Ajker Patrika

এনামুলের বিশেষ প্যাকেজিং পদ্ধতিতে মাল্টার রং হচ্ছে হলুদ

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
এনামুলের বিশেষ প্যাকেজিং পদ্ধতিতে মাল্টার রং হচ্ছে হলুদ

পাহাড়ের সবুজ মাল্টায় প্রথম নতুন পদ্ধতি ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে হলুদ রঙে রূপান্তরিত করা হয়েছে। চমকপ্রদ এ খবরে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার সুখী এগ্রো ফার্ম পরিদর্শন করেছেন রাজধানীর খামারবাড়ির লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আবদুল কাইয়ুম মজুমদার।

সুখী এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. এনামুল হকের উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতির ভূয়সী প্রশংসা করে তা গবেষণায় নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। ফ্রুট ব্যাগিংয়ে সবুজ মাল্টায় হলুদ রং এনে বাজারজাত সময়োপযোগী ও ক্রেতাবান্ধব হওয়ায় কৃষিবিদদের প্রশংসায় ভূষিত হয়েছেন উদ্যোক্তা এনামুল হক।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৬০ হেক্টর টিলায় মাল্টা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ফলন হয়েছে ১৫ হেক্টরে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হেক্টরে সাড়ে ৭ মেট্রিক টন।

বাজারে হলুদ মাল্টায় ক্রেতার আকর্ষণ বেশি থাকায় সবুজ মাল্টার বাজারজাতে লোকসান গুনতে হয় চাষিদের। ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করা কষ্টদায়ক চাষিদের জন্য। পাহাড়ের সবুজ মাল্টার বাজারজাতে এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক এ সময়ে উপজেলার কুমারী বড়টিলা কাটাবন এলাকায় সুখী এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক এই বিপ্লব এনেছেন। তাঁর বাগানের ৫০০ মাল্টা গাছের মধ্যে পরিপক্ব ৫০০ সবুজ মাল্টায় পরীক্ষামূলক ফ্রুট ব্যাগিং করে হলুদ রং ধারণে সফল হয়েছেন। এতে করে ফ্রুট ব্যাগিংয়ে হলুদ রঙের মাল্টার চাহিদা বেড়েছে।

শুধু তাই নয়, সবুজ মাল্টার কেজি যেখানে ৫০-৫৫ টাকা। হলুদ রং হওয়ায় কেজি এখন ২০০ টাকা। এই খবর ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পর কৃষিবিদদের নজরে পড়েছে। পরে গতকাল সোমবার সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন কৃষি বিভাগের উপপ্রকল্প পরিচালক আবদুল কাইয়ুম মজুমদার, অতিরিক্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হক ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ মাহফুযুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ ছিলেন।

মানিকছড়িতে মাল্টাবাগান পরিদর্শন করেছেন কৃষিবিদ মো. আবদুল কাইয়ুম মজুমদার ও তাঁর সফরসঙ্গীরা।এ সময় সুখী এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক তাঁর নতুন পদ্ধতির বিষয়ে বলেন, ‘পাহাড়ি মাটি লেবুজাতীয় ফসল উৎপাদন উপযোগী এবং ফল খুবই মিষ্ট। বাজারে কেমিক্যাল মিশ্রিত হলুদ ফলে ক্রেতার নজর থাকায় সবুজ মাল্টাচাষিরা লোকসানের শিকার। ফলে মাল্টার স্বাদ ও রস অক্ষুণ্ন রেখে রং পরিবর্তনে নতুন বিশেষ পদ্ধতির ভাবনা নিয়ে প্রথমে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথের পরামর্শ করি। এই প্রথম ৫০০ মাল্টায় ফ্রুট ব্যাগিংয়ে হলুদ রং আনতে সক্ষম হই। ইতিমধ্যে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। ফলে কৃষিবিদেরা আমার নতুন পদ্ধতি দেখতে আসেন।’

কৃষিবিদ আবদুল কাইয়ুম মজুমদার বলেন, ‘এই পদ্ধতি ব্যবহারে আগামীতে উপজেলার অন্য চাষিদেরও সবুজ মাল্টায় ফ্রুট ব্যাগিংয়ে হলুদ বর্ণ করে বাজারজাত করে লাভবানের সুযোগ রয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে ভালো এবং সময়োপযোগী উদ্ভাবন। এই প্রযুক্তি দেশে প্রথম হওয়ায় এটি আমরা গবেষণা করে সারা দেশে সম্প্রসারণের বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্যোক্তা এনামুল হকের পদ্ধতিটির বিষয়ে কৃষি বিভাগ গবেষণা করে এর সফলতা, স্বাস্থ্যসম্মত ও ফলের গুণগত মান অপরিবর্তন হলে এটি সারা দেশে সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ উদ্যোগ নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল শিশুসহ চারজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৬
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ ও তিন বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। বাসচাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত