খুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদ।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদের কল রেকর্ডটি শুনেছি। বুধবার রাতেই তাদের শোকজ (কারণ দর্শানো) করা হয়েছে।’ তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
অডিও-ভিডিও ক্লিপে বিএনপি নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মেইন লোক হলো রিয়াজ, হয়তো জানেন। এখন যে পজিশন, সেই পজিশানের মধ্যে ওই এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে, আমাদের ওই এলাকায় অনেক ক্ষতি করেছে সে। যাই হোক লোকাল পলিটিকসে আপনি (শেখ খালিদ আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), বারবার বলতিছে যে, সে আমার ছোট বেলার বন্ধু, সে যেন না আসে। তার ব্যাপারটি একটু দেখতি হবে নে, যেন না ফাঁসে। ওর দিকে একটু খেয়াল-টেয়াল রাইখেন। তারপরও ওর জন্যি একটু করতি হবে।
প্রতি উত্তরে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ভাই কী করতে হবে, বলেন না? ও তো আমার ভাই, বন্ধু সমস্যা নেই। কী করতে হবে বললি, আমার জন্য একটু সুবিধা হয়। তখন হোসেনকে বলতে শোনা যায়, কিছু হেল্পটেল্প করা লাগবে। পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে আরেকজন বলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
এ সময় হোসেনকে বলেন, এখন তো কম-বেশি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করা লাগবে। অপর ফোন থেকে বলা হয়, আপনি বলেন, আপনি বললে আমার মনটা ঠান্ডা হয়ে যায়।
হোসেন বলেন, লাখ দুই টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েন। উত্তরে সে বলে, আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ভাই, কোনো সমস্যা নেই।
এরপর হোসেন যার সঙ্গে কথা বলছিলেন তার আরেকটি ফোনে শোনা যায়, ভাইকে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি। তুই ওইটা ম্যানেজ কর বন্ধু। তখন সে জানতে চায়, তোকে কে ফোন দিয়েছিল। সে উত্তরে বলে উনি হলেন, আমাদের মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন ভাই। খবরদার কারও কাছে নাম বলবি না। বললে অসুবিধা আছে। তখন সে বলে না কারও কাছে বলব না দোসত।
তবে এটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বিএনপির রিয়াজ শাহেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। যারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তারাই এখন আমার রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে বেনামে অপপ্রচারে পোস্টারিং করছে।
তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে অডিও ক্লিপ বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এই রেকর্ড ভয়েস নকল করার অ্যাপস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে ৬০/ ৭০ ভাগ মিল থাকলেও বাকি কণ্ঠের মিল নেই।’
একই কথা বলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে ভয়েস কল নকল করে এখন এগুলো করা হচ্ছে। এই কল রেকর্ডটি একদম ফেক, মিথ্যা, নকল, বানোয়াট। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন পরিবার। আমার নিজের ব্যবসা আছে, আর আমি দুই লাখ টাকা চাঁদা এটা কেউ বিশ্বাসও করবে না। আমি প্রতিবাদও দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদ।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদের কল রেকর্ডটি শুনেছি। বুধবার রাতেই তাদের শোকজ (কারণ দর্শানো) করা হয়েছে।’ তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
অডিও-ভিডিও ক্লিপে বিএনপি নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মেইন লোক হলো রিয়াজ, হয়তো জানেন। এখন যে পজিশন, সেই পজিশানের মধ্যে ওই এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে, আমাদের ওই এলাকায় অনেক ক্ষতি করেছে সে। যাই হোক লোকাল পলিটিকসে আপনি (শেখ খালিদ আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), বারবার বলতিছে যে, সে আমার ছোট বেলার বন্ধু, সে যেন না আসে। তার ব্যাপারটি একটু দেখতি হবে নে, যেন না ফাঁসে। ওর দিকে একটু খেয়াল-টেয়াল রাইখেন। তারপরও ওর জন্যি একটু করতি হবে।
প্রতি উত্তরে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ভাই কী করতে হবে, বলেন না? ও তো আমার ভাই, বন্ধু সমস্যা নেই। কী করতে হবে বললি, আমার জন্য একটু সুবিধা হয়। তখন হোসেনকে বলতে শোনা যায়, কিছু হেল্পটেল্প করা লাগবে। পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে আরেকজন বলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
এ সময় হোসেনকে বলেন, এখন তো কম-বেশি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করা লাগবে। অপর ফোন থেকে বলা হয়, আপনি বলেন, আপনি বললে আমার মনটা ঠান্ডা হয়ে যায়।
হোসেন বলেন, লাখ দুই টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েন। উত্তরে সে বলে, আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ভাই, কোনো সমস্যা নেই।
এরপর হোসেন যার সঙ্গে কথা বলছিলেন তার আরেকটি ফোনে শোনা যায়, ভাইকে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি। তুই ওইটা ম্যানেজ কর বন্ধু। তখন সে জানতে চায়, তোকে কে ফোন দিয়েছিল। সে উত্তরে বলে উনি হলেন, আমাদের মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন ভাই। খবরদার কারও কাছে নাম বলবি না। বললে অসুবিধা আছে। তখন সে বলে না কারও কাছে বলব না দোসত।
তবে এটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বিএনপির রিয়াজ শাহেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। যারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তারাই এখন আমার রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে বেনামে অপপ্রচারে পোস্টারিং করছে।
তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে অডিও ক্লিপ বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এই রেকর্ড ভয়েস নকল করার অ্যাপস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে ৬০/ ৭০ ভাগ মিল থাকলেও বাকি কণ্ঠের মিল নেই।’
একই কথা বলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে ভয়েস কল নকল করে এখন এগুলো করা হচ্ছে। এই কল রেকর্ডটি একদম ফেক, মিথ্যা, নকল, বানোয়াট। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন পরিবার। আমার নিজের ব্যবসা আছে, আর আমি দুই লাখ টাকা চাঁদা এটা কেউ বিশ্বাসও করবে না। আমি প্রতিবাদও দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
খুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদ।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদের কল রেকর্ডটি শুনেছি। বুধবার রাতেই তাদের শোকজ (কারণ দর্শানো) করা হয়েছে।’ তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
অডিও-ভিডিও ক্লিপে বিএনপি নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মেইন লোক হলো রিয়াজ, হয়তো জানেন। এখন যে পজিশন, সেই পজিশানের মধ্যে ওই এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে, আমাদের ওই এলাকায় অনেক ক্ষতি করেছে সে। যাই হোক লোকাল পলিটিকসে আপনি (শেখ খালিদ আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), বারবার বলতিছে যে, সে আমার ছোট বেলার বন্ধু, সে যেন না আসে। তার ব্যাপারটি একটু দেখতি হবে নে, যেন না ফাঁসে। ওর দিকে একটু খেয়াল-টেয়াল রাইখেন। তারপরও ওর জন্যি একটু করতি হবে।
প্রতি উত্তরে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ভাই কী করতে হবে, বলেন না? ও তো আমার ভাই, বন্ধু সমস্যা নেই। কী করতে হবে বললি, আমার জন্য একটু সুবিধা হয়। তখন হোসেনকে বলতে শোনা যায়, কিছু হেল্পটেল্প করা লাগবে। পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে আরেকজন বলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
এ সময় হোসেনকে বলেন, এখন তো কম-বেশি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করা লাগবে। অপর ফোন থেকে বলা হয়, আপনি বলেন, আপনি বললে আমার মনটা ঠান্ডা হয়ে যায়।
হোসেন বলেন, লাখ দুই টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েন। উত্তরে সে বলে, আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ভাই, কোনো সমস্যা নেই।
এরপর হোসেন যার সঙ্গে কথা বলছিলেন তার আরেকটি ফোনে শোনা যায়, ভাইকে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি। তুই ওইটা ম্যানেজ কর বন্ধু। তখন সে জানতে চায়, তোকে কে ফোন দিয়েছিল। সে উত্তরে বলে উনি হলেন, আমাদের মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন ভাই। খবরদার কারও কাছে নাম বলবি না। বললে অসুবিধা আছে। তখন সে বলে না কারও কাছে বলব না দোসত।
তবে এটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বিএনপির রিয়াজ শাহেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। যারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তারাই এখন আমার রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে বেনামে অপপ্রচারে পোস্টারিং করছে।
তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে অডিও ক্লিপ বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এই রেকর্ড ভয়েস নকল করার অ্যাপস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে ৬০/ ৭০ ভাগ মিল থাকলেও বাকি কণ্ঠের মিল নেই।’
একই কথা বলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে ভয়েস কল নকল করে এখন এগুলো করা হচ্ছে। এই কল রেকর্ডটি একদম ফেক, মিথ্যা, নকল, বানোয়াট। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন পরিবার। আমার নিজের ব্যবসা আছে, আর আমি দুই লাখ টাকা চাঁদা এটা কেউ বিশ্বাসও করবে না। আমি প্রতিবাদও দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদ।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদের কল রেকর্ডটি শুনেছি। বুধবার রাতেই তাদের শোকজ (কারণ দর্শানো) করা হয়েছে।’ তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
অডিও-ভিডিও ক্লিপে বিএনপি নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মেইন লোক হলো রিয়াজ, হয়তো জানেন। এখন যে পজিশন, সেই পজিশানের মধ্যে ওই এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে, আমাদের ওই এলাকায় অনেক ক্ষতি করেছে সে। যাই হোক লোকাল পলিটিকসে আপনি (শেখ খালিদ আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), বারবার বলতিছে যে, সে আমার ছোট বেলার বন্ধু, সে যেন না আসে। তার ব্যাপারটি একটু দেখতি হবে নে, যেন না ফাঁসে। ওর দিকে একটু খেয়াল-টেয়াল রাইখেন। তারপরও ওর জন্যি একটু করতি হবে।
প্রতি উত্তরে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ভাই কী করতে হবে, বলেন না? ও তো আমার ভাই, বন্ধু সমস্যা নেই। কী করতে হবে বললি, আমার জন্য একটু সুবিধা হয়। তখন হোসেনকে বলতে শোনা যায়, কিছু হেল্পটেল্প করা লাগবে। পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে আরেকজন বলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
এ সময় হোসেনকে বলেন, এখন তো কম-বেশি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করা লাগবে। অপর ফোন থেকে বলা হয়, আপনি বলেন, আপনি বললে আমার মনটা ঠান্ডা হয়ে যায়।
হোসেন বলেন, লাখ দুই টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েন। উত্তরে সে বলে, আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ভাই, কোনো সমস্যা নেই।
এরপর হোসেন যার সঙ্গে কথা বলছিলেন তার আরেকটি ফোনে শোনা যায়, ভাইকে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি। তুই ওইটা ম্যানেজ কর বন্ধু। তখন সে জানতে চায়, তোকে কে ফোন দিয়েছিল। সে উত্তরে বলে উনি হলেন, আমাদের মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন ভাই। খবরদার কারও কাছে নাম বলবি না। বললে অসুবিধা আছে। তখন সে বলে না কারও কাছে বলব না দোসত।
তবে এটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বিএনপির রিয়াজ শাহেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। যারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তারাই এখন আমার রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে বেনামে অপপ্রচারে পোস্টারিং করছে।
তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে অডিও ক্লিপ বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এই রেকর্ড ভয়েস নকল করার অ্যাপস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে ৬০/ ৭০ ভাগ মিল থাকলেও বাকি কণ্ঠের মিল নেই।’
একই কথা বলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে ভয়েস কল নকল করে এখন এগুলো করা হচ্ছে। এই কল রেকর্ডটি একদম ফেক, মিথ্যা, নকল, বানোয়াট। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন পরিবার। আমার নিজের ব্যবসা আছে, আর আমি দুই লাখ টাকা চাঁদা এটা কেউ বিশ্বাসও করবে না। আমি প্রতিবাদও দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
৭ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
৩৫ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
২ ঘণ্টা আগেজগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নার্সের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সমশপুর গ্রামের জাকির হোসেন গত শনিবার রাতে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী মারজানা বেগমকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরদিন রোববার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে শিশুটি সুস্থ ছিল।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
নবজাতকের ফুফু তাসলিমা বেগম বলেন, জন্মের পর শিশুটি ভালোই ছিল। শিশুটির হাতে একটি ক্যানুলা লাগানো ছিল, যার কারণে হাত ফুলে যায়। রাতে খিঁচুনি শুরু হলে বারবার নার্সকে জানানো হলেও ক্যানুলাটি খোলা হয়নি। বরং নার্স তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং কোনো চিকিৎসকও আসেননি। পরে সকালে ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুটি মারা যায়।
নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক আসেননি। সকালে নার্স ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার মেয়ে মারা যায়। আমার মেয়েকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহবুব আলম মিজু বলেন, জন্মের পর শিশুটি সুস্থ ছিল। হঠাৎ শিশুর অবস্থার অবনতি হয়েছে—এ বিষয়ে নার্স বা স্বজনদের কেউ তাঁকে অবহিত করেননি। তিনি বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো ত্রুটি হলেও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে নার্সের অবহেলার অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নার্সের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সমশপুর গ্রামের জাকির হোসেন গত শনিবার রাতে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী মারজানা বেগমকে জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরদিন রোববার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে শিশুটি সুস্থ ছিল।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
নবজাতকের ফুফু তাসলিমা বেগম বলেন, জন্মের পর শিশুটি ভালোই ছিল। শিশুটির হাতে একটি ক্যানুলা লাগানো ছিল, যার কারণে হাত ফুলে যায়। রাতে খিঁচুনি শুরু হলে বারবার নার্সকে জানানো হলেও ক্যানুলাটি খোলা হয়নি। বরং নার্স তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং কোনো চিকিৎসকও আসেননি। পরে সকালে ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুটি মারা যায়।
নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক আসেননি। সকালে নার্স ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার মেয়ে মারা যায়। আমার মেয়েকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
জগন্নাথপুর নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহবুব আলম মিজু বলেন, জন্মের পর শিশুটি সুস্থ ছিল। হঠাৎ শিশুর অবস্থার অবনতি হয়েছে—এ বিষয়ে নার্স বা স্বজনদের কেউ তাঁকে অবহিত করেননি। তিনি বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো ত্রুটি হলেও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে নার্সের অবহেলার অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনায় আ. লীগের নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
৩৫ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
২ ঘণ্টা আগেচৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকির হোসেন পাটোয়ারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচড়া পাটোয়ারী বাড়ির মৃত হাফেজ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানাউল্লাহ নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, জাকির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকির হোসেন পাটোয়ারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচড়া পাটোয়ারী বাড়ির মৃত হাফেজ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানাউল্লাহ নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, জাকির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খুলনায় আ. লীগের নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
৭ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
৩৫ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন। তাঁদের অভিযোগ, এই পোশাকে অভিনয় করা ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলেকজান্ডার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজের পর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজটির ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী নাটকটিতে অংশ নেন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের মধ্যকার সংঘাতময় চিত্র তুলে ধরা হয়। রাজাকারের ভূমিকায় কয়েকজন শিক্ষার্থী পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করছিলেন। এই দৃশ্যে নারী নির্যাতনের অংশ থাকাকালীন উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম এবং পৌর আমির আবুল খায়ের মঞ্চে এসে আপত্তি তোলেন। তাঁরা দাবি করেন, এই পোশাকে রাজাকারের চরিত্র চিত্রায়ণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিনের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেন।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে মঞ্চেই শুরু হয় তীব্র বাগ্বিতণ্ডা। পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দ্রুত তাঁরা হস্তক্ষেপে করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম তাঁর আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করায় একজন মুসলমান হিসেবে আমি এটি মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। পরে ইউএনও ও ওসি সাহেবের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান হয়েছে।’
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন এই ঘটনাকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, পরে সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নাটক চলাকালে পাঞ্জাবি-টুপি ব্যবহার নিয়ে এক পক্ষ আপত্তি তোলায় কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দ্রুতই বিষয়টির সমাধান করা হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন। তাঁদের অভিযোগ, এই পোশাকে অভিনয় করা ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলেকজান্ডার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজের পর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজটির ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী নাটকটিতে অংশ নেন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের মধ্যকার সংঘাতময় চিত্র তুলে ধরা হয়। রাজাকারের ভূমিকায় কয়েকজন শিক্ষার্থী পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করছিলেন। এই দৃশ্যে নারী নির্যাতনের অংশ থাকাকালীন উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম এবং পৌর আমির আবুল খায়ের মঞ্চে এসে আপত্তি তোলেন। তাঁরা দাবি করেন, এই পোশাকে রাজাকারের চরিত্র চিত্রায়ণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিনের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেন।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে মঞ্চেই শুরু হয় তীব্র বাগ্বিতণ্ডা। পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দ্রুত তাঁরা হস্তক্ষেপে করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম তাঁর আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করায় একজন মুসলমান হিসেবে আমি এটি মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। পরে ইউএনও ও ওসি সাহেবের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান হয়েছে।’
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন এই ঘটনাকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, পরে সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নাটক চলাকালে পাঞ্জাবি-টুপি ব্যবহার নিয়ে এক পক্ষ আপত্তি তোলায় কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দ্রুতই বিষয়টির সমাধান করা হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

খুলনায় আ. লীগের নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
৭ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগে
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা
২ ঘণ্টা আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

সমতল ভূমিতে কমলা চাষ সাধারণত অপ্রচলিত হলেও পাবনার চাটমোহরে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শখের বসে করা কৃষক খয়বর রহমানের কমলাবাগান এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রথম বছরেই আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় কৃষক যেমন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন, তেমনি কৃষি বিভাগও আশা করছে তাঁর দেখানো পথে কমলা চাষের বিস্তার ঘটবে।
সাইট্রাসজাতীয় ফল মাল্টা ও কমলা মূলত পাহাড়ি অঞ্চলের হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাটমোহরে মাল্টা চাষের প্রসার ঘটেছে। তবে কমলা চাষ এত দিন শখের ছাদবাগানেই সীমাবদ্ধ ছিল। কাঙ্ক্ষিত সফলতা না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ তেমন বিস্তার লাভ করেনি। এই অবস্থায় কৃষক খয়বর রহমানের বাণিজ্যিক চাষে সফলতা অন্য কৃষকদের কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশোয়াইল গ্রামের কৃষক খয়বর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হন। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার এক কৃষকের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে তিনি ২১ শতক জমিতে কমলার বাগান গড়ে তোলেন। ২০২২ সালে ৫০টি চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো তাঁর বাগানে ফুল আসে। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছে ফল রাখলে সেগুলো পরিপক্ব হয়।
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, চাটমোহরে কমলা চাষ একেবারেই নতুন উদ্যোগ। খয়বর রহমানের বাগানে উৎপাদিত কমলার মান ও গুণগত বৈশিষ্ট্য বাজারে পাওয়া কমলার মতোই ভালো। প্রতিটি গাছে যে পরিমাণ ফল এসেছে, তাতে বাগানটি লাভজনক হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই সাফল্য অন্য কৃষকদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, অপ্রচলিত কমলা প্রথমবারের মতো চাষ করে খয়বর রহমান যে সাফল্য পেয়েছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে কমলা চাষকে বাণিজ্যিকভাবে রূপ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাঁর সাফল্য দেখে আরও অনেক কৃষক কমলা চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সমতল ভূমিতে কমলা চাষ সাধারণত অপ্রচলিত হলেও পাবনার চাটমোহরে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শখের বসে করা কৃষক খয়বর রহমানের কমলাবাগান এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রথম বছরেই আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় কৃষক যেমন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন, তেমনি কৃষি বিভাগও আশা করছে তাঁর দেখানো পথে কমলা চাষের বিস্তার ঘটবে।
সাইট্রাসজাতীয় ফল মাল্টা ও কমলা মূলত পাহাড়ি অঞ্চলের হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাটমোহরে মাল্টা চাষের প্রসার ঘটেছে। তবে কমলা চাষ এত দিন শখের ছাদবাগানেই সীমাবদ্ধ ছিল। কাঙ্ক্ষিত সফলতা না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ তেমন বিস্তার লাভ করেনি। এই অবস্থায় কৃষক খয়বর রহমানের বাণিজ্যিক চাষে সফলতা অন্য কৃষকদের কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশোয়াইল গ্রামের কৃষক খয়বর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হন। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার এক কৃষকের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে তিনি ২১ শতক জমিতে কমলার বাগান গড়ে তোলেন। ২০২২ সালে ৫০টি চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো তাঁর বাগানে ফুল আসে। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছে ফল রাখলে সেগুলো পরিপক্ব হয়।
কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, চাটমোহরে কমলা চাষ একেবারেই নতুন উদ্যোগ। খয়বর রহমানের বাগানে উৎপাদিত কমলার মান ও গুণগত বৈশিষ্ট্য বাজারে পাওয়া কমলার মতোই ভালো। প্রতিটি গাছে যে পরিমাণ ফল এসেছে, তাতে বাগানটি লাভজনক হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই সাফল্য অন্য কৃষকদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, অপ্রচলিত কমলা প্রথমবারের মতো চাষ করে খয়বর রহমান যে সাফল্য পেয়েছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে কমলা চাষকে বাণিজ্যিকভাবে রূপ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাঁর সাফল্য দেখে আরও অনেক কৃষক কমলা চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

খুলনায় আ. লীগের নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি জানানো হলেও তখন কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নার্স হেপি দাস শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
৭ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন।
৩৫ মিনিট আগে