জাহিদ হাসান, যশোর

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জাহিদ হাসান, যশোর

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব বায়োজীদ বোস্তামী জ্বীমসহ ৬ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রোববার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মো. শাহ জাহান নামের রোমগামী এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের চেকইন রো-ডি থেকে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব ইউরো উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক)।
১৯ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ সদরের কাশিয়াহাটা এলাকার আবাদি জমির পাশের কলাবাগান থেকে চোখ উপড়ানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
৪২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ ও ভাঙ্গাবাড়ী এলাকার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪৩ মিনিট আগেগাইবান্ধা প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব বায়োজীদ বোস্তামী জ্বীমসহ ৬ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রোববার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশ দেওয়া অপর চার নেতা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, শাকিল শেখ, সংগঠক অতনু সাহা ও মেহজাবিন জ্বীম।
প্রত্যেককে একই অভিযোগের কথা উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘৫ ডিসেম্বর আপনার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের কমিটিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে; যা অত্যন্ত গুরুতর এবং একই সঙ্গে জনপরিসরে সংগঠনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার ব্যাখ্যা এবং আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দপ্তরের মারফত সভাপতি রিফাত রশিদ বরাবর উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল শেখ বলেন, ‘আমি ৫ ডিসেম্বরের আগে থেকে ঢাকায় আছি। আমাকেও শোকজ করেছে এবং কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে আমাকে ডেকেছে।’
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শোকজ দিয়েছে; যা গণ-অভ্যুত্থানকে অসম্মান করার শামিল।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব বায়োজীদ বোস্তামী জ্বীমসহ ৬ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রোববার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশ দেওয়া অপর চার নেতা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, শাকিল শেখ, সংগঠক অতনু সাহা ও মেহজাবিন জ্বীম।
প্রত্যেককে একই অভিযোগের কথা উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘৫ ডিসেম্বর আপনার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের কমিটিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে; যা অত্যন্ত গুরুতর এবং একই সঙ্গে জনপরিসরে সংগঠনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার ব্যাখ্যা এবং আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দপ্তরের মারফত সভাপতি রিফাত রশিদ বরাবর উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল শেখ বলেন, ‘আমি ৫ ডিসেম্বরের আগে থেকে ঢাকায় আছি। আমাকেও শোকজ করেছে এবং কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে আমাকে ডেকেছে।’
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শোকজ দিয়েছে; যা গণ-অভ্যুত্থানকে অসম্মান করার শামিল।’

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মো. শাহ জাহান নামের রোমগামী এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের চেকইন রো-ডি থেকে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব ইউরো উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক)।
১৯ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ সদরের কাশিয়াহাটা এলাকার আবাদি জমির পাশের কলাবাগান থেকে চোখ উপড়ানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
৪২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ ও ভাঙ্গাবাড়ী এলাকার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক ও উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মো. শাহ জাহান নামের রোমগামী এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের চেকিং রো-ডি থেকে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব ইউরো উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক)।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাউসার মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাউসার মাহমুদ জানান, আজ সকালে অ্যাভসেক সদস্য নিরাপত্তা তল্লাশি চালিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের (বিজি-৩৫৫) রোমগামী ফ্লাইটের বহির্গামী যাত্রীর লাগেজে লুকায়িত অবস্থায় ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। পরে বিষয়টি বিমানবন্দর কাস্টমসকে জানানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় বলেও জানান তিনি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মো. শাহ জাহান নামের রোমগামী এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের চেকিং রো-ডি থেকে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব ইউরো উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক)।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাউসার মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাউসার মাহমুদ জানান, আজ সকালে অ্যাভসেক সদস্য নিরাপত্তা তল্লাশি চালিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের (বিজি-৩৫৫) রোমগামী ফ্লাইটের বহির্গামী যাত্রীর লাগেজে লুকায়িত অবস্থায় ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। পরে বিষয়টি বিমানবন্দর কাস্টমসকে জানানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় বলেও জানান তিনি।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব বায়োজীদ বোস্তামী জ্বীমসহ ৬ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রোববার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ সদরের কাশিয়াহাটা এলাকার আবাদি জমির পাশের কলাবাগান থেকে চোখ উপড়ানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
৪২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ ও ভাঙ্গাবাড়ী এলাকার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ সদরের কাশিয়াহাটা এলাকার আবাদি জমির পাশের কলাবাগান থেকে চোখ উপড়ানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবাদি জমির পাশের কলাবাগানে ওই নারীর মরদেহ পড়ে ছিল। মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। ওই নারীর চোখ উপড়ানো অবস্থায় গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাজরান রউফ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও পিবিআই যৌথভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।

সিরাজগঞ্জ সদরের কাশিয়াহাটা এলাকার আবাদি জমির পাশের কলাবাগান থেকে চোখ উপড়ানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবাদি জমির পাশের কলাবাগানে ওই নারীর মরদেহ পড়ে ছিল। মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। ওই নারীর চোখ উপড়ানো অবস্থায় গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাজরান রউফ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও পিবিআই যৌথভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব বায়োজীদ বোস্তামী জ্বীমসহ ৬ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রোববার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মো. শাহ জাহান নামের রোমগামী এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের চেকইন রো-ডি থেকে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব ইউরো উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক)।
১৯ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ ও ভাঙ্গাবাড়ী এলাকার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ ও ভাঙ্গাবাড়ী এলাকার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শনিবার রাতে প্রথম দফায় সংঘর্ষ হয়।
পরে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে কাঠেরপুল বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ওই এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েকটি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
ওমর ফারুক নামের এক পথচারী বলেন, ‘শত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে আসলে এই মারামারি হয়। শুনেছি মারামারিতে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে।’
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বলেন, মারামারির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ ও ভাঙ্গাবাড়ী এলাকার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শনিবার রাতে প্রথম দফায় সংঘর্ষ হয়।
পরে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে কাঠেরপুল বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ওই এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েকটি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
ওমর ফারুক নামের এক পথচারী বলেন, ‘শত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে আসলে এই মারামারি হয়। শুনেছি মারামারিতে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে।’
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বলেন, মারামারির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব বায়োজীদ বোস্তামী জ্বীমসহ ৬ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রোববার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মো. শাহ জাহান নামের রোমগামী এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের চেকইন রো-ডি থেকে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব ইউরো উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক)।
১৯ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ সদরের কাশিয়াহাটা এলাকার আবাদি জমির পাশের কলাবাগান থেকে চোখ উপড়ানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
৪২ মিনিট আগে