জিয়াউল হক, যশোর

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
নাজমা আক্তার বলেন, ‘কারও বোঝা হতে চাইনি। কিন্তু করোনা মহামারিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। প্রথম দুই–তিন মাস কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দিয়েছিল। এরপর তা–ও বন্ধ করে দেয়। দেখছি, তাদেরই এখন আয় নেই। তাই লজ্জায় আর চাইতে পারিনি। একই অবস্থা বাবার পরিবারেও।’
শুধু নাজমা আক্তার নন, তাঁর মতো এ রকম জেলার ৩৩৭টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অন্তত দুই হাজার শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনার কারণে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। যদিও শিক্ষকদের সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি যশোর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। নিবন্ধনহীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারি কোনো অনুদান মেলেনি তাঁদের।
দীর্ঘ ১৬ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলার আট উপজেলার এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষককে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। এমনকি ঈদ আনন্দ নেই তাঁদের পরিবারে। শুধু শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নন, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান ভাড়ার টাকা জোগাতে বিপাকে পড়েছে। কোনোটির ভাড়া বকেয়া পড়েছে দুই লাখ টাকারও বেশি।
জেলা সদর উপজেলা, কেশবপুর, মনিরামপুর, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, অভয়নগর, শার্শা ও বাঘারপাড়ার সব কটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একই চিত্র। এমনটি জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।
যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানান, যশোর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকাভুক্ত এমন কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে ৩৩৭টি। ২০২০ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ করা এ তালিকায় নেই শিক্ষকের সংখ্যা নেই। তবে সরকারি বই বিতরণের হিসাব অনুযায়ী, ৫০ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে এসব স্কুলে।
যশোর সদরের ভেকুটিয়া বি বি এল কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক এনামুল হক বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীই এখন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা তাদের কাছ থেকে বেতন নিতে পারিনি। এতে আমাদেরও বেতন হয়নি। তা ছাড়া কয়েকজনকে প্রাইভেট পড়াতাম। সেটাও কমে গেছে; যা জমানো টাকা ছিল, তা–ও শেষের পথে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখন।’
তুষার হোসেন, রাফেজা খাতুন, ইমদাদ হোসেনসহ অনেকেই এমন দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক আলী আহমেদ বলেন, ‘স্কুল খুলবে সে আশায় এখনো ভাড়া টেনে যাচ্ছি। ভাড়া বকেয়া পড়ে গেছে দুই লাখ টাকারও বেশি। শিক্ষকদেরও বেতন দিতে পারছি না। সব মিলিয়ে খুব বাজে সময় পার করছি।’
মনিরামপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ২০০ শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা।
মনিরামপুর বাজারের প্রতিভা বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, এখানে ১৩–১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। করোনার মাত্র তিন মাসের বেতন দিতে পেরেছি। প্রতি মাসে এক লাখ টাকা বেতন দিতে হতো। এক বছর ধরে ১২ হাজার টাকা করে ঘর ভাড়া গুনে যাচ্ছি। কত দিন টেনে যেতে পারব, জানি না।’
মনিরামপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারিনি।’
কেশবপুর প্রতিনিধি কামরুজ্জামান রাজু জানান, উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ১৮টি। এসব প্রতিষ্ঠানে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এসব শিক্ষকের মধ্যে অনেকেই পেশা বদল করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে লকডাউনের কারণে সেটাও থমকে গেছে।
উপজেলার পাঁজিয়া এডাস স্কুলের শিক্ষক জয় মিত্র বলেন, ‘চার সদস্যের পরিবার আমার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্কুলের তিনজন কর্মচারী খেতে দিনমজুরের কাজ করছেন।
কেশবপুরের সূচনা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খুবই দুরবস্থায় আছি। কয়েকটি টিউশন পড়াচ্ছিলাম, সেটাও লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে।’
উপজেলার কিন্ডার স্কলারশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘কেশবপুরের ১৮টি কিন্ডারগার্টেনের দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কোনো সহযোগিতা না পেয়ে দিশেহারা অবস্থায় আছেন।’
অভয়নগর প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলাটিতে শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় এবং ঘর ভাড়া টানতে না পেরে চরম বিপাকে আছে কিন্ডারগার্টেনগুলোর কর্তৃপক্ষ। কোনোটির কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান এম এ আজিজ মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেন।
এর স্বত্বাধিকারী মো. জহির রায়হান বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল শিক্ষার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দেব। কিন্তু ভয়াবহ করোনার গ্রাসে আজ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক, কর্মচারীর বেতন এবং বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাধ্য হয়ে স্কুলের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। শিক্ষক, কর্মচারীদের অন্যত্র কিছু করার জন্য বলা হয়েছে।’
বাঘারপাড়া প্রতিনিধি সুমন পারভেজ জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী রয়েছে দুই হাজারের কাছাকাছি। আর শিক্ষক রয়েছেন দুই শতাধিক।
উপজেলার বর্ণময় কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচিত আমাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ আমাদের মতো শিক্ষকেরা লজ্জায় কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছি না।’
যশোরের চৌগাছায়ও কষ্টে দিন কাটছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারীর। পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ২০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারী চাকরি করেন।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘যশোরে কয়েকটি মাত্র কিন্ডারগার্টেন স্কুলের রেজিস্ট্রেশন আছে। তারা ব্যক্তিমালিকানাধীন থাকায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করে না কখনো। তারপরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করেছি। সরকার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যাতে সমস্যায় না পড়ে। আমরা সেদিকটি খেয়াল রাখছি।’
শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘অনেকেই কিন্ডারগার্টেন ছেড়ে মূল ধারায় ফিরে এসেছে। আমরা তাদের ভর্তি করে নিচ্ছি। তবে শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আপাতত আমাদের করণীয় কিছু নেই।’

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
নাজমা আক্তার বলেন, ‘কারও বোঝা হতে চাইনি। কিন্তু করোনা মহামারিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। প্রথম দুই–তিন মাস কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দিয়েছিল। এরপর তা–ও বন্ধ করে দেয়। দেখছি, তাদেরই এখন আয় নেই। তাই লজ্জায় আর চাইতে পারিনি। একই অবস্থা বাবার পরিবারেও।’
শুধু নাজমা আক্তার নন, তাঁর মতো এ রকম জেলার ৩৩৭টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অন্তত দুই হাজার শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনার কারণে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। যদিও শিক্ষকদের সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি যশোর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। নিবন্ধনহীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারি কোনো অনুদান মেলেনি তাঁদের।
দীর্ঘ ১৬ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলার আট উপজেলার এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষককে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। এমনকি ঈদ আনন্দ নেই তাঁদের পরিবারে। শুধু শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নন, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান ভাড়ার টাকা জোগাতে বিপাকে পড়েছে। কোনোটির ভাড়া বকেয়া পড়েছে দুই লাখ টাকারও বেশি।
জেলা সদর উপজেলা, কেশবপুর, মনিরামপুর, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, অভয়নগর, শার্শা ও বাঘারপাড়ার সব কটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একই চিত্র। এমনটি জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।
যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানান, যশোর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকাভুক্ত এমন কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে ৩৩৭টি। ২০২০ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ করা এ তালিকায় নেই শিক্ষকের সংখ্যা নেই। তবে সরকারি বই বিতরণের হিসাব অনুযায়ী, ৫০ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে এসব স্কুলে।
যশোর সদরের ভেকুটিয়া বি বি এল কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক এনামুল হক বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীই এখন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা তাদের কাছ থেকে বেতন নিতে পারিনি। এতে আমাদেরও বেতন হয়নি। তা ছাড়া কয়েকজনকে প্রাইভেট পড়াতাম। সেটাও কমে গেছে; যা জমানো টাকা ছিল, তা–ও শেষের পথে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখন।’
তুষার হোসেন, রাফেজা খাতুন, ইমদাদ হোসেনসহ অনেকেই এমন দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক আলী আহমেদ বলেন, ‘স্কুল খুলবে সে আশায় এখনো ভাড়া টেনে যাচ্ছি। ভাড়া বকেয়া পড়ে গেছে দুই লাখ টাকারও বেশি। শিক্ষকদেরও বেতন দিতে পারছি না। সব মিলিয়ে খুব বাজে সময় পার করছি।’
মনিরামপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ২০০ শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা।
মনিরামপুর বাজারের প্রতিভা বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, এখানে ১৩–১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। করোনার মাত্র তিন মাসের বেতন দিতে পেরেছি। প্রতি মাসে এক লাখ টাকা বেতন দিতে হতো। এক বছর ধরে ১২ হাজার টাকা করে ঘর ভাড়া গুনে যাচ্ছি। কত দিন টেনে যেতে পারব, জানি না।’
মনিরামপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারিনি।’
কেশবপুর প্রতিনিধি কামরুজ্জামান রাজু জানান, উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ১৮টি। এসব প্রতিষ্ঠানে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এসব শিক্ষকের মধ্যে অনেকেই পেশা বদল করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে লকডাউনের কারণে সেটাও থমকে গেছে।
উপজেলার পাঁজিয়া এডাস স্কুলের শিক্ষক জয় মিত্র বলেন, ‘চার সদস্যের পরিবার আমার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্কুলের তিনজন কর্মচারী খেতে দিনমজুরের কাজ করছেন।
কেশবপুরের সূচনা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খুবই দুরবস্থায় আছি। কয়েকটি টিউশন পড়াচ্ছিলাম, সেটাও লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে।’
উপজেলার কিন্ডার স্কলারশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘কেশবপুরের ১৮টি কিন্ডারগার্টেনের দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কোনো সহযোগিতা না পেয়ে দিশেহারা অবস্থায় আছেন।’
অভয়নগর প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলাটিতে শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় এবং ঘর ভাড়া টানতে না পেরে চরম বিপাকে আছে কিন্ডারগার্টেনগুলোর কর্তৃপক্ষ। কোনোটির কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান এম এ আজিজ মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেন।
এর স্বত্বাধিকারী মো. জহির রায়হান বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল শিক্ষার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দেব। কিন্তু ভয়াবহ করোনার গ্রাসে আজ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক, কর্মচারীর বেতন এবং বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাধ্য হয়ে স্কুলের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। শিক্ষক, কর্মচারীদের অন্যত্র কিছু করার জন্য বলা হয়েছে।’
বাঘারপাড়া প্রতিনিধি সুমন পারভেজ জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী রয়েছে দুই হাজারের কাছাকাছি। আর শিক্ষক রয়েছেন দুই শতাধিক।
উপজেলার বর্ণময় কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচিত আমাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ আমাদের মতো শিক্ষকেরা লজ্জায় কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছি না।’
যশোরের চৌগাছায়ও কষ্টে দিন কাটছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারীর। পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ২০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারী চাকরি করেন।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘যশোরে কয়েকটি মাত্র কিন্ডারগার্টেন স্কুলের রেজিস্ট্রেশন আছে। তারা ব্যক্তিমালিকানাধীন থাকায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করে না কখনো। তারপরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করেছি। সরকার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যাতে সমস্যায় না পড়ে। আমরা সেদিকটি খেয়াল রাখছি।’
শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘অনেকেই কিন্ডারগার্টেন ছেড়ে মূল ধারায় ফিরে এসেছে। আমরা তাদের ভর্তি করে নিচ্ছি। তবে শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আপাতত আমাদের করণীয় কিছু নেই।’
জিয়াউল হক, যশোর

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
নাজমা আক্তার বলেন, ‘কারও বোঝা হতে চাইনি। কিন্তু করোনা মহামারিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। প্রথম দুই–তিন মাস কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দিয়েছিল। এরপর তা–ও বন্ধ করে দেয়। দেখছি, তাদেরই এখন আয় নেই। তাই লজ্জায় আর চাইতে পারিনি। একই অবস্থা বাবার পরিবারেও।’
শুধু নাজমা আক্তার নন, তাঁর মতো এ রকম জেলার ৩৩৭টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অন্তত দুই হাজার শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনার কারণে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। যদিও শিক্ষকদের সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি যশোর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। নিবন্ধনহীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারি কোনো অনুদান মেলেনি তাঁদের।
দীর্ঘ ১৬ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলার আট উপজেলার এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষককে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। এমনকি ঈদ আনন্দ নেই তাঁদের পরিবারে। শুধু শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নন, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান ভাড়ার টাকা জোগাতে বিপাকে পড়েছে। কোনোটির ভাড়া বকেয়া পড়েছে দুই লাখ টাকারও বেশি।
জেলা সদর উপজেলা, কেশবপুর, মনিরামপুর, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, অভয়নগর, শার্শা ও বাঘারপাড়ার সব কটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একই চিত্র। এমনটি জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।
যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানান, যশোর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকাভুক্ত এমন কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে ৩৩৭টি। ২০২০ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ করা এ তালিকায় নেই শিক্ষকের সংখ্যা নেই। তবে সরকারি বই বিতরণের হিসাব অনুযায়ী, ৫০ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে এসব স্কুলে।
যশোর সদরের ভেকুটিয়া বি বি এল কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক এনামুল হক বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীই এখন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা তাদের কাছ থেকে বেতন নিতে পারিনি। এতে আমাদেরও বেতন হয়নি। তা ছাড়া কয়েকজনকে প্রাইভেট পড়াতাম। সেটাও কমে গেছে; যা জমানো টাকা ছিল, তা–ও শেষের পথে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখন।’
তুষার হোসেন, রাফেজা খাতুন, ইমদাদ হোসেনসহ অনেকেই এমন দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক আলী আহমেদ বলেন, ‘স্কুল খুলবে সে আশায় এখনো ভাড়া টেনে যাচ্ছি। ভাড়া বকেয়া পড়ে গেছে দুই লাখ টাকারও বেশি। শিক্ষকদেরও বেতন দিতে পারছি না। সব মিলিয়ে খুব বাজে সময় পার করছি।’
মনিরামপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ২০০ শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা।
মনিরামপুর বাজারের প্রতিভা বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, এখানে ১৩–১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। করোনার মাত্র তিন মাসের বেতন দিতে পেরেছি। প্রতি মাসে এক লাখ টাকা বেতন দিতে হতো। এক বছর ধরে ১২ হাজার টাকা করে ঘর ভাড়া গুনে যাচ্ছি। কত দিন টেনে যেতে পারব, জানি না।’
মনিরামপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারিনি।’
কেশবপুর প্রতিনিধি কামরুজ্জামান রাজু জানান, উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ১৮টি। এসব প্রতিষ্ঠানে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এসব শিক্ষকের মধ্যে অনেকেই পেশা বদল করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে লকডাউনের কারণে সেটাও থমকে গেছে।
উপজেলার পাঁজিয়া এডাস স্কুলের শিক্ষক জয় মিত্র বলেন, ‘চার সদস্যের পরিবার আমার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্কুলের তিনজন কর্মচারী খেতে দিনমজুরের কাজ করছেন।
কেশবপুরের সূচনা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খুবই দুরবস্থায় আছি। কয়েকটি টিউশন পড়াচ্ছিলাম, সেটাও লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে।’
উপজেলার কিন্ডার স্কলারশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘কেশবপুরের ১৮টি কিন্ডারগার্টেনের দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কোনো সহযোগিতা না পেয়ে দিশেহারা অবস্থায় আছেন।’
অভয়নগর প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলাটিতে শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় এবং ঘর ভাড়া টানতে না পেরে চরম বিপাকে আছে কিন্ডারগার্টেনগুলোর কর্তৃপক্ষ। কোনোটির কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান এম এ আজিজ মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেন।
এর স্বত্বাধিকারী মো. জহির রায়হান বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল শিক্ষার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দেব। কিন্তু ভয়াবহ করোনার গ্রাসে আজ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক, কর্মচারীর বেতন এবং বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাধ্য হয়ে স্কুলের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। শিক্ষক, কর্মচারীদের অন্যত্র কিছু করার জন্য বলা হয়েছে।’
বাঘারপাড়া প্রতিনিধি সুমন পারভেজ জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী রয়েছে দুই হাজারের কাছাকাছি। আর শিক্ষক রয়েছেন দুই শতাধিক।
উপজেলার বর্ণময় কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচিত আমাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ আমাদের মতো শিক্ষকেরা লজ্জায় কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছি না।’
যশোরের চৌগাছায়ও কষ্টে দিন কাটছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারীর। পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ২০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারী চাকরি করেন।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘যশোরে কয়েকটি মাত্র কিন্ডারগার্টেন স্কুলের রেজিস্ট্রেশন আছে। তারা ব্যক্তিমালিকানাধীন থাকায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করে না কখনো। তারপরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করেছি। সরকার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যাতে সমস্যায় না পড়ে। আমরা সেদিকটি খেয়াল রাখছি।’
শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘অনেকেই কিন্ডারগার্টেন ছেড়ে মূল ধারায় ফিরে এসেছে। আমরা তাদের ভর্তি করে নিচ্ছি। তবে শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আপাতত আমাদের করণীয় কিছু নেই।’

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
নাজমা আক্তার বলেন, ‘কারও বোঝা হতে চাইনি। কিন্তু করোনা মহামারিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। প্রথম দুই–তিন মাস কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দিয়েছিল। এরপর তা–ও বন্ধ করে দেয়। দেখছি, তাদেরই এখন আয় নেই। তাই লজ্জায় আর চাইতে পারিনি। একই অবস্থা বাবার পরিবারেও।’
শুধু নাজমা আক্তার নন, তাঁর মতো এ রকম জেলার ৩৩৭টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অন্তত দুই হাজার শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনার কারণে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। যদিও শিক্ষকদের সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি যশোর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। নিবন্ধনহীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারি কোনো অনুদান মেলেনি তাঁদের।
দীর্ঘ ১৬ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলার আট উপজেলার এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষককে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। এমনকি ঈদ আনন্দ নেই তাঁদের পরিবারে। শুধু শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নন, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান ভাড়ার টাকা জোগাতে বিপাকে পড়েছে। কোনোটির ভাড়া বকেয়া পড়েছে দুই লাখ টাকারও বেশি।
জেলা সদর উপজেলা, কেশবপুর, মনিরামপুর, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, অভয়নগর, শার্শা ও বাঘারপাড়ার সব কটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একই চিত্র। এমনটি জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।
যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানান, যশোর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকাভুক্ত এমন কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে ৩৩৭টি। ২০২০ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ করা এ তালিকায় নেই শিক্ষকের সংখ্যা নেই। তবে সরকারি বই বিতরণের হিসাব অনুযায়ী, ৫০ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে এসব স্কুলে।
যশোর সদরের ভেকুটিয়া বি বি এল কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক এনামুল হক বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীই এখন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা তাদের কাছ থেকে বেতন নিতে পারিনি। এতে আমাদেরও বেতন হয়নি। তা ছাড়া কয়েকজনকে প্রাইভেট পড়াতাম। সেটাও কমে গেছে; যা জমানো টাকা ছিল, তা–ও শেষের পথে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখন।’
তুষার হোসেন, রাফেজা খাতুন, ইমদাদ হোসেনসহ অনেকেই এমন দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক আলী আহমেদ বলেন, ‘স্কুল খুলবে সে আশায় এখনো ভাড়া টেনে যাচ্ছি। ভাড়া বকেয়া পড়ে গেছে দুই লাখ টাকারও বেশি। শিক্ষকদেরও বেতন দিতে পারছি না। সব মিলিয়ে খুব বাজে সময় পার করছি।’
মনিরামপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ২০০ শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা।
মনিরামপুর বাজারের প্রতিভা বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, এখানে ১৩–১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। করোনার মাত্র তিন মাসের বেতন দিতে পেরেছি। প্রতি মাসে এক লাখ টাকা বেতন দিতে হতো। এক বছর ধরে ১২ হাজার টাকা করে ঘর ভাড়া গুনে যাচ্ছি। কত দিন টেনে যেতে পারব, জানি না।’
মনিরামপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারিনি।’
কেশবপুর প্রতিনিধি কামরুজ্জামান রাজু জানান, উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ১৮টি। এসব প্রতিষ্ঠানে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এসব শিক্ষকের মধ্যে অনেকেই পেশা বদল করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে লকডাউনের কারণে সেটাও থমকে গেছে।
উপজেলার পাঁজিয়া এডাস স্কুলের শিক্ষক জয় মিত্র বলেন, ‘চার সদস্যের পরিবার আমার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্কুলের তিনজন কর্মচারী খেতে দিনমজুরের কাজ করছেন।
কেশবপুরের সূচনা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খুবই দুরবস্থায় আছি। কয়েকটি টিউশন পড়াচ্ছিলাম, সেটাও লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে।’
উপজেলার কিন্ডার স্কলারশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘কেশবপুরের ১৮টি কিন্ডারগার্টেনের দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কোনো সহযোগিতা না পেয়ে দিশেহারা অবস্থায় আছেন।’
অভয়নগর প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলাটিতে শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় এবং ঘর ভাড়া টানতে না পেরে চরম বিপাকে আছে কিন্ডারগার্টেনগুলোর কর্তৃপক্ষ। কোনোটির কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান এম এ আজিজ মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেন।
এর স্বত্বাধিকারী মো. জহির রায়হান বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল শিক্ষার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দেব। কিন্তু ভয়াবহ করোনার গ্রাসে আজ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক, কর্মচারীর বেতন এবং বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাধ্য হয়ে স্কুলের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। শিক্ষক, কর্মচারীদের অন্যত্র কিছু করার জন্য বলা হয়েছে।’
বাঘারপাড়া প্রতিনিধি সুমন পারভেজ জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী রয়েছে দুই হাজারের কাছাকাছি। আর শিক্ষক রয়েছেন দুই শতাধিক।
উপজেলার বর্ণময় কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচিত আমাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ আমাদের মতো শিক্ষকেরা লজ্জায় কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছি না।’
যশোরের চৌগাছায়ও কষ্টে দিন কাটছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারীর। পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ২০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারী চাকরি করেন।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘যশোরে কয়েকটি মাত্র কিন্ডারগার্টেন স্কুলের রেজিস্ট্রেশন আছে। তারা ব্যক্তিমালিকানাধীন থাকায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করে না কখনো। তারপরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করেছি। সরকার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যাতে সমস্যায় না পড়ে। আমরা সেদিকটি খেয়াল রাখছি।’
শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘অনেকেই কিন্ডারগার্টেন ছেড়ে মূল ধারায় ফিরে এসেছে। আমরা তাদের ভর্তি করে নিচ্ছি। তবে শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আপাতত আমাদের করণীয় কিছু নেই।’

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
১৭ জুলাই ২০২১
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
১৭ জুলাই ২০২১
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
১৭ জুলাই ২০২১
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
১৭ জুলাই ২০২১
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে