Ajker Patrika

সাতক্ষীরায় ‘উন্নত সনাতন পদ্ধতি’তে বাগদা চাষে সফলতা পাচ্ছেন চাষিরা

আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২: ১৫
সাতক্ষীরায় ‘উন্নত সনাতন পদ্ধতি’তে বাগদা চাষে সফলতা পাচ্ছেন চাষিরা

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন চাষিরা। চিংড়িতে মড়ক না লাগা এবং দ্রুত বড় হওয়ার কারণে এটা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা ব্যক্তিরা তিন মাসে বিনিয়োগকৃত অর্থের দ্বিগুণ ফিরে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মৎস্য অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায় বাগদা চিংড়ির এ ধরনের চাষাবাদ হচ্ছে। 

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় বাগদা চাষ হয় ২ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে। ছোট-বড় ৫৫ হাজার ঘেরে বাগদা চাষ হয়। এসব বাগদা চাষ হয় সনাতন পদ্ধতিতে। তবে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে কালীগঞ্জের শিবপুরে ১৩ একর জমিতে ২৩ জন চাষি ২৩টি ঘেরে বাগদা চাষ করেছেন। প্রতি তিন মাস পরপর ঘের থেকে বাগদা চিংড়ি তুলে বিক্রি করতে পারেন চাষিরা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে শুরু হয় প্রকল্পটি। 

জেলার মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্যচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে নানা ধরনের ভাইরাস ও দাবদাহে ঘেরে বাগদা চিংড়ি মারা পড়ে প্রচুর। পরবর্তী সময়ে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করা হলেও সফলতা ছিল না তেমন। ফলে দিনে দিনে বাগদা চাষে অনাগ্রহ তৈরি হচ্ছিল চাষিদের। সাতক্ষীরার সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চাষের এই সমস্যা মোকাবিলায় ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করতে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয় মৎস্য বিভাগ।

পানির গভীরতা ঠিক রাখা ও বায়োসিকিউরিটি নিশ্চিত করা (নেট দিয়ে প্রতিটি ঘের অন্য ঘের থেকে আলাদা রাখা) এই চাষের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন এই পদ্ধতিতে জেলার অন্য বাগদাচাষিদেরও অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছে এখন জেলার মৎস্য অধিদপ্তর। 

কালীগঞ্জের শিবপুরে ১৩ একর জমিতে ২৩ জন চাষি ২৩টি ঘেরে এভাবে বাগদা চাষ করেছেনশিবপুরের বাগদাচাষি মোক্তাদির হোসেন বলেন, ‘আমরা ২৩ জন মিলে এই প্রজেক্টে চাষ করছি। কালিন্দি নদী থেকে খালে লোনাপানি আসে। প্রথমে পানি ভর্তি করি ঘেরে। তারপর চুন মারার পর ব্লিচিং পাউডার দেই। এরপর ভাইরাসমুক্ত পোনা ছাড়ি। খাবার দেই নির্দেশনামতো। ৭২ শতাংশ জমিতে আমি ১৮৫ কেজি মাছ পেয়েছি। অথচ আগে আমি মাছ তুলতে পেরেছি ৬০-৭০ কেজি।’ 

অপর চাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পানির পিপিটি অনুযায়ী উৎপাদিত পোনা ছাড়া হয় বলে মড়ক নেই বললেই চলে। আগে পানির লবণাক্ততা ও ভাইরাস পরীক্ষা হতো না বলে ৪০ দিন যেতে না যেতে মাছ মারা যেত। এই পদ্ধতিতে মাছ মরে না বললেই চলে। নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমরা মাছ চাষ করে শতকে তিন-চার কেজি মাছ উৎপাদন করতে পেরেছি।’ 

গুচ্ছ পদ্ধতিতে এই চাষ করা হয় বলে একত্রে এই চাষিদের বাগদা চাষি ক্লাস্টার নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বাগদা চাষি ক্লাস্টারের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন মণ্ডল বলেন, ‘প্রথমে আমরা সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করতাম। আর এখন উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করছি। প্রথমে ঘেরের গভীরতা বাড়িয়েছি। বায়োসিকিউরিটি নিশ্চিত করতে নেট দিয়েছি, যাতে অন্য ঘেরের পোকামাকড় এখানে না আসে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ২৯ শতক জমিতে ৮৬ কেজি মাছ পেয়েছি। আগে সনাতন পদ্ধতিতে ৩০-৩৫ কেজির বেশি মাছ পেতাম না।’ 

মৎস্য অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায় বাগদা চিংড়ির এ ধরনের চাষাবাদ হচ্ছেমৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সনাতন পদ্ধতিতে সফলতা কম বলে নতুন এই পদ্ধতির প্রচলন করেছেন তাঁরা। 

কালীগঞ্জের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পে শিবপুরে ২৩ জন চাষি নিয়ে কাজ শুরু করি। সেখানে সফলতা ব্যাপক। বায়োসিকিউরিটি ও ভাইরাসমুক্ত পোনা ব্যবহার করা হয় ঘেরে। আমরা খুব আনন্দিত যে, মাত্র ৩ মাসে বাগদা এই আকৃতি পাচ্ছে যে, কেজিতে ২০টা ধরছে।’

এই মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, নতুন পদ্ধতিতে পানির গভীরতা নিশ্চিত করা হয়। এপ্রিল-মে মাসে ৩৭ থেকে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকে। পানির গভীরতা থাকে ৬-৮ ইঞ্চি অথবা ১ ফুট। ফলে মাছ মারা যায়। নতুন এই পদ্ধতিতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে দ্বিগুণ বা তিন গুণ লাভ পাওয়া যায় বলে এই পদ্ধতিতে চাষিদের চাষ করা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহবাগে আবারও ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা

‎শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।

‎অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। এতে এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

‎আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তাঁরা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। সোয়া ২টার পর তাঁরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেন।

‎গত শুক্রবার দুপুর থেকে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।

‎গতকাল সারা দেশের বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে রাত ১০টার দিকে খুনিদের গ্রেপ্তার, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের কাজের অনুমতি বাতিলসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।

‎ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা হলো—

১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।

২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়ের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।

৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সব খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।

৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুবির প্রথম বর্ষের চার ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

খুলনা প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার্থীরা http://apply.ku.ac.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে ফল জানতে পারবে।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ না করলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ডিসিপ্লিনভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগামী ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা) পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারটি ইউনিটের প্রধানেরা নিজ নিজ ইউনিটের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সভায় চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সব স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা স্কুল) ও ‘ডি’ ইউনিট (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) এবং ১৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ও ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরা হকের কাছে তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।

একই আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনুও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এ ছাড়া ফেনী-২ আসনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়নপত্র জমা দেন।

জানতে চাইলে আবদুল আউয়াল মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে। তবে নেত্রীর বিকল্প কেউ নেই, তাঁর অসুস্থতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, চেয়ারপারসন মাঠে না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া এই আসন থেকে বিপুল ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি খালেদা জিয়াকে সহযোগিতার জন্য কাজ করব।’

উল্লেখ্য, ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৪৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ১৩ জন, ফেনী-২ আসনে ১৬ জন ও ফেনী-৩ আসনে ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা, স্বাক্ষরের স্থলে আঙুলের ছাপ

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা তিনটার দিকে দলীয় প্রধানের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদারের (লালু) নেতৃত্বে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কাছে এই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। তবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে মনোনয়নপত্রে তাঁর স্বাক্ষরের বদলে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বেলা দেড়টার দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।

তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ সময় জেলা বিএনপি ও সদর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জানান তালুকদার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি ইশারা-ইঙ্গিতে যোগাযোগ করছেন। মনোনয়নপত্রে খালেদা জিয়া স্বাক্ষরের বদলে তাঁর আঙুলের ছাপ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) ও তারেক রহমান বগুড়া-৭ (সদর) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত