জাহিদ হাসান, যশোর

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জাহিদ হাসান, যশোর

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন, সেই ফুল বেচাকেনা, বীজ সংরক্ষণই হয় না এখানে। অথচ মার্কেটটির সামনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মাঠ থেকে ফুল নিয়ে শত শত কৃষক বিক্রি করতে যান সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে।
ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় উৎপাদিত ফুল, বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হিমাগারসহ আধুনিক ফুল মার্কেট নির্মাণ করে সরকার। ১ একর জমিতে এই বিপণনকেন্দ্র নির্মাণের পর ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মার্কেট নিয়ে ফুলচাষিদের কোনো আগ্রহ না থাকায় তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, যে ভবন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের পদচারণে মুখর থাকার কথা, সেই ভবনের সামনে ফুলের পরিবর্তে ধান শুকাচ্ছে এলাকাবাসী। পড়ে রয়েছে ফুল বেচাকেনার শেড।
ফুলচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশির দশক থেকেই গদখালী ও পানিসারা—এই দুই ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদিত হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে ফুলের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা পরিচিতি লাভ করে। কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। তাঁদের এই ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফুল বিপণন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। মার্কেট নির্মাণের পর জমির মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা ও আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় জেলা প্রশাসনের মার্কেটটি বুঝে নিতে এবং উদ্বোধন করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে চাষিরা জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে ভুল করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয় পানিসারা ইউনিয়নে। গদখালী বাজার থেকে এর দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আবার গদখালী বাজারের পাশে মহাসড়ক থাকায় সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া গদখালীতেই বেশি ফুলের চাষ হয়। ফলে চাষিরা অনেক দূরের ওই বিপণনকেন্দ্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কেন্দ্রটি গদখালীতে নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন।
নূর নবী নামের এক ফুলচাষি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। গদখালী থেকে এটি অনেক দূরে। ফলে গদখালীর ফুলচাষিরা ওখানে যেতে চান না। বাজার থেকে সহজে বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে ফুল মার্কেট পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া ফুলে বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় স্থানীয় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের এখন চড়া মূল্যে যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার আলুর হিমাগারে ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তা-ও আবার অনেক সময় হিমাগারে জায়গা পাওয়া যায় না।
একই অবস্থা গদখালী বাজারের পাশে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুল বিপণনকেন্দ্র (অ্যাসেম্বল সেন্টার)। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেখানে যান না চাষিরা। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিপণনকেন্দ্রটি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে ঝামেলা ছিল, পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী গদখালী বাজারটি তাঁদের আয়ত্তে রেখে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের জন্য ওই মার্কেট চালু করতে দিচ্ছেন না। আমরা প্রশাসনের কাছে মার্কেটটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’
এদিকে যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমির ওপর ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছের পোনা বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দোতলা এ বিক্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা বিক্রয়কেন্দ্রটির নিচতলার ১১ হাজার বর্গফুট জায়গায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ৩২০ বর্গফুটের ৫১টি সিস্টার্ন (হাউস) নির্মাণ করা হয়। সিস্টার্নে পানি শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। আর দেশি প্রজাতির ছোট মাছের পোনা বিক্রির জন্য দোতলায় ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে ৭০ জন ব্যবসায়ী বড় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে পোনা বিক্রি করতে পারবেন। মাছের গাড়ি সরাসরি দোতলায় নেওয়ার জন্য র্যাম্প পদ্ধতির সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরও স্থাপন করা আছে। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত পোনা বিক্রেতারা এ কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাননি।

কারণ হিসেবে মাছচাষিরা জানান, চাঁচড়া বাবলাতলায় সড়কের ওপর পাতিলে মাছের পোনা রেখে বিক্রি করতে কোনো খরচ নেই। কিন্তু পোনা বিক্রয়কেন্দ্রে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানাত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ১ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই তাঁরা ওই কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হননি।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, হ্যাচারিদের মতামত উপেক্ষা করে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। চাঁচড়া বাবলাতলায় নির্মাণ করার দাবি জানালেও সরকারের তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা চাঁচড়ায় নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পানির সমস্যা। তাই হ্যাচারিমালিকেরা দেড় কিলোমিটার দূরে চাঁচড়ায় যেতে আগ্রহ দেখান না।
সরকারের তিনটি প্রকল্প অব্যবহৃত পড়ে থাকার বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছচাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনের গায়ে বড় করে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্র’। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল বীজ বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য হিমাগার। ভবনের সামনে রয়েছে ফুল মোড়কজাত (প্যাকেজিং) ও বিক্রির জন্য পাকা মেঝে এবং টিনের ছোট ছোট ছাউনি (শেড)। তবে যে কারণে এত সুযোগ-সুবিধার আয়োজন,
০৫ এপ্রিল ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে