খুলনা প্রতিনিধি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা টানা দুই রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করেছেন। এর আগে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ব্রিফিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীদের একজন ঘোষণাপত্র পাঠ করে শোনান। তবে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা নাম-পরিচয় জানাতে অপারগতা জানান। এতে বলা হয়, যেহেতু ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, যেহেতু ভিসি ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন, যেহেতু ভিসি ইন্টারনেট, পানি অফ করে হল থেকে ছাত্রদের বের করে দিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন, সেহেতু তাঁরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করেছেন।
এই ভিসিকে অপসারণ তাঁদের একমাত্র দাবি। একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ঘোষণাপত্র পাঠের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার ঘোষণা দেন। এরপরই শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে খানজাহান আলী হলের দিকে যান। সেখানকার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ফেলা হয়। এরপর তাঁরা অন্য হলেরও তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করে ‘মেক কুয়েট, ফ্রি অ্যাগেইন’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। হল খুলে দেওয়ার দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তাঁরা প্রশাসনের কাছে বহিষ্কার হওয়া ৩৭ শিক্ষার্থীর সবার নাম প্রকাশ করার দাবি জানান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়। আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে বিচারের নামে নাটক করে দুই মাস পর কুয়েটের ৪২ জন প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
‘এরপর গতকাল সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তে বহিষ্কারের নামে নাটক করে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদেরই বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এসব নাটক আর সহ্য করা হবে না। আমাদের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে। আজ তিন দিন ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে মশার কামড় খেয়ে কষ্ট সহ্য করছি।’
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার, আগামী ২ মে আবাসিক হল ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তাৎক্ষণিক এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। দুই দিন ধরে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁদের দাবি ছিল, গতকাল রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাঁদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি।
তারা আরও বলেন, খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাঁদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাঁদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।
রাত সোয়া ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সব আবাসিক হল আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা টানা দুই রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করেছেন। এর আগে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ব্রিফিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীদের একজন ঘোষণাপত্র পাঠ করে শোনান। তবে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা নাম-পরিচয় জানাতে অপারগতা জানান। এতে বলা হয়, যেহেতু ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, যেহেতু ভিসি ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন, যেহেতু ভিসি ইন্টারনেট, পানি অফ করে হল থেকে ছাত্রদের বের করে দিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন, সেহেতু তাঁরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করেছেন।
এই ভিসিকে অপসারণ তাঁদের একমাত্র দাবি। একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ঘোষণাপত্র পাঠের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার ঘোষণা দেন। এরপরই শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে খানজাহান আলী হলের দিকে যান। সেখানকার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ফেলা হয়। এরপর তাঁরা অন্য হলেরও তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করে ‘মেক কুয়েট, ফ্রি অ্যাগেইন’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। হল খুলে দেওয়ার দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তাঁরা প্রশাসনের কাছে বহিষ্কার হওয়া ৩৭ শিক্ষার্থীর সবার নাম প্রকাশ করার দাবি জানান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়। আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে বিচারের নামে নাটক করে দুই মাস পর কুয়েটের ৪২ জন প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
‘এরপর গতকাল সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তে বহিষ্কারের নামে নাটক করে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদেরই বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এসব নাটক আর সহ্য করা হবে না। আমাদের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে। আজ তিন দিন ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে মশার কামড় খেয়ে কষ্ট সহ্য করছি।’
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার, আগামী ২ মে আবাসিক হল ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তাৎক্ষণিক এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। দুই দিন ধরে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁদের দাবি ছিল, গতকাল রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাঁদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি।
তারা আরও বলেন, খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাঁদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাঁদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।
রাত সোয়া ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সব আবাসিক হল আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
খুলনা প্রতিনিধি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা টানা দুই রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করেছেন। এর আগে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ব্রিফিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীদের একজন ঘোষণাপত্র পাঠ করে শোনান। তবে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা নাম-পরিচয় জানাতে অপারগতা জানান। এতে বলা হয়, যেহেতু ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, যেহেতু ভিসি ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন, যেহেতু ভিসি ইন্টারনেট, পানি অফ করে হল থেকে ছাত্রদের বের করে দিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন, সেহেতু তাঁরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করেছেন।
এই ভিসিকে অপসারণ তাঁদের একমাত্র দাবি। একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ঘোষণাপত্র পাঠের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার ঘোষণা দেন। এরপরই শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে খানজাহান আলী হলের দিকে যান। সেখানকার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ফেলা হয়। এরপর তাঁরা অন্য হলেরও তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করে ‘মেক কুয়েট, ফ্রি অ্যাগেইন’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। হল খুলে দেওয়ার দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তাঁরা প্রশাসনের কাছে বহিষ্কার হওয়া ৩৭ শিক্ষার্থীর সবার নাম প্রকাশ করার দাবি জানান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়। আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে বিচারের নামে নাটক করে দুই মাস পর কুয়েটের ৪২ জন প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
‘এরপর গতকাল সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তে বহিষ্কারের নামে নাটক করে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদেরই বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এসব নাটক আর সহ্য করা হবে না। আমাদের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে। আজ তিন দিন ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে মশার কামড় খেয়ে কষ্ট সহ্য করছি।’
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার, আগামী ২ মে আবাসিক হল ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তাৎক্ষণিক এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। দুই দিন ধরে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁদের দাবি ছিল, গতকাল রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাঁদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি।
তারা আরও বলেন, খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাঁদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাঁদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।
রাত সোয়া ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সব আবাসিক হল আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা টানা দুই রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করেছেন। এর আগে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ব্রিফিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীদের একজন ঘোষণাপত্র পাঠ করে শোনান। তবে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা নাম-পরিচয় জানাতে অপারগতা জানান। এতে বলা হয়, যেহেতু ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, যেহেতু ভিসি ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন, যেহেতু ভিসি ইন্টারনেট, পানি অফ করে হল থেকে ছাত্রদের বের করে দিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন, সেহেতু তাঁরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করেছেন।
এই ভিসিকে অপসারণ তাঁদের একমাত্র দাবি। একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ঘোষণাপত্র পাঠের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার ঘোষণা দেন। এরপরই শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে খানজাহান আলী হলের দিকে যান। সেখানকার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ফেলা হয়। এরপর তাঁরা অন্য হলেরও তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করে ‘মেক কুয়েট, ফ্রি অ্যাগেইন’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। হল খুলে দেওয়ার দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তাঁরা প্রশাসনের কাছে বহিষ্কার হওয়া ৩৭ শিক্ষার্থীর সবার নাম প্রকাশ করার দাবি জানান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়। আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে বিচারের নামে নাটক করে দুই মাস পর কুয়েটের ৪২ জন প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
‘এরপর গতকাল সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তে বহিষ্কারের নামে নাটক করে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদেরই বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এসব নাটক আর সহ্য করা হবে না। আমাদের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে। আজ তিন দিন ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে মশার কামড় খেয়ে কষ্ট সহ্য করছি।’
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার, আগামী ২ মে আবাসিক হল ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তাৎক্ষণিক এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। দুই দিন ধরে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁদের দাবি ছিল, গতকাল রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাঁদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি।
তারা আরও বলেন, খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাঁদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাঁদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।
রাত সোয়া ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সব আবাসিক হল আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামগড় পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বলিটিলা মসজিদের সামনের একটি পাহাড়, একই ওয়ার্ডের পাশে আরেকটি এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি পাহাড় সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। রাতে রাতে কেটে এসব পাহাড়ের মাটি গাড়িতে করে নিয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে রামগড় স্থলবন্দরের প্রায় ১০ একর জমি ভরাট করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে পাহাড় গায়েব হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, বন্দরের জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড়ি লাল মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বালুর তুলনায় পাহাড়ি মাটির কমপ্যাকশন (ঘনত্ব) অনেক কম হয়। ফলে কিছুদিন পরই জমি দেবে যাওয়া বা ফাটল ধরার আশঙ্কা থাকে। এতে পুরো অবকাঠামোর মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্থলবন্দর প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে রামগড়ের মহামুনি এলাকায় অধিগ্রহণ করা ১০ একর জমিতে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি), কাস্টমস অফিস, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, পোর্ট বিল্ডিং, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড ও আবাসিক ভবন নির্মাণে ১৬১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমে মনিকো লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি কাজ শুরু হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বাধা দেয়। এক বছরের বেশি সময় কাজ বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়।
পরে ভারতীয় পক্ষের সম্মতির পর প্রকল্প আবার চালু হলে এমএসসিএল অ্যান্ড এমএসডিবিএল জেবি ও মনিকো লিমিটেডকে নতুন করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মনিকো লিমিটেড বন্দরের ১০ একর জমি ভরাটসহ ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড, রিটেইনিং ওয়াল, বাউন্ডারি ওয়াল ও দুটি ওয়েব্রিজ স্কেল নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকার কাজ পায়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রায় ২২ ফুট উচ্চতায় বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড় কেটে আনা মাটি দিয়েই পুরো এলাকা ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিকো লিমিটেডের স্থানীয় ব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি দাবি করেন, সহনীয় মাত্রার বালু এই পাহাড়ি মাটিতে রয়েছে।
বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় মান খারাপ হবে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় উপঠিকাদার মাটি সরবরাহ করেছেন। তাঁরা কোথা থেকে আনছেন, তা আমাদের জানার বিষয় নয়।’
পাহাড় কাটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামগড় পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকা। মৃত হোসেন আহম্মদের বাড়িসংলগ্ন পাহাড়টি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড় কেটে নেওয়ায় ভূমিধস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। এর পাশে ২০০৪ সালে পাহাড় ধসে মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে হানিফ, স্ত্রী ও মেয়ে একই পরিবারের ৩ জন মারা যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, দ্রুততার সঙ্গে বন্দরের ইয়ার্ডের কাজ শেষ করা হচ্ছে। সিসি ঢালাই করে পাহাড়ের লাল মাটি তলিয়ে ফেলা হচ্ছে।
পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কিছুদিন আগে আমি রামগড়ে যোগদান করেছি। তবে পাহাড় কাটার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা করা হয়েছে।’
২০১০ সালে রামগড়কে স্থলবন্দর ঘোষণা করে সরকার। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। এর ধারাবাহিকতায় রামগড় বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২১ সালে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বন্দরের সম্ভাবনা আরও বাড়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় পণ্য পৌঁছাবে ত্রিপুরার সাব্রুমে। ইমিগ্রেশন চালু হলে যাত্রী পারাপার ও চিকিৎসা-ভ্রমণও সহজ হবে।
রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সামসুল আলম বলেন, ‘আমি এ প্রকল্পে নতুন যোগদান করেছি। সবকিছু আমার জানা নেই। তবে সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
চেষ্টা করেও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামগড় পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বলিটিলা মসজিদের সামনের একটি পাহাড়, একই ওয়ার্ডের পাশে আরেকটি এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি পাহাড় সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। রাতে রাতে কেটে এসব পাহাড়ের মাটি গাড়িতে করে নিয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে রামগড় স্থলবন্দরের প্রায় ১০ একর জমি ভরাট করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে পাহাড় গায়েব হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, বন্দরের জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড়ি লাল মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বালুর তুলনায় পাহাড়ি মাটির কমপ্যাকশন (ঘনত্ব) অনেক কম হয়। ফলে কিছুদিন পরই জমি দেবে যাওয়া বা ফাটল ধরার আশঙ্কা থাকে। এতে পুরো অবকাঠামোর মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্থলবন্দর প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে রামগড়ের মহামুনি এলাকায় অধিগ্রহণ করা ১০ একর জমিতে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি), কাস্টমস অফিস, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, পোর্ট বিল্ডিং, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড ও আবাসিক ভবন নির্মাণে ১৬১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমে মনিকো লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি কাজ শুরু হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বাধা দেয়। এক বছরের বেশি সময় কাজ বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়।
পরে ভারতীয় পক্ষের সম্মতির পর প্রকল্প আবার চালু হলে এমএসসিএল অ্যান্ড এমএসডিবিএল জেবি ও মনিকো লিমিটেডকে নতুন করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মনিকো লিমিটেড বন্দরের ১০ একর জমি ভরাটসহ ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড, রিটেইনিং ওয়াল, বাউন্ডারি ওয়াল ও দুটি ওয়েব্রিজ স্কেল নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকার কাজ পায়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রায় ২২ ফুট উচ্চতায় বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড় কেটে আনা মাটি দিয়েই পুরো এলাকা ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিকো লিমিটেডের স্থানীয় ব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি দাবি করেন, সহনীয় মাত্রার বালু এই পাহাড়ি মাটিতে রয়েছে।
বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় মান খারাপ হবে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় উপঠিকাদার মাটি সরবরাহ করেছেন। তাঁরা কোথা থেকে আনছেন, তা আমাদের জানার বিষয় নয়।’
পাহাড় কাটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামগড় পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকা। মৃত হোসেন আহম্মদের বাড়িসংলগ্ন পাহাড়টি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড় কেটে নেওয়ায় ভূমিধস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। এর পাশে ২০০৪ সালে পাহাড় ধসে মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে হানিফ, স্ত্রী ও মেয়ে একই পরিবারের ৩ জন মারা যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, দ্রুততার সঙ্গে বন্দরের ইয়ার্ডের কাজ শেষ করা হচ্ছে। সিসি ঢালাই করে পাহাড়ের লাল মাটি তলিয়ে ফেলা হচ্ছে।
পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কিছুদিন আগে আমি রামগড়ে যোগদান করেছি। তবে পাহাড় কাটার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা করা হয়েছে।’
২০১০ সালে রামগড়কে স্থলবন্দর ঘোষণা করে সরকার। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। এর ধারাবাহিকতায় রামগড় বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২১ সালে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বন্দরের সম্ভাবনা আরও বাড়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় পণ্য পৌঁছাবে ত্রিপুরার সাব্রুমে। ইমিগ্রেশন চালু হলে যাত্রী পারাপার ও চিকিৎসা-ভ্রমণও সহজ হবে।
রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সামসুল আলম বলেন, ‘আমি এ প্রকল্পে নতুন যোগদান করেছি। সবকিছু আমার জানা নেই। তবে সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
চেষ্টা করেও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা টানা দুই রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করেছেন। এর আগে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ব্রিফিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের...
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় জামায়াত-সমর্থিত বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. কামাল হোসাইন অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জামায়াত-সমর্থিত কর্মীদের তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার সময় জামায়াতের কর্মী মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহি গুরুতর আহত হন। তাঁদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস খান কমান্ডার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি নৌবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউই কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় জামায়াত-সমর্থিত বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. কামাল হোসাইন অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জামায়াত-সমর্থিত কর্মীদের তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার সময় জামায়াতের কর্মী মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহি গুরুতর আহত হন। তাঁদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস খান কমান্ডার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি নৌবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউই কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা টানা দুই রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করেছেন। এর আগে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ব্রিফিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের...
১৫ এপ্রিল ২০২৫
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন।
ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে ভালুকা উপজেলার নিশিন্দা বিএসবি কারখানাসংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও মশাল মিছিলের প্রস্তুতির খবর পায় পুলিশ। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এজাহারে নাম থাকা ৪৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে মশাল মিছিল করে উসকানিমূলক স্লোগান দেয় এবং এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন।
ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে ভালুকা উপজেলার নিশিন্দা বিএসবি কারখানাসংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও মশাল মিছিলের প্রস্তুতির খবর পায় পুলিশ। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এজাহারে নাম থাকা ৪৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে মশাল মিছিল করে উসকানিমূলক স্লোগান দেয় এবং এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা টানা দুই রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করেছেন। এর আগে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ব্রিফিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের...
১৫ এপ্রিল ২০২৫
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এই বিবৃতি পোস্ট করা হয়।
কমরেড বদরুদ্দীন উমরের বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উদ্ধৃত করে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুফতি আমির হামজা সাংবাদিকদের বক্তব্য দেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন। তাঁর লিখিত বইয়ে আমরা পড়েছি—মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব কল্পকাহিনী লেখা, এগুলো ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ মিথ্যা। জামায়াত ইসলামী ওই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তারা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এখন আমরা এটা জেনেছি। এত দিন আমাদের এই সত্য জানতে দেওয়া হয়নি।’
এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে ফয়জুল হাকিম বলেছেন, ১৯৭১ সালে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন সামরিক শাসনের অধীনস্থ মালেক মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ছিল জামায়াতে ইসলামী। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিল—পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালিনিধন ও গণহত্যার প্রধান সহযোগী হওয়া; সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া।
অন্য দিকে ১৯৭১-এ পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী ও তার এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার-আলবদর-আলশামসের বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে সশস্ত্র স্বাধীনতাসংগ্রাম ও জনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পূর্ব বাংলার মুক্তিকামী জনগণ, ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তা ও সেনারা, আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট বিপ্লবী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গ্রুপের সদস্য-সমর্থকেরা।
বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম বলেন, ২০২৪-এ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদ করেছে। একই সঙ্গে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগের মিথ্যা বয়ান উচ্ছেদ হতে চলেছে। এই সুযোগে জামায়াতে ইসলামী দেশের নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেদের অতীত গণবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা, বিশেষত ১৯৭১-এর গণহত্যায় সহযোগী ভূমিকাকে আড়াল করতে মাঠে নেমেছে।
বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের ভূমিকা, গোপন বিপ্লবী ও সংসদীয় কমিউনিস্ট পার্টিসমূহের ভূমিকা, তৎকালীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা প্রভৃতি নিয়ে কমিউনিস্ট বিপ্লবী ও ইতিহাসবিদ বদরুদ্দীন উমর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমালোচনা করেছেন। সাম্প্রতিককালে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে রচিত ‘ইতিহাস’ সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করে উমর বলেছেন যে—এর ৯০ ভাগই মিথ্যা।
বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক বলেন, ‘কমরেড বদরুদ্দীন উমরের এই বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উদ্ধৃত করে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা যে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। জনগণকে ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কথা বলে মুফতি আমির হামজা মূলত জামায়াতে ইসলামীর অতীত গণবিরোধী ভূমিকা জনগণের কাছে আড়াল করতে চাইছেন। এ হচ্ছে প্রকৃতই অসৎ ও মিথ্যাবাদী লোকের বৈশিষ্ট্য।’
এ বিষয়ে জানার জন্য মুফতি আমির হামজার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এই বিবৃতি পোস্ট করা হয়।
কমরেড বদরুদ্দীন উমরের বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উদ্ধৃত করে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুফতি আমির হামজা সাংবাদিকদের বক্তব্য দেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন। তাঁর লিখিত বইয়ে আমরা পড়েছি—মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব কল্পকাহিনী লেখা, এগুলো ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ মিথ্যা। জামায়াত ইসলামী ওই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তারা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এখন আমরা এটা জেনেছি। এত দিন আমাদের এই সত্য জানতে দেওয়া হয়নি।’
এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে ফয়জুল হাকিম বলেছেন, ১৯৭১ সালে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন সামরিক শাসনের অধীনস্থ মালেক মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ছিল জামায়াতে ইসলামী। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিল—পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালিনিধন ও গণহত্যার প্রধান সহযোগী হওয়া; সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া।
অন্য দিকে ১৯৭১-এ পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী ও তার এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার-আলবদর-আলশামসের বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে সশস্ত্র স্বাধীনতাসংগ্রাম ও জনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পূর্ব বাংলার মুক্তিকামী জনগণ, ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তা ও সেনারা, আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট বিপ্লবী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গ্রুপের সদস্য-সমর্থকেরা।
বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম বলেন, ২০২৪-এ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদ করেছে। একই সঙ্গে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগের মিথ্যা বয়ান উচ্ছেদ হতে চলেছে। এই সুযোগে জামায়াতে ইসলামী দেশের নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেদের অতীত গণবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা, বিশেষত ১৯৭১-এর গণহত্যায় সহযোগী ভূমিকাকে আড়াল করতে মাঠে নেমেছে।
বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের ভূমিকা, গোপন বিপ্লবী ও সংসদীয় কমিউনিস্ট পার্টিসমূহের ভূমিকা, তৎকালীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা প্রভৃতি নিয়ে কমিউনিস্ট বিপ্লবী ও ইতিহাসবিদ বদরুদ্দীন উমর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমালোচনা করেছেন। সাম্প্রতিককালে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে রচিত ‘ইতিহাস’ সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করে উমর বলেছেন যে—এর ৯০ ভাগই মিথ্যা।
বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক বলেন, ‘কমরেড বদরুদ্দীন উমরের এই বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উদ্ধৃত করে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা যে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। জনগণকে ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কথা বলে মুফতি আমির হামজা মূলত জামায়াতে ইসলামীর অতীত গণবিরোধী ভূমিকা জনগণের কাছে আড়াল করতে চাইছেন। এ হচ্ছে প্রকৃতই অসৎ ও মিথ্যাবাদী লোকের বৈশিষ্ট্য।’
এ বিষয়ে জানার জন্য মুফতি আমির হামজার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা টানা দুই রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করেছেন। এর আগে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ব্রিফিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের...
১৫ এপ্রিল ২০২৫
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভোলায় জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আবুল বাশার ও আশিক ইলাহিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মামলা হয়েছে। ভালুকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তাহের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে