Ajker Patrika

মধ্যরাতে ফোন করে জানানো হয় স্বামীকে মেরে ফেলা হয়েছে: সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ১৫
মধ্যরাতে ফোন করে জানানো হয় স্বামীকে মেরে ফেলা হয়েছে: সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ

‘রাত আড়াইটায় হঠাৎ মোবাইলে ফোন করে এক ব্যক্তি বলেন, আপনার স্বামী রিপন মেম্বারকে হত্যা করা হয়েছে! রাস্তার পাশে পড়ে আছে, এসে নিয়ে যান। তখন গিয়ে দেখি রিপন রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে। সেখান থেকে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি, সকালেই মারা যায় সে।’ 

দুই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো বলছিলেন নিহত হাবিবুর রহমান রিপনের স্ত্রী তানিয়া খাতুন। 

নিহত হাবিবুর রহমান রিপন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার মীন গ্রামে। তাঁর স্ত্রী তানিয়া খাতুন উপজেলার মীন গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলালের বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত হাবিবুর রহমান রিপনের স্ত্রী তানিয়া খাতুন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাকিম আহমেদ, নিহতের বাবা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ অন্যরা। 

হাবিবুর রহমান রিপনতিন মাসের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তানিয়া খাতুন বলেন, ‘আমাদের পরিবার স্বাধীনতার আগে থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে আমার শ্বশুর আবুল কালাম আজাদ আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ছয় ভাইয়ের মধ্যে আমার স্বামী আমার শ্বশুরের সঙ্গে বাড়ির জমি দেখাশোনা করতেন।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঘায়েল করতে কিছু বিএনপি ও নব্য আওয়ামী লীগ নেতারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। শুনেছি একসময় বিএনপি করলেও বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ পেয়েছেন বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলাল। পদ পাওয়ার পর অন্যদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলায় তাঁর অবস্থান শক্ত করতে প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। আমার স্বামী হাবিবুর রহমান রিপনকে তাঁরা পিটিয়ে হত্যা করেন।’ 
 
তানিয়া খাতুন আরও বলেন, ‘মৃত্যুর দুই থেকে তিন মাস আগে তাঁরা বিভিন্ন সময় রিপনকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে একটি দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে মীন গ্রাম বাজারে তাঁকে আক্রমণও করেন তারা। তখন প্রাণে বেঁচে গেলেও এবার বাঁচতে পারেনি আমার স্বামী। মামলার পর কিছু আসামি জামিন পেয়ে ঢাকা নিউমার্কেট এলাকায় নজরুল ইসলাম দুলালের বাসায় বৈঠক করেন। আমরা জানতে পারি, পরিকল্পিতভাবেই তাঁকে হত্যার নির্দেশে ছিল নজরুল ইসলাম দুলাল ও তাঁর ভাই আবাইপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস। এই পরিকল্পনা তাঁদের বাড়িতেই হয়েছিল।’ 

লিখিত বক্তব্যে নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘ঘটনার পর সুজন নামের এক ব্যক্তি ফোন করে বলে, রিপন মেম্বারকে মেরে ফেলা হয়েছে, এসে নিয়ে যান। জামিন পাওয়া আসামিরা এখন আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।’ 

রিপনের স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তাঁর স্বামী হত্যার নির্দেশদাতাসহ অন্যদের সঠিক বিচার দাবি করে বলেন, ‘৩ মাসের শিশু তাবিব আহনাফ ও ৫ বছরের শিশু আবিদ আহনাফ, তারা এখনো জানে না তাদের বাবা আর কখনো ফিরে আসবে না। এখন বড় ছেলে বলে বাবা কোথায় গেছে মা? কিন্তু তার প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারি না। বর্তমানে আমার দুই শিশু সন্তান খুবই অসহায়ের মতো দিন যাপন করছে।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিপন ঘটনাস্থলে মরেছিল নাকি হাসপাতালে আনার পথে যারা সঙ্গে ছিল তারা মেরেছে, এটা নিয়ে সন্দেহ আছে আমার। সামনে নির্বাচন, আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী, এখন এমন নানা ষড়যন্ত্র হতেই থাকবে। তবে রিপন হত্যায় জড়িতরা শাস্তি পাক এটা আমি নিজেও চাই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার মানুষ বিভিন্ন সময় আমার কাছে আসে, আমি সহযোগিতা করি। তারা জামিনে মুক্ত হয়ে অফিসে এসেছে এটা দোষের কিছু না। তারা তো দোষী প্রমাণিত হয়নি।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাকিম আহমেদ জানান, মূলত এটি তাঁর পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। এটাকে সমর্থন জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। 

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুরদাস মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার ৫ জন ব্যতীত সকল আসামি জামিনে আছে। তদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’ 

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই সমর্থক হাবিবুর রহমান রিপন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী নজরুল ইসলাম দুলালের সমর্থকদের মধ্যে। 

এই দ্বন্দ্বের জেরে গত অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখ ভোররাতে আবাইপুর বাজার পার হলেই প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা হাবিবুর রহমান রিপনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর নিহতের সমর্থকদের অর্ধশতাধিক বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

পরদিন নিহতের ভাই বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের নামে মামলা করেন। তবে এই মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলাল ও ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাসের নাম নেই। 

তবে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ মারা গেছেন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (৭০) মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। তিনি ধানমন্ডির বাসায় থাকতেন। গত কয়েক দিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

সুকুমার রঞ্জন ঘোষ শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ শ্রীনগর উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর থেকে অসুস্থ ছিলেন।

উল্লেখ্য, সুকুমার রঞ্জন ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (কুলা প্রতীক) ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে (ধানের শীষ) পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। এরপর ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে নিহত দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১০
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় গণপিটুনিতে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের বাড়িতে শোকের মাতম এখনো থামেনি। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পুরো পরিবার যেন শোকে কাতর।

প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তাসহ নানা আশ্বাস। এ ছাড়া দিপুর পরিবারের জন্য বাড়িতে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আজ সোমবার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান নিহত দিপু দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তাঁর সঙ্গে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, শীতবস্ত্র, শুকনো খাবার ও একটি সেলাই মেশিন পরিবারটিকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিপুর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও দেন জেলা প্রশাসক।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সহযোগিতাসহ সব সময় তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছি।’

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় নিহতে দিপুর ছোট ভাই অপু দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রতিবাদ সমাবেশ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভালুকায় দিপু দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ময়মনসিংহ নগরী ও তারাকান্দায় মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। আজ সচেতন ময়মনসিংহবাসীর ব্যানারে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন দিপু দাসের ছোট ভাই অপু দাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা আল নুর মো. আয়াস, হৃদয় খান, সাংবাদিক মোজাম্মেল খোকন, কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ।

একই দাবিতে দিপু দাসের নিজ উপজেলা তারাকান্দায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ফ্রন্ট ও দিপু দাসের পরিবার। আজ সকালে তারাকান্দা বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের তারাকান্দা উপজেলা সভাপতি বিজন কুমার ভৌমিক রতন, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শর্মা সরকার কাঞ্চনসহ দিপুর পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা কারখানার মালিকসহ প্রকৃত দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন এবং দিপু দাসের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যানজটে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা রহমতপুর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। ঘণ্টা তিনেক ধরে চলা অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।

ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত সপ্তাহ থেকে ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) থেকে পৃথক করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করা, সব কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদ শুধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষণ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরিতে ন্যূনতম দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে যোগদানের পর ছয় মাসের বনিয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘৯ মাস আগে আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তখন শুধু আশ্বাস দিয়েছিল, বাস্তব কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’ আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেনে না নেবে, তত দিন ক্যাম্পাস লকডাউন, প্রশাসনিক ভবন বন্ধসহ এই আন্দোলন চলবে।’

এ বিষয়ে রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিতাসে শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যায় জামাতা গ্রেপ্তার

হোমনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় শাশুড়িকে খালে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জামাতা মো. জামাল সিকদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার রাতে ঢাকার সাভারে আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার সকালে তাঁকে তিতাস থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তিতাস থানা-পুলিশ দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।

গত ১০ অক্টোবর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে সুফিয়া খাতুন নামে (৭০) এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর জামাতা জামাল তাঁকে বসতবাড়ির কাছে খালে চুবিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে তিতাস থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন জামাল।

জানা গেছে, জামাল সুফিয়া বেগমের ভাই দিলু সিকদারের ছেলে। তাঁর সঙ্গে সুফিয়ার মেয়ে রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির পাশেই জামালের বাড়ি।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিন শিকদারকে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করে আজ সকালে থানায় আনা হয়। পরে দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত