Ajker Patrika

পঞ্চম শ্রেণির শিশুকে শিক্ষিকার থাপ্পড়, কানের পর্দা ফেটেছে ধারণা চিকিৎসকের

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
পঞ্চম শ্রেণির শিশুকে শিক্ষিকার থাপ্পড়, কানের পর্দা ফেটেছে ধারণা চিকিৎসকের

যশোরের চৌগাছায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এতে ওই শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফেটে গেছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক। এ দিকে অভিযোগের বিদ্যালয়ে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে আরও কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে পেয়েছেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।

এ ঘটনা ঘটেছে যশোরের চৌগাছা উপজেলার বহিলাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ভুক্তভোগী ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা. পান্না খাতুন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন—ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন। এ ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার মা।

আজ মঙ্গলবার ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেছেন—উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হায়দার আলী। তাঁরা এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে একটি থাপ্পড় মেরেছিলেন বলে লিখিতভাবে তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

গত রোববার বিদ্যালয় চলাকালীন এ ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীকে তার মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। গতকাল সোমবার রাতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা মোবাইল ফোনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে বিচার চেয়ে অভিযোগ করেন বলে জানা যায়। 

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর মা যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যশোরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন।

তদন্তে বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগে জানায়, বিদ্যালয়ের দুজন সহকারী শিক্ষক আসলাম হোসেন ও নারগিস পারভীন প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীদের কারণে-অকারণে মারধর করেন। সেই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকসহ দুই সহকারী শিক্ষক অশ্লীল ভাষায় শিক্ষার্থীদের গালিগালাজও করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—সহকারী শিক্ষক আসলাম হোসেন প্রতিনিয়তই তাদের মারপিট করেন এবং পানি মুখে নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির মেয়ে শিক্ষার্থীদের গায়ে কুলি করেন। এসব বিষয়ে তারা প্রধান শিক্ষককের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পায়নি। উল্টো প্রধান শিক্ষকও তাদের অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করেন।

লিখিত অভিযোগের বিবরণী থেকে জানা যায়, গত রোববার দুপুরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। তিনি যখন অফিসে বসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন ভুক্তভোগী পান্নাকে একটি ঝাটা এনে দিতে বলেন এবং আরেক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের সিঁড়ি ঘর ঝাড়ু দিতে বলেন। তবে পান্না ঝাটা নিয়ে গিয়ে সেখানে রাখলেও অন্য শিক্ষার্থীটি সিঁড়ি ঘর ঝাড়ু দেয়নি। এর কিছুক্ষণ পর শিক্ষক নার্গিস পারভীন পান্নাকে ডেকে বলেন—‘ঝাড়ু দিসনি কেন? ঝাটা দিয়ে তোর মুখ ভেঙে দেব।’ এ সময় শিক্ষার্থী পান্না প্রত্যুত্তরে বলে—‘আপনি কি আমার মুখ বানিয়ে দিয়েছেন? ঝাটা দিয়ে ভেঙে দেবেন?’ এমন প্রত্যুত্তরে শিক্ষক নার্গিস রেগে গিয়ে পান্নার বাম কানে তিনটি থাপ্পড় দেন। এরপর সে কান্নাকাটি করলে নার্গিস পারভীন আরও কয়েকটি থাপ্পড় দিয়ে বলেন—‘লাগেনি! অভিনয় করছে।’ এ ঘটনা ভুক্তভোগী বাড়িতে গিয়ে কাউকে না বললেও পরদিন সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার গায়ে জ্বর এসে যায় এবং কানে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে তার মাকে জানায়। এ সময় কারণ জানতে চাইলে ভুক্তভোগী তার মাকে বিস্তারিত খুলে বলে। পরে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং কানের পাতলা পর্দা ফেটে থাকতে পারে বলে জানান। এরপরই ভুক্তভোগী ও তার মা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আকিব বলেন, ‘মেয়েটি কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কানের মধ্যে পানি জমে রয়েছে। ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শুকানোর পর ভালোভাবে বোঝা যাবে। পর্দা ফেটে গেলে অপারেশন করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তাৎক্ষণিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট কমপ্লিট করছি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তিনি নির্দেশ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা ইউআরসি ইনসট্রাক্টরকে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকবে ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে চুক্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিস

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর আশপাশ এলাকায় অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরে একটি ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’ স্থাপন করা হবে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে জনবল, গাড়ি-পাম্প ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ মোতায়েন থাকবেন। এর ফলে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এইচআরডি-১ এর যুগ্ম পরিচালক মো. রিয়াদ ফারজান্দ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: মো. নিয়ামুল কবির, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. ফারুক হাওলাদার, পরিচালক (সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট) ; মো. জবদুল ইসলাম, পরিচালক (এইচআরডি-১)।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; মো. মামুনুর রশিদ, উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; কাজী নজমুজ্জামান, সহকারী পরিচালক।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানিয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে রাষ্ট্রীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত হলো। বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকা হিসেবে পরিচিত মতিঝিলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় এই স্যাটেলাইট স্টেশনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্ক, বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্ক, বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

কিশোরগঞ্জের ইটনায় মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় আলগাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব আলী (৬৮) সদর ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে আফজাল মিয়ার খামারে ১৩৫ কেজি ধরে মুরগি বিক্রি করা হবে, এমন ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। সেই খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আইয়ুব আলী মুরগি কিনতে খামারে যান। সকাল থেকেই সেখানে মানুষের ভিড় জমে।

এ সময় সিরিয়াল নিয়ে আইয়ুব আলীর সঙ্গে একই এলাকার মুজিবুর রহমানের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তর্কের একপর্যায়ে মুজিবুর রহমান ও তাঁর ছেলেরা আইয়ুব আলীর ওপর হামলা চালিয়ে কিল-ঘুষি ও মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আইয়ুব আলীকে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবারের সদস্য বাহার উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে মুজিবুর রহমানের ছেলে সাব্বিরসহ তিন-চারজন মিলে আইয়ুব আলীকে মারধর করে হত্যা করেছে।

ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. কাওসার আহমেদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আইয়ুব আলীর মৃত্যু হয়েছে।

ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় পুলিশের সোর্স সন্দেহে বাড়ি থেকে ডেকে যুবকের দুই হাতের কবজি কর্তন

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় পুলিশের সোর্স সন্দেহে বাড়ি থেকে ডেকে যুবকের দুই হাতের কবজি কর্তন

খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা থানার দারোগার ভিটায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত আক্তার হোসেন গল্লামারি এলাকার বাসিন্দা চাঁদ আলী মোল্লার ছেলে। বড় বাজার এলাকার একটি হোটেলে তিনি কাজ করেন। বর্তমানে আক্তার হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত আক্তার হোসেন বলেন, ‘সকালে বাড়িতে ছিলাম। ওই সময়ে ভাগনে শাহেদের বন্ধুরা আমাকে ডেকে বটিয়াঘাটা থানাধীন দারোগার ভিটায় নিয়ে যায়। সেখানে কিছু বুঝে ওঠার আগে চার-পাঁচজন লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার দুই হাতে কোপাতে থাকে। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

জানতে চাইলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অর্থোপেডিকস বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট বাপ্পা রাজ বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রোগীর বাঁ ও ডান হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বাঁ হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’

বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ রকম ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্বৃত্তরা আক্তার হোসেনের পূর্বপরিচিত। সকালে তাকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে ডেকে দারোগার ভিটা আলীনগরে একটি বিলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে চারজন উপস্থিত ছিল। সন্ত্রাসীদের ধারণা ছিল, আক্তার হোসেন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে এবং সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পুলিশের কাছে তথ্য প্রদান করে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশেষ ট্রেনের দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রেলপথ অবরোধ, ছেড়ে যায়নি লালমনি এক্সপ্রেস

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
আজ সকালে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় যেতে বিশেষ ট্রেনের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।

আজ সকালে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে তাঁরা ট্রেনটির ইঞ্জিনের সামনে শুয়ে পড়েন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। এ উপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানাতে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ১৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাট-ঢাকা রুটে একটি ভাড়াভিত্তিক বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ চেয়ে রেলভবনে আবেদন করে জেলা বিএনপি। তবে সোমবার রাতে রেলভবন থেকে জানানো হয়, বিশেষ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ সকালে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে লালমনি এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলা দেড়টা পর্যন্ত ট্রেনটি স্টেশনেই আটকে থাকে। এতে ঢাকাগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনিচ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিশেষ ট্রেন চেয়ে আবেদন করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের জন্য বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া না হবে, ততক্ষণ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।’

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার বলেন, রেলপথ অবরোধের কারণে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোর্শেদ আলম জানান, ট্রেনটি ছেড়ে যেতে না পারায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। অবরোধ না উঠলে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা কামালের সরকারি নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত