Ajker Patrika

ভাঙা ব্রিজের ওপর বেইলি ব্রিজ, যেন ঝুঁকির ওপর দুর্ভোগ

প্রতিনিধি, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, ১৫: ৩১
ভাঙা ব্রিজের ওপর বেইলি ব্রিজ, যেন ঝুঁকির ওপর দুর্ভোগ

ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ভেড়ামারা-প্রাগপুর সড়ক। এই সড়কমুখে এক দিকে ভেড়ামারা শহরের প্রবেশপথ ওপারে চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন। মাঝখানে জিকে খাল। এর ওপর নির্মিত ভেড়ামারার ৩ নম্বর ব্রিজ; যা চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।

দীর্ঘদিন থেকে ব্রিজটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকার পর তার ওপর বেইলি ব্রিজ দেওয়া হলেও চলাচলে ব্যাপক জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এমনি ভাঙা ব্রিজ নিয়ে দুর্ভোগ তার ওপর বেইলি ব্রিজ দিয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা হয়েছে বলে জানান তাঁরা। প্রতিদিন ছোট-বড় শত শত ও ভারী যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ৩ নম্বর এই জিকে ব্রিজ দিয়ে। ব্রিজটিতে প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এর সঙ্গে লম্বা গাড়ির লাইনের ভোগান্তি নিত্যদিনের ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত এক দিক থেকে যখন গাড়ি পার হয়, তখন অপর পারে ব্রিজের ওপরই মালবোঝাই যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। সড়ক থেকে এমনিতে ব্রিজ অনেকটাই উঁচু, এরপর বেইলি ব্রিজ আরও খাড়া ও উঁচু। এ ছাড়া ব্রিজের দুই মুখে চার রাস্তার মোড় রয়েছে। এখানে উঠতে যানবাহনগুলো গতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে তিনটি রাস্তার আসা যান মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে জানান, চালক ও ভুক্তভোগীরা। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা তাঁদের।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যসূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জিকে (গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচপ্রকল্প) খালের ওপর নির্মিত ৩ নম্বর ব্রিজ। এ ব্রিজটি ১৯৬২ সালে নির্মাণ করা হয়। দৈর্ঘ্য ৬৩ দশমিক ৭৮৫ মিটার, প্রস্থ সাড়ে ১০ দশমিক ২৫ মিটার। মেয়াদ উত্তীর্ণ এই ব্রিজ পাঁচ বছর আগে এক অংশে ফাটল দেখা দেয়। সেই অংশটুকু জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়। এর এক বছর পর ব্রিজটির পূর্ব পারে ওই অংশে আবারও অনেক জায়গাজুড়ে কংক্রিট ভেঙে পড়ে। এরপর কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজের শুধু ভাঙা অংশটুকুর ওপর স্টিলের সরু বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়। সাময়িক সময়ের জন্য যান চলাচলের সুবিধার্থে এ ব্যবস্থা করলেও এখন পর্যন্ত এভাবেই রয়েছে ব্রিজটি।

ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহনজানা যায়, বিগত অর্থবছরগুলোয় প্রকল্প জমা দিলেও পাস হয়নি। চলতি অর্থবছরে জিকে ব্রিজ প্রকল্পটি আবারও জমা দেওয়া হয়। এবারও সড়ক অধিদপ্তরসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পটি জমা দেওয়া হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি যাচাই-বাছাইয়ে প্রথম তালিকা থেকে এবারও বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছে। কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোলাইমান মাস্টার বলেন, ভেড়ামারা শহরে দুটি পয়েন্ট যানজট সৃষ্টির কারণ। তার মধ্যে এই ব্রিজ একটি। এ কারণে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ও যানজট লেগেই থাকে।
ব্রিজের ওপর বেইলি ব্রিজ খুবই অপ্রশস্ত। সে কারণে যানবাহন পারাপারে ধীরগতি। অতিরিক্ত মালামাল বহনকারী যানবাহন যখন ব্রিজে ওঠে, তখন পুরো ব্রিজের কম্পনে দাঁড়িয়ে থাকতেই ভয় লাগে। 

ট্রাকচালক লিখন হোসেন বলেন, ‘ব্রিজে ওঠার সময় অতিরিক্ত কম্পন হয়। বেইলি ব্রিজে উঠতে গেলে মালবাহী গাড়ি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। একটু অসতর্ক হলেই নির্ঘাত বড় দুর্ঘটনা।’

কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের (১১১৮) সভাপতি মাহাবুল হাসান রানা বলেন, ব্রিজের ওপর স্টিলের বেইলি ব্রিজ এতই অপ্রশস্ত যে একটি গাড়ি ঠিকমতো পার হতে পারে না। একটি পার হলে অপরটি ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। 

ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আক্তারুজ্জামান মিঠু বলেন, ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের প্রয়োজন। ঝুঁকি নিয়ে আর কত দিন পার হবে যানবাহন। সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।

কুষ্টিয়া জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পিয়াস কুমার সেন বলেন, ‘এখনো ব্রিজটা নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। বিগত অর্থবছরে ব্রিজ উন্নয়ন প্রকল্পে চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু হয়নি। এ ছাড়া আরও কিছু প্রকল্পে জমা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে প্রকল্প আবারও জমা দিয়েছি, যতটুকু জানতে পেরেছি সম্ভবত পাস না হতে পারে।’

প্রকল্প জমা ও পাস না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রিজটির প্রকল্প খুলনা জোন হয়ে সড়ক বিভাগে জমা দিয়েছি। সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাইয়ে প্রথম লিস্টে (তালিকা) আপাতত নেই। তবে ফার্স্ট লিস্টে ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি কোনো রকম ফার্স্ট লিস্টে ঢোকাতে না পারি, তাহলে সেকেন্ড লিস্টে রাখতে পারি, সেভাবেই চেষ্টা চালাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ছয়জন গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহীন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা (৩২), আমিনুর ওরফে দর্জি আমিন (৫০) ও সাফিয়ার রহমান ফকিরকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে একই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিস্ফোরণের পর মাদ্রাসা ভবন থেকে বিপুল দাহ্য ও রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশসহ একাধিক সংস্থা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেনীতে খালেদা জিয়ার আসনে বিএনপির ৩ নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

ফেনী প্রতিনিধি
বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ফেনী-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া দলের আরও তিন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হাবীবুর রহমান নান্টু ও তাঁর ছেলে মজুমদার আরিফুর রহমান। তবে আরিফুর রহমান নিজেকে বিএনপি নেতা বলে দাবি করলেও তাঁর দলীয় পদ-পদবি জানা যায়নি।

রাজনৈতিক সচেতন মহলের মতে, সাধারণত কোনো দলের প্রধানের নিজ আসনে দলীয় প্রার্থী তাঁকে ঘিরেই চূড়ান্ত হয়ে যায়। সেখানে বিএনপি থেকে একই আসনে আরও তিনজন মনোনয়ন সংগ্রহকে দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ ও নেতৃত্বের মর্যাদা পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত বহন করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেনী-১ (ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম) আসনে ভোটের প্রচার-প্রচারণায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকের ভোট চাইতে দেখা গেছে রফিকুল আলম মজনুকে। তিনি ওই আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর সমন্বয়ক।

এ ছাড়া মজুমদার আরিফুর রহমানও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি আগে গণমাধ্যমকে জানিয়ে ছিলেন, নিজে নির্বাচন করবেন না, শুধু খালেদা জিয়ার জন্য ভোট চাইবেন। হঠাৎ করে তিনি ও তাঁর বাবা (হাবীবুর রহমান নান্টু) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে মজুমদার আরিফুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সভায় ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে কল করতে বলেন। আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হোসেন বলেন, ‘এই আসনে আমাদের প্রার্থী খালেদা জিয়া। যদি কোনো কারণে তিনি নির্বাচন না করেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের পছন্দ রফিকুল আলম মজনু। অন্য কেউ প্রার্থী হলে লাভ হবে না।’

এ বিষয়ে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারা মনোনয়ন নিয়েছেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে যেখানে ম্যাডাম নিজে মনোনয়ন নিয়েছেন, সেখানে অন্যদের মনোনয়ন নেওয়ার দুঃসাহস তাঁরা কেন দেখাচ্ছেন, সেটা বুঝে ওঠা কঠিন। আগামীকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তখন বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার হবে। কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে অবশ্যই দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় ধানের শীষের বিপক্ষে লড়বেন খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস মতিন

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
কুমিল্লা­-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে আজ রোববার সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা­-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে আজ রোববার সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিনের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে একই দিন বিকেলে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।

অবসরপ্রাপ্ত সচিব মতিন খান কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ার মতিন খান বলেন, ‘এই আসন থেকে কখনোই বহিরাগত কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেননি। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, বিএনপি থেকে হোমনা-তিতাস উপজেলার মধ্য থেকেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার। কিন্তু সেই দাবি উপেক্ষা করে আসনের বাইরের একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ফলে জনগণ ও দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চাপেই আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে।’

মতিন খান আরও বলেন, ‘জনগণ যদি আমাকে সেবা করার সুযোগ দেয়, আমি তাদের একজন সেবক হিসেবে কাজ করব। প্রয়াত এম কে আনোয়ারের (সাবেক মন্ত্রী) অসমাপ্ত উন্নয়নকাজগুলো বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব, ইনশা আল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুষ্ঠু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে: বদিউল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ রোববার গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ রোববার গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক হতে হবে। এসবের জন্য সুদূরপ্রসারী সংস্কার দরকার।’

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন। সুজনের চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিটি এই বৈঠকের আয়োজন করে।

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে কতগুলো বাধা আছে, সেসব বাধা দূর করা দরকার। দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক অঙ্গন, দুর্বৃত্তায়িত নির্বাচনী অঙ্গন, টাকার খেলা, সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে এ ক্ষেত্রে সোচ্চার ভূমিকা পালন করা কিংবা তাদের ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম হবে।

বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরিয়া, সুজন চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত