Ajker Patrika

পিয়ন দিয়ে চলে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়

আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, ০০: ২৪
লোকবল না থাকায় মনিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে চেয়ার-টেবিলগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
লোকবল না থাকায় মনিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে চেয়ার-টেবিলগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের মনিরামপুরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় চরম লোকবলসংকটে ভুগছে। এই দপ্তরে বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। পিয়ন এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দপ্তর খুলে বসে থাকেন। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় সরকারের এ দপ্তরে কোনো সেবা পাচ্ছেন না মাছচাষিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য দপ্তরে জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, ক্ষেত্র সহকারী, অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কের পাঁচটি পদ রয়েছে। দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান রেজা এক মাস আগে বদলি হয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় যোগদান করেছেন। এরপর নতুন কাউকে এখানে পদায়ন করা হয়নি। পাশের অভয়নগর উপজেলার জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল হককে মনিরামপুরে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কাজ ছাড়া তিনি মনিরামপুরে আসেন না। এই দপ্তরে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও ক্ষেত্র সহকারীর পদ খালি রয়েছে প্রায় দুই বছর। আর অফিস সহকারী নেই ৮-৯ মাস।

উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৪৪৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বৃহত্তর এই উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তিনটি নদ ও পাঁচটি বাঁওড় রয়েছে। ২৫টি খাল-বিলের পাশাপাশি এখানে ১১ হাজার ৬৪৩টি পুকুর ও ৪ হাজার ৮১০টি মাছের ঘের রয়েছে। যেখানে পাঙাশ, পাবদা, শিং, বিভিন্ন কার্পজাতীয় মাছের পাশাপাশি ২ হাজার ৫৮৫ ঘেরে গলদা ও ৭৫টি ঘেরে বাগদা চিংড়ির চাষ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার মৎস্যচাষি বছরে ৪৮ হাজার ৯৩ টন মাছ উৎপাদন করেন, যা স্থানীয় চাহিদার তুলনায় ৩৬ হাজার টন বেশি।

জানা গেছে, জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা না থাকায় মাছচাষিরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাচ্ছেন না। সেবা নিতে দপ্তরে এসে তাঁদের ফিরে যেতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময় নানা কারণে ঘেরে মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ঘের পরিদর্শন করে চাষিদের কার্যকর পরামর্শ দেন, যা ক্ষতির হাত থেকে চাষিদের রক্ষা করে।

নদী বা খালে বিভিন্ন সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা পাটা দিয়ে মাছ আটকে রেখে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেন। বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ মাছের খাদ্য বিক্রি হয়। অনেক ব্যবসায়ী দপ্তরের নিবন্ধন না নিয়ে মাছের খাদ্য বিক্রি করেন। মাছের ঘেরে মুরগির নিষিদ্ধ বিষ্ঠা ছড়ানো হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসব বিষয় উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের নিবৃত্ত করে থাকেন। মনিরামপুরে মৎস্য কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় এসব কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।

অফিস সহায়ক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ছাড়া দপ্তরে রাজস্ব খাতের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে কর্মরত নেই। একটি প্রকল্পে মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা পদে তহমিনা সিদ্দিকা ও আল-আমিন নামে তাঁর একজন সহকারী আছেন। তাঁদের প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শেষ হবে।’

নূরুল ইসলাম বলেন, ‘অভয়নগর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তাকে এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশেষ কাজ ছাড়া আসেন না। আমি সকালে এসে দপ্তর খুলে বসে থাকি। আর সময় শেষে বন্ধ করি। মাছচাষিরা সেবা নিতে এলে বলি, দপ্তরে পরামর্শ দেওয়ারও মতো কেউ নেই। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মৎস্য কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর দিয়ে তাঁর সঙ্গে মাছচাষিদের যোগাযোগ করতে বলি।’

নূরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রেজা স্যার যখন ছিলেন তখন আমি ছাড়া অন্য তিন পদও খালি ছিল। স্যারকে একা বাইরের কাজের পাশাপাশি অফিসের অন্য সব কাজ সামলাতে হতো।’

উপজেলার ভরতপুর গ্রামের মাছচাষি আখতারুজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘আমার পাঁচ বিঘা ঘেরে গলদা, পাবদা ও সাদা মাছের চাষ আছে। উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শে চাষ করছি। মনিরামপুরে বর্তমানে এই পদে কোনো কর্মকর্তার নিয়োগ নেই। অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি আছেন, মোবাইলে তাঁর পরামর্শ নিই। কিন্তু জরুরি মুহূর্তে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা মৎস্য কর্মকর্তার অভাব বোধ করছি।’

মনিরামপুরে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, ‘আমার মূল দায়িত্ব অভয়নগরে। বিশেষ কাজ থাকলে মনিরামপুরে যাই। মাছচাষিরা মোবাইলে যোগাযোগ করে পরামর্শ নেন।’

যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মনিরামপুরে লোকবল সংকটের কথা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। দ্রুত সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চৌদ্দগ্রামে ঘন কুয়াশায় দুই লরির সংঘর্ষ, চালক ও সহযোগী নিহত

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪২
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আজ ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে দুই লরির সংঘর্ষে চালক ও তাঁর সহযোগী (হেলপার) নিহত হয়েছেন। নিহত চালক আব্দুল জব্বার (৩১) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরকমলা গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে এবং হেলপার শাকিল (২২) নোয়াখালীর চরজব্বার থানার চর মহিউদ্দিন গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

চৌদ্দগ্রাম মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রামমুখী একটি লরিকে পেছনে থাকা আরেকটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের লরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুল জব্বার মারা যান। গুরুতর আহত হেলপার শাকিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরও মৃত্যু হয়।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, আহত হেলপারকে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই ফারুক হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানার ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশাজনিত কারণে আজ রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমনকারী একাধিক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বিলম্বে অবতরণ ও উড্ডয়ন করেছে। তবে এদিন কোনো ফ্লাইট ডাইভার্ট (অন্য স্থানে অবতরণ) করা হয়নি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ বলেন, আজ ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রানওয়ের দৃশ্যমান অবস্থা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বর্তমানে দৃশ্যমান অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় ফ্লাইট পরিচালনা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় সব ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভ্রমণের আগে নিজ নিজ ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদা না দেওয়ায় হাতিয়ায় ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মেহরাজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের এই ঘটনায় হাতিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় ইউনুছ মাঝিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ইউনুছ মাঝি ও তাঁর সহযোগীরা মেহরাজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সকালে মেহরাজ উদ্দিন তাঁর চাল ভাঙার মেশিনে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে মেহরাজ উদ্দিনের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ দেয়। এতে মাথার হাড় ও খুলি মারাত্মকভাবে জখম হয়। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ এস এম আরিফ বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের মাথার আঘাত খুবই গুরুতর। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেহরাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন ধরে ইউনুছ মাঝি, তাঁর ছেলে হাসান ও রাজু এবং পাশের এলাকার আয়াত হোসেন তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর আগেও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ও ভাতিজা সাকিব আলম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নুরনবী। বর্তমানে গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকতেন নাজমুল। তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি সুপারভাইজার ছিলেন তিনি।

সাকিব আলম আরও জানান, রাতে গ্রাম থেকে তাঁকে ফোনে জানানো হয়, নাজমুল উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ের জয়নাল মার্কেট নতুন গেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখতে পান। আহত অবস্থায় নাজমুলকে পথচারীরা সেখানে নিয়ে এসেছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

পথচারীদের বরাতে সাকিব আরও বলেন, হাউস বিল্ডিং এলাকার জয়নাল মার্কেটে নতুন গেট এলাকার রেললাইনে দুই দিক থেকে দুটি ট্রেন আসায় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাজমুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে তিনি সেখান দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন, কেউ তা বলতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত