Ajker Patrika

মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

জয়পুরহাটে মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার মুরইল বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আজ রোববার দুপুরে জয়পুরহাট র‍্যাব-৫, ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. শেখ সাদিক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

গ্রেপ্তার রতন মণ্ডল (২২) জেলার পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

র‍্যাব জানায়, ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা বাজারে এলাকা থেকে নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ রতনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় মাদকের মামলা দায়ের করা হয়। 

ওই মামলায় চলতি বছর ২৮ আগস্ট জয়পুরহাট স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত-৫ এর বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এরপর র‍্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাঁকে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার মুরইল বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামি রতন মণ্ডলকে জেলার পাঁচবিবি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে উত্তেজনা, জমির মালিকানা দাবি করে বিক্ষোভ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারে আজ রোববার বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা নদীবন্দরের সীমানা পিলার বসাতে গেলে সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারে আজ রোববার বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা নদীবন্দরের সীমানা পিলার বসাতে গেলে সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারে নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বাঁকখালী নদীর তীরের কস্তুরাঘাট এলাকায় আজ রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে নদীবন্দরের সীমানা পিলার বসানোর জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে কস্তুরাঘাট এলাকায় আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে লোকজন সেখানে জড়ো হন। এরপর সকাল ৯টার দিকে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বন্দর মোকাম, পেশকারপাড়া ও কস্তুরাঘাট এলাকার কয়েক শ নারী বিক্ষোভে যোগ দেন। পরে জেলা প্রশাসনের অনুরোধে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কক্সবাজারে আজ রোববার বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা নদীবন্দরের সীমানা পিলার বসাতে গেলে সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারে আজ রোববার বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা নদীবন্দরের সীমানা পিলার বসাতে গেলে সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিআইডব্লিউটিএ কস্তুরাঘাট এলাকায় প্রায় সাড়ে ৪০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর তীরের ৬৩ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। দখলমুক্ত জমিতে বিআইডব্লিউটিএ সীমানা চিহ্নিত করতে উদ্যোগ নিলে কর্মকর্তাদের বাধা দেওয়া হয়।

উচ্ছেদ হওয়া কয়েকজনের দাবি, বিআইডব্লিউটিএ যে জমি থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করেছে, তা ব্যক্তিমালিকানাধীন। এ জমিতে কোনো স্থাপনা না করতে বিআইডব্লিউটিএর ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

কক্সবাজার নদীবন্দরের বন্দর কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াকিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁরা বিক্ষোভ করছেন, তাঁদের কারও কাছেই জমির মালিকানার বিষয়ে কাগজপত্র নেই। তবে এই মুহূর্তে কোনো উচ্ছেদ অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে না। কেবল উচ্ছেদ করা জমিতে সীমানা পিলার বসানো হচ্ছে। এটাকে কেন্দ্র করে পুরোনো দখলদারেরা লোকজন জড়ো করে সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশেষ চাহিদার শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে: উপদেষ্টা

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। রোববার কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার উত্তর লেমশীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ধুরুং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ধুরুং লাইট হাউস পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ, উপস্থিতি রেজিস্টার, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মান, খেলাধুলা ও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন। যেসব বিদ্যালয়ে ভবন জরাজীর্ণ, শিক্ষক কম বা শিক্ষাসামগ্রীর অভাব রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, সমুদ্রবেষ্টিত কুতুবদিয়া একটি দুর্গম এলাকা হলেও এখানকার শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আগামী দিনে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল লার্নিং এবং বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এর আগে সকালে কুতুবদিয়া দরবার ঘাট পৌঁছালে উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যথোয়াইপ্রু মারমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাকিব উল আলম ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৯৬৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমের সাইফুলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
১৯৬৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমের সাইফুলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জনতা ব্যাংক থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ, তাঁর ভাই রাশেদুল আলম, ওসমান গনি ও শহীদুল ইসলামসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ একাধিক সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামও রয়েছে।

আজ রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১-এ মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন নামের ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ব্যবহার করে জনতা ব্যাংক সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখা (চৌমুহনী) থেকে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৫৯ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, ঋণ অনুমোদন ও অর্থ ছাড়ের প্রতিটি ধাপে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছিল।

দুদক বলছে, ঋণের শর্তাবলি লঙ্ঘন করে সুবিধাভোগীরা পরিকল্পিতভাবে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন এবং ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা তাতে সহযোগিতা করেন। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট হয়।

মামলায় এস আলম গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে সাইফুল আলম মাসুদের পাশাপাশি তাঁর ভাই রাশেদুল আলম, ওসমান গনি ও শহীদুল ইসলামের নাম রয়েছে। এ ছাড়া ওসমান গনির স্ত্রী ফারজানা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আরও আছেন আব্দুস সবুর, খন্দকার রবিউল হক, খন্দকার জহিরুল হক, সিরাজুল করিম, কামরুল আহসান ও শহীদুল হক।

অর্থ লুটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন এবং এস এম মাহফুজুর রহমান, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক সিরাজুল করিম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মাসফিউল বারী, কামরুজ্জামান খান, আশরাফুল আলম, এস এম আব্দুল ওয়াদুদ, মিজানুর রহমান, শামীম আলম কোরেশী, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জব্বার, সাবেক পরিচালক খন্দকার সাবের ইসলাম, আবুল কাশেম, অজিত কুমার পাল, এ কে এম সামছুল আলম, আসাদ উল্লাহ, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, সাবেক সিইও অ্যান্ড এমডি আব্দুস ছালাম আজাদ, জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মজিদ ও বেগম রুবীনা আমীনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও পারস্পরিক যোগসাজশে এই অর্থ লোপাট করা হয়েছে। তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুধ দিয়ে গোসলের পরদিনই দলে ফিরলেন যুবদল নেতা

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
মো. হোসেন মিয়া । ছবি : সংগৃহীত
মো. হোসেন মিয়া । ছবি : সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে পরদিনই দলে ফিরেছেন মো. হোসেন মিয়া নামের এক যুবদল নেতা। আজ রোববার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে তিনি জানান, সিনিয়র নেতাদের অনুরোধ ও এলাকার মানুষের পরামর্শে তিনি আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করা দুধ দিয়ে গোসলের ভিডিওটি হোসেন মিয়া ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়।

হোসেন মিয়া উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

ফেসবুকে গোসলের ভিডিও পোস্ট করে হোসেন মিয়া লেখেন, ‘আমার এই ভিডিওটা দেখার পর সবার কাছে আমি হাসির পাত্র হয়ে থাকবো। এমনিতেই আজ আমি সবার হাসির পাত্র। আমি ধ্বংস হয়নি (হইনি), আমাকে ধ্বংস করা হয়েছে। আর সেটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিস্টেমের কাছে। যে সিস্টেমটার নাম হচ্ছে টাকা আর ষড়যন্ত্র।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমার কাছের মানুষগুলো আমার সাথে ষড়যন্ত্র করেছে। আমার মতো দুই-চারজন রাজনীতিতে না থাকলে কিছুই হবে না। কিন্তু একটা প্রশ্ন রেখে যাই, আমার লড়াইটা কিসের জন্য ছিল? আমার লড়াইটা ছিল বিএনপির জন্য, যুবদলের জন্য, চাঁদপুর-২ আসনের প্রার্থী ড. জালাল সাহেবের জন্য।’ হোসেন মিয়া দাবি করেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দোসররা মিলেমিশে ষড়যন্ত্র করে, টাকার জোরে, ক্ষমতার জোরে তাঁকে ধ্বংস করেছে। ফেসবুক পোস্টে রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন হোসেন মিয়া।

জানা গেছে, হোসেন মিয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হলে স্থানীয় রাজনীতিতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। আজ দুপুরের পর দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর বাসায় গিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি মিটমাট করেন।

আজকের পত্রিকাকে হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমাদের পূর্ব হানিরপাড় এলাকায় একটি সামাজিক বিষয় নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। রাগে-ক্ষোভে অভিমান সইতে না পেরে দুধ দিয়ে গোসলের ভিডিওটি পোস্ট করি। পরে সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। এখন থেকে বিএনপির রাজনীতিতে আগের মতোই সক্রিয় থাকব এবং দলের জন্য কাজ করে যাব।’

কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মহসিন ব্যাপারী বলেন, ‘হোসেন মিয়া বর্তমান কমিটিতে না থাকলেও তিনি সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। কিছুদিন আগে সামাজিক একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি অভিমানে ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন। এখন ভুল-বোঝাবুঝি মিটে গেছে। তিনি আবারও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন এবং সামনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ে ভূমিকা রাখবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত