Ajker Patrika

ভাসানী সেতু উদ্বোধন

ঢাকা-কুড়িগ্রাম দূরত্ব কমল, সহজ হলো যোগাযোগ

  • তিস্তার ওপর নির্মিত সেতুটি সংযুক্ত করেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারীকে।
  • ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের ১১ বছর পর উদ্বোধন হলো মাওলানা ভাসানী সেতু।
কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ও কুড়িগ্রামের চিলমারী সদরের সঙ্গে সংযোগকারী তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধনের আগেই ব্যারিকেড ভেঙে উচ্ছ্বসিত হাজারো মানুষ সেতুতে অবস্থান নেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ও কুড়িগ্রামের চিলমারী সদরের সঙ্গে সংযোগকারী তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধনের আগেই ব্যারিকেড ভেঙে উচ্ছ্বসিত হাজারো মানুষ সেতুতে অবস্থান নেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

এত দিন কুড়িগ্রাম থেকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পয়েন্ট দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে হতো। রংপুর হয়ে পলাশবাড়ী যেতে অতিক্রম করতে হতো প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পথ। এখনো একই পথে যাতায়াত করতে হবে। তবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারীকে সংযুক্ত করা মাওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধনের ফলে কুড়িগ্রাম-পলাশবাড়ীর দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৪ কিলোমিটার। অর্থাৎ দূরত্ব কমছে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতু গতকাল বুধবার দুপুরে উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের ১১ বছর পর উদ্বোধন করা হলো সেতুটি।

সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটি হয় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে। সেখানে সেতুর প্রবেশমুখে ফিতা কেটে উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উৎসুক মানুষের ভিড় সামাল দিতে বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। ঘটনাস্থলে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এলজিইডির কর্মকর্তা, সেতু নির্মাণসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ১০ আগস্ট সেতুটির নামকরণ-সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়, ১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৯ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুটি হবে ‘মাওলানা ভাসানী সেতু, গাইবান্ধা’। এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়। ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর প্রকল্পটির দরপত্র আহ্বান করা হয়। এলজিইডি সূত্র জানায়, সৌদি সরকারের অর্থায়নে ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা। সেতুটি ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রায় ৮০ কিলোমিটার অ্যাকসেস সড়ক। এর মধ্যে নির্মিত হয়েছে ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু।

সেতুটি চালু হওয়ায় গাইবান্ধা-কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, এখন উত্তরের এই দুই জেলাসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে স্বল্প খরচে কৃষি ও শিল্পপণ্যের পরিবহন সম্ভব হবে। গড়ে উঠবে ছোট ও মাঝারি শিল্পকারখানা। পাশাপাশি ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। ভূরুঙ্গামারী স্থলবন্দরের দূরত্ব কমবে ৪০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। পর্যটনেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।

তবে সেতুর নামকরণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ। কারণ, মুক্তিযোদ্ধা ও সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা শরিতুল্যাহ মাস্টারের নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিকবার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ১৯৯৫ সাল থেকে শরিতুল্যাহ মাস্টার আন্দোলন চালিয়ে ‘তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করেছিলেন। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় সেতুটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তাই তাঁর স্মৃতি অম্লান রাখতে ‘শরিতুল্যাহ মাস্টার তিস্তা সেতু’ করার দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।

এদিকে সেতুটি উদ্বোধনের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ঢাকার দূরত্ব অনেকখানি কমবে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হলেও পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন ভিন্ন কথা। কুড়িগ্রাম জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান কবির বলেন, সেতু হওয়ায় অবশ্যই মানুষের উপকার হবে। কিন্তু কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ঢাকার দূরত্ব ও সময় কমার যে বিষয়টি আলোচনা করা হচ্ছে, তা আসলে সঠিক নয়। তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর হয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পয়েন্ট দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়। কুড়িগ্রাম-রংপুর-পলাশবাড়ীর দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। নতুন এই সেতু হয়ে কুড়িগ্রাম-পলাশবাড়ীর দূরত্ব প্রায় ৮৪ কিলোমিটার। দূরত্ব কমছে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার। কিন্তু নতুন সেতু হয়ে সড়কের যে প্রশস্ততা ও অবস্থা, তাতে দূরত্ব সামান্য কমলেও সময় কমার সম্ভাবনা কম, বরং বেশি লাগতে পারে।

চিলমারী উপজেলা শহর থেকে সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, কুড়িগ্রাম এলজিইডির আওতাধীন এই সংযোগ সড়কের কাজ অবহেলা করে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে সেতুর উদ্বোধন হলেও এর সুফল শিগগির পাওয়া যাবে না।

কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুছ হোসেন বিশ্বাস বলেন, প্রায় ২০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মাওলানা ভাসানী সেতুর কুড়িগ্রামের চিলমারী প্রান্তের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজ চলছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সড়কের কার্পেটিং করা সম্ভব হচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না’

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।

এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’

প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’

তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষকের ঘরে ১২ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ, আটক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।

পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জেলে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত