Ajker Patrika

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশার ৬ দিন ও স্বামী রাব্বির ৩ দিনের রিমান্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১১
ঝালকাঠির নলছিটিতে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আয়েশা আক্তার (বাঁ থেকে তৃতীয়) ও তাঁর পাশে জামাল সিকদার রাব্বি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝালকাঠির নলছিটিতে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আয়েশা আক্তার (বাঁ থেকে তৃতীয়) ও তাঁর পাশে জামাল সিকদার রাব্বি। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশাকে ৬ দিন এবং তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।

হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার স্বামী-স্ত্রীকে আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ওসমান মাসুম প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গৃহকর্মীর ৬ দিন এবং তাঁর স্বামীর ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

আদালতের সহকারী পিপি হারুন-অর-রশিদ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বুধবার সাভার থেকে রাব্বিকে এবং ঝালকাঠির নলছিটি থেকে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ৮ ডিসেম্বর সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় ওই দিনই রাতে গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে তিনি উত্তরায় স্কুলে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা মরদেহ দেখতে পান। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, টাকাসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান।

বাদী এজাহারে আরও বলেন, অজ্ঞাত কারণে স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেছেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, গৃহকর্মী আয়েশাকে আটকের পর তিনি খুনের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তবে খুনের মূল রহস্য কী তা খুঁজে বের করতে এবং এই ঘটনার পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা উদ্ঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। গৃহকর্মীর স্বামী রাব্বিও এই ঘটনায় জড়িত আছে বলে সন্দেহ করা যাচ্ছে। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...