান শোনে। তাই আমি বলি, দেশে ধর্ম থাকবে। বাঙালির সংস্কৃতিও থাকবে। ছেলেমেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষা যেমন পাবে, তেমনি স্কুল–কলেজেও যাবে।
তারা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে। বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। পৃথিবীতে বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। বিজ্ঞান মানতে হবে। বিজ্ঞান থাকবে, ইসলামও থাকবে। এই দুটা সমানে চলবে। তা না হলে পৃথিবীতে আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ হতে পারব না।’
ফজলুর রহমান বলেন, ‘আগে আমাদের দেশের নাম ছিল পাকিস্তান। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হইছে। মায়ের পেট থেকে যেমন বাচ্চা হয়, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পেট থেকে বাংলাদেশ হইছে। এখন বাংলাদেশ বা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করলে মাকে অস্বীকার করা হয়। মাকে যে ছেলে অস্বীকার করে, সে ভালো ছেলে নয়।
মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করে, তারা ভালো মানুষ না। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধকে না মানেন, আমি আপনাকে রাজাকার বলব। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে আমি বলব, আপনার পূর্বপুরুষ আল-বদর ও দালাল ছিল। এর জন্য আপনারা আমাকে যত গালাগালিই করেন না কেন, আমি মুক্তিযুদ্ধকে ছাড়তে পারব না। কারণ, লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশকে স্বাধীন করেছি আমরা।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মাইনা আপনি পাল্লা (দাঁড়িপাল্লা) মার্কায় ভোট চান, ডালিম মার্কায় ভোট চান, ইসলামের কথা বলে ভোট চান, হেফাজতে ইসলামের কথা বলে ভোট চান, আহলে হাদিসের নামে ভোট চান। আমার আপত্তি নেই। মানুষ যদি আপনাদের ভোট দেয়, ইসলামের কথা শুনে যদি ভোট দেয়, আপনি দেশ চালান। আপনাকে আমি স্যালুট করব।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাসিনা আর মুক্তিযুদ্ধ এক নয়। এখন হাসিনা ফেল করেছে, তাই বলে তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ তো ফেল করেনি। একটা জাতির মুক্তিযুদ্ধ কখনো ফেল করে না। যারা এসব বলছে, তারা মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করতে চায়, ছোট করতে চায়।
নিজের নির্বাচনী এলাকা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর পরে এই এলাকার মানুষ হচ্ছে আমার মালিক। আমি নেতা না, আমি আপনাদের গোলাম। আমি এখানকার প্রতিনিধি হতে পারলে এখানে যেমন ওয়াজ হবে, তেমনি ফুটবল খেলা হবে, সংস্কৃতিচর্চা হবে। ইসলামি শিক্ষা যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে জ্ঞান-বিজ্ঞাননির্ভর আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। থাকবে মানুষের জীবন-জীবিকার অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাধারণত তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হয়। আপনারা আট মাস পার করে ফেলেছেন। নানা অজুহাতে ও সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করছেন। কখনো বলেন ডিসেম্বরে, কখনো বলেন জুনে।
আমরা হাসিনা সরকারকে বিদায় করেছি নতুন আরেকটি সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কাজেই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। অনির্বাচিতদের হাতে বেশি দিন দেশ থাকতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মালিকদের পছন্দের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান চাওয়া।’
বিএনপি নেতা সৈয়দ সাঈদ আহমেদের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মুকুল, সদর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. দানাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ-মিছিল থেকে এক যুবদল নেতার বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদী এলাকায় ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
১৫ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পেট্রলবোমা ও ককটেল বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান মুরাদ খানের নেতৃত্বে এসব বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহেদ মজুমদার লিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ-মিছিল থেকে এক যুবদল নেতার বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদী এলাকায় ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
অভিযোগকারী সাবেক যুবদল নেতা রিফাত মোল্লা বলেন, ‘ধানের শীষের একটি মিছিল থেকে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে। এর আগেও ৯ নভেম্বর তারা আমার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।’
রিফাত মোল্লার অভিযোগ, নিপুণ রায়ের সমর্থক ঢাকা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মোল্লা এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন।
কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মোল্লা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে প্রয়াত চেয়ারম্যান লুৎফর মোল্লার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, এ সময় বাড়ির ভেতর থেকে একটি গুলি করা হয়, এতে নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’ তিনি দাবি করেন, প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত মোল্লা বাড়ির ভেতর থেকে গুলি করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুই পক্ষই বিএনপির সমর্থক, একে অপরকে দোষারোপ করায় দায়দায়িত্ব বিএনপির ওপরেই বর্তায়, ঘটনার তদন্তে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে বলে তাঁরা মনে করেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুলির একটি খোসা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ-মিছিল থেকে এক যুবদল নেতার বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদী এলাকায় ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
অভিযোগকারী সাবেক যুবদল নেতা রিফাত মোল্লা বলেন, ‘ধানের শীষের একটি মিছিল থেকে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে। এর আগেও ৯ নভেম্বর তারা আমার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।’
রিফাত মোল্লার অভিযোগ, নিপুণ রায়ের সমর্থক ঢাকা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মোল্লা এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন।
কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মোল্লা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে প্রয়াত চেয়ারম্যান লুৎফর মোল্লার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, এ সময় বাড়ির ভেতর থেকে একটি গুলি করা হয়, এতে নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’ তিনি দাবি করেন, প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত মোল্লা বাড়ির ভেতর থেকে গুলি করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুই পক্ষই বিএনপির সমর্থক, একে অপরকে দোষারোপ করায় দায়দায়িত্ব বিএনপির ওপরেই বর্তায়, ঘটনার তদন্তে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে বলে তাঁরা মনে করেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুলির একটি খোসা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাঁরা বলছেন বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাঁদের উদ্দেশে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৫
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পেট্রলবোমা ও ককটেল বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান মুরাদ খানের নেতৃত্বে এসব বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহেদ মজুমদার লিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগেবকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত গৃহবধূর নাম সুরুজা বেগম (৪৫)। তিনি সূর্যনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে সুরুজা বেগম রাইস কুকারে ভাত রান্না করছিলেন। একপর্যায়ে তিনি বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ না করেই কুকারটি নামাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সোহেল জানান, রান্নার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুতায়িত হয়ে সুরুজা বেগমের মৃত্যু হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত গৃহবধূর নাম সুরুজা বেগম (৪৫)। তিনি সূর্যনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে সুরুজা বেগম রাইস কুকারে ভাত রান্না করছিলেন। একপর্যায়ে তিনি বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ না করেই কুকারটি নামাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সোহেল জানান, রান্নার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুতায়িত হয়ে সুরুজা বেগমের মৃত্যু হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

যাঁরা বলছেন বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাঁদের উদ্দেশে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ-মিছিল থেকে এক যুবদল নেতার বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদী এলাকায় ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
১৫ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পেট্রলবোমা ও ককটেল বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান মুরাদ খানের নেতৃত্বে এসব বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহেদ মজুমদার লিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পেট্রলবোমা ও ককটেল বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান মুরাদ খানের নেতৃত্বে এসব বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল। আজ বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল এ কথা বলেন।
অভিযুক্ত মুরাদ খান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা।
আজ বেলা ২টায় উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী টিটু সরদারের পরিত্যক্ত টিনের ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে বিস্ফোরক বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়। এ সময় ২৩টি পেট্রলবোমা, বেশ কয়েকটি ককটেল, বারুদ, গান পাউডার, পেট্রল, অকটেনসহ বিস্ফোরক বানানোর উপকরণ জব্দ করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আটক হওয়া তিন যুবক ভবঘুরে এবং তাঁরা ঢাকার মিরপুরে থাকেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন হুসাইন রাজ (২৫), আহমেদুল রশিদ রাকিব (২৪) ও জিয়াউর রহমান (২৮)।
পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘আগামীকাল মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের একটি রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করা হচ্ছিল। মুরাদ খান নামের যুবলীগের এক কর্মীর নেতৃত্বে এগুলো তৈরি করা হয়। এই মুরাদ এই আসনের (ফরিদপুর-৪) এমপি মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি এবং রাজিব নামের আরেক যুবলীগ নেতার নিকট থেকে এগুলো আনা হয়। তাদেরও আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
পুলিশ সুপার বলেন, ভাঙ্গা গোলচত্বর ঘিরে আজ থেকেই ফোর্স ও গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল ভোর ৫টা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে তিনজনকেই আটক করতে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পেট্রলবোমা ও ককটেল বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান মুরাদ খানের নেতৃত্বে এসব বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল। আজ বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল এ কথা বলেন।
অভিযুক্ত মুরাদ খান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা।
আজ বেলা ২টায় উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী টিটু সরদারের পরিত্যক্ত টিনের ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে বিস্ফোরক বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়। এ সময় ২৩টি পেট্রলবোমা, বেশ কয়েকটি ককটেল, বারুদ, গান পাউডার, পেট্রল, অকটেনসহ বিস্ফোরক বানানোর উপকরণ জব্দ করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আটক হওয়া তিন যুবক ভবঘুরে এবং তাঁরা ঢাকার মিরপুরে থাকেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন হুসাইন রাজ (২৫), আহমেদুল রশিদ রাকিব (২৪) ও জিয়াউর রহমান (২৮)।
পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘আগামীকাল মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের একটি রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করা হচ্ছিল। মুরাদ খান নামের যুবলীগের এক কর্মীর নেতৃত্বে এগুলো তৈরি করা হয়। এই মুরাদ এই আসনের (ফরিদপুর-৪) এমপি মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি এবং রাজিব নামের আরেক যুবলীগ নেতার নিকট থেকে এগুলো আনা হয়। তাদেরও আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
পুলিশ সুপার বলেন, ভাঙ্গা গোলচত্বর ঘিরে আজ থেকেই ফোর্স ও গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল ভোর ৫টা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে তিনজনকেই আটক করতে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

যাঁরা বলছেন বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাঁদের উদ্দেশে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ-মিছিল থেকে এক যুবদল নেতার বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদী এলাকায় ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
১৫ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহেদ মজুমদার লিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগেচৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহেদ মজুমদার নিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হলো। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের জেঠাতো ভাই সৈকত মজুমদার ও প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন।
নিশান চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মান্নান মজুমদারের ছেলে। তিনি বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
৫ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসের দিঘি আর্মি ক্যাম্পের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান নিশানের মা, দুই বোনসহ পাঁচজন। দুর্ঘটনায় নিশানসহ তিনজন আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিশানকে প্রথম দুই দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ সকালে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তাঁকে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আজ সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন বলেন, স্ত্রী ও দুই মেয়ের পর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আবদুল মান্নান মজুমদার বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা কারও জানা নেই।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহেদ মজুমদার নিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হলো। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের জেঠাতো ভাই সৈকত মজুমদার ও প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন।
নিশান চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মান্নান মজুমদারের ছেলে। তিনি বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
৫ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসের দিঘি আর্মি ক্যাম্পের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান নিশানের মা, দুই বোনসহ পাঁচজন। দুর্ঘটনায় নিশানসহ তিনজন আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিশানকে প্রথম দুই দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ সকালে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তাঁকে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আজ সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন বলেন, স্ত্রী ও দুই মেয়ের পর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আবদুল মান্নান মজুমদার বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা কারও জানা নেই।

যাঁরা বলছেন বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাঁদের উদ্দেশে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি, ক্ষমতাটা তাদের প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ-মিছিল থেকে এক যুবদল নেতার বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদী এলাকায় ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
১৫ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পেট্রলবোমা ও ককটেল বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান মুরাদ খানের নেতৃত্বে এসব বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল।
১ ঘণ্টা আগে