যশোর প্রতিনিধি

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’
তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’
তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।
যশোর প্রতিনিধি

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’
তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’
তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।

ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
৮ মিনিট আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
২৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ২৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ২৮ বোতল ভারতীয় মদ ‘আইস ভদকা’ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হাজারীবাগ থানার জিগাতলা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমীর (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি কোন পদে রয়েছেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ। মরদেহ এখনো ওই হোস্টেলেই রয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজারীবাগ থানার এসআই সুব্রত। তিনি বলেন, মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রেজা লেখেন, রুমী গত এক মাস ধরে আওয়ামী লীগের ক্রমাগত সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পেয়ে আসছিলেন।

রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হাজারীবাগ থানার জিগাতলা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমীর (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি কোন পদে রয়েছেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ। মরদেহ এখনো ওই হোস্টেলেই রয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজারীবাগ থানার এসআই সুব্রত। তিনি বলেন, মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রেজা লেখেন, রুমী গত এক মাস ধরে আওয়ামী লীগের ক্রমাগত সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পেয়ে আসছিলেন।

বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
০১ নভেম্বর ২০২৫
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
২৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ২৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ২৮ বোতল ভারতীয় মদ ‘আইস ভদকা’ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেগঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি

জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করা মানে বাংলাদেশের সব জুলাই যোদ্ধার ওপর হামলা—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আল মামুন। গতকাল বুধবার রাতে ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে গঙ্গাচড়া উপজেলা এনসিপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
আল মামুন আরও বলেন, ‘আজ ওসমান হাদির ওপর হামলা হয়েছে, আগামীকাল আমার ওপর কিংবা অন্য কোনো সহযোদ্ধার ওপরও হতে পারে। এটি দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কি না, তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি করতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হবে। জনগণ নিরাপদ না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সমাবেশে রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার নির্বাচনী তৎপরতার সমালোচনা করে আল মামুন বলেন, আবারও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যা জুলাই যোদ্ধারা প্রতিহত করবে।
মশাল মিছিলটি গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গঙ্গাচড়া বাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশ শেষে পুনরায় কলেজ মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের এনসিপি নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করা মানে বাংলাদেশের সব জুলাই যোদ্ধার ওপর হামলা—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আল মামুন। গতকাল বুধবার রাতে ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে গঙ্গাচড়া উপজেলা এনসিপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
আল মামুন আরও বলেন, ‘আজ ওসমান হাদির ওপর হামলা হয়েছে, আগামীকাল আমার ওপর কিংবা অন্য কোনো সহযোদ্ধার ওপরও হতে পারে। এটি দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কি না, তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি করতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হবে। জনগণ নিরাপদ না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সমাবেশে রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার নির্বাচনী তৎপরতার সমালোচনা করে আল মামুন বলেন, আবারও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যা জুলাই যোদ্ধারা প্রতিহত করবে।
মশাল মিছিলটি গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গঙ্গাচড়া বাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশ শেষে পুনরায় কলেজ মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের এনসিপি নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
০১ নভেম্বর ২০২৫
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
৮ মিনিট আগে
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
২৮ মিনিট আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ২৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ২৮ বোতল ভারতীয় মদ ‘আইস ভদকা’ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেশাহীন রহমান, পাবনা

মাত্র ১৭ বছরের তরুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জন্মলগ্নে যার জায়গা ছিল বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও খোলা প্রান্তর। সময়ের সঙ্গে সেই ভূমিতে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া নান্দনিক ভবন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছিল রুক্ষ পরিবেশ—ছিল না পর্যাপ্ত গাছ, ফুল কিংবা ছায়া। সেই ভাবনা থেকেই ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাকৃতিক চরিত্র’ ফুটিয়ে তুলতে গত মে মাস থেকে নান্দনিক পরিকল্পনায় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দুর্লভ প্রজাতির গাছ রক্ষা এবং সৌন্দর্যবর্ধন—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগটি। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে যুক্ত হয়েছে প্রশান্তির নতুন মাত্রা। আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বায়ো-বেজড কম্পোজিটস, কাঠ সংরক্ষণ, বায়ো-আঠা ও উদ্ভিদবিষয়ক গবেষণায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
বৃক্ষরোপণ কমিটি ৩০ একর ক্যাম্পাসকে ১ হাজার ২০০ জোনে ভাগ করে পরিকল্পিতভাবে চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি স্থানে ৮ ফুট বালু অপসারণ করে গোবর ও দোআঁশ মাটি দিয়ে এক মাস আগে থেকেই জায়গা প্রস্তুত করা হয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরই চারা রোপণ শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের প্রধানতম উদ্দেশ্য সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা। নাটোরের লালপুরসহ পাবনা উঞ্চ এলাকা হিসেবে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড গরম পড়ে। পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ তাপমাত্রা কমাতে পারে। জীববৈচিত্র্য মাথায় রেখেছি। দুর্লভ গাছ সংরক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় আছে। যেসব গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব গাছের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতে চাই। ক্যাম্পাসকে সবুজ ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। এখানে পাখি আসবে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসটি জীববৈচিত্র্য, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি সমৃদ্ধ লিভিং ল্যাবরেটরিতে পরিণত হবে। গাছপালা বড় হলে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়বে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাসের মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল তৈরি হয়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হবে। জীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যার শিক্ষার্থীরা এখানে একটি বাস্তব গবেষণা ক্ষেত্র পাবে।
অবকাঠামো নির্মাণের পর ক্যাম্পাসের যেসব জায়গা ফাঁকা ছিল, মূলত সেসব স্থানে বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। অনেক বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ সংগ্রহ করে লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধুপ, উরি আম, মধুমাধবী, হাপরমালী, কানাইডিঙ্গা, নাগলিঙ্গম, রক্তন, তমাল, পুন্নাগ, কুসুম, কুরচি, মুচকুন্দচাঁপা, করঞ্জ, পরশপিপুল, কৃষ্ণবট, নীল অঞ্জন, রয়না, রিঠা, কুম্ভী, পুত্রঞ্জীবসহ নানা প্রজাতির গাছ।
এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পূবালী ও জনতা ব্যাংক। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন চারা রোপণে সহযোগিতা করেছে। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কাজ করছে রোভার স্কাউট গ্রুপ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের লেকে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে এবং কচ্ছপ ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘রোপিত চারাগুলোর সঙ্গে বড় হবে আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। ছায়াঘেরা পথ, ফুলের বাগান আর প্রাণবন্ত পরিবেশে ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ সময় কাটানোর জায়গা। এটি সত্যিকারের একটি লিভিং ল্যাবরেটরি হয়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ করছি। এর মাধ্যমে পরিবেশগত উপকারিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উদ্যোগ কাজে লাগবে। আমাদের ক্যাম্পাস ছড়িয়ে পড়বে দেশ থেকে দেশান্তরে। এই ক্যাম্পাসের আলোয় আলোকিত হবে পুরো বাংলাদেশ।’

মাত্র ১৭ বছরের তরুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জন্মলগ্নে যার জায়গা ছিল বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও খোলা প্রান্তর। সময়ের সঙ্গে সেই ভূমিতে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া নান্দনিক ভবন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছিল রুক্ষ পরিবেশ—ছিল না পর্যাপ্ত গাছ, ফুল কিংবা ছায়া। সেই ভাবনা থেকেই ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাকৃতিক চরিত্র’ ফুটিয়ে তুলতে গত মে মাস থেকে নান্দনিক পরিকল্পনায় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দুর্লভ প্রজাতির গাছ রক্ষা এবং সৌন্দর্যবর্ধন—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগটি। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে যুক্ত হয়েছে প্রশান্তির নতুন মাত্রা। আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বায়ো-বেজড কম্পোজিটস, কাঠ সংরক্ষণ, বায়ো-আঠা ও উদ্ভিদবিষয়ক গবেষণায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
বৃক্ষরোপণ কমিটি ৩০ একর ক্যাম্পাসকে ১ হাজার ২০০ জোনে ভাগ করে পরিকল্পিতভাবে চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি স্থানে ৮ ফুট বালু অপসারণ করে গোবর ও দোআঁশ মাটি দিয়ে এক মাস আগে থেকেই জায়গা প্রস্তুত করা হয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরই চারা রোপণ শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের প্রধানতম উদ্দেশ্য সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা। নাটোরের লালপুরসহ পাবনা উঞ্চ এলাকা হিসেবে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড গরম পড়ে। পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ তাপমাত্রা কমাতে পারে। জীববৈচিত্র্য মাথায় রেখেছি। দুর্লভ গাছ সংরক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় আছে। যেসব গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব গাছের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতে চাই। ক্যাম্পাসকে সবুজ ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। এখানে পাখি আসবে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসটি জীববৈচিত্র্য, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি সমৃদ্ধ লিভিং ল্যাবরেটরিতে পরিণত হবে। গাছপালা বড় হলে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়বে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাসের মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল তৈরি হয়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হবে। জীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যার শিক্ষার্থীরা এখানে একটি বাস্তব গবেষণা ক্ষেত্র পাবে।
অবকাঠামো নির্মাণের পর ক্যাম্পাসের যেসব জায়গা ফাঁকা ছিল, মূলত সেসব স্থানে বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। অনেক বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ সংগ্রহ করে লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধুপ, উরি আম, মধুমাধবী, হাপরমালী, কানাইডিঙ্গা, নাগলিঙ্গম, রক্তন, তমাল, পুন্নাগ, কুসুম, কুরচি, মুচকুন্দচাঁপা, করঞ্জ, পরশপিপুল, কৃষ্ণবট, নীল অঞ্জন, রয়না, রিঠা, কুম্ভী, পুত্রঞ্জীবসহ নানা প্রজাতির গাছ।
এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পূবালী ও জনতা ব্যাংক। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন চারা রোপণে সহযোগিতা করেছে। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কাজ করছে রোভার স্কাউট গ্রুপ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের লেকে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে এবং কচ্ছপ ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘রোপিত চারাগুলোর সঙ্গে বড় হবে আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। ছায়াঘেরা পথ, ফুলের বাগান আর প্রাণবন্ত পরিবেশে ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ সময় কাটানোর জায়গা। এটি সত্যিকারের একটি লিভিং ল্যাবরেটরি হয়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ করছি। এর মাধ্যমে পরিবেশগত উপকারিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উদ্যোগ কাজে লাগবে। আমাদের ক্যাম্পাস ছড়িয়ে পড়বে দেশ থেকে দেশান্তরে। এই ক্যাম্পাসের আলোয় আলোকিত হবে পুরো বাংলাদেশ।’

বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
০১ নভেম্বর ২০২৫
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
৮ মিনিট আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ২৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ২৮ বোতল ভারতীয় মদ ‘আইস ভদকা’ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ২৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ২৮ বোতল ভারতীয় মদ ‘আইস ভদকা’ উদ্ধার করা হয়। নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৩১ বিজিবির অধীন বরুয়াকোনা বিওপি থেকে চার সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১১৮১ এমপি থেকে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় মদগুলো উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি অধিনায়ক বলেন, সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধার করা মাদকদ্রব্য নেত্রকোনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হবে।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ২৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ২৮ বোতল ভারতীয় মদ ‘আইস ভদকা’ উদ্ধার করা হয়। নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৩১ বিজিবির অধীন বরুয়াকোনা বিওপি থেকে চার সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১১৮১ এমপি থেকে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাতলাবন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় মদগুলো উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি অধিনায়ক বলেন, সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধার করা মাদকদ্রব্য নেত্রকোনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হবে।

বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
০১ নভেম্বর ২০২৫
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
৮ মিনিট আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
২৮ মিনিট আগে